শুরু হয়ে যাচ্ছে ‘রাফা স্লাম’
ফেদেরার বলছেন, ‘নাদাল।’ নাদাল বলছেন, ‘না!’
গত বছরের শেষ তিনটি গ্র্যান্ড স্লামই জিতেছেন বলে রাফায়েল নাদালের দরজায় কড়া নাড়ছে ইতিহাস গড়ার হাতছানি। বছর শুরুর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতলে চারটি শীর্ষ টুর্নামেন্টের শিরোপাই থাকবে তাঁর নামের পাশে। সর্বশেষ যে কীর্তি গড়েছিলেন রড লেভার, ১৯৬৯ সালে।
আগামীকাল বাংলাদেশ সময় ভোরে শুরু হয়ে যাচ্ছে ‘রাফা স্লাম’। এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনকে এখন এই নামেই ডাকছে কেউ কেউ। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রজার ফেদেরারও বলছেন, এবার নাদালই ফেবারিট, ‘গ্র্যান্ড স্লামে এখন ওরই আধিপত্য। গত তিনটি গ্র্যান্ড স্লামের দিকে তাকান, খুব একটা কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখেও ওকে পড়তে হয়নি। এ কারণেই ওই ফেবারিট। আমি যে এবার ফেবারিট নই, এ নিয়ে আমার কোনো আপত্তিও নেই।’
নাদালকে ফেবারিটের তকমা দিয়ে চাপটা সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন না তো ফেদেরার? নাদালের কথা শুনে সে রকম ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে। ২৪ বছর বয়সী এই স্প্যানিয়ার্ড যেমন ফেবারিট বলছেন ফেদেরারকেই, ‘আমি নিজের সেরাটাও খেললে বড়জোর দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত যেতে পারব। তার পরও কী হয় সেটা তখন দেখা যাবে। তবে আমি নিশ্চিত, ফেদেরার আমার চেয়ে বেশি ফেবারিট। জোকোভিচ, মারে, সোদারলিংয়ের চেয়েও আমি বেশি এগিয়ে নেই।’
ফেবারিটের চাপ সরানোর পাশাপাশি নাদাল এও বলে রাখলেন, টানা চারটি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা নিয়েও নাকি তিনি ভাবছেন না, ‘আমার মনে হয় এটা প্রায় অসম্ভব। এটা খুব, খুবই কঠিন। টেনিসে এখন তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। খেলোয়াড়দের মধ্যে ব্যবধান খুব একটা নেই। ম্যাচের কয়েকটি মুহূর্তই ফল পাল্টে দিতে পারে। একজন খেলোয়াড়ই সব জিতবে—এমনটা এখন খুবই কঠিন।’
কিন্তু নাদাল তো জিতেছেন। ২০১০-ই তার প্রমাণ। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চোটের কারণে কোয়ার্টার ফাইনালটি শেষ করতে পারেননি। এরপর মাস দুই কোর্টের বাইরেই ছিলেন। ফিরে আসার পর নাদাল-রথ ছুটছেই। সর্বশেষ কাতার ওপেনের সেমিফাইনালে অবশ্য হেরে গেছেন যাচ্ছেতাইভাবে। যদিও নাদাল খেলেছিলেন জ্বর নিয়ে।
আসলে নাদালও ঠিক বলছেন, ফেদেরারও। নাদালও ফেবারিট, ফেদেরারও! গত ২০টি গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টের ১৮টি শিরোপা উঠেছে এই দুজনের হাতেই। এই দ্বৈরথ অবশ্য বেশি দিন আর চলবে না বলেও মনে করছেন নাদাল। তবে এটির শেষ অন্তত এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে যাতে না হয়, টেনিস-প্রেমীরা সেই প্রার্থনাই করবে।
মেয়েদের কোর্টে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন সেরেনা উইলিয়ামস না থাকায় এবারের টুর্নামেন্টটি নাকি আক্ষরিক অর্থেই ‘ওপেন’ হয়ে গেছে। এক নম্বর বাছাই ক্যারোলিন ওজনিয়াকি তাই স্বপ্ন দেখতেই পারেন ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জয়ের। সেই স্বপ্ন দেখছেন ভেরা জনারেভাও। গত বছর উইম্বলডন আর ইউএস ওপেনের ফাইনাল পর্যন্ত গিয়েও একটুর জন্য ট্রফি ছোঁয়া হয়নি এই রুশ নন্দিনীর। এই দুই তরুণের মতো চমকে দিতে পারেন দুই ‘বুড়ো’ কিম ক্লাইস্টার্স ও জাস্টিন হেনিন। আর উইলিয়ামস পরিবারের পতাকা নিয়ে হাজির ভেনাসও চাইবেন ছোট বোনের জন্য কিছু একটা করতে।
গত বছরের শেষ তিনটি গ্র্যান্ড স্লামই জিতেছেন বলে রাফায়েল নাদালের দরজায় কড়া নাড়ছে ইতিহাস গড়ার হাতছানি। বছর শুরুর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতলে চারটি শীর্ষ টুর্নামেন্টের শিরোপাই থাকবে তাঁর নামের পাশে। সর্বশেষ যে কীর্তি গড়েছিলেন রড লেভার, ১৯৬৯ সালে।
আগামীকাল বাংলাদেশ সময় ভোরে শুরু হয়ে যাচ্ছে ‘রাফা স্লাম’। এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনকে এখন এই নামেই ডাকছে কেউ কেউ। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রজার ফেদেরারও বলছেন, এবার নাদালই ফেবারিট, ‘গ্র্যান্ড স্লামে এখন ওরই আধিপত্য। গত তিনটি গ্র্যান্ড স্লামের দিকে তাকান, খুব একটা কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখেও ওকে পড়তে হয়নি। এ কারণেই ওই ফেবারিট। আমি যে এবার ফেবারিট নই, এ নিয়ে আমার কোনো আপত্তিও নেই।’
নাদালকে ফেবারিটের তকমা দিয়ে চাপটা সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন না তো ফেদেরার? নাদালের কথা শুনে সে রকম ইঙ্গিতই পাওয়া যাচ্ছে। ২৪ বছর বয়সী এই স্প্যানিয়ার্ড যেমন ফেবারিট বলছেন ফেদেরারকেই, ‘আমি নিজের সেরাটাও খেললে বড়জোর দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত যেতে পারব। তার পরও কী হয় সেটা তখন দেখা যাবে। তবে আমি নিশ্চিত, ফেদেরার আমার চেয়ে বেশি ফেবারিট। জোকোভিচ, মারে, সোদারলিংয়ের চেয়েও আমি বেশি এগিয়ে নেই।’
ফেবারিটের চাপ সরানোর পাশাপাশি নাদাল এও বলে রাখলেন, টানা চারটি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা নিয়েও নাকি তিনি ভাবছেন না, ‘আমার মনে হয় এটা প্রায় অসম্ভব। এটা খুব, খুবই কঠিন। টেনিসে এখন তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। খেলোয়াড়দের মধ্যে ব্যবধান খুব একটা নেই। ম্যাচের কয়েকটি মুহূর্তই ফল পাল্টে দিতে পারে। একজন খেলোয়াড়ই সব জিতবে—এমনটা এখন খুবই কঠিন।’
কিন্তু নাদাল তো জিতেছেন। ২০১০-ই তার প্রমাণ। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চোটের কারণে কোয়ার্টার ফাইনালটি শেষ করতে পারেননি। এরপর মাস দুই কোর্টের বাইরেই ছিলেন। ফিরে আসার পর নাদাল-রথ ছুটছেই। সর্বশেষ কাতার ওপেনের সেমিফাইনালে অবশ্য হেরে গেছেন যাচ্ছেতাইভাবে। যদিও নাদাল খেলেছিলেন জ্বর নিয়ে।
আসলে নাদালও ঠিক বলছেন, ফেদেরারও। নাদালও ফেবারিট, ফেদেরারও! গত ২০টি গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টের ১৮টি শিরোপা উঠেছে এই দুজনের হাতেই। এই দ্বৈরথ অবশ্য বেশি দিন আর চলবে না বলেও মনে করছেন নাদাল। তবে এটির শেষ অন্তত এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে যাতে না হয়, টেনিস-প্রেমীরা সেই প্রার্থনাই করবে।
মেয়েদের কোর্টে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন সেরেনা উইলিয়ামস না থাকায় এবারের টুর্নামেন্টটি নাকি আক্ষরিক অর্থেই ‘ওপেন’ হয়ে গেছে। এক নম্বর বাছাই ক্যারোলিন ওজনিয়াকি তাই স্বপ্ন দেখতেই পারেন ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জয়ের। সেই স্বপ্ন দেখছেন ভেরা জনারেভাও। গত বছর উইম্বলডন আর ইউএস ওপেনের ফাইনাল পর্যন্ত গিয়েও একটুর জন্য ট্রফি ছোঁয়া হয়নি এই রুশ নন্দিনীর। এই দুই তরুণের মতো চমকে দিতে পারেন দুই ‘বুড়ো’ কিম ক্লাইস্টার্স ও জাস্টিন হেনিন। আর উইলিয়ামস পরিবারের পতাকা নিয়ে হাজির ভেনাসও চাইবেন ছোট বোনের জন্য কিছু একটা করতে।
No comments