মারা গেলে গুগলে থাকা তথ্যের কী হবে?
ব্যবহারকারীর
অবর্তমানে জি-মেইল, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট গুগল প্লাস, ইউটিউবসহ
গুগলের নানা সেবায় সংরক্ষিত তথ্য কী করা হবে, তা নিয়ে আগেভাগে সিদ্ধান্ত
নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হলে তাঁর সংরক্ষিত তথ্য নির্দিষ্ট সময় পর মুছে ফেলা বা অন্য কাউকে ডিজিটাল সম্পদ হিসেবে উত্তরাধিকারী মনোনীত করার সুবিধা দেওয়ার তথ্য জানিয়েছে গুগল কর্তৃপক্ষ। গুগলের সাম্প্রতিক এক ব্লগ পোস্টে গুগলে সংরক্ষিত তথ্যের ব্যবস্থাপনা নিয়ে ইনঅ্যাকটিভ অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার নামে ‘টুল’ প্রকাশ করার তথ্য জানানো হয়েছে। গুগল অ্যাকাউন্টে এ টুলটি রয়েছে।
ব্যবহারকারী আগে থেকেই তাঁর অবর্তমানে গুগলে সংরক্ষিত তথ্যগুলোর ব্যবস্থাপনা নিয়ে নির্দেশনা দিতে পারবেন। গুগল কর্তৃপক্ষ ওই সময় মেনে ব্যবহারকারীর সরবরাহ করা সেকেন্ডারি মেইলে তথ্য ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত মেইল পাঠাবে।
দীর্ঘদিন ধরেই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ডিজিটাল তথ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নিয়ে দুর্ভাবনায় রয়েছেন। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মারা যাওয়ার পর তাঁর তথ্যগুলো যাতে বেহাত না হয়ে যায়, বিষয়টি নিয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করছিলেন।
গুগল বা ফেসবুক ব্যবহারকারী কেউ যখন মারা যান, তাঁর ব্যবহূত মেইল, গুগল প্লাস বা ফেসবুক পাতাটি দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে অব্যবহূত থেকে যায়। এসব সেবার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কেউ হয়তো কোনো অপরাধ করে বসতে পারে।
কম্পিউটার নিরাপত্তাপ্রতিষ্ঠান ম্যাকাফির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কারও অবর্তমানে তাঁর ডিজিটাল সম্পদগুলোর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ফেসবুক, টুইটার বা ভারচুয়াল সব অ্যাকাউন্ট আপনার ডিজিটাল সম্পদ হতে পারে। এগুলোর আর্থিক মূল্য আছে। এ সম্পদের ভবিষ্যত্ আগেভাগেই নির্ধারণ করে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ পরিকল্পনা বিশেষজ্ঞ জেমস ল্যাম।
ফেসবুকের নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তাঁর ‘লগইন পাসওয়ার্ড’ ও ‘ইউজার নেম’ ফেসবুক কাউকে সরবরাহ করে না। তবে পরিবারের কোনো সদস্য চাইলে ফেসবুকের সঙ্গে যোগাযোগ করে অ্যাকাউন্টটি মুছে ফেলতে বা ফেসবুক মেমোরিয়াল পেজে রূপান্তর করতে পারেন।
ইয়াহুর নীতিমালা সবচেয়ে কঠোর। কারও মৃত্যু হলে ইয়াহু কর্তৃপক্ষ কখনো লগইন করার তথ্য দিতে বাধ্য নয়।
তবে জি-মেইল ও হটমেইল কর্তৃপক্ষের কাছে উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে মেইল করলে আলাদা একটি সিডিতে করে তথ্য সরবরাহ করে কর্তৃপক্ষ। তবে গুগল ডিজিটাল তথ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টিকে আরও সহজতর করতে সাম্প্রতিক পদক্ষেপ হিসেবে ব্যবহারকারীদের আগেভাগেই তথ্যের ভবিষ্যত্ নির্ধারণের সুযোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
অবশ্য, কোনো ওয়েবসাইটেই ডিজিটাল সম্পদের তথ্য জমা না রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
গবেষকেরা বলেন, অনলাইনে প্রকাশিত তথ্য কখনো চিরতরে মুছে ফেলা সম্ভব হয় না। এটি শুধু হাতবদল হয়ে রূপ বদলাতে পারে। তথ্য রিসাইকেল করে নানাভাবে ব্যবহূত হতে থাকে।
ডিজিটাল সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে জেমস ল্যামের পরামর্শ:
১. আপনার মূল্যবান ছবি, স্মৃতি একটি পেনড্রাইভে সংরক্ষণ করে রাখুন।
২. আপনার ডিজিটাল সম্পদের ওয়ারিশ বা দাবিদার আগে থেকে নির্ধারণ করে রাখুন।
৩. আপনার ডিজিটাল সম্পদ বা সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট, অনলাইন ব্যাংক, বিনিয়োগ, গেম বা অন্যান্য ভারচুয়াল প্রোফাইলের একটি তালিকা তৈরি করে রাখুন। এসব ওয়েবসাইটের ইউজার নেম, পাসওয়ার্ডসহ দরকারি তথ্য তালিকা করে রাখুন। আপনার অবর্তমানে এ সম্পদগুলোর মালিকানা কার হাতে যাবে, তা নির্ধারণ করে রাখুন বা সম্পদ কী করা হবে, তার নির্দেশনা দিয়ে রাখুন।
৪. আপনার উইল লেখার সময় ডিজিটাল সম্পদের কথাও উল্লেখ করে যান।
৫. আপনার ভারচুয়াল সম্পদগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করুন এবং তা ভালো কাজে লাগানোর প্রত্যাশা করুন বা আপনার অবর্তমানে চিরতরে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিন আপনার ডিজিটাল সম্পত্তির দাবিদারকে।
কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হলে তাঁর সংরক্ষিত তথ্য নির্দিষ্ট সময় পর মুছে ফেলা বা অন্য কাউকে ডিজিটাল সম্পদ হিসেবে উত্তরাধিকারী মনোনীত করার সুবিধা দেওয়ার তথ্য জানিয়েছে গুগল কর্তৃপক্ষ। গুগলের সাম্প্রতিক এক ব্লগ পোস্টে গুগলে সংরক্ষিত তথ্যের ব্যবস্থাপনা নিয়ে ইনঅ্যাকটিভ অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার নামে ‘টুল’ প্রকাশ করার তথ্য জানানো হয়েছে। গুগল অ্যাকাউন্টে এ টুলটি রয়েছে।
ব্যবহারকারী আগে থেকেই তাঁর অবর্তমানে গুগলে সংরক্ষিত তথ্যগুলোর ব্যবস্থাপনা নিয়ে নির্দেশনা দিতে পারবেন। গুগল কর্তৃপক্ষ ওই সময় মেনে ব্যবহারকারীর সরবরাহ করা সেকেন্ডারি মেইলে তথ্য ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত মেইল পাঠাবে।
দীর্ঘদিন ধরেই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ডিজিটাল তথ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নিয়ে দুর্ভাবনায় রয়েছেন। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মারা যাওয়ার পর তাঁর তথ্যগুলো যাতে বেহাত না হয়ে যায়, বিষয়টি নিয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করছিলেন।
গুগল বা ফেসবুক ব্যবহারকারী কেউ যখন মারা যান, তাঁর ব্যবহূত মেইল, গুগল প্লাস বা ফেসবুক পাতাটি দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে অব্যবহূত থেকে যায়। এসব সেবার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কেউ হয়তো কোনো অপরাধ করে বসতে পারে।
কম্পিউটার নিরাপত্তাপ্রতিষ্ঠান ম্যাকাফির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কারও অবর্তমানে তাঁর ডিজিটাল সম্পদগুলোর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ফেসবুক, টুইটার বা ভারচুয়াল সব অ্যাকাউন্ট আপনার ডিজিটাল সম্পদ হতে পারে। এগুলোর আর্থিক মূল্য আছে। এ সম্পদের ভবিষ্যত্ আগেভাগেই নির্ধারণ করে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ পরিকল্পনা বিশেষজ্ঞ জেমস ল্যাম।
ফেসবুকের নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তাঁর ‘লগইন পাসওয়ার্ড’ ও ‘ইউজার নেম’ ফেসবুক কাউকে সরবরাহ করে না। তবে পরিবারের কোনো সদস্য চাইলে ফেসবুকের সঙ্গে যোগাযোগ করে অ্যাকাউন্টটি মুছে ফেলতে বা ফেসবুক মেমোরিয়াল পেজে রূপান্তর করতে পারেন।
ইয়াহুর নীতিমালা সবচেয়ে কঠোর। কারও মৃত্যু হলে ইয়াহু কর্তৃপক্ষ কখনো লগইন করার তথ্য দিতে বাধ্য নয়।
তবে জি-মেইল ও হটমেইল কর্তৃপক্ষের কাছে উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে মেইল করলে আলাদা একটি সিডিতে করে তথ্য সরবরাহ করে কর্তৃপক্ষ। তবে গুগল ডিজিটাল তথ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টিকে আরও সহজতর করতে সাম্প্রতিক পদক্ষেপ হিসেবে ব্যবহারকারীদের আগেভাগেই তথ্যের ভবিষ্যত্ নির্ধারণের সুযোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
অবশ্য, কোনো ওয়েবসাইটেই ডিজিটাল সম্পদের তথ্য জমা না রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
গবেষকেরা বলেন, অনলাইনে প্রকাশিত তথ্য কখনো চিরতরে মুছে ফেলা সম্ভব হয় না। এটি শুধু হাতবদল হয়ে রূপ বদলাতে পারে। তথ্য রিসাইকেল করে নানাভাবে ব্যবহূত হতে থাকে।
ডিজিটাল সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে জেমস ল্যামের পরামর্শ:
১. আপনার মূল্যবান ছবি, স্মৃতি একটি পেনড্রাইভে সংরক্ষণ করে রাখুন।
২. আপনার ডিজিটাল সম্পদের ওয়ারিশ বা দাবিদার আগে থেকে নির্ধারণ করে রাখুন।
৩. আপনার ডিজিটাল সম্পদ বা সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট, অনলাইন ব্যাংক, বিনিয়োগ, গেম বা অন্যান্য ভারচুয়াল প্রোফাইলের একটি তালিকা তৈরি করে রাখুন। এসব ওয়েবসাইটের ইউজার নেম, পাসওয়ার্ডসহ দরকারি তথ্য তালিকা করে রাখুন। আপনার অবর্তমানে এ সম্পদগুলোর মালিকানা কার হাতে যাবে, তা নির্ধারণ করে রাখুন বা সম্পদ কী করা হবে, তার নির্দেশনা দিয়ে রাখুন।
৪. আপনার উইল লেখার সময় ডিজিটাল সম্পদের কথাও উল্লেখ করে যান।
৫. আপনার ভারচুয়াল সম্পদগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করুন এবং তা ভালো কাজে লাগানোর প্রত্যাশা করুন বা আপনার অবর্তমানে চিরতরে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিন আপনার ডিজিটাল সম্পত্তির দাবিদারকে।
No comments