প্রাণ ফিরেছে রামুর বৌদ্ধপল্লীতে by দুলাল বড়ুয়া
নতুনের ছোঁয়ায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধপল্লী। মন্দির আর বাড়িঘরের পোড়া দাগ মুছে গেছে।
সেই সাথে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষের মনের ক্ষতও শুকিয়ে দিতে মঙ্গলবার রামুতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রামুতে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে জ্বলে পুড়ে মাটিতে মিশে যাওয়া প্রতিটি বৌদ্ধ বিহার এখন নতুন রূপ ফিরে পেয়েছে। সেনাবাহিনীর তত্তাবধানে সরকারী অর্থে গড়ে উঠেছে নান্দনিক স্থাপত্য শৈলীতে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন বৌদ্ধ বিহার। সংস্কার করে দেয়া হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত বিহার, পুন:নির্মাণ করা হয়েছে পুড়ে যাওয়া বাড়ীঘর।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বৌদ্ধ বিহার আর বিজিবি’র তত্ত্বাবধানে বাড়ীঘর নির্মাণ কাজ অনেক আগেই সম্পন্ন হয়েছে। আধুনিক স্থাপত্য শৈলী আর বৌদ্ধ স্থাপত্য শৈলীর সংমিশ্রণে বৌদ্ধ মন্দিরের নক্শা তৈরীসহ এ বিষয়ে প্রযুক্তিগত সহাযোগিতা দিয়েছেন স্থপতি বিশ্বজিত বড়ুয়া।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নতুন করে নির্মিত বৌদ্ধবিহারগুলোর মধ্যে উত্তর মংরি বৌদ্ধ মন্দির (লাল চিং) নামে পরিচিত ফারা সিং পবিত্র বিহারটির আগের শৈলীর সাথে সামঞ্জস্য রেখে নকশা তৈরী করেছেন প্রবীণ স্থপতি মংথেহেন।
পুন:নির্মিত সব বৌদ্ধমন্দিরের আসনে বসানো হয়েছে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া নতুন বুদ্ধমূর্তি। এখন থেকেই এসব বৌদ্ধ মন্দির দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন অনেক পর্যটক ও তীর্থযাত্রী ভিড় জমাচ্ছেন।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এসব নবনির্মিত বৌদ্ধবিহার উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমণকে ঘিরে এখন মন্দিরগুলোতে চলছে উদ্বোধনের জোর প্রস্তুতি। রামু জুড়ে চলছে সাজ সাজ রব।
প্রসঙ্গত ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে দুর্বৃত্তরা রামুর বৌদ্ধপল্লীতে ১২টি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারে এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ২৬টি বসত বাড়ীতে হানা দিয়ে প্রথমে লুটপাট চালায়। এরপর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত করে দেয়। এছাড়া আরো ৬টি বৌদ্ধ মন্দির ও শতাধিক বসতঘরে লুটপাট ও ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা।
নিশ্চিহ্ন করে দেয় হাজার বছরের বৌদ্ধ ঐতিহ্য ও বৌদ্ধ নিদর্শন। ধ্বংস হয়ে যায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য অতি মূল্যবান বুদ্ধের পবিত্র ধাতু ও তাল পাতায় লিখা হাজার বছরের প্রাচীন পবিত্র ত্রিপিটক গ্রন্থ। পুড়ে ছাই হয়ে যায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংঘ মনীষা পন্ডিত ভদন্ত সত্যপ্রিয় মহাথের’র সারা জীবনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ হতে সম্মাননা স্বরূপ উপহার প্রাপ্ত প্রাচীন বৌদ্ধ নিদর্শন। এলাকায় প্রাচীনতম বৌদ্ধ বিহার রগ্রীফাৎ ক্যাং নামে পরিচিত উসাই-ছেন বিহার থেকে লুট করে নিয়ে যায় কয়েকশত অতি প্রাচীন বুদ্ধ মুর্তি। অন্যান্য বৌদ্ধ বিহার থেকেও দুস্কৃতিকারীরা লুট করে নিয়ে যায় প্রাচীন বুদ্ধ মুর্তিসহ অনেক মূল্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন যা কখনো ফিরে পাওয়া যাবেনা।
প্রতিদিন দেশী বিদেশী পর্যটক ও তীর্থযাত্রীরা এসব পুরাকীর্তি এক নজর দেখতে ও পুজা করার জন্য দূর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসতো।
গত বছরের ৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামুর বৌদ্ধপল্লী পরিদর্শনে এসে বৌদ্ধ বিহার পুন:নির্মাণের ঘোষণা দেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেন বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ এবং সংস্কারের।
আধুনিক ও বৌদ্ধ স্থাপত্য শৈলীতে রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের তিন তলা ভবন, উত্তর মিঠাছড়ির বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র ও ১০০ ফুট বুদ্ধ মুর্তি, শ্রীকুলের রামু মৈত্রী বৌদ্ধ বিহার, উত্তর মংরি বৌদ্ধ মন্দির (লাল চিং), শাসনধ্বজা মহাজ্যোতি:পাল সীমা (সাদা চিং) বৌদ্ধ বিহার, অপর্ণচরণ বৌদ্ধ বিহার, উসাই-ছেন (রাখাইন) রামু বড় ক্যাং, জাদিপাড়ার আর্যবংশ বৌদ্ধ বিহার, উখিয়ারঘোনার জেতবন বৌদ্ধ বিহার, উত্তর মিঠাছড়ির বন বৌদ্ধ বিহার, চাকমারকুলের অজান্তা বৌদ্ধ বিহার ও ফতেখাঁরকুলের বিবেকারাম বৌদ্ধ বিহার পুনঃনির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে।
এছাড়া উখিয়া উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিম মরিচ্যা দীপাংকুর বৌদ্ধ বিহার, পশ্চিম রত্না সুদর্শন বিহার, রেজুরকূল সদ্ধর্ম বিকাশ বৌদ্ধ বিহার, রাজাপালং জাদি বৌদ্ধ বিহার, খয়রাতি বৌদ্ধ বিহার, পাইন্যাশিয়া বৌদ্ধ বিহার এবং কক্সবাজার সদর উপজেলার খরুলিয়া ধর্মজ্যোতি বৌদ্ধ বিহারের পুন:নির্মাণ এবং সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এসব মন্দিরের আসনে শোভা পাচ্ছে সম্প্রতি থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার হতে উপহার হিসেবে প্রাপ্ত অষ্ট ধাতু ও শ্বেত পাথরের নতুন বুদ্ধমুর্তি।
সরকারী অর্থে বৌদ্ধ পল্লীর রাস্তাঘাট, নালা-নর্দমা পুন: সংস্কার করা হয়েছে। সবকিছুই যেন নতুন। সবদিকে সাজ সাজ রব। সেসব পথে যাবার সময় এসব সুরম্য বৌদ্ধ বিহার সবার নজর কাড়বেই এতে কোন সন্দেহ নেই। আবারো পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের পদভারে মুখরিত হবে রম্যভূমি রামুর জনপদ এমনি আশা প্রকাশ করছেন বিশিষ্টজনেরা।
বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার প্রাক্তন সভাপতি ও রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের অধ্য পন্ডিত ভদন্ত সত্যপ্রিয় মহাথের বলেন, ‘বিহার নির্মাণ নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার অভাব নেই। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী সেনাবাহিনী খুব সুন্দর ভাবে বিহার নির্মাণ কাজ শেষ করেছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’
সেনাবাহিনীর ১৭ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ও প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল এস এম জুলফিকার রহমান জানান, সরকারি অর্থায়নে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে বৌদ্ধ স্থাপত্য শৈলী বজায় রেখে বিহারগুলো নির্মাণ ও সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাষ্টি সুপ্ত ভুষণ বড়ৃয়া বলেন, ‘আমাদের পুরাতন ইতিহাস, ঐতিহ্য ও পুরাকীর্তি তো আর ফিরে পাওয়া যাবেনা, তারপরেও একটা আশার বিষয় হচ্ছে বৌদ্ধদের ঐতিহ্য রক্ষা করে ক্ষতিগ্রস্ত সকল বৌদ্ধ মন্দিরগুলোকে পুন:নির্মাণ ও সংস্কার করে দিয়েছেন। এজন্য বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী ও ১৭ ইসিবিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’
বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন, রামু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বাবুল বড়ুয়া বলেন, ‘বৌদ্ধ স্থাপত্য শৈলীতে বিহারগুলো পুনঃনির্মাণ করায় রামু সেই আগের ঐতিহ্য ফিরে পাবে। রামু একটি পরিকল্পিত ও আকর্ষনীয় পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।’
রামুতে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে জ্বলে পুড়ে মাটিতে মিশে যাওয়া প্রতিটি বৌদ্ধ বিহার এখন নতুন রূপ ফিরে পেয়েছে। সেনাবাহিনীর তত্তাবধানে সরকারী অর্থে গড়ে উঠেছে নান্দনিক স্থাপত্য শৈলীতে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন বৌদ্ধ বিহার। সংস্কার করে দেয়া হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত বিহার, পুন:নির্মাণ করা হয়েছে পুড়ে যাওয়া বাড়ীঘর।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বৌদ্ধ বিহার আর বিজিবি’র তত্ত্বাবধানে বাড়ীঘর নির্মাণ কাজ অনেক আগেই সম্পন্ন হয়েছে। আধুনিক স্থাপত্য শৈলী আর বৌদ্ধ স্থাপত্য শৈলীর সংমিশ্রণে বৌদ্ধ মন্দিরের নক্শা তৈরীসহ এ বিষয়ে প্রযুক্তিগত সহাযোগিতা দিয়েছেন স্থপতি বিশ্বজিত বড়ুয়া।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, নতুন করে নির্মিত বৌদ্ধবিহারগুলোর মধ্যে উত্তর মংরি বৌদ্ধ মন্দির (লাল চিং) নামে পরিচিত ফারা সিং পবিত্র বিহারটির আগের শৈলীর সাথে সামঞ্জস্য রেখে নকশা তৈরী করেছেন প্রবীণ স্থপতি মংথেহেন।
পুন:নির্মিত সব বৌদ্ধমন্দিরের আসনে বসানো হয়েছে থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া নতুন বুদ্ধমূর্তি। এখন থেকেই এসব বৌদ্ধ মন্দির দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন অনেক পর্যটক ও তীর্থযাত্রী ভিড় জমাচ্ছেন।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এসব নবনির্মিত বৌদ্ধবিহার উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমণকে ঘিরে এখন মন্দিরগুলোতে চলছে উদ্বোধনের জোর প্রস্তুতি। রামু জুড়ে চলছে সাজ সাজ রব।
প্রসঙ্গত ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে দুর্বৃত্তরা রামুর বৌদ্ধপল্লীতে ১২টি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারে এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ২৬টি বসত বাড়ীতে হানা দিয়ে প্রথমে লুটপাট চালায়। এরপর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত করে দেয়। এছাড়া আরো ৬টি বৌদ্ধ মন্দির ও শতাধিক বসতঘরে লুটপাট ও ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা।
নিশ্চিহ্ন করে দেয় হাজার বছরের বৌদ্ধ ঐতিহ্য ও বৌদ্ধ নিদর্শন। ধ্বংস হয়ে যায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য অতি মূল্যবান বুদ্ধের পবিত্র ধাতু ও তাল পাতায় লিখা হাজার বছরের প্রাচীন পবিত্র ত্রিপিটক গ্রন্থ। পুড়ে ছাই হয়ে যায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংঘ মনীষা পন্ডিত ভদন্ত সত্যপ্রিয় মহাথের’র সারা জীবনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ হতে সম্মাননা স্বরূপ উপহার প্রাপ্ত প্রাচীন বৌদ্ধ নিদর্শন। এলাকায় প্রাচীনতম বৌদ্ধ বিহার রগ্রীফাৎ ক্যাং নামে পরিচিত উসাই-ছেন বিহার থেকে লুট করে নিয়ে যায় কয়েকশত অতি প্রাচীন বুদ্ধ মুর্তি। অন্যান্য বৌদ্ধ বিহার থেকেও দুস্কৃতিকারীরা লুট করে নিয়ে যায় প্রাচীন বুদ্ধ মুর্তিসহ অনেক মূল্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন যা কখনো ফিরে পাওয়া যাবেনা।
প্রতিদিন দেশী বিদেশী পর্যটক ও তীর্থযাত্রীরা এসব পুরাকীর্তি এক নজর দেখতে ও পুজা করার জন্য দূর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসতো।
গত বছরের ৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামুর বৌদ্ধপল্লী পরিদর্শনে এসে বৌদ্ধ বিহার পুন:নির্মাণের ঘোষণা দেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেন বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ এবং সংস্কারের।
আধুনিক ও বৌদ্ধ স্থাপত্য শৈলীতে রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের তিন তলা ভবন, উত্তর মিঠাছড়ির বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র ও ১০০ ফুট বুদ্ধ মুর্তি, শ্রীকুলের রামু মৈত্রী বৌদ্ধ বিহার, উত্তর মংরি বৌদ্ধ মন্দির (লাল চিং), শাসনধ্বজা মহাজ্যোতি:পাল সীমা (সাদা চিং) বৌদ্ধ বিহার, অপর্ণচরণ বৌদ্ধ বিহার, উসাই-ছেন (রাখাইন) রামু বড় ক্যাং, জাদিপাড়ার আর্যবংশ বৌদ্ধ বিহার, উখিয়ারঘোনার জেতবন বৌদ্ধ বিহার, উত্তর মিঠাছড়ির বন বৌদ্ধ বিহার, চাকমারকুলের অজান্তা বৌদ্ধ বিহার ও ফতেখাঁরকুলের বিবেকারাম বৌদ্ধ বিহার পুনঃনির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে।
এছাড়া উখিয়া উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিম মরিচ্যা দীপাংকুর বৌদ্ধ বিহার, পশ্চিম রত্না সুদর্শন বিহার, রেজুরকূল সদ্ধর্ম বিকাশ বৌদ্ধ বিহার, রাজাপালং জাদি বৌদ্ধ বিহার, খয়রাতি বৌদ্ধ বিহার, পাইন্যাশিয়া বৌদ্ধ বিহার এবং কক্সবাজার সদর উপজেলার খরুলিয়া ধর্মজ্যোতি বৌদ্ধ বিহারের পুন:নির্মাণ এবং সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এসব মন্দিরের আসনে শোভা পাচ্ছে সম্প্রতি থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার হতে উপহার হিসেবে প্রাপ্ত অষ্ট ধাতু ও শ্বেত পাথরের নতুন বুদ্ধমুর্তি।
সরকারী অর্থে বৌদ্ধ পল্লীর রাস্তাঘাট, নালা-নর্দমা পুন: সংস্কার করা হয়েছে। সবকিছুই যেন নতুন। সবদিকে সাজ সাজ রব। সেসব পথে যাবার সময় এসব সুরম্য বৌদ্ধ বিহার সবার নজর কাড়বেই এতে কোন সন্দেহ নেই। আবারো পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের পদভারে মুখরিত হবে রম্যভূমি রামুর জনপদ এমনি আশা প্রকাশ করছেন বিশিষ্টজনেরা।
বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার প্রাক্তন সভাপতি ও রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের অধ্য পন্ডিত ভদন্ত সত্যপ্রিয় মহাথের বলেন, ‘বিহার নির্মাণ নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার অভাব নেই। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী সেনাবাহিনী খুব সুন্দর ভাবে বিহার নির্মাণ কাজ শেষ করেছেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’
সেনাবাহিনীর ১৭ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ও প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল এস এম জুলফিকার রহমান জানান, সরকারি অর্থায়নে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে বৌদ্ধ স্থাপত্য শৈলী বজায় রেখে বিহারগুলো নির্মাণ ও সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাষ্টি সুপ্ত ভুষণ বড়ৃয়া বলেন, ‘আমাদের পুরাতন ইতিহাস, ঐতিহ্য ও পুরাকীর্তি তো আর ফিরে পাওয়া যাবেনা, তারপরেও একটা আশার বিষয় হচ্ছে বৌদ্ধদের ঐতিহ্য রক্ষা করে ক্ষতিগ্রস্ত সকল বৌদ্ধ মন্দিরগুলোকে পুন:নির্মাণ ও সংস্কার করে দিয়েছেন। এজন্য বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী ও ১৭ ইসিবিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’
বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন, রামু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বাবুল বড়ুয়া বলেন, ‘বৌদ্ধ স্থাপত্য শৈলীতে বিহারগুলো পুনঃনির্মাণ করায় রামু সেই আগের ঐতিহ্য ফিরে পাবে। রামু একটি পরিকল্পিত ও আকর্ষনীয় পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।’
No comments