আবারও দাঁড়িয়ে গেছেন কুক
টেস্ট অধিনায়কত্বের শুরু থেকেই নিজের ছাপ রাখতে চাইছেন মাইকেল ক্লার্ক। অভিষিক্তদের টেস্ট ক্যাপ সাবেক ক্রিকেটারদের হাত দিয়ে তুলে দেওয়ার রীতিতে ফিরে যাওয়া দিয়ে শুরু। এরপর ব্যাটিং অর্ডারে ছয়ে তুলে আনলেন ব্র্যাড হাডিনকে। ২০০৯ সালের লর্ডস টেস্টের পর আবার নতুন বল তুলে দিলেন মিচেল জনসনের হাতে। তিন স্লিপ, দুই গালি, ফরোয়ার্ড শর্ট লেগ—প্রথম বল থেকেই এমন আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং।
তবে ইংলিশদের ইতিহাস গড়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষার কাছে পাত্তা পাচ্ছে না কিছুই। অস্ট্রেলিয়াকে ২৮০ রানে গুটিয়ে দিয়ে দিনশেষে ৩ উইকেটে ১৬৭, সিডনির দ্বিতীয় দিনটিও তাই ইংল্যান্ডের। তবে দিনশেষে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে অস্ট্রেলিয়াও, এর চেয়ে অনেক খারাপ কিছুও যে হতে পারত! মিচেল জনসনের অলরাউন্ডার-সত্তা জেগে না উঠলে কালই হয়তো ঠিক হয়ে যেত ম্যাচের ভাগ্য। স্বাগতিকেরা যখন কাঁপছে দুই শর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায়, দারুণ এক ফিফটি করে দলকে এনে দিয়েছেন মোটামুটি সম্মানজনক রান। পরে আউট করেছেন ট্রট-পিটারসেনকে। আজ সকালে ঝটপট দু-তিনটি উইকেট তুলে নিতে পারলে ভালোভাবেই ম্যাচে ফিরে আসবে অস্ট্রেলিয়া।
ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পাওয়া হাডিনকে দিয়ে কাল শিকার শুরু করেছেন আগের দিন কোনো উইকেট না পাওয়া জেমস অ্যান্ডারসন। এর পরই অস্ট্রেলিয়াকে সবচেয়ে বড় আঘাতটা দিয়েছেন পল কলিংউড। নতুন বল নেওয়ার আগে সময় পার করার জন্য তাকে বোলিংয়ে এনেছিলেন স্ট্রাউস। নতুন বল নেওয়ার ঠিক আগের বলে মাইক হাসিকে বোল্ড করে পেয়ে গেছেন ক্যারিয়ারের সম্ভবত সবচেয়ে দামি উইকেট। নতুন বলে স্মিথ-সিডলকে যখন এক ওভারে ফেরালেন অ্যান্ডারসন, অস্ট্রেলিয়ার রান ৮ উইকেটে ১৮৯!
এর পরই হিলফেনহসকে নিয়ে জনসনের পাল্টা আক্রমণ। টিম ব্রেসনানকে ফ্লিক করে গ্যালারিতে পাঠান হিলফেনহস, সোয়ানকে এক ওভারে চার-ছয় মেরে জনসন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন ৬৩ বলে। ৭৬ রানের নবম উইকেট ভাঙেন ব্রেসনান, হিলফেনহসকে আউট করে অ্যান্ডারসন সিরিজে উইকেট সংখ্যা নিয়ে যান ২১-এ।
শেষ দুই উইকেটের ৯১ রান যে আত্মবিশ্বাসটা এনে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে, সেটা চূর্ণ করার মিশন নিয়েই যেন নেমেছিলেন অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস। প্রথম ২৬ বলে ৩৬ করা স্ট্রাউস করেছেন ক্যারিয়ারের দ্রুততম ফিফটি (৪৯ বলে)। যাঁর ওপর বেশি খড়গহস্ত ছিলেন, সেই হিলফেনহসই থামিয়েছেন ঝড়। পরের ওভারে জনসন ট্রটকে শূন্য হাতে ফেরালে মনে হচ্ছিল পার্থের পুনরাবৃত্তিই হচ্ছে। তবে পার্থে বিনা উইকেটে ৭৮ থেকে ৯৮/৫ হয়ে যাওয়ার দুঃস্বপ্ন সিডনিতে ফিরে আসতে দেননি কুক-পিটারসেন। শেষ বিকেলে ফিরে যাওয়ার আগে কুকের সঙ্গে ৬৬ রানের জুটি গড়েছেন পিটারসেন।
তবে এই সিরিজের সবচেয়ে বড় ‘বিপ্লব’ অ্যালিস্টার কুক আবারও দাঁড়িয়ে আছেন অস্ট্রেলিয়ার বাধার দেয়াল আর ইংলিশদের আশার প্রতীক হয়ে। ৪৬ রানে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গেছেন বোলার মাইকেল বিয়ার নো বল করায়, অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংসে পেরিয়েছেন সিরিজে ৬০০ আর টেস্ট ক্যারিয়ারে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক।
তবে ইংলিশদের ইতিহাস গড়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষার কাছে পাত্তা পাচ্ছে না কিছুই। অস্ট্রেলিয়াকে ২৮০ রানে গুটিয়ে দিয়ে দিনশেষে ৩ উইকেটে ১৬৭, সিডনির দ্বিতীয় দিনটিও তাই ইংল্যান্ডের। তবে দিনশেষে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে অস্ট্রেলিয়াও, এর চেয়ে অনেক খারাপ কিছুও যে হতে পারত! মিচেল জনসনের অলরাউন্ডার-সত্তা জেগে না উঠলে কালই হয়তো ঠিক হয়ে যেত ম্যাচের ভাগ্য। স্বাগতিকেরা যখন কাঁপছে দুই শর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায়, দারুণ এক ফিফটি করে দলকে এনে দিয়েছেন মোটামুটি সম্মানজনক রান। পরে আউট করেছেন ট্রট-পিটারসেনকে। আজ সকালে ঝটপট দু-তিনটি উইকেট তুলে নিতে পারলে ভালোভাবেই ম্যাচে ফিরে আসবে অস্ট্রেলিয়া।
ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পাওয়া হাডিনকে দিয়ে কাল শিকার শুরু করেছেন আগের দিন কোনো উইকেট না পাওয়া জেমস অ্যান্ডারসন। এর পরই অস্ট্রেলিয়াকে সবচেয়ে বড় আঘাতটা দিয়েছেন পল কলিংউড। নতুন বল নেওয়ার আগে সময় পার করার জন্য তাকে বোলিংয়ে এনেছিলেন স্ট্রাউস। নতুন বল নেওয়ার ঠিক আগের বলে মাইক হাসিকে বোল্ড করে পেয়ে গেছেন ক্যারিয়ারের সম্ভবত সবচেয়ে দামি উইকেট। নতুন বলে স্মিথ-সিডলকে যখন এক ওভারে ফেরালেন অ্যান্ডারসন, অস্ট্রেলিয়ার রান ৮ উইকেটে ১৮৯!
এর পরই হিলফেনহসকে নিয়ে জনসনের পাল্টা আক্রমণ। টিম ব্রেসনানকে ফ্লিক করে গ্যালারিতে পাঠান হিলফেনহস, সোয়ানকে এক ওভারে চার-ছয় মেরে জনসন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন ৬৩ বলে। ৭৬ রানের নবম উইকেট ভাঙেন ব্রেসনান, হিলফেনহসকে আউট করে অ্যান্ডারসন সিরিজে উইকেট সংখ্যা নিয়ে যান ২১-এ।
শেষ দুই উইকেটের ৯১ রান যে আত্মবিশ্বাসটা এনে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে, সেটা চূর্ণ করার মিশন নিয়েই যেন নেমেছিলেন অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস। প্রথম ২৬ বলে ৩৬ করা স্ট্রাউস করেছেন ক্যারিয়ারের দ্রুততম ফিফটি (৪৯ বলে)। যাঁর ওপর বেশি খড়গহস্ত ছিলেন, সেই হিলফেনহসই থামিয়েছেন ঝড়। পরের ওভারে জনসন ট্রটকে শূন্য হাতে ফেরালে মনে হচ্ছিল পার্থের পুনরাবৃত্তিই হচ্ছে। তবে পার্থে বিনা উইকেটে ৭৮ থেকে ৯৮/৫ হয়ে যাওয়ার দুঃস্বপ্ন সিডনিতে ফিরে আসতে দেননি কুক-পিটারসেন। শেষ বিকেলে ফিরে যাওয়ার আগে কুকের সঙ্গে ৬৬ রানের জুটি গড়েছেন পিটারসেন।
তবে এই সিরিজের সবচেয়ে বড় ‘বিপ্লব’ অ্যালিস্টার কুক আবারও দাঁড়িয়ে আছেন অস্ট্রেলিয়ার বাধার দেয়াল আর ইংলিশদের আশার প্রতীক হয়ে। ৪৬ রানে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গেছেন বোলার মাইকেল বিয়ার নো বল করায়, অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংসে পেরিয়েছেন সিরিজে ৬০০ আর টেস্ট ক্যারিয়ারে পাঁচ হাজার রানের মাইলফলক।
No comments