সিরিয়ায় কিছু একটা করা উচিত
সিরিয়ায় হামলা চালানোর সিদ্ধান্তে অনড় যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন যোগাচ্ছে ফ্রান্স। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ব্রিটেন পার্লামেন্টে লেবার পার্টির সদস্যদের তীব্র বিরোধিতার মুখে এক পর্যায়ে হামলা চালানোর পদক্ষেপ থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। এদিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলান্দ হামলায় অংশীদারিত্ব করতে বুধবার বিশেষ অধিবেশন ডেকেছেন।
সিরিয়ার ভাগ্যে কি ঘটতে যাচ্ছে? সমসাময়িক এ মিলিয়ন ডলার প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গলদঘর্ম হচ্ছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা। আদৌও কি সত্যাশ্রয়ী হামলা চালানো হবে নাকি ইরাকের হাতে মারণাস্ত্র আছে এমন ‘আষাঢ়ে গল্প’ ফেঁদে জাতীয় স্বার্থ চরিতার্থ করতে সুকৌশলে এগোনো হচ্ছে সেটা এখনও ঝাপসা দর্পণে দেখা প্রতিচ্ছবির মতোই অস্পষ্ট। বর্তমান নিরিখে ফ্রান্সের অবস্থান কি হবে সেটা উঠে এসেছে দেশটির সর্বাধিক প্রচারিত ‘লাঁ মদ’ সংবাদপত্রে। পত্রিকাটির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলান্দের সাক্ষাৎকারের চৌম্বক অংশ তুলে ধরা হল :
প্রশ্ন : ২১ আগস্ট দামেস্কে ‘রাসায়নিক অস্ত্র’ হামলা হয়েছে এর স্পষ্ট প্রমাণ কি ফ্রান্সের হাতে আছে?
ওলান্দ : এটা একটা অমূলক প্রশ্ন। এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য। এমনকি সিরিয়া কর্তৃপক্ষও এ সত্য অস্বীকার করার দুঃসাহস দেখায়নি। ফ্রান্সের হাতে প্রমাণ আছে বাশার সরকার এ ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্য দায়ী। সিরিয়ায় এ পর্যন্ত অনেক রাসায়নিক হামলা হয়েছে। তবে, ২১ আগস্টের হামলা স্মরণকালের সবচেয়ে নিন্দনীয়, গর্হিত এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
প্রশ্ন : সামরিক হামলা কতটা আইনসিদ্ধ হবে?
ওলান্দ : ১৯২৫ সালের জেনেভা প্রটোকলে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, রাসায়নিক হামলা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। এ কারণে আমরা (যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন) তদন্তের ভার জাতিসংঘের ওপর দিয়েছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হবে না কারণ প্রমাণ পেলেও নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব অনুমোদন করাতে পারব না। চীন এবং রাশিয়া ভেটো দিয়ে সব উদ্যোগ ভেস্তে দেবে। গত দুই বছর ধরে তারা নিরাপত্তা পরিষদকে সিরিয়া ইস্যুতে অচল করে রেখেছে।
প্রশ্ন : যুদ্ধের লক্ষ্য কি হবে?
ওলান্দ : আমি এমন যুদ্ধের কথা বলছি না যেখানে দৈত্যকার মানবতাবিরোধী অপরাধীকে শাস্তি দেয়া হবে। যুদ্ধ হবে ‘নিবারক’ শক্তি। হাত গুটিয়ে বসে থাকার অর্থ হল সবকিছুকে চলতে দেয়া। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ দীর্ঘদিন ধরে চলছে। গৃহযুদ্ধে ১ লাখ সিরীয় নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেছে। এভাবে চলতে দেয়া যায় না। কিছু একটা করা উচিত।
প্রশ্ন : আক্রমণের ধরণ কেমন হবে?
ওলান্দ : আলোচনার টেবিলে যুদ্ধের সব ধরন রয়েছে। তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বলতে পারি বাশারের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা গ্রহণ করা উচিত।
প্রশ্ন : হামলার পর রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক কিভাবে বিবেচনা করবেন?
ওলান্দ : রাশিয়া আগাগোড়া বাশার আল আসাদের পক্ষ নিয়েছে। রাশিয়া মনে করে বাশারের পতনে মধ্যপ্রাচ্যে বিশৃংখলা ছড়িয়ে পড়বে। তবে আমি বরাবরই পুতিনকে বোঝানোর চেষ্টা করছি রাশিয়ার স্বার্থেই সিরিয়ার ইস্যুতে রাজনৈতিক সমাধান দরকার।
প্রশ্ন : পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত ছাড়া কি হামলার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন?
ওলান্দ : উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণাদি ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। আমি বুধবার পার্লামেন্টে সিরিয়া ইস্যুতে বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করেছি। পার্লামেন্ট সদস্যদের সিরিয়া ইস্যুতে মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সংবিধানের ৩৫নং ধারা অনুসারে সরকারের পক্ষ থেকে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ধরন এবং লক্ষ্য সম্পর্কে সবাইকে অবগত করতে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সূত্র : ফরাসি দূতাবাস।
প্রশ্ন : ২১ আগস্ট দামেস্কে ‘রাসায়নিক অস্ত্র’ হামলা হয়েছে এর স্পষ্ট প্রমাণ কি ফ্রান্সের হাতে আছে?
ওলান্দ : এটা একটা অমূলক প্রশ্ন। এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য। এমনকি সিরিয়া কর্তৃপক্ষও এ সত্য অস্বীকার করার দুঃসাহস দেখায়নি। ফ্রান্সের হাতে প্রমাণ আছে বাশার সরকার এ ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্য দায়ী। সিরিয়ায় এ পর্যন্ত অনেক রাসায়নিক হামলা হয়েছে। তবে, ২১ আগস্টের হামলা স্মরণকালের সবচেয়ে নিন্দনীয়, গর্হিত এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
প্রশ্ন : সামরিক হামলা কতটা আইনসিদ্ধ হবে?
ওলান্দ : ১৯২৫ সালের জেনেভা প্রটোকলে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, রাসায়নিক হামলা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। এ কারণে আমরা (যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন) তদন্তের ভার জাতিসংঘের ওপর দিয়েছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হবে না কারণ প্রমাণ পেলেও নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব অনুমোদন করাতে পারব না। চীন এবং রাশিয়া ভেটো দিয়ে সব উদ্যোগ ভেস্তে দেবে। গত দুই বছর ধরে তারা নিরাপত্তা পরিষদকে সিরিয়া ইস্যুতে অচল করে রেখেছে।
প্রশ্ন : যুদ্ধের লক্ষ্য কি হবে?
ওলান্দ : আমি এমন যুদ্ধের কথা বলছি না যেখানে দৈত্যকার মানবতাবিরোধী অপরাধীকে শাস্তি দেয়া হবে। যুদ্ধ হবে ‘নিবারক’ শক্তি। হাত গুটিয়ে বসে থাকার অর্থ হল সবকিছুকে চলতে দেয়া। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ দীর্ঘদিন ধরে চলছে। গৃহযুদ্ধে ১ লাখ সিরীয় নাগরিকের প্রাণহানি ঘটেছে। এভাবে চলতে দেয়া যায় না। কিছু একটা করা উচিত।
প্রশ্ন : আক্রমণের ধরণ কেমন হবে?
ওলান্দ : আলোচনার টেবিলে যুদ্ধের সব ধরন রয়েছে। তবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বলতে পারি বাশারের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা গ্রহণ করা উচিত।
প্রশ্ন : হামলার পর রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক কিভাবে বিবেচনা করবেন?
ওলান্দ : রাশিয়া আগাগোড়া বাশার আল আসাদের পক্ষ নিয়েছে। রাশিয়া মনে করে বাশারের পতনে মধ্যপ্রাচ্যে বিশৃংখলা ছড়িয়ে পড়বে। তবে আমি বরাবরই পুতিনকে বোঝানোর চেষ্টা করছি রাশিয়ার স্বার্থেই সিরিয়ার ইস্যুতে রাজনৈতিক সমাধান দরকার।
প্রশ্ন : পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত ছাড়া কি হামলার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন?
ওলান্দ : উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণাদি ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। আমি বুধবার পার্লামেন্টে সিরিয়া ইস্যুতে বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করেছি। পার্লামেন্ট সদস্যদের সিরিয়া ইস্যুতে মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সংবিধানের ৩৫নং ধারা অনুসারে সরকারের পক্ষ থেকে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ধরন এবং লক্ষ্য সম্পর্কে সবাইকে অবগত করতে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সূত্র : ফরাসি দূতাবাস।
No comments