ঝুলে থাকল মাশরাফির ভাগ্য
একের পর এক শট খেলে নেট বোলারদের মাঠের চারপাশে আছড়ে ফেলছেন, অনুশীলন দেখতে আসা দর্শকের তুমুল করতালি। জাতীয় দলের অনুুশীলন কাল মাতিয়ে রাখলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। কিন্তু দেশ তো তাঁকে এভাবে দেখতে চায় বিশ্বকাপ মাতাতে।
রানিং-ব্যাটিং তো শুরু করেছেন। কিন্তু যেটা আসল, সেই বোলিং-ই যে এখনো শুরু করতে পারেননি! বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল ঘোষণার বাকি আরও তিন দিন। তবে এই কদিনে যেহেতু অবস্থান নাটকীয় পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই, তা ছাড়া দল অনুমোদনের আনুষ্ঠানিকতা আছে, কালই বিসিবির কাছে মাশরাফির মেডিকেল রিপোর্ট জমা দিয়েছেন ফিজিও মাইকেল হেনরি। রিপোর্টে কী আছে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। তবে একটি সূত্রে জানা গেছে, সপ্তাহ খানেকের মধ্যে শর্ট রানআপে বোলিং করতে পারবেন মাশরাফি, পুরো রানআপে বোলিং করতে পারবেন ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। তার পরও মাশরাফিকে রাখা হবে কি না, চূড়ান্ত হবে ১৭ ফেব্রুয়ারি বিসিবির টেকনিক্যাল কমিটির সভায়।
কোচ জেমি সিডন্স কিন্তু মনেপ্রাণেই মাশরাফিকে চাইছেন। তবে সে হতে হবে কেবল পুরো ফিট মাশরাফি, ‘মাশরাফির কোনো বিকল্প হয় না। গত সিরিজে বা গত ১০ বছর সে যেভাবে খেলেছে, তাতে ওর কোনো বিকল্প নেই। তা ছাড়া আমাদের সম্ভাব্য ফাস্ট বোলারদের মধ্যে কেবল ওরই বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। ও-ই আমাদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও সেরা বোলার। কিন্তু সমস্যা হলো ও ফিটের কাছাকাছিও নয়। যদিও পুনর্বাসন-প্রক্রিয়ায় আছে, কিন্তু হাতে সময় বেশি নেই। নির্বাচকদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে দ্রুত। দলের জন্য ও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বলেই আমরা এত অপেক্ষা করছি, অন্য কেউ হলে হয়তো অপেক্ষাই করতাম না। কিন্তু ফিট না থাকলে আর কী-ই বা করা যাবে।’
মাশরাফি কিন্তু হাল ছাড়ছেন না। টানা তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলতে মরিয়া বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি পেসার, ‘আজকে ৮০ ভাগ রানিং করেছি, আগের চেয়ে অবস্থা অনেক ভালো। ব্যথাটা ও রকম নাই। সময় লাগবে, তবে সবকিছু ভালোমতোই এগোচ্ছে। ফিজিও যেসব কাজ দিচ্ছে, সেসব করতে সমস্যা হচ্ছে না বলেই আশা করছি তাড়াতাড়িই বোলিং করতে পারব। আমি বিশ্বকাপ খেলতে চাই, এ জন্য শতভাগ ঝুঁকি নিতে হলেও আমি রাজি।’
কিন্তু বিশ্বকাপই কি সবকিছু, এত ঝুঁকি নিয়ে খেলে কি ক্যারিয়াটাকেও ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছেন না? চোটের সঙ্গে লড়াইয়ে অভিজ্ঞ মাশরাফি প্রশ্নটিকে হেসেই উড়িয়ে দিলেন, ‘আমার যে চোট, এতে ক্যারিয়ার ঝুঁকির কিছু নেই। যদি আমার লিগামেন্ট ছিঁড়েও যায় তাহলেও গ্রাফটিং পুরোটাই করতে হবে। অপারেশন একই। যেটা হতে পারে, এটা আগেও হয়েছে। ক্যারিয়ার শেষ হওয়ার কোনো ঝুঁকি নেই।’
শেষ পর্যন্ত মাশরাফি যদি ফিট হয়েও ওঠেন, তাহলেও তো ম্যাচ অনুশীলনের ঘাটতি থেকে যাবে। সেটিও আবার ভোগাতে পারে বাংলাদেশকে। তবে আবারও অতীত অভিজ্ঞতাই সাহস দিচ্ছে বিশ্বকাপে ১০ উইকেটের মালিককে, ‘এর আগের চোটের সময়ও দুই মাস বসে ছিলাম। ছয় সপ্তাহ পর খেলতে নেমেছি। দুই ম্যাচ পরই সব ঠিক হয়ে গেছে। তা ছাড়া আমাদের এখানে যে অনুশীলনটা হয়, সেটা ম্যাচের মতোই। বিশ্বকাপের আগে আমাদের প্রস্তুতি ম্যাচও আছে। মনে হয় না তাই সমস্যা হবে।’
কিন্তু মাশরাফির এ কথায় কতটা আস্থা পাবেন নির্বাচকেরা? উত্তর মিলবে হয়তো ১৭ ফেব্রুয়ারি।
রানিং-ব্যাটিং তো শুরু করেছেন। কিন্তু যেটা আসল, সেই বোলিং-ই যে এখনো শুরু করতে পারেননি! বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল ঘোষণার বাকি আরও তিন দিন। তবে এই কদিনে যেহেতু অবস্থান নাটকীয় পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই, তা ছাড়া দল অনুমোদনের আনুষ্ঠানিকতা আছে, কালই বিসিবির কাছে মাশরাফির মেডিকেল রিপোর্ট জমা দিয়েছেন ফিজিও মাইকেল হেনরি। রিপোর্টে কী আছে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। তবে একটি সূত্রে জানা গেছে, সপ্তাহ খানেকের মধ্যে শর্ট রানআপে বোলিং করতে পারবেন মাশরাফি, পুরো রানআপে বোলিং করতে পারবেন ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। তার পরও মাশরাফিকে রাখা হবে কি না, চূড়ান্ত হবে ১৭ ফেব্রুয়ারি বিসিবির টেকনিক্যাল কমিটির সভায়।
কোচ জেমি সিডন্স কিন্তু মনেপ্রাণেই মাশরাফিকে চাইছেন। তবে সে হতে হবে কেবল পুরো ফিট মাশরাফি, ‘মাশরাফির কোনো বিকল্প হয় না। গত সিরিজে বা গত ১০ বছর সে যেভাবে খেলেছে, তাতে ওর কোনো বিকল্প নেই। তা ছাড়া আমাদের সম্ভাব্য ফাস্ট বোলারদের মধ্যে কেবল ওরই বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। ও-ই আমাদের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও সেরা বোলার। কিন্তু সমস্যা হলো ও ফিটের কাছাকাছিও নয়। যদিও পুনর্বাসন-প্রক্রিয়ায় আছে, কিন্তু হাতে সময় বেশি নেই। নির্বাচকদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে দ্রুত। দলের জন্য ও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বলেই আমরা এত অপেক্ষা করছি, অন্য কেউ হলে হয়তো অপেক্ষাই করতাম না। কিন্তু ফিট না থাকলে আর কী-ই বা করা যাবে।’
মাশরাফি কিন্তু হাল ছাড়ছেন না। টানা তৃতীয় বিশ্বকাপ খেলতে মরিয়া বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি পেসার, ‘আজকে ৮০ ভাগ রানিং করেছি, আগের চেয়ে অবস্থা অনেক ভালো। ব্যথাটা ও রকম নাই। সময় লাগবে, তবে সবকিছু ভালোমতোই এগোচ্ছে। ফিজিও যেসব কাজ দিচ্ছে, সেসব করতে সমস্যা হচ্ছে না বলেই আশা করছি তাড়াতাড়িই বোলিং করতে পারব। আমি বিশ্বকাপ খেলতে চাই, এ জন্য শতভাগ ঝুঁকি নিতে হলেও আমি রাজি।’
কিন্তু বিশ্বকাপই কি সবকিছু, এত ঝুঁকি নিয়ে খেলে কি ক্যারিয়াটাকেও ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছেন না? চোটের সঙ্গে লড়াইয়ে অভিজ্ঞ মাশরাফি প্রশ্নটিকে হেসেই উড়িয়ে দিলেন, ‘আমার যে চোট, এতে ক্যারিয়ার ঝুঁকির কিছু নেই। যদি আমার লিগামেন্ট ছিঁড়েও যায় তাহলেও গ্রাফটিং পুরোটাই করতে হবে। অপারেশন একই। যেটা হতে পারে, এটা আগেও হয়েছে। ক্যারিয়ার শেষ হওয়ার কোনো ঝুঁকি নেই।’
শেষ পর্যন্ত মাশরাফি যদি ফিট হয়েও ওঠেন, তাহলেও তো ম্যাচ অনুশীলনের ঘাটতি থেকে যাবে। সেটিও আবার ভোগাতে পারে বাংলাদেশকে। তবে আবারও অতীত অভিজ্ঞতাই সাহস দিচ্ছে বিশ্বকাপে ১০ উইকেটের মালিককে, ‘এর আগের চোটের সময়ও দুই মাস বসে ছিলাম। ছয় সপ্তাহ পর খেলতে নেমেছি। দুই ম্যাচ পরই সব ঠিক হয়ে গেছে। তা ছাড়া আমাদের এখানে যে অনুশীলনটা হয়, সেটা ম্যাচের মতোই। বিশ্বকাপের আগে আমাদের প্রস্তুতি ম্যাচও আছে। মনে হয় না তাই সমস্যা হবে।’
কিন্তু মাশরাফির এ কথায় কতটা আস্থা পাবেন নির্বাচকেরা? উত্তর মিলবে হয়তো ১৭ ফেব্রুয়ারি।
No comments