জমজমাট আবহেও অনিশ্চিত ম্যাচ
‘ওহ্...ভুলেই তো গিয়েছিলাম কালকে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ’—আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের আগের দিন কেন এক দলের অধিনায়ক বলছেন এমন কথা!
একাডেমি ভবন থেকে বের হয়ে সাকিব আল হাসান কথাটা বললেন মজা করেই। তবে মোহামেডান অধিনায়কের এই কৌতুকেই ফুটে উঠছে সময়ের বাস্তবতা। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচ নিয়ে সারা দেশ দুই ভাগ হয়ে যাওয়ার দিন পেরিয়েছে অনেক আগেই। তবু পয়েন্ট টেবিলে দুই দলের পিঠোপিঠি অবস্থানের কারণে এবার যেটুকু উত্তেজনা, সেটুকুও মিলিয়ে গেছে বিশ্বকাপের উত্তেজনায়। প্রিয় ক্লাবের জয়ের চেয়ে বিশ্বকাপ দলটা কেমন হচ্ছে, মাশরাফি বিন মুর্তজা থাকছেন কি না, এগুলো নিয়ে মানুষের চিন্তা অনেক বেশি। মোহামেডানের অধিনায়ক জাতীয় দলেরও অধিনায়ক, বিশ্বকাপটা নিশ্চয়ই তাঁর ভাবনার বেশির ভাগ জুড়ে।
সাকিবের কথায় বিস্মিত না হওয়ার আরেকটা কারণ, তাঁর ধরনটাই এমন। চাপ ব্যাপারটা তাঁর কাছে অনাহূত। প্রতিপক্ষ আবাহনী হোক বা ওরিয়েন্ট-বিকেএসপি, ভাবনায় পরিবর্তন খুব বেশি হবে না। সাকিবের মুখেই শুনুন, ‘আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের উত্তেজনার কথা শুনেছি, কিন্তু নিজের কাছে কখনো আলাদা কিছু মনে হয়নি।’ সাকিবকে চিনে থাকলে বুঝতে পারবেন, বলার জন্য বলা নয়, এগুলো তাঁর মনের কথাই।
মনের কথা বলে ফেলায় বিশ্বাসী সাকিব আজকের ম্যাচের সম্ভাবনা নিয়ে বললেন, ‘আমরা পুরোপুরি সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে আবাহনীর জেতার কোনো চান্স নাই। আমরা খারাপ খেললেই কেবল ওরা জিততে পারে।’ দুই দলের খেলোয়াড় তালিকা দেখলে মোহামেডানকে এগিয়ে রাখবেন যে কেউ। কিন্তু চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে প্রতিপক্ষকে এভাবে উড়িয়ে দেওয়া, এই দুই দলের কোন অধিনায়ক কবে এমনটা করতে পেরেছেন! এই হলেন সাকিব।
তবে কাগজে-কলমের হিসাবকে আবার পাত্তাই দিলেন না খালেদ মাহমুদ। আবাহনীর কোচ তাকাতে বললেন পয়েন্ট টেবিলের দিকে, ‘মাঠের পারফরম্যান্সে আমরাই এখনো লিগের সেরা দল। আর কাগজে-কলমে আমরা পিছিয়ে এটাও মানতে রাজি নই। ওদের তামিম হয়তো বেশি বিপজ্জনক, কিন্তু আমাদের কায়েসও (ইমরুল) দারুণ ধারাবাহিক। গত বছর ওয়ানডেতে ৫ জন সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের একজন ও। ওদের সাকিব ম্যাচ উইনার, আমাদের মাহমুদউল্লাহও অসাধারণ ফর্মে আছে। স্পিনে ওদের এনামুল আছে, আমাদের আছে রফিক। পেস বোলিংয়ে তো আমরাই এগিয়ে। তো শক্তিতে খুব পার্থক্য নেই, যে দল চাপ বেশি সামলাতে পারবে তারাই জিতবে।’
মাহমুদের দাবির সাক্ষ্য দেয় পয়েন্ট টেবিলেও। মোহামেডানের চেয়ে এক পয়েন্ট এগিয়ে শীর্ষে আবাহনী। গাজী ট্যাংকের কাছে হারের পাশাপাশি মোহামেডান টাই করেছে প্রাইম দোলেশ্বরের সঙ্গে। ৯ ম্যাচে আবাহনীর একমাত্র পরাজয় কলাবাগানের বিপক্ষে। আজ জিতলে ৩ পয়েন্ট এগিয়ে যাবে আবাহনী, শিরোপা জয়ে যে ব্যবধানটা শেষ পর্যন্ত হতে পারে অমূল্য। মোহামেডান জিতলে তো শীর্ষেই উঠে যাবে। সুপার লিগে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা না থাকলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়তো মোহামেডানরই হবে। তামিম-সাকিবরা থাকতে থাকতেই তাই লিগের বাকি দুই ম্যাচ জিততে চাইবে মোহামেডান।
উত্তেজনা আগের মতো নেই। তবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে হারা যাবে না, এই মানসিকতা ঠিকই আছে। সঙ্গে বিদেশি খেলোয়াড় কোটা নিয়ে গতকালের দ্বন্দ্বও যোগ করেছে নতুন উত্তেজনা। জমজমাট এক ম্যাচের রসদ প্রস্তুত, কিন্তু ম্যাচটা হবে কি না, সেটিই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
একাডেমি ভবন থেকে বের হয়ে সাকিব আল হাসান কথাটা বললেন মজা করেই। তবে মোহামেডান অধিনায়কের এই কৌতুকেই ফুটে উঠছে সময়ের বাস্তবতা। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচ নিয়ে সারা দেশ দুই ভাগ হয়ে যাওয়ার দিন পেরিয়েছে অনেক আগেই। তবু পয়েন্ট টেবিলে দুই দলের পিঠোপিঠি অবস্থানের কারণে এবার যেটুকু উত্তেজনা, সেটুকুও মিলিয়ে গেছে বিশ্বকাপের উত্তেজনায়। প্রিয় ক্লাবের জয়ের চেয়ে বিশ্বকাপ দলটা কেমন হচ্ছে, মাশরাফি বিন মুর্তজা থাকছেন কি না, এগুলো নিয়ে মানুষের চিন্তা অনেক বেশি। মোহামেডানের অধিনায়ক জাতীয় দলেরও অধিনায়ক, বিশ্বকাপটা নিশ্চয়ই তাঁর ভাবনার বেশির ভাগ জুড়ে।
সাকিবের কথায় বিস্মিত না হওয়ার আরেকটা কারণ, তাঁর ধরনটাই এমন। চাপ ব্যাপারটা তাঁর কাছে অনাহূত। প্রতিপক্ষ আবাহনী হোক বা ওরিয়েন্ট-বিকেএসপি, ভাবনায় পরিবর্তন খুব বেশি হবে না। সাকিবের মুখেই শুনুন, ‘আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচের উত্তেজনার কথা শুনেছি, কিন্তু নিজের কাছে কখনো আলাদা কিছু মনে হয়নি।’ সাকিবকে চিনে থাকলে বুঝতে পারবেন, বলার জন্য বলা নয়, এগুলো তাঁর মনের কথাই।
মনের কথা বলে ফেলায় বিশ্বাসী সাকিব আজকের ম্যাচের সম্ভাবনা নিয়ে বললেন, ‘আমরা পুরোপুরি সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে আবাহনীর জেতার কোনো চান্স নাই। আমরা খারাপ খেললেই কেবল ওরা জিততে পারে।’ দুই দলের খেলোয়াড় তালিকা দেখলে মোহামেডানকে এগিয়ে রাখবেন যে কেউ। কিন্তু চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে প্রতিপক্ষকে এভাবে উড়িয়ে দেওয়া, এই দুই দলের কোন অধিনায়ক কবে এমনটা করতে পেরেছেন! এই হলেন সাকিব।
তবে কাগজে-কলমের হিসাবকে আবার পাত্তাই দিলেন না খালেদ মাহমুদ। আবাহনীর কোচ তাকাতে বললেন পয়েন্ট টেবিলের দিকে, ‘মাঠের পারফরম্যান্সে আমরাই এখনো লিগের সেরা দল। আর কাগজে-কলমে আমরা পিছিয়ে এটাও মানতে রাজি নই। ওদের তামিম হয়তো বেশি বিপজ্জনক, কিন্তু আমাদের কায়েসও (ইমরুল) দারুণ ধারাবাহিক। গত বছর ওয়ানডেতে ৫ জন সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের একজন ও। ওদের সাকিব ম্যাচ উইনার, আমাদের মাহমুদউল্লাহও অসাধারণ ফর্মে আছে। স্পিনে ওদের এনামুল আছে, আমাদের আছে রফিক। পেস বোলিংয়ে তো আমরাই এগিয়ে। তো শক্তিতে খুব পার্থক্য নেই, যে দল চাপ বেশি সামলাতে পারবে তারাই জিতবে।’
মাহমুদের দাবির সাক্ষ্য দেয় পয়েন্ট টেবিলেও। মোহামেডানের চেয়ে এক পয়েন্ট এগিয়ে শীর্ষে আবাহনী। গাজী ট্যাংকের কাছে হারের পাশাপাশি মোহামেডান টাই করেছে প্রাইম দোলেশ্বরের সঙ্গে। ৯ ম্যাচে আবাহনীর একমাত্র পরাজয় কলাবাগানের বিপক্ষে। আজ জিতলে ৩ পয়েন্ট এগিয়ে যাবে আবাহনী, শিরোপা জয়ে যে ব্যবধানটা শেষ পর্যন্ত হতে পারে অমূল্য। মোহামেডান জিতলে তো শীর্ষেই উঠে যাবে। সুপার লিগে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা না থাকলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়তো মোহামেডানরই হবে। তামিম-সাকিবরা থাকতে থাকতেই তাই লিগের বাকি দুই ম্যাচ জিততে চাইবে মোহামেডান।
উত্তেজনা আগের মতো নেই। তবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে হারা যাবে না, এই মানসিকতা ঠিকই আছে। সঙ্গে বিদেশি খেলোয়াড় কোটা নিয়ে গতকালের দ্বন্দ্বও যোগ করেছে নতুন উত্তেজনা। জমজমাট এক ম্যাচের রসদ প্রস্তুত, কিন্তু ম্যাচটা হবে কি না, সেটিই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।
No comments