মাহমুদের সহ-অধিনায়কত্ব উদযাপন
আলোর আকর্ষণ এ দেশে অদ্ভুত। ফ্লাডলাইটের আকর্ষণ তো আরও বেশি। খেলা যা-ই হোক, সেটা ফ্লাডলাইটের আলোয় হলে গ্যালারিতে দর্শক থাকবেই। কালও যেমন ক্রিকেট আর আলোর টানে আসা হাজার দশেক দর্শক মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বিসিবি কাপের ফাইনালে আলো-টালো ছাপিয়ে ক্রিকেটটাই বড় হয়ে উঠল। দর্শকেরা বাড়ি ফিরে গেলে ক্রিকেটীয় বিনোদনের স্বাদ নিয়েই।
বাংলাদেশ দল আক্ষরিক অর্থেই জাতীয় দল। আর বাংলাদেশ ‘এ’ দল জাতীয় দলের দুই-তিনজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে দ্বিতীয় সারির খেলোয়াড়েরা। বাংলাদেশ দল ১৮৫ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পর ম্যাড়ম্যাড়ে আর একপেশে একটা ফাইনালের সম্ভাবনা জেগেছিল। তখন কে জানত, এমন নাটক নিয়ে অপেক্ষা করছে এই ম্যাচ! একদিন আগে জাতীয় দলের সহ-অধিনায়কত্ব পাওয়া মাহমদুউল্লাহর কাছেই হেরে গেল জাতীয় দলের নতুন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের বাংলাদেশ। ‘এ’ দলকে ৪ উইকেটে জিতিয়ে শুধু মুশফিককেই অবশ্য নয়, মাহমুদউল্লাহ এ ম্যাচে হারিয়ে দিয়েছেন অলক কাপালিকেও।
৭৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও বাংলাদেশ দল যে লড়াই করার মোটামুটি একটা পুঁজি (১৮৫) দাঁড় করাতে পেরেছিল, সেটা অলকের ৭৭ বলে ৬৮ রানের ইনিংসের সৌজন্যেই। ইনিংসে ১০টি বাউন্ডারি, বেশির ভাগই মিড উইকেট আর লং অন দিয়ে। ফরহাদের বলে পরপর দুটি বাউন্ডারি মেরে করেছেন ফিফটি। ১০৯ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর সপ্তম উইকেটে সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে অলকের ৭৫ রানের জুটিটিই ম্যাচটাকে একপেশে হওয়ার হাত থেকে বাঁচাল। অন্যথায় ফরহাদের বলে লং অনে শাহাদাতের হাতে ক্যাচ দিয়ে তামিমের আউট দিয়ে যে বিপর্যয়ের শুরু, সেটা বড় লজ্জায় ডোবার ইঙ্গিত দিচ্ছিল বাংলাদেশ দলকে। ৩৯ রানে প্রথম উইকেট, রাসেল ও ফরহাদকে মিড উইকেট ও লং অন দিয়ে দুই ছক্কা মারা আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েসও উইকেটে সেট হয়ে ইলিয়াস সানির বলে স্টাম্পড। ৭১ থেকে ৭৪—মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে আশরাফুল, শুভাগত ও মুশফিক আউট হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশকে ম্যাচে রেখেছে অলকের ওই ইনিংসই।
বাংলাদেশ, মুশফিক, অলক—মাহমুদউল্লাহ হারিয়ে দিলেন সবাইকেই। শাহাদাতের বলে মুশফিকের তুলে দেওয়া ক্যাচটা মিড অন থেকে দৌড়ে যেভাবে ওয়াইডিশ মিড উইকেটে গিয়ে ধরলেন মাহমুদউল্লাহ, এ রকম ক্যাচ খুব কমই দেখেছে শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। তবে মাহমুদউল্লাহ আসল কাজটা করেছেন ব্যাট হাতে। সগীর, শামসুর, জুনায়েদ—মাত্র ৬ রানে ওপরের তিন ব্যাটসম্যানই ফিরে যাওয়ার পর রকিবুল আর নাদিফের সঙ্গে দুটি জুটিতেই ম্যাচ বের করে আনেন অধিনায়ক। চতুর্থ উইকেটে রকিবুলের সঙ্গে ৬৩ ও পঞ্চম উইকেটে নাদিফের সঙ্গে ৭১। তবে এক ওভার বাকি থাকতে ফিনিশিংটা দিয়েছেন ফরহাদকে নিয়ে। ফরহাদের কৃতিত্বও কম নয় তাতে। শেষ আট বলে যখন ৯ রান দরকার, রুবেলের পরপর দুই বলে বাউন্ডারি ও ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করে দিয়েছেন তিনিই। তবে অপরাজিত ৭৮ রানের সঙ্গে ১টি উইকেট ও দুর্দান্ত ওই ক্যাচ—ম্যাচটা আসলে মাহমুদউল্লাহরই।
সহ-অধিনায়কত্বটা এর চেয়ে ভালোভাবে আর উদ্যাপন করতে পারতেন না তিনি!
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৪৬ ওভারে ১৮৫ (তামিম ১৯, ইমরুল ২৬, আশরাফুল ১২, মুশফিক ৫, শুভাগত ০, অলক ৬৮, নাসির ১২, সোহরাওয়ার্দী ২৬, রাজ্জাক ২, নাজমুল ১*, রুবেল ০; রাসেল ১০-১-৪৩-০, ফরহাদ ৯-০-৫৪-৩, ইলিয়াস ৮-০-১৩-২, শাহাদাত ৮-০-৪৬-২, সাকলাইন ৬-১-১৭-২, মাহমুদউল্লাহ ৫-০-১১-১)।
বাংলাদেশ ‘এ’: ৪৯ ওভারে ১৮৭/৬ (জুনায়েদ ৪, সগীর ০, শামসুর ১, রকিবুল ৩২, মাহমুদউল্লাহ ৭৮*, নাদিফ ২৬, ইলিয়াস ৩, ফরহাদ ২৭*; রুবেল ১০-২-৩৬-২, রাজ্জাক ১০-১-৩৬-১, সোহরাওয়ার্দী ১০-০-৩৪-০, নাজমুল ৯-১-৩৮-০, নাসির ৪-০-১৯-০, অলক ৬-০-২২-২)।
ফল: বাংলাদেশ ‘এ’ ৪ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মাহমুদউল্লাহ।
বাংলাদেশ দল আক্ষরিক অর্থেই জাতীয় দল। আর বাংলাদেশ ‘এ’ দল জাতীয় দলের দুই-তিনজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে দ্বিতীয় সারির খেলোয়াড়েরা। বাংলাদেশ দল ১৮৫ রানে অলআউট হয়ে যাওয়ার পর ম্যাড়ম্যাড়ে আর একপেশে একটা ফাইনালের সম্ভাবনা জেগেছিল। তখন কে জানত, এমন নাটক নিয়ে অপেক্ষা করছে এই ম্যাচ! একদিন আগে জাতীয় দলের সহ-অধিনায়কত্ব পাওয়া মাহমদুউল্লাহর কাছেই হেরে গেল জাতীয় দলের নতুন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের বাংলাদেশ। ‘এ’ দলকে ৪ উইকেটে জিতিয়ে শুধু মুশফিককেই অবশ্য নয়, মাহমুদউল্লাহ এ ম্যাচে হারিয়ে দিয়েছেন অলক কাপালিকেও।
৭৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও বাংলাদেশ দল যে লড়াই করার মোটামুটি একটা পুঁজি (১৮৫) দাঁড় করাতে পেরেছিল, সেটা অলকের ৭৭ বলে ৬৮ রানের ইনিংসের সৌজন্যেই। ইনিংসে ১০টি বাউন্ডারি, বেশির ভাগই মিড উইকেট আর লং অন দিয়ে। ফরহাদের বলে পরপর দুটি বাউন্ডারি মেরে করেছেন ফিফটি। ১০৯ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর সপ্তম উইকেটে সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে অলকের ৭৫ রানের জুটিটিই ম্যাচটাকে একপেশে হওয়ার হাত থেকে বাঁচাল। অন্যথায় ফরহাদের বলে লং অনে শাহাদাতের হাতে ক্যাচ দিয়ে তামিমের আউট দিয়ে যে বিপর্যয়ের শুরু, সেটা বড় লজ্জায় ডোবার ইঙ্গিত দিচ্ছিল বাংলাদেশ দলকে। ৩৯ রানে প্রথম উইকেট, রাসেল ও ফরহাদকে মিড উইকেট ও লং অন দিয়ে দুই ছক্কা মারা আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েসও উইকেটে সেট হয়ে ইলিয়াস সানির বলে স্টাম্পড। ৭১ থেকে ৭৪—মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে আশরাফুল, শুভাগত ও মুশফিক আউট হয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশকে ম্যাচে রেখেছে অলকের ওই ইনিংসই।
বাংলাদেশ, মুশফিক, অলক—মাহমুদউল্লাহ হারিয়ে দিলেন সবাইকেই। শাহাদাতের বলে মুশফিকের তুলে দেওয়া ক্যাচটা মিড অন থেকে দৌড়ে যেভাবে ওয়াইডিশ মিড উইকেটে গিয়ে ধরলেন মাহমুদউল্লাহ, এ রকম ক্যাচ খুব কমই দেখেছে শেরেবাংলা স্টেডিয়াম। তবে মাহমুদউল্লাহ আসল কাজটা করেছেন ব্যাট হাতে। সগীর, শামসুর, জুনায়েদ—মাত্র ৬ রানে ওপরের তিন ব্যাটসম্যানই ফিরে যাওয়ার পর রকিবুল আর নাদিফের সঙ্গে দুটি জুটিতেই ম্যাচ বের করে আনেন অধিনায়ক। চতুর্থ উইকেটে রকিবুলের সঙ্গে ৬৩ ও পঞ্চম উইকেটে নাদিফের সঙ্গে ৭১। তবে এক ওভার বাকি থাকতে ফিনিশিংটা দিয়েছেন ফরহাদকে নিয়ে। ফরহাদের কৃতিত্বও কম নয় তাতে। শেষ আট বলে যখন ৯ রান দরকার, রুবেলের পরপর দুই বলে বাউন্ডারি ও ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করে দিয়েছেন তিনিই। তবে অপরাজিত ৭৮ রানের সঙ্গে ১টি উইকেট ও দুর্দান্ত ওই ক্যাচ—ম্যাচটা আসলে মাহমুদউল্লাহরই।
সহ-অধিনায়কত্বটা এর চেয়ে ভালোভাবে আর উদ্যাপন করতে পারতেন না তিনি!
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৪৬ ওভারে ১৮৫ (তামিম ১৯, ইমরুল ২৬, আশরাফুল ১২, মুশফিক ৫, শুভাগত ০, অলক ৬৮, নাসির ১২, সোহরাওয়ার্দী ২৬, রাজ্জাক ২, নাজমুল ১*, রুবেল ০; রাসেল ১০-১-৪৩-০, ফরহাদ ৯-০-৫৪-৩, ইলিয়াস ৮-০-১৩-২, শাহাদাত ৮-০-৪৬-২, সাকলাইন ৬-১-১৭-২, মাহমুদউল্লাহ ৫-০-১১-১)।
বাংলাদেশ ‘এ’: ৪৯ ওভারে ১৮৭/৬ (জুনায়েদ ৪, সগীর ০, শামসুর ১, রকিবুল ৩২, মাহমুদউল্লাহ ৭৮*, নাদিফ ২৬, ইলিয়াস ৩, ফরহাদ ২৭*; রুবেল ১০-২-৩৬-২, রাজ্জাক ১০-১-৩৬-১, সোহরাওয়ার্দী ১০-০-৩৪-০, নাজমুল ৯-১-৩৮-০, নাসির ৪-০-১৯-০, অলক ৬-০-২২-২)।
ফল: বাংলাদেশ ‘এ’ ৪ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মাহমুদউল্লাহ।
No comments