ভারতে দুর্নীতির কেলেঙ্কারি ফাঁস
ভারতের অরুণাচল প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জিগং আপাং গ্রেপ্তার হন গত বুধবার। কিন্তু তখন দেশের মানুষ জানত না ভারতের সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম বড় আর্থিক দুর্নীতির ঘটনায় তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন।
সামান্য একটি জনস্বার্থ মামলা থেকে এই কেলেঙ্কারির ঘটনাটি জনসমক্ষে এসেছে। ২০০৪ সালে মামলাটি করেছিলেন অরুণাচল প্রদেশের মানবাধিকারের নেতা বামাং টোগো। কিন্তু তিনিও হয়তো কখনো কল্পনা করতে পারেননি, তাঁর এই মামলার সূত্র ধরে কত বড় দুর্নীতির ঘটনা ফাঁস হতে যাচ্ছে। হাজার কোটির বেশি রুপির এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ীদের একটি চক্র।
আপাং গ্রেপ্তার হওয়ার পর অরুণাচল সিটিজেন রাইটসের চেয়ারম্যান বামাং টোগো বলেন, ‘আমি জানতাম এটি একটি বড় দুর্নীতি, কিন্তু এর ব্যাপকতা এত বিশাল এবং এর সঙ্গে বড় বড় রাজনীতিবিদ জড়িত, তা চিন্তাও করতে পারিনি।’
২০০৪ সালের ১৩ জুন গুয়াহাটি হাইকোর্টে মামলায় টোগো অভিযোগ করেন, পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম বা পিডিএসের আওতায় জনগণের জন্য বরাদ্দ করা সরকারি খাদ্য পাচ্ছে না প্রদেশের লোকজন। সরকার ওই সব খাদ্য কালোবাজারে পাশের আসাম রাজ্যে বিক্রি করে দিচ্ছে।
অরুণাচলের মানবাধিকারকর্মীরা অভিযোগ করেন, ১৯৯০ সালের পর থেকে এ দুর্নীতি চলছে। গুয়াহাটি হাইকোর্টে যখন মামলাটি হয় তখন আপাং অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ভারতের দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা মুখ্যমন্ত্রীদের একজন আপাং। তিনি ক্ষমতায় ছিলেন ২০ বছরের বেশি।
মামলার প্রায় ছয় বছর পর গ্রেপ্তার হয়েছেন আপাং। ঘটনা তদন্তে গঠিত একটি বিশেষ তদন্ত দল (এসআইসি) তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এই তদন্ত দলটি সরাসরি গুয়াহাটি হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে।
তদন্ত যে খুব সাবলীল গতিতে এগোতে পেরেছে, তা নয়। ২০০৫ সালের মে মাসে এসআইসি গঠন করে আসামের রাজ্য সরকার। কিন্তু ২০০৭ সালের জুন পর্যন্ত তদন্তে বলতে গেলে কোনো অগ্রগতিই হয়নি। ওই বছরের ১৫ জুন তদন্ত জোরদার করতে এসআইসির প্রতি নির্দেশ দেন গুয়াহাটি হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তাদের সরাসরি হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। শেষ পর্যন্ত আপাংসহ বাঘা বাঘা রাজনীতিবিদ, আমলা এবং ব্যবসায়ী মিলিয়ে প্রায় ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় এসআইসি।
আপাংয়ের গ্রেপ্তারে ব্যাপক এই দুর্নীতির সামান্য একটি অংশ কেবল প্রকাশ পেয়েছে। এসআইসি জালে একে একে ধরা পড়তে পারেন আরও অনেক রাঘববোয়াল। ধারণা করা হচ্ছে, এই দুর্নীতি অর্থের অঙ্কে হাজার কোটি রুপি ছাড়িয়ে যেতে পারে।
১৯৯৯ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পিডিএসের আওতায় ব্যয় করা হয় হাজার কোটির বেশি রুপি। ওই সময় মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন আপাং। কিন্তু ২০০৬ থেকে ২০১০ সালের জুন পর্যন্ত এই খাতে খরচ করা হয়েছে মাত্র ২৪ কোটি রুপি। অথচ ১৯৯৯ সালে জনসংখ্যা ছিল আট লাখ, যা বর্তমানে ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
এসআইসির তদন্ত থেকে জানা গেছে, অরুণাচল রাজ্য সরকারের তৎকালীন বেসামরিক সরবরাহ বিভাগের সচিব গুয়াহাটির এলাহাবাদে একটি ব্যাংক হিসাব খোলেন। আসামের ব্যবসায়ীদের কাছে কালোবাজারে বিক্রি করে দেওয়া পণ্যের দাম নিতে তিনি এই ব্যাংক হিসাব খোলেন, যদিও এ ধরনের কাজ করার ক্ষমতা তাঁর ছিল না।
তবে এই দুর্নীতি থেকে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন আপাং। তাঁর মতে, এটি তাঁর বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
সামান্য একটি জনস্বার্থ মামলা থেকে এই কেলেঙ্কারির ঘটনাটি জনসমক্ষে এসেছে। ২০০৪ সালে মামলাটি করেছিলেন অরুণাচল প্রদেশের মানবাধিকারের নেতা বামাং টোগো। কিন্তু তিনিও হয়তো কখনো কল্পনা করতে পারেননি, তাঁর এই মামলার সূত্র ধরে কত বড় দুর্নীতির ঘটনা ফাঁস হতে যাচ্ছে। হাজার কোটির বেশি রুপির এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রাজনীতিবিদ, আমলা ও ব্যবসায়ীদের একটি চক্র।
আপাং গ্রেপ্তার হওয়ার পর অরুণাচল সিটিজেন রাইটসের চেয়ারম্যান বামাং টোগো বলেন, ‘আমি জানতাম এটি একটি বড় দুর্নীতি, কিন্তু এর ব্যাপকতা এত বিশাল এবং এর সঙ্গে বড় বড় রাজনীতিবিদ জড়িত, তা চিন্তাও করতে পারিনি।’
২০০৪ সালের ১৩ জুন গুয়াহাটি হাইকোর্টে মামলায় টোগো অভিযোগ করেন, পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম বা পিডিএসের আওতায় জনগণের জন্য বরাদ্দ করা সরকারি খাদ্য পাচ্ছে না প্রদেশের লোকজন। সরকার ওই সব খাদ্য কালোবাজারে পাশের আসাম রাজ্যে বিক্রি করে দিচ্ছে।
অরুণাচলের মানবাধিকারকর্মীরা অভিযোগ করেন, ১৯৯০ সালের পর থেকে এ দুর্নীতি চলছে। গুয়াহাটি হাইকোর্টে যখন মামলাটি হয় তখন আপাং অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ভারতের দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা মুখ্যমন্ত্রীদের একজন আপাং। তিনি ক্ষমতায় ছিলেন ২০ বছরের বেশি।
মামলার প্রায় ছয় বছর পর গ্রেপ্তার হয়েছেন আপাং। ঘটনা তদন্তে গঠিত একটি বিশেষ তদন্ত দল (এসআইসি) তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এই তদন্ত দলটি সরাসরি গুয়াহাটি হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে।
তদন্ত যে খুব সাবলীল গতিতে এগোতে পেরেছে, তা নয়। ২০০৫ সালের মে মাসে এসআইসি গঠন করে আসামের রাজ্য সরকার। কিন্তু ২০০৭ সালের জুন পর্যন্ত তদন্তে বলতে গেলে কোনো অগ্রগতিই হয়নি। ওই বছরের ১৫ জুন তদন্ত জোরদার করতে এসআইসির প্রতি নির্দেশ দেন গুয়াহাটি হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তাদের সরাসরি হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। শেষ পর্যন্ত আপাংসহ বাঘা বাঘা রাজনীতিবিদ, আমলা এবং ব্যবসায়ী মিলিয়ে প্রায় ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় এসআইসি।
আপাংয়ের গ্রেপ্তারে ব্যাপক এই দুর্নীতির সামান্য একটি অংশ কেবল প্রকাশ পেয়েছে। এসআইসি জালে একে একে ধরা পড়তে পারেন আরও অনেক রাঘববোয়াল। ধারণা করা হচ্ছে, এই দুর্নীতি অর্থের অঙ্কে হাজার কোটি রুপি ছাড়িয়ে যেতে পারে।
১৯৯৯ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত পিডিএসের আওতায় ব্যয় করা হয় হাজার কোটির বেশি রুপি। ওই সময় মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন আপাং। কিন্তু ২০০৬ থেকে ২০১০ সালের জুন পর্যন্ত এই খাতে খরচ করা হয়েছে মাত্র ২৪ কোটি রুপি। অথচ ১৯৯৯ সালে জনসংখ্যা ছিল আট লাখ, যা বর্তমানে ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
এসআইসির তদন্ত থেকে জানা গেছে, অরুণাচল রাজ্য সরকারের তৎকালীন বেসামরিক সরবরাহ বিভাগের সচিব গুয়াহাটির এলাহাবাদে একটি ব্যাংক হিসাব খোলেন। আসামের ব্যবসায়ীদের কাছে কালোবাজারে বিক্রি করে দেওয়া পণ্যের দাম নিতে তিনি এই ব্যাংক হিসাব খোলেন, যদিও এ ধরনের কাজ করার ক্ষমতা তাঁর ছিল না।
তবে এই দুর্নীতি থেকে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন আপাং। তাঁর মতে, এটি তাঁর বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
No comments