খাল দখলের কালভার্ট-কৌশল
কালভার্ট নির্মাণকে বলা যায় খাল দখলের সরকারি প্রকল্প। টাকা দিয়েছে ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর, কাজ করেছে ঠিকাদার আর দখল পেয়েছে সরকারি দলের লোকজন এবং আবাসন কোম্পানিসহ বড় ব্যবসায়ীরা। গত শনিবারের প্রথম আলোর ‘হারিয়ে যাচ্ছে খাল’ শীর্ষক সংবাদে বলা হয়েছে, ‘ঢাকা ও সংলগ্ন এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শত শত কালভার্ট তৈরির প্রধান উদ্দেশ্য খাল, জলাশয় বা নদী দখল।’ খাল কেটে কুমির আনার প্রবাদের বদলে এখন তাই বলা যায়, ‘বানাও কালভার্ট, আনো খাল দখলের কুমির।’ সত্যি, কী বিচিত্র এই দেশ!
আবাসনব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠছে, তাদের জমি প্রয়োজন। শিল্পোদ্যোক্তাদের জমি প্রয়োজন। মধ্যবিত্ত-উচ্চবিত্তের নিজস্ব আবাসনের জন্য জমি প্রয়োজন। সরকারি দলের নেতা হিসেবেও অনেকের জমি প্রয়োজন। দলীয় অফিস বানাতে জমি প্রয়োজন। এত জমি নেই, তাই খাল-বিল-জলাশয়-পুকুর, এমনকি নদী পর্যন্ত দখল হয়ে যাচ্ছে। দেখার জন্য সরকার ছিল, কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সরকারি প্রকল্প এবং সরকারি দলের লোকজনই দখল কর্মসূচির হোতা। একশ্রেণীর সরকারি আমলা-কর্মচারী উপরির লোভে দিনকানা হয়ে আছেন। উচ্চ আদালত নিয়মিতভাবে নিষেধাজ্ঞা জানাচ্ছেন, উদ্ধারের নির্দেশ দিচ্ছেন, নীতিমালা তৈরি করতে বলছেন, প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছেন, গণমাধ্যমে খবর ছাপা হচ্ছে, অথচ ‘সকলই গরল ভেল’ হয়ে যাচ্ছে। ‘খেলারামরা’ খেলে যাচ্ছেন, দখল হয়ে উঠছে অপ্রতিরোধ্য।
ঢাকা ওয়াসার তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর ৪৩টি খালের ২৬টিই মুমূর্ষু। বাকিগুলোর অস্তিত্ব স্যাটেলাইট দিয়েও পাওয়া যাবে না। আরেক হিসাবে ঢাকার ৫২টি খালই বেদখল। ঢাকার খালগুলো না বাঁচালে জলাবদ্ধতা, অস্বাস্থ্যকর আবহাওয়া ও পানিহীনতায় বিপর্যস্ত এ শহর বাসোপযোগী থাকবে না।
দেশের ১৬৫টি নদ-নদী রক্ষার জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে। অজস্র নদী ও জলদেহ বিপন্ন। অথচ অঢেল টাকা বাংলার নদ-নদী-জলাশয়ে ঢালা হলেও সবই বিফল হয়েছে। কিংবা খাল দখলের কালভার্ট-কৌশলের মতো সেগুলোও ছিল লাভবান হওয়ার ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত কৌশল? এসবেরই ফলে যে জলদেহ আগে কৃষি, মৎস্য ও স্বাস্থ্যকর জলবায়ু নিশ্চিত করায় ভূমিকা রাখত, তা আজ বিপন্ন।
কী করতে হবে তা সবাই জানে। বিশেষজ্ঞরা জানেন, আমলারা জানেন, মন্ত্রীরা জানেন। যাঁরা দখলের সরকারি টাকায় কালভার্টের নামে দখলের প্রকল্প প্রণয়ন করতে পারেন, খাল উদ্ধারের কলাকৌশল তাঁদেরই ভালো জানার কথা। রাজধানীর খাল ও নদীর সীমানা সুস্পষ্ট করে, দুই পাড় বাঁধিয়ে উদ্যান করে দিতে হবে। স্থায়ীভাবে পানি-পুলিশ গঠন করে নিয়মিতভাবে খাল-নদীগুলোকে উপদ্রবমুক্ত রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া এসব কাজ হওয়া কঠিন।
আবাসনব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠছে, তাদের জমি প্রয়োজন। শিল্পোদ্যোক্তাদের জমি প্রয়োজন। মধ্যবিত্ত-উচ্চবিত্তের নিজস্ব আবাসনের জন্য জমি প্রয়োজন। সরকারি দলের নেতা হিসেবেও অনেকের জমি প্রয়োজন। দলীয় অফিস বানাতে জমি প্রয়োজন। এত জমি নেই, তাই খাল-বিল-জলাশয়-পুকুর, এমনকি নদী পর্যন্ত দখল হয়ে যাচ্ছে। দেখার জন্য সরকার ছিল, কিন্তু দেখা যাচ্ছে, সরকারি প্রকল্প এবং সরকারি দলের লোকজনই দখল কর্মসূচির হোতা। একশ্রেণীর সরকারি আমলা-কর্মচারী উপরির লোভে দিনকানা হয়ে আছেন। উচ্চ আদালত নিয়মিতভাবে নিষেধাজ্ঞা জানাচ্ছেন, উদ্ধারের নির্দেশ দিচ্ছেন, নীতিমালা তৈরি করতে বলছেন, প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছেন, গণমাধ্যমে খবর ছাপা হচ্ছে, অথচ ‘সকলই গরল ভেল’ হয়ে যাচ্ছে। ‘খেলারামরা’ খেলে যাচ্ছেন, দখল হয়ে উঠছে অপ্রতিরোধ্য।
ঢাকা ওয়াসার তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর ৪৩টি খালের ২৬টিই মুমূর্ষু। বাকিগুলোর অস্তিত্ব স্যাটেলাইট দিয়েও পাওয়া যাবে না। আরেক হিসাবে ঢাকার ৫২টি খালই বেদখল। ঢাকার খালগুলো না বাঁচালে জলাবদ্ধতা, অস্বাস্থ্যকর আবহাওয়া ও পানিহীনতায় বিপর্যস্ত এ শহর বাসোপযোগী থাকবে না।
দেশের ১৬৫টি নদ-নদী রক্ষার জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে। অজস্র নদী ও জলদেহ বিপন্ন। অথচ অঢেল টাকা বাংলার নদ-নদী-জলাশয়ে ঢালা হলেও সবই বিফল হয়েছে। কিংবা খাল দখলের কালভার্ট-কৌশলের মতো সেগুলোও ছিল লাভবান হওয়ার ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত কৌশল? এসবেরই ফলে যে জলদেহ আগে কৃষি, মৎস্য ও স্বাস্থ্যকর জলবায়ু নিশ্চিত করায় ভূমিকা রাখত, তা আজ বিপন্ন।
কী করতে হবে তা সবাই জানে। বিশেষজ্ঞরা জানেন, আমলারা জানেন, মন্ত্রীরা জানেন। যাঁরা দখলের সরকারি টাকায় কালভার্টের নামে দখলের প্রকল্প প্রণয়ন করতে পারেন, খাল উদ্ধারের কলাকৌশল তাঁদেরই ভালো জানার কথা। রাজধানীর খাল ও নদীর সীমানা সুস্পষ্ট করে, দুই পাড় বাঁধিয়ে উদ্যান করে দিতে হবে। স্থায়ীভাবে পানি-পুলিশ গঠন করে নিয়মিতভাবে খাল-নদীগুলোকে উপদ্রবমুক্ত রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া এসব কাজ হওয়া কঠিন।
No comments