জান্তার সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্কের সমালোচনা করেছেন সু চি
মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সু চি সামরিক জান্তার সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সুসম্পর্কের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ভারতের ভূমিকায় আমি নাখোশ। আমি আশা করছি, ভারত ভবিষ্যতে আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পাশে দাঁড়াবে। অতীতে যেমনটা করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী ও জওহরলাল নেহরু।’
ভারতীয় পত্রিকা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সু চি এসব কথা বলেছেন। গতকাল বুধবার দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি জেনারেলদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের বিরোধী নই। তবে আশা করছি, ভারত সরকার আমাদের সঙ্গেও আলোচনা করবে।’
সু চির গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একসময় ঘোর সমর্থক ছিল ভারত। ১৯৮০-এর দশকে বেশ কিছু সময় ভারতে অবস্থানও করেন তিনি। কিন্তু নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে নয়াদিল্লি সুর পাল্টাতে থাকে এবং জান্তা সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিশেষ করে নিরাপত্তা ও জ্বালানি ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন মেরুকরণ হয়। মিয়ানমারের তেল ও গ্যাস-সম্পদের দিকে নজর দেয় নয়াদিল্লি।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা থান শুয়েকে গত জুলাই মাসে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানায় নয়াদিল্লি। এ ঘটনায় মানবাধিকার সংস্থাগুলো তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে। তারা বলে, বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষা এবং চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ভারত তার গণতান্ত্রিক নীতি বিসর্জন দিচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ মাসের শুরুতে ভারত সফরকালে নয়াদিল্লির সমালোচনা করে বলেন, মিয়ানমারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হয়েছে ভারত সরকার। ভারতীয় পার্লামেন্টে ভাষণ দানকালে তিনি বলেন, মিয়ানমারে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সরকারের দমন-পীড়নের সময় বিশ্বের গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো চুপ করে বসে থাকতে পারে না।
সু চি বলেছেন, মুক্তির পর ইন্টারনেট সংযোগের অনুমতি চেয়ে তিনি সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক ও টুইটারের মাধ্যমে সমর্থকদের সঙ্গে যাতে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারেন, সে জন্যই তিনি এ আবেদন করেছেন।
উল্লেখ্য, ১৩ নভেম্বর বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন সু চি। গত ২১ বছরের মধ্যে ১৫ বছরই গৃহবন্দী অবস্থায় কাটান তিনি।
ছেলের সঙ্গে প্যাগোডায় প্রার্থনা: সু চি ও তাঁর ছোট ছেলে অ্যারিস গতকাল মিয়ানমারের সবচেয়ে পবিত্র স্থান শয়েডাগোন প্যাগোডায় প্রার্থনা করেছেন। মুক্তির পর এই প্রথম কোনো প্যাগোডায় গেলেন তিনি। এই প্যাগোডা থেকেই ১৯৮৮ সালে প্রথম গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ডাক দেন সু চি। ঐতিহাসিক সেই ভাষণের মধ্য দিয়েই রাজনৈতিক মঞ্চে প্রবেশ করেছিলেন তিনি।
প্রথা অনুযায়ী মা-ছেলে মিয়ানমারের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে প্যাগোডায় যান। এরপর প্রার্থনা শেষে তাঁরা বুদ্ধমূর্তিতে ফুল ও পানি ছিটিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সৃষ্টিকর্তার কাছে কী প্রার্থনা করেছেন, জানতে চাইলে সু চি হাসিমুখে বলেন, ‘এটা বলা যাবে না। কেননা, এতে আমার ইচ্ছাপূরণ নাও হতে পারে।’
ভারতীয় পত্রিকা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সু চি এসব কথা বলেছেন। গতকাল বুধবার দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি জেনারেলদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের বিরোধী নই। তবে আশা করছি, ভারত সরকার আমাদের সঙ্গেও আলোচনা করবে।’
সু চির গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একসময় ঘোর সমর্থক ছিল ভারত। ১৯৮০-এর দশকে বেশ কিছু সময় ভারতে অবস্থানও করেন তিনি। কিন্তু নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে নয়াদিল্লি সুর পাল্টাতে থাকে এবং জান্তা সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিশেষ করে নিরাপত্তা ও জ্বালানি ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন মেরুকরণ হয়। মিয়ানমারের তেল ও গ্যাস-সম্পদের দিকে নজর দেয় নয়াদিল্লি।
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা থান শুয়েকে গত জুলাই মাসে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানায় নয়াদিল্লি। এ ঘটনায় মানবাধিকার সংস্থাগুলো তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে। তারা বলে, বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষা এবং চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ভারত তার গণতান্ত্রিক নীতি বিসর্জন দিচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ মাসের শুরুতে ভারত সফরকালে নয়াদিল্লির সমালোচনা করে বলেন, মিয়ানমারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হয়েছে ভারত সরকার। ভারতীয় পার্লামেন্টে ভাষণ দানকালে তিনি বলেন, মিয়ানমারে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সরকারের দমন-পীড়নের সময় বিশ্বের গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো চুপ করে বসে থাকতে পারে না।
সু চি বলেছেন, মুক্তির পর ইন্টারনেট সংযোগের অনুমতি চেয়ে তিনি সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক ও টুইটারের মাধ্যমে সমর্থকদের সঙ্গে যাতে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারেন, সে জন্যই তিনি এ আবেদন করেছেন।
উল্লেখ্য, ১৩ নভেম্বর বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন সু চি। গত ২১ বছরের মধ্যে ১৫ বছরই গৃহবন্দী অবস্থায় কাটান তিনি।
ছেলের সঙ্গে প্যাগোডায় প্রার্থনা: সু চি ও তাঁর ছোট ছেলে অ্যারিস গতকাল মিয়ানমারের সবচেয়ে পবিত্র স্থান শয়েডাগোন প্যাগোডায় প্রার্থনা করেছেন। মুক্তির পর এই প্রথম কোনো প্যাগোডায় গেলেন তিনি। এই প্যাগোডা থেকেই ১৯৮৮ সালে প্রথম গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ডাক দেন সু চি। ঐতিহাসিক সেই ভাষণের মধ্য দিয়েই রাজনৈতিক মঞ্চে প্রবেশ করেছিলেন তিনি।
প্রথা অনুযায়ী মা-ছেলে মিয়ানমারের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে প্যাগোডায় যান। এরপর প্রার্থনা শেষে তাঁরা বুদ্ধমূর্তিতে ফুল ও পানি ছিটিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সৃষ্টিকর্তার কাছে কী প্রার্থনা করেছেন, জানতে চাইলে সু চি হাসিমুখে বলেন, ‘এটা বলা যাবে না। কেননা, এতে আমার ইচ্ছাপূরণ নাও হতে পারে।’
No comments