দ. কোরিয়ার ‘কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে’ পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা ওবামার
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ‘কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে’ দক্ষিণ কোরিয়ার পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। গত মঙ্গলবার দুই কোরিয়ার মধ্যে গোলাবিনিময়ের পর প্রেসিডেন্ট ওবামা এ ঘোষণা দেন। তিনি উত্তর কোরিয়ার মিত্র বলে পরিচিত চীনকে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে যোগাযোগেরও আহ্বান জানান।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং বাকের একজন মুখপাত্র জানান, প্রেসিডেন্ট লি সীমান্তসংলগ্ন পাঁচটি দ্বীপে সামরিক শক্তি বাড়ানো ও যেকোনো উসকানির পাল্টা জবাব দিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ গতকাল বুধবার উত্তর কোরিয়ার সীমান্তসংলগ্ন ইয়নপিয়ং দ্বীপ থেকে দুজন বেসামরিক নাগরিকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বলে পুলিশ দাবি করেছে।
গোলাবিনিময়ের ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়াকে দায়ী করেছে উত্তর কোরিয়া। গতকাল দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থায় বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়া উসকানিমূলকভাবে উত্তর কোরিয়াকে লক্ষ্য করে গোলা ছোড়ে। উত্তর কোরিয়া এর পাল্টা জবাব দিয়েছে।
এদিকে আগামী রোববার শুরু হতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার নৌমহড়ায় অংশ নিতে মার্কিন বিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটন পীত সাগরের দিকে যাত্রা করেছে।
গত মঙ্গলবার দুই কোরিয়ার মধ্যে ব্যাপক গোলাবিনিময় হয়। এতে দক্ষিণ কোরিয়ার দুজন মেরিন সেনা নিহত হয়। দুই সেনাসহ আহত হন অন্তত ১৫ জন বেসামরিক ব্যক্তি। দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, উত্তর কোরিয়া উসকানিমূলকভাবে পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী ইয়নপিয়ং দ্বীপে গোলা ছোড়ে। তারাও গোলা ছুড়ে এর জবাব দেয়।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ওবামা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। ওবামা ঘোষণা দেন, দক্ষিণ কোরিয়ার মিত্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশটির পাশে দাঁড়াবে। বিবৃতিতে বলা হয়, দুই নেতা আগামী দিনগুলোতে দুই দেশের মধ্যে সামরিক মহড়া ও প্রশিক্ষণ বাড়ানোর ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় গোলা নিক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামা এবিসি নিউজকে বলেন, উত্তর কোরিয়া বিশ্বের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। এর মোকাবিলা করা উচিত। তিনি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র এবং ওই এলাকায় ওয়াশিংটনের নিরাপত্তার মূল ভিত্তি। ওবামা দক্ষিণ কোরিয়ার পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি উত্তর কোরিয়ার মিত্র বলে পরিচিত চীনকে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে যোগাযোগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, পিয়ংইয়ংকে বোঝানো উচিত যে সবাইকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে।
দক্ষিণ কোরিয়া জানায়, ইয়নপিয়ং দ্বীপে আরও কামান মোতায়েন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা ইয়নপিয়ং দ্বীপ পরিদর্শন করেছেন। পরে তাঁরা গোলার আঘাতে ধ্বংস হওয়া ঘরবাড়ির ছবি প্রকাশ করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লির উদ্ধৃতি দিয়ে তাঁর এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের ভূমি ও বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্য করে গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হলেও এর অর্থ অনেক বড়। প্রেসিডেন্ট লি সীমান্তসংলগ্ন পাঁচটি দ্বীপে সামরিক শক্তি বাড়ানো ও যেকোনো উসকানির জবাব দিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়েছেন।’
ইয়নপিয়ং দ্বীপ থেকে গতকাল প্রায় ৬০ বছর বয়সের দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ। পুলিশের একজন মুখপাত্র দাবি করেন, গত মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার গোলার আঘাতেই ওই দুজন নিহত হন।
আগামী রোববার শুরু হতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার চার দিনব্যাপী যৌথ নৌমহড়ায় যোগ দিতে জাপান থেকে পীত সাগরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে পারমাণবিক শক্তিসমৃদ্ধ বিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটন। সিউলে মার্কিন কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ওই জাহাজে ৭৫টি যুদ্ধজাহাজ ও ছয় হাজারেরও বেশি ক্রু রয়েছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন দুই কোরিয়ার মধ্যে গোলাবিনিময়ের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিয়ুং বাকের একজন মুখপাত্র জানান, প্রেসিডেন্ট লি সীমান্তসংলগ্ন পাঁচটি দ্বীপে সামরিক শক্তি বাড়ানো ও যেকোনো উসকানির পাল্টা জবাব দিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ গতকাল বুধবার উত্তর কোরিয়ার সীমান্তসংলগ্ন ইয়নপিয়ং দ্বীপ থেকে দুজন বেসামরিক নাগরিকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বলে পুলিশ দাবি করেছে।
গোলাবিনিময়ের ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়াকে দায়ী করেছে উত্তর কোরিয়া। গতকাল দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থায় বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়া উসকানিমূলকভাবে উত্তর কোরিয়াকে লক্ষ্য করে গোলা ছোড়ে। উত্তর কোরিয়া এর পাল্টা জবাব দিয়েছে।
এদিকে আগামী রোববার শুরু হতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার নৌমহড়ায় অংশ নিতে মার্কিন বিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটন পীত সাগরের দিকে যাত্রা করেছে।
গত মঙ্গলবার দুই কোরিয়ার মধ্যে ব্যাপক গোলাবিনিময় হয়। এতে দক্ষিণ কোরিয়ার দুজন মেরিন সেনা নিহত হয়। দুই সেনাসহ আহত হন অন্তত ১৫ জন বেসামরিক ব্যক্তি। দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, উত্তর কোরিয়া উসকানিমূলকভাবে পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তবর্তী ইয়নপিয়ং দ্বীপে গোলা ছোড়ে। তারাও গোলা ছুড়ে এর জবাব দেয়।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ওবামা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। ওবামা ঘোষণা দেন, দক্ষিণ কোরিয়ার মিত্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশটির পাশে দাঁড়াবে। বিবৃতিতে বলা হয়, দুই নেতা আগামী দিনগুলোতে দুই দেশের মধ্যে সামরিক মহড়া ও প্রশিক্ষণ বাড়ানোর ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় গোলা নিক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামা এবিসি নিউজকে বলেন, উত্তর কোরিয়া বিশ্বের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। এর মোকাবিলা করা উচিত। তিনি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র এবং ওই এলাকায় ওয়াশিংটনের নিরাপত্তার মূল ভিত্তি। ওবামা দক্ষিণ কোরিয়ার পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি উত্তর কোরিয়ার মিত্র বলে পরিচিত চীনকে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে যোগাযোগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, পিয়ংইয়ংকে বোঝানো উচিত যে সবাইকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে।
দক্ষিণ কোরিয়া জানায়, ইয়নপিয়ং দ্বীপে আরও কামান মোতায়েন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা ইয়নপিয়ং দ্বীপ পরিদর্শন করেছেন। পরে তাঁরা গোলার আঘাতে ধ্বংস হওয়া ঘরবাড়ির ছবি প্রকাশ করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লির উদ্ধৃতি দিয়ে তাঁর এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের ভূমি ও বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্য করে গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হলেও এর অর্থ অনেক বড়। প্রেসিডেন্ট লি সীমান্তসংলগ্ন পাঁচটি দ্বীপে সামরিক শক্তি বাড়ানো ও যেকোনো উসকানির জবাব দিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়েছেন।’
ইয়নপিয়ং দ্বীপ থেকে গতকাল প্রায় ৬০ বছর বয়সের দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ। পুলিশের একজন মুখপাত্র দাবি করেন, গত মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার গোলার আঘাতেই ওই দুজন নিহত হন।
আগামী রোববার শুরু হতে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার চার দিনব্যাপী যৌথ নৌমহড়ায় যোগ দিতে জাপান থেকে পীত সাগরের উদ্দেশে রওনা হয়েছে পারমাণবিক শক্তিসমৃদ্ধ বিমানবাহী জাহাজ ইউএসএস জর্জ ওয়াশিংটন। সিউলে মার্কিন কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ওই জাহাজে ৭৫টি যুদ্ধজাহাজ ও ছয় হাজারেরও বেশি ক্রু রয়েছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন দুই কোরিয়ার মধ্যে গোলাবিনিময়ের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
No comments