ইরাকের পুনরাবৃত্তি নয় : কেরি
সিরিয়া নিয়ে নতুন কৌশল প্রয়োগে তৎপরতা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র শক্তিরা। সেখানে যুদ্ধের ঘণ্টা বেজে উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল সেখান থেকে কিছুটা পিছু হটেছে তারা। ইরাক, লিবিয়া বা আফগানিস্তানের মতো যুদ্ধ হবে না এটি। এমনকি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্যও এ যুদ্ধ নয়। ২০০৩ সালে ইরাক হামলার পটভূমির চেয়ে আলাদা হবে সিরিয়া হামলার পটভূমি। বার বার এমনটিই দাবি করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। শুক্রবার এক বক্তব্যে জন কেরি আবারও দাবি করলেন, বাশার আল আসাদ বাহিনীই রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে। এর যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে তাদের হাতে। তিনি আরও বলেন, প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও বার বার তা খতিয়ে দেখছে মার্কিন গোয়েন্দা গোষ্ঠী, যাতে এ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি না থাকে। ইরাকের বেলায় যেভাবে প্রমাণাদি জোগাড় করা হয়েছিল তার চেয়ে অনেক বেশি মনোযোগ দেয়া হচ্ছে সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের সত্যতা যাচাইয়ে। আমরা ইরাকের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাই না। কেরির এ বক্তব্যের অব্যবহিত পরেই হোয়াইট হাউসে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় ওবামা বলেন, আমরা এমন কোনো ধরনের সামরিক হামলায় যাব না যেখানে সেনাদের পা সিরিয়ার মাটিতে পড়ে এবং যার কারণে দীর্ঘ মেয়াদি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে হয়। আমরা সিরিয়া হামলার বিষয়ে খুবই সীমিত পরিসরের কথা ভাবছি। ওবামার মতো ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একই ধরনের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। ওবামার পরিকল্পনার ব্যাপারে ব্রিটিশ সংসদ সদস্যদের ধারণা দিতে গিয়ে ক্যামেরন বলেন, ওবামা এমন একজন মানুষ যিনি ইরাক যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলেন। এখন কেউ ওবামাকে এমনভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন না যে,
তিনি চান আমেরিকা আরও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়–ক। ক্যামেরন আরও বলেন, সিরিয়ায় আমরা যে ধরনের পদক্ষেপের ব্যাপারে ভাবছি তা ইরাকের চেয়ে মৌলিকভাবে আলাদা। কিন্তু ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সিরিয়া হামলা থেকে বিরত থাকার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এই যখন অবস্থা তখন সাবেক মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন পানেট্টা শুক্রবার বলেছেন, জাতিসংঘ বা তার মিত্ররা যৌথভাবে সিরিয়ায় হামলা করলে ‘খুবই ভালো হতো।’ কিন্তু তারা না এলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের জন্য অপেক্ষা করতে পারে না। এনসিসি নিউজে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন পানেট্টা। তিনি আরও যোগ করেন, বিশ্ব শান্তির জন্য সিরিয়ার হামলা করা উচিত যুক্তরাষ্ট্রের। এছাড়া সিরিয়া হামলার ছক সম্পর্কে কয়েক মাস আগে হোয়াইট হাউসকে অবহিত করেছিল মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়Ñ এমন দাবিও করেন পানেট্টা। নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু মার্কিন সামরিক বাহিনীর জানা আছে এবং অল্প সময়েই লক্ষ্যবস্তু গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম তারা। ফলে অযথা সময় নষ্টের পক্ষে নয় পানেট্টা। শুধু পানেট্টা নয় সিরিয়া হামলার ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানালেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াকার বুশ। তিনি দাবি করেন, আমি কখনই সিরিয় প্রেসিডেন্ট বাশারের নাচের পুতুল নই। ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বুশ একথা বলেন। বুশ নেতৃত্বাধীন ইরাক ও আফগানিস্তানে হামলা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সতর্কতামূলক শিক্ষা নেয়ার আছেÑ এমন বক্তব্যের জেরে তিনি বলেন, সিরিয়ার হামলা ইস্যুতে তিনি ‘ফাঁদে জড়াতে’ চান না। প্রেসিডেন্ট (ওবামা) যদি হামলা চালাতে চান তাহলে তার জন্য পর্যাপ্ত সামরিক বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। তবে তিনি এও বলেন, এখনকার সিরিয়া ও তখনকার ইরাকের মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। সে যা হোক, সিরিয়া হামলা ঠিক হবে কি হবে না তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে শেষ পর্যন্ত রাজি হননি ওয়াকার বুশ।
সিরিয়া হামলার নয় অজুহাত
সে যাই বলুক সিরিয়া হামলার ব্যাপারে এখন দৃঢ়চিত্তে জন কেরি। রাসায়নিক হামলা চালিয়ে বাশার যে বর্বরতার পরিচয় দিয়েছে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে কেরি তার অবস্থানে অনঢ়। মূলত নয়টি কারণে সিরিয়ায় হামলা চালানোর পক্ষে তিনি।
রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার : রাসায়নিক হামলা সম্পর্কে আমরা যা বলছি তা সত্যিই আমরা জানি। বাশারের শাসনামলে কিভাবে রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচি বিস্তার লাভ করেছে তাও আমাদের জানা আছে। সম্প্রতি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণও মিলেছে গোয়েন্দা অনুসন্ধানে। সুতরাং সিরিয়া হামলার যথেষ্ট বৈধতা রয়েছে বলে কেরির অভিমত।
সামাজিক মাধ্যম : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রভাব। মাত্র ৯০ মিনিটে ইন্টারনেটে এ নরক তাণ্ডব ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ধরনের হামলার ভয় : কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই, কাটাছেড়া নেই বা গুরুতর জখমের নিদর্শনও নেই। শুধু পড়ে আছে লাশের সারি। এ দৃশ্য চিকিৎসকরা দেখেছেন। আবারও এ ধরনের হামলা হলে তার বর্বরতার শিকারও হবে মানুষÑ বলেন কেরি।
হামলার শিকার : রাসায়নিক হামলার শিকার হয়েছে শিশুসহ কমপক্ষে ১ হাজার ৪২৯ জন মানুষ। এটা জঘন্য অপরাধ।
বাশারের বর্বরতা : কেরির অভিযোগ, নিজের জনগণের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করে তাদের হত্যা করেছে বর্বর বাশার।
ইতিহাসের দায় : মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ দমনে আমরা কি করছি তাই বিবেচনার বিষয়। না হলে ইতিহাসের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হবে আমাদের।
সিরীয় প্রেসিডেন্টকে শাস্তি দেয়া : শুক্রবার টুইটার বার্তায় কেরি বলেছেন, বাশার কুলাঙ্গার ও খুনি। তিনি তার শাস্তির জন্য লড়ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের দায় : কেরির দাবি, বাশারের বিরুদ্ধে কিছু করা না হলে তা আবারও ঘটছে। যুক্তরাষ্ট্র তার দায়িত্ব থেকে তাই এর জবাব দেবে।
যুদ্ধভীতি : ইরাক ও আফগান যুদ্ধের ভীতি থেকে মার্কিনরা আর কোনো যুদ্ধে জড়াতে আগ্রহী নয়। কিন্তু ভীতির কারণে দায়িত্ব থেকে সড়ে দাঁড়াতে পারে না যুক্তরাষ্ট্র। তথ্যসূত্র : এনবিসি, রয়টার্স, আল জাজিরা।
সিরিয়া হামলার নয় অজুহাত
সে যাই বলুক সিরিয়া হামলার ব্যাপারে এখন দৃঢ়চিত্তে জন কেরি। রাসায়নিক হামলা চালিয়ে বাশার যে বর্বরতার পরিচয় দিয়েছে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে কেরি তার অবস্থানে অনঢ়। মূলত নয়টি কারণে সিরিয়ায় হামলা চালানোর পক্ষে তিনি।
রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার : রাসায়নিক হামলা সম্পর্কে আমরা যা বলছি তা সত্যিই আমরা জানি। বাশারের শাসনামলে কিভাবে রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচি বিস্তার লাভ করেছে তাও আমাদের জানা আছে। সম্প্রতি রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণও মিলেছে গোয়েন্দা অনুসন্ধানে। সুতরাং সিরিয়া হামলার যথেষ্ট বৈধতা রয়েছে বলে কেরির অভিমত।
সামাজিক মাধ্যম : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রভাব। মাত্র ৯০ মিনিটে ইন্টারনেটে এ নরক তাণ্ডব ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ধরনের হামলার ভয় : কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই, কাটাছেড়া নেই বা গুরুতর জখমের নিদর্শনও নেই। শুধু পড়ে আছে লাশের সারি। এ দৃশ্য চিকিৎসকরা দেখেছেন। আবারও এ ধরনের হামলা হলে তার বর্বরতার শিকারও হবে মানুষÑ বলেন কেরি।
হামলার শিকার : রাসায়নিক হামলার শিকার হয়েছে শিশুসহ কমপক্ষে ১ হাজার ৪২৯ জন মানুষ। এটা জঘন্য অপরাধ।
বাশারের বর্বরতা : কেরির অভিযোগ, নিজের জনগণের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করে তাদের হত্যা করেছে বর্বর বাশার।
ইতিহাসের দায় : মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ দমনে আমরা কি করছি তাই বিবেচনার বিষয়। না হলে ইতিহাসের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হবে আমাদের।
সিরীয় প্রেসিডেন্টকে শাস্তি দেয়া : শুক্রবার টুইটার বার্তায় কেরি বলেছেন, বাশার কুলাঙ্গার ও খুনি। তিনি তার শাস্তির জন্য লড়ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের দায় : কেরির দাবি, বাশারের বিরুদ্ধে কিছু করা না হলে তা আবারও ঘটছে। যুক্তরাষ্ট্র তার দায়িত্ব থেকে তাই এর জবাব দেবে।
যুদ্ধভীতি : ইরাক ও আফগান যুদ্ধের ভীতি থেকে মার্কিনরা আর কোনো যুদ্ধে জড়াতে আগ্রহী নয়। কিন্তু ভীতির কারণে দায়িত্ব থেকে সড়ে দাঁড়াতে পারে না যুক্তরাষ্ট্র। তথ্যসূত্র : এনবিসি, রয়টার্স, আল জাজিরা।
No comments