গিলানির বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট চাইবে না পিএমএল-এন
পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএল-এন) পক্ষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার বলা হয়েছে, তারা পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোট চাইবে না। কারণ, অনাস্থা ভোটের দাবি অস্থিতিশীলতাকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে। দলটির এই সিদ্ধান্তের কারণে প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি ও তাঁর সরকার সম্ভবত এ যাত্রায় পতনের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যাবে।পিএমএল-এনের চেয়ারম্যান রাজা জাফর-উল-হক বলেন, পিএমএল-এনের বিশ্বাস, অনাস্থা ভোট গোটা দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।পিএমএল-এনের এই সিদ্ধান্তের অর্থ হচ্ছে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক সংকট থেকে উতরে গেল।
ক্ষমতাসীন জোটের অন্যতম শরিক মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের পর এই রাজনৈতিক সংকট দেখা দেয়। এমকিউএমের সমর্থন প্রত্যাহারের কারণে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় সরকার।জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গত রোববার সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় এমকিউএম। সমর্থন প্রত্যাহারের পর বর্তমান সরকারের পতনের আশঙ্কা দেখা দেয়।
গতকাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পিএমএল-এনের একজন মুখপাত্র বলেন, অনাস্থা ভোটের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।মুখপাত্র আহসান ইকবাল বলেন, সরকার কীভাবে নিজেদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে, তা তাদের বিষয়।এদিকে চৌধুরী সুজাত হোসেনের নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএল-কিউ) নেতারা জানান, তাঁদের দলও পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোট চাইবে না।
প্রধানমন্ত্রী গিলানি গত সোমবার বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন বিরোধী নেতাদের সঙ্গে কথা বলে।
সোমবার রাতে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি প্রধানমন্ত্রী গিলানির ওপর আস্থা প্রকাশ করেছেন। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির ওপর জারদারির পূর্ণ আস্থা রয়েছে। জোট সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য যেকোনো প্রচেষ্টাকে রুখে দিতে তিনি গিলানির পাশে থাকবেন।
তবে এই যাত্রায় বেঁচে গেলেও গিলানি তাঁর মেয়াদকাল পূর্ণ করতে পারবেন বলে আশা করতে পারছেন না বিশ্লেষকেরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাসান আসকারি রিজভি বলেন, সরকার হয়তো কিছু সময়ের জন্য রক্ষা পেয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সরকার বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না। তিনি বলেন, সরকারকে সমর্থন জোগাড় করতে হবে। বিরোধীরা সরকারকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলার ও অচল করে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে দলের করণীয় নির্ধারণ করতে গতকাল পিএমএল-এনের নেতাদের বৈঠকে বসার কথা।
ক্ষমতাসীন জোটের অন্যতম শরিক মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম) সরকারের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের পর এই রাজনৈতিক সংকট দেখা দেয়। এমকিউএমের সমর্থন প্রত্যাহারের কারণে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় সরকার।জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গত রোববার সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় এমকিউএম। সমর্থন প্রত্যাহারের পর বর্তমান সরকারের পতনের আশঙ্কা দেখা দেয়।
গতকাল সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পিএমএল-এনের একজন মুখপাত্র বলেন, অনাস্থা ভোটের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।মুখপাত্র আহসান ইকবাল বলেন, সরকার কীভাবে নিজেদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে, তা তাদের বিষয়।এদিকে চৌধুরী সুজাত হোসেনের নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দল পাকিস্তান মুসলিম লিগের (পিএমএল-কিউ) নেতারা জানান, তাঁদের দলও পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোট চাইবে না।
প্রধানমন্ত্রী গিলানি গত সোমবার বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন বিরোধী নেতাদের সঙ্গে কথা বলে।
সোমবার রাতে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি প্রধানমন্ত্রী গিলানির ওপর আস্থা প্রকাশ করেছেন। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির ওপর জারদারির পূর্ণ আস্থা রয়েছে। জোট সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য যেকোনো প্রচেষ্টাকে রুখে দিতে তিনি গিলানির পাশে থাকবেন।
তবে এই যাত্রায় বেঁচে গেলেও গিলানি তাঁর মেয়াদকাল পূর্ণ করতে পারবেন বলে আশা করতে পারছেন না বিশ্লেষকেরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষক হাসান আসকারি রিজভি বলেন, সরকার হয়তো কিছু সময়ের জন্য রক্ষা পেয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সরকার বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে না। তিনি বলেন, সরকারকে সমর্থন জোগাড় করতে হবে। বিরোধীরা সরকারকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলার ও অচল করে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে দলের করণীয় নির্ধারণ করতে গতকাল পিএমএল-এনের নেতাদের বৈঠকে বসার কথা।
No comments