আবারও সেই নিউজিল্যান্ড
দিনের প্রথম ওভারের শেষ বল ছিল সেটি। অফ স্টাম্পের একটু বাইরে পিচ করা বলটি ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম কিন্তু তাঁকে চমকে দিয়ে বল ঢুকল ভেতরে। প্যাডে আঘাত। পাকিস্তানিদের আবেদনে সাড়া দিয়ে উঠে গেল ড্যারিল হার্পারের তর্জনী। শূন্য রানে নিজেদের মূল ব্যাটসম্যানটিকে হারাল নিউজিল্যান্ড। সকালেই পাওয়া গেল দিনের পূর্বাভাস!
লোয়ার-মিডল অর্ডার ঘুরে দাঁড়ানোয় রক্ষা। ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম দিনে নিউজিল্যান্ডের স্কোরটা যা একটু ভদ্রস্থ দেখাচ্ছে ছয়-সাত-আট নম্বর ব্যাটসম্যানের তিনটি ক্যামিও ইনিংসের সৌজন্যে। এক থেকে পাঁচের মধ্যে রান করেছেন কেবল একজনই—রস টেলর। টপ-অর্ডারের আরেকটি ব্যর্থতার কারণে নিউজিল্যান্ড তখন ১০০ থেকে ২ রানের দূরত্বে থাকতেই হারিয়ে ফেলেছে ৪ উইকেট। টেলরের ৭৮, প্রায় দুই বছর পর টেস্ট খেলতে নামা জেমস ফ্রাঙ্কলিনের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে তাঁর ৬৮ রানের জুটি মান বাঁচিয়েছে স্বাগতিকদের।
নিউজিল্যান্ড আজ কোথায় গিয়ে থামবে সেটি নির্ভর করছে ড্যানিয়েল ভেট্টোরি আর রিস ইয়াংয়ের ওপর। এরই মধ্যে এই জুটি ৬৬ রান তুলে অবিচ্ছিন্ন আছে। অনেক দিন পর ভেট্টোরিকেও বেশ সাবলীল দেখাচ্ছে উইকেটে।
দিনের নায়ক পাকিস্তানি পেসাররাই, যাঁরা শুরু থেকে সহজ সূত্র মেনে বল করে গেছেন। বেশি কারিকুরি নয়, নিয়ন্ত্রিত বোলিং, সঙ্গে কন্ডিশনের সদ্ব্যবহার। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা গত টেস্টের শেষ সেশনে অলআউট হওয়া থেকেও কিছু শেখেননি বলেই মনে হচ্ছে। এই ম্যাচের আগে ভেট্টোরি আর কোচ জন রাইট যে ধৈর্যটা দেখতে চেয়েছিলেন দলের মধ্যে, অন্তত টপ-অর্ডার সেটি দেখাতে ব্যর্থ। পাঁচ ব্যাটসম্যানেরই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়া সে কথাই বলছে। শুধু ম্যাককালাম হয়েছেন এলবিডব্লু।
ম্যাককালাম অবশ্য দাবি করতে পারেন, তিনি দুর্ভাগ্যের শিকার। রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে, বল অনেক ওপরে ছিল। নিউজিল্যান্ড কিন্তু এ নিয়ে বেশি ট্যাঁ-ফোঁ করার সুযোগ পাবে না। কারণ গুলের পরের ওভারেই মার্টিন গাপটিলের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল জমা পড়েছিল উইকেটরক্ষকের হাতে। হার্পার এবার দিয়েছেন নটআউট!
দিনের প্রথম সেশনের প্রথম ঘণ্টাটাই গুল এভাবে ত্রস্ত করে রাখলেন কিউই ব্যাটসম্যানদের। ধারাবাহিকতার পুরস্কার হিসেবে ব্যাটিং-অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে তিনে নামা কেন উইলিয়ামসনও তাঁর শিকার হলে ৮০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে লাঞ্চে যায় নিউজিল্যান্ড।
পরের সেশনের প্রথম ঘণ্টাটি ছিল তানভির আহমেদের। পরপর দুই বলে মার্টিন গাপটিল আর জেসি রাইডারকে আউট করে হ্যাটট্রিকের সামনেও গিয়েছিলেন এই পেসার। রাইডার টানা দ্বিতীয় ইনিংসে পেলেন ‘গোল্ডেন ডাক’।
এর পরই টেলর আর ফ্রাঙ্কলিনের প্রতিরোধ। কিন্তু সেট হয়ে যাওয়ার পর মাত্র ১৪ রানের ব্যবধানে দুজন ফিরে গেলে নিউজিল্যান্ড পরিণত হয় ৬ উইকেটে ১৮০ রানে। ভেট্টোরি-ইয়াংয়ের প্রতিরোধে শেষ বিকেলে আর কোনো বিপদের মুখে পড়েনি নিউজিল্যান্ড। আজ পাকিস্তান দ্রুত লেজটা ছেঁটে ফেলতে চাইবে। আর আদনান আকমল চাইবেন, শেষ চার উইকেট পতনের অন্তত তিনটিতে যেন তাঁর ভূমিকা থাকে। কাল পাঁচটি ক্যাচ ধরা এই উইকেটরক্ষক যে তাহলে গড়বেন ডিসমিসালের নতুন বিশ্ব রেকর্ড।
লোয়ার-মিডল অর্ডার ঘুরে দাঁড়ানোয় রক্ষা। ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম দিনে নিউজিল্যান্ডের স্কোরটা যা একটু ভদ্রস্থ দেখাচ্ছে ছয়-সাত-আট নম্বর ব্যাটসম্যানের তিনটি ক্যামিও ইনিংসের সৌজন্যে। এক থেকে পাঁচের মধ্যে রান করেছেন কেবল একজনই—রস টেলর। টপ-অর্ডারের আরেকটি ব্যর্থতার কারণে নিউজিল্যান্ড তখন ১০০ থেকে ২ রানের দূরত্বে থাকতেই হারিয়ে ফেলেছে ৪ উইকেট। টেলরের ৭৮, প্রায় দুই বছর পর টেস্ট খেলতে নামা জেমস ফ্রাঙ্কলিনের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে তাঁর ৬৮ রানের জুটি মান বাঁচিয়েছে স্বাগতিকদের।
নিউজিল্যান্ড আজ কোথায় গিয়ে থামবে সেটি নির্ভর করছে ড্যানিয়েল ভেট্টোরি আর রিস ইয়াংয়ের ওপর। এরই মধ্যে এই জুটি ৬৬ রান তুলে অবিচ্ছিন্ন আছে। অনেক দিন পর ভেট্টোরিকেও বেশ সাবলীল দেখাচ্ছে উইকেটে।
দিনের নায়ক পাকিস্তানি পেসাররাই, যাঁরা শুরু থেকে সহজ সূত্র মেনে বল করে গেছেন। বেশি কারিকুরি নয়, নিয়ন্ত্রিত বোলিং, সঙ্গে কন্ডিশনের সদ্ব্যবহার। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা গত টেস্টের শেষ সেশনে অলআউট হওয়া থেকেও কিছু শেখেননি বলেই মনে হচ্ছে। এই ম্যাচের আগে ভেট্টোরি আর কোচ জন রাইট যে ধৈর্যটা দেখতে চেয়েছিলেন দলের মধ্যে, অন্তত টপ-অর্ডার সেটি দেখাতে ব্যর্থ। পাঁচ ব্যাটসম্যানেরই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়া সে কথাই বলছে। শুধু ম্যাককালাম হয়েছেন এলবিডব্লু।
ম্যাককালাম অবশ্য দাবি করতে পারেন, তিনি দুর্ভাগ্যের শিকার। রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে, বল অনেক ওপরে ছিল। নিউজিল্যান্ড কিন্তু এ নিয়ে বেশি ট্যাঁ-ফোঁ করার সুযোগ পাবে না। কারণ গুলের পরের ওভারেই মার্টিন গাপটিলের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল জমা পড়েছিল উইকেটরক্ষকের হাতে। হার্পার এবার দিয়েছেন নটআউট!
দিনের প্রথম সেশনের প্রথম ঘণ্টাটাই গুল এভাবে ত্রস্ত করে রাখলেন কিউই ব্যাটসম্যানদের। ধারাবাহিকতার পুরস্কার হিসেবে ব্যাটিং-অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে তিনে নামা কেন উইলিয়ামসনও তাঁর শিকার হলে ৮০ রানে ২ উইকেট হারিয়ে লাঞ্চে যায় নিউজিল্যান্ড।
পরের সেশনের প্রথম ঘণ্টাটি ছিল তানভির আহমেদের। পরপর দুই বলে মার্টিন গাপটিল আর জেসি রাইডারকে আউট করে হ্যাটট্রিকের সামনেও গিয়েছিলেন এই পেসার। রাইডার টানা দ্বিতীয় ইনিংসে পেলেন ‘গোল্ডেন ডাক’।
এর পরই টেলর আর ফ্রাঙ্কলিনের প্রতিরোধ। কিন্তু সেট হয়ে যাওয়ার পর মাত্র ১৪ রানের ব্যবধানে দুজন ফিরে গেলে নিউজিল্যান্ড পরিণত হয় ৬ উইকেটে ১৮০ রানে। ভেট্টোরি-ইয়াংয়ের প্রতিরোধে শেষ বিকেলে আর কোনো বিপদের মুখে পড়েনি নিউজিল্যান্ড। আজ পাকিস্তান দ্রুত লেজটা ছেঁটে ফেলতে চাইবে। আর আদনান আকমল চাইবেন, শেষ চার উইকেট পতনের অন্তত তিনটিতে যেন তাঁর ভূমিকা থাকে। কাল পাঁচটি ক্যাচ ধরা এই উইকেটরক্ষক যে তাহলে গড়বেন ডিসমিসালের নতুন বিশ্ব রেকর্ড।
No comments