লড়াইটা পন্টিং-স্ট্রাউসেরও
ব্রিসবেনে অ্যাশেজ লড়াই শুরু হয়ে যাওয়ার কথা এরই মধ্যে। তার মানে শুরু হয়ে গেছে রিকি পন্টিং বনাম অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস লড়াইও! দুজন দুই দলের অধিনায়ক, লড়াই তো একটা তাঁদের আছেই। অ্যাশেজ ধরে রাখা আর পুনরুদ্ধারের সেই লড়াইয়ের বাইরেও কিন্তু এবার মুখোমুখি হয়ে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
স্ট্রাউস তিনটি অ্যাশেজ খেলে দুটিতেই পেয়েছেন সিরিজ জয়ের স্বাদ। ইংল্যান্ডের গত অ্যাশেজ জয়ে তো নেতৃত্বই দিয়েছেন। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার ‘অপরাজেয়’ যুগে দলে এসে পন্টিং এবার খেলছেন অষ্টম অ্যাশেজ সিরিজ। কিন্তু পালাবদলের সময়ে এসে কী পাচ্ছেন তিনি? সর্বশেষ তিন অ্যাশেজের দুটিতেই তো হেরেছেন!
মিচেল জনসনের পর্যবেক্ষণ—বাউন্সারটা ঠিকমতো করতে পারলে স্ট্রাউসকে হকচকিয়ে দেওয়া সম্ভব। বুকের ওপর ওঠা বলে নাকি ঠিকভাবে পুল শট খেলতে পারেন না ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। এবার এই অস্ত্রেই তাঁকে ঘায়েল করার পরিকল্পনা অস্ট্রেলিয়ার। স্ট্রাউস অবশ্য ব্যাপারটাকে পাত্তাই দিচ্ছেন না। উল্টো জনসনকে দিয়েছেন একটা খোঁচা, ‘শর্ট বল অনেক খেলেছি। শর্ট বলে নিজের টেকনিক নিয়েও আমি সন্তুষ্ট। তবে মিচেল যদি টেস্টের এক দিন আগে তাদের বোলিং পরিকল্পনাটা আমাদের জানাতে চেয়ে থাকে, এটা তার দয়া।’ পন্টিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টো। ইংল্যান্ড শিবির থেকে কোনো চোখরাঙানি না থাকলেও সাম্প্রতিক কিছু বিব্রতকর অভিজ্ঞতা প্রিয় শট পুল নিয়ে তাঁকে ভাবাচ্ছে। কোন বলটা খেলবেন, কোনটা ছাড়বেন—পন্টিং এখন এই নিয়েই পড়ে আছেন।
অ্যাশেজের আয়নায় নিজেকে দেখার লড়াই, সঙ্গে ব্যক্তিগত ক্রিকেটীয় সামর্থ্যের পরীক্ষা মিলিয়ে এবারের অ্যাশেজের আরেক রূপ তো স্ট্রাউস বনাম পন্টিং প্রতিদ্বন্দ্বিতাই! আর এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার ‘ম্যাচ রিপোর্টে’ লোগো হিসেবে পাশাপাশি সেঁটে দেওয়া যেতে পারে লর্ডস ও গ্যাবার ছোট দুটি ছবি।
১৯৮৮ সালে ভিভ রিচার্ডসের ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারার পর গত ২১ বছরে গ্যাবায় কোনো টেস্ট হারেনি অস্ট্রেলিয়া। ১৯৮৬-৮৭-এর পর যে ইংল্যান্ডও এ মাঠে কখনো অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারেনি, সেটা বলাই বাহুল্য। এ মাঠে ১৮ টেস্ট খেলে ইংল্যান্ডের জয় মাত্র ৪টি। তবে স্ট্রাউস প্রেরণা খুঁজছেন লর্ডস থেকে। এই ক্রিকেট-তীর্থে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৫ বছর অপরাজেয় হয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। গত বছর জুলাইয়ে সে ‘কলঙ্কের’ অবসান ঘটিয়েছে স্ট্রাউসের দল। ৭৫ বছরের ইতিহাস বদলানো গেলে ২১ বছরেরটা নয় কেন?
পাঁচ টেস্টের সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে সেটা ভেবেই বেশি রোমাঞ্চিত স্ট্রাউস, ‘অস্ট্রেলিয়ার জন্য এটা পয়মন্ত হোম গ্রাউন্ড। তবে ইতিহাস বদলে দেওয়ার হাতছানি আমাদের আশাবাদী করছে। গত বছর লর্ডসেও এমন একটা রেকর্ড উল্টে দিতে পেরেছি আমরা।’ সঙ্গে গত জুলাই থেকে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট জয়ের বন্ধ্যাত্ব মিলিয়ে ব্রিসবেনে জয়ের স্বপ্নই দেখছেন সফররত অধিনায়ক। তবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়া কী জিনিস, গত সফরের অভিজ্ঞতা থেকে তা জানেন বলেই সাবধানী স্ট্রাউস, ‘সন্দেহ নেই, খুব ভালো একটা সুযোগ পেয়েছি আমরা। সফরটা ভালোভাবে শুরু হয়েছে, দল হিসেবেও ভালো একটা অবস্থায় আছি। তবে এটাও মানতে হবে, কাজটা কঠিন। খুব বেশি দল এখানে এসে জিততে পারে না।’
পুরো সিরিজের দিকে না তাকিয়ে ইংল্যান্ড আপাতত ব্রিসবেন জয়ের পরিকল্পনাই আঁটছে। তবে রিকি পন্টিংয়ের চিন্তাভাবনা আরও ছোট পরিসরের করে নিয়েছেন, ‘সিরিজের প্রথম ইনিংসটাতে যাতে ভালো খেলতে পারি, এটার ওপরই সব সময় জোর দিই আমি। আগের সিরিজটার দিকে তাকান, এখানে ১৯৬ রানের একটা ইনিংস দিয়ে শুরু করেছিলাম। অ্যাডিলেডে পরের টেস্টে করলাম ১৪২ রান।’
ব্রিসবেন সুখস্মৃতি হয়ে আছে। সিরিজ শুরুর আগের দিন পন্টিংয়ের সুখানুভূতির আরেকটা কারণ, চোটজনিত অনিশ্চয়তা কাটিয়ে সহ-অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক প্রথম টেস্টে খেলার মতো ফিট। অ্যাশেজের বৃহত্তর লড়াইয়ের মধ্যে একটি খণ্ডযুদ্ধের দিকেও চোখ থাকবে সবার। কেভিন পিটারসেন বনাম জেভিয়ার ডোহার্টি। এই ডোহার্টিটা আবার কে? অস্ট্রেলিয়া দলে সর্বশেষ স্পিনার। বাঁহাতি স্পিনের বিপক্ষে কেভিন পিটারসেনের কাঁপাকাঁপির ইতিহাস মনে রেখে নাকি তাঁকে নামিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত একরকম হয়েই গেছে।
স্ট্রাউস তিনটি অ্যাশেজ খেলে দুটিতেই পেয়েছেন সিরিজ জয়ের স্বাদ। ইংল্যান্ডের গত অ্যাশেজ জয়ে তো নেতৃত্বই দিয়েছেন। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার ‘অপরাজেয়’ যুগে দলে এসে পন্টিং এবার খেলছেন অষ্টম অ্যাশেজ সিরিজ। কিন্তু পালাবদলের সময়ে এসে কী পাচ্ছেন তিনি? সর্বশেষ তিন অ্যাশেজের দুটিতেই তো হেরেছেন!
মিচেল জনসনের পর্যবেক্ষণ—বাউন্সারটা ঠিকমতো করতে পারলে স্ট্রাউসকে হকচকিয়ে দেওয়া সম্ভব। বুকের ওপর ওঠা বলে নাকি ঠিকভাবে পুল শট খেলতে পারেন না ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। এবার এই অস্ত্রেই তাঁকে ঘায়েল করার পরিকল্পনা অস্ট্রেলিয়ার। স্ট্রাউস অবশ্য ব্যাপারটাকে পাত্তাই দিচ্ছেন না। উল্টো জনসনকে দিয়েছেন একটা খোঁচা, ‘শর্ট বল অনেক খেলেছি। শর্ট বলে নিজের টেকনিক নিয়েও আমি সন্তুষ্ট। তবে মিচেল যদি টেস্টের এক দিন আগে তাদের বোলিং পরিকল্পনাটা আমাদের জানাতে চেয়ে থাকে, এটা তার দয়া।’ পন্টিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা উল্টো। ইংল্যান্ড শিবির থেকে কোনো চোখরাঙানি না থাকলেও সাম্প্রতিক কিছু বিব্রতকর অভিজ্ঞতা প্রিয় শট পুল নিয়ে তাঁকে ভাবাচ্ছে। কোন বলটা খেলবেন, কোনটা ছাড়বেন—পন্টিং এখন এই নিয়েই পড়ে আছেন।
অ্যাশেজের আয়নায় নিজেকে দেখার লড়াই, সঙ্গে ব্যক্তিগত ক্রিকেটীয় সামর্থ্যের পরীক্ষা মিলিয়ে এবারের অ্যাশেজের আরেক রূপ তো স্ট্রাউস বনাম পন্টিং প্রতিদ্বন্দ্বিতাই! আর এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার ‘ম্যাচ রিপোর্টে’ লোগো হিসেবে পাশাপাশি সেঁটে দেওয়া যেতে পারে লর্ডস ও গ্যাবার ছোট দুটি ছবি।
১৯৮৮ সালে ভিভ রিচার্ডসের ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারার পর গত ২১ বছরে গ্যাবায় কোনো টেস্ট হারেনি অস্ট্রেলিয়া। ১৯৮৬-৮৭-এর পর যে ইংল্যান্ডও এ মাঠে কখনো অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারেনি, সেটা বলাই বাহুল্য। এ মাঠে ১৮ টেস্ট খেলে ইংল্যান্ডের জয় মাত্র ৪টি। তবে স্ট্রাউস প্রেরণা খুঁজছেন লর্ডস থেকে। এই ক্রিকেট-তীর্থে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৫ বছর অপরাজেয় হয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। গত বছর জুলাইয়ে সে ‘কলঙ্কের’ অবসান ঘটিয়েছে স্ট্রাউসের দল। ৭৫ বছরের ইতিহাস বদলানো গেলে ২১ বছরেরটা নয় কেন?
পাঁচ টেস্টের সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে সেটা ভেবেই বেশি রোমাঞ্চিত স্ট্রাউস, ‘অস্ট্রেলিয়ার জন্য এটা পয়মন্ত হোম গ্রাউন্ড। তবে ইতিহাস বদলে দেওয়ার হাতছানি আমাদের আশাবাদী করছে। গত বছর লর্ডসেও এমন একটা রেকর্ড উল্টে দিতে পেরেছি আমরা।’ সঙ্গে গত জুলাই থেকে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট জয়ের বন্ধ্যাত্ব মিলিয়ে ব্রিসবেনে জয়ের স্বপ্নই দেখছেন সফররত অধিনায়ক। তবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অস্ট্রেলিয়া কী জিনিস, গত সফরের অভিজ্ঞতা থেকে তা জানেন বলেই সাবধানী স্ট্রাউস, ‘সন্দেহ নেই, খুব ভালো একটা সুযোগ পেয়েছি আমরা। সফরটা ভালোভাবে শুরু হয়েছে, দল হিসেবেও ভালো একটা অবস্থায় আছি। তবে এটাও মানতে হবে, কাজটা কঠিন। খুব বেশি দল এখানে এসে জিততে পারে না।’
পুরো সিরিজের দিকে না তাকিয়ে ইংল্যান্ড আপাতত ব্রিসবেন জয়ের পরিকল্পনাই আঁটছে। তবে রিকি পন্টিংয়ের চিন্তাভাবনা আরও ছোট পরিসরের করে নিয়েছেন, ‘সিরিজের প্রথম ইনিংসটাতে যাতে ভালো খেলতে পারি, এটার ওপরই সব সময় জোর দিই আমি। আগের সিরিজটার দিকে তাকান, এখানে ১৯৬ রানের একটা ইনিংস দিয়ে শুরু করেছিলাম। অ্যাডিলেডে পরের টেস্টে করলাম ১৪২ রান।’
ব্রিসবেন সুখস্মৃতি হয়ে আছে। সিরিজ শুরুর আগের দিন পন্টিংয়ের সুখানুভূতির আরেকটা কারণ, চোটজনিত অনিশ্চয়তা কাটিয়ে সহ-অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক প্রথম টেস্টে খেলার মতো ফিট। অ্যাশেজের বৃহত্তর লড়াইয়ের মধ্যে একটি খণ্ডযুদ্ধের দিকেও চোখ থাকবে সবার। কেভিন পিটারসেন বনাম জেভিয়ার ডোহার্টি। এই ডোহার্টিটা আবার কে? অস্ট্রেলিয়া দলে সর্বশেষ স্পিনার। বাঁহাতি স্পিনের বিপক্ষে কেভিন পিটারসেনের কাঁপাকাঁপির ইতিহাস মনে রেখে নাকি তাঁকে নামিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত একরকম হয়েই গেছে।
No comments