ক্রিকেট এখন পুলিশের হাতে
ক্রিকেটই তাদের গর্ব করার মতো অনেক উপলক্ষ এনে দিয়েছে। আবার ১৫ বছর ধরে সেই ক্রিকেটই পাকিস্তানকে বারবার ডুবিয়েছে কেলেঙ্কারিতে। বন্যা, সন্ত্রাস, যুদ্ধ, রাজনৈতিক সহিংসতায় জর্জরিত পাকিস্তানকে আবারও লজ্জায় ডোবাতে চলেছে সেই ক্রিকেট।
এই লজ্জায় আরও একবার পুরো জাতির মাথা অবনত হয়ে গেছে বলে এক বিবৃতিতে বললেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি, ‘সাম্প্রতিক এই গড়াপেটার কেলেঙ্কারিতে লজ্জায় আমাদের মাথা নিচু হয়ে গিয়েছে। এই অভিযোগের পরিষ্কার তদন্ত করে যারা দোষী প্রমাণিত হবে তাদের বিপক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি নির্দেশ দিয়েছি।’
কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটা পরের কথা। তবে আপাতত জামিনে মুক্তি পেয়ে গেছেন এবারের ‘স্পট ফিক্সিং’ কেলেঙ্কারির কেন্দ্রীয় চরিত্র মাজহার মাজিদ। ইংলিশ ট্যাবলয়েড নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড-এর দাবি, এশীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক মাজিদ পাকিস্তানের কয়েকজন খেলোয়াড়কে টাকা দিয়ে ম্যাচের অংশবিশেষ গড়াপেটা করেছেন।
পত্রিকাটির প্রতিবেদন দেখে মাজিদকে গ্রেপ্তার করেছিল লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ বা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। গতকাল তাঁকে জামিনে মুক্তিও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁকে তদন্তের স্বার্থে আবার হাজির হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে মাজিদ কী বলেছেন, তা জানায়নি স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা জিজ্ঞাসাবাদে কী বলেছেন, তাও জানায়নি সংস্থাটি। তবে এটুকু জানা গেছে, পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটার আমির, আসিফ ও বাটের মোবাইল ফোন জব্দ করেছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড।
আগেই খেলোয়াড়দের হোটেল রুম থেকে তদন্তকারী সংস্থাটি উদ্ধার করেছে বিপুল পরিমাণ পাউন্ড। আর এই পাউন্ডের নোটগুলো ধরেই তদন্ত এগোচ্ছে বলে অনুমান সংবাদমাধ্যমের। খেলোয়াড়দের ঘর থেকে পাওয়া নোটের সঙ্গে মাজিদকে নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড প্রতিবেদকের দেওয়া নোটের নম্বর মিলে গেলেই তদন্তকাজ একরকম সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাবে।
অপরাধ প্রমাণিত হবে কি হবে না, সেটা পরের বিষয়। তবে আপাতত স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের এই তদন্তে যুক্ত হতে চাইছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি)। পিসিবির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পিসিবি এবং ইংল্যান্ডে পাকিস্তান হাইকমিশনকে তদন্তে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য ইংল্যান্ডের বিদেশি দপ্তরকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পাকিস্তান সরকার নিজস্ব তদন্তও শুরু করেছে। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক জানিয়েছেন, পাকিস্তানের তদন্তকারী সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) তিন সদস্য লন্ডনে যাচ্ছেন পুরো বিষয়টি তদন্ত করতে।
তদন্ত নিয়ে যখন এত কিছু চলছে, তখন একটু একটু করে থলেতে লুকানো আরও অনেক বিড়ালের মাথা বেরিয়ে আসছে। এখন জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের বেশ কিছু ক্রিকেটার এবং মাজহার মজিদ কিছুদিন ধরেই আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ও নিরাপত্তাবিষয়ক দলের (এসিএসইউ) নজরে ছিলেন। ক্রিকইনফোর দাবি, এই খেলোয়াড়দের মধ্যে সালমান বাট ও কামরান আকমল আছেন।
এই নজরদারিটা মূলত গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তানের বিতর্কিত সিডনি টেস্ট পরাজয়ের পর থেকে শুরু হয়েছে। আগের দিনই নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ডকে মাজিদ বলেছিলেন, ওই টেস্টটি পাতানো ছিল। এখন শোনা যাচ্ছে, চলতি সফরেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের প্রথম টেস্টটিও পাতানো ছিল! এ ব্যাপারে নাকি স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের এক কর্মকর্তা নাকি মাসখানেক আগে সতর্ক করে দিয়েছিলেন।
সব মিলে তদন্ত শেষে থলে থেকে কত বিড়াল কী চেহারায় বেরিয়ে আসবে, তা সময় বলে দেবে। আপাতত এই তদন্তের দিকেই শুধু চেয়ে আছে আইসিসি। আইসিসি সভাপতি শারদ পাওয়ার বলছেন, তাঁরা বিষয়টি আলোচনা করেছেন এবং পুলিশের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পাওয়ারের বক্তব্য, পুলিশি তদন্তে যাঁরা দোষী প্রমাণিত হবেন, তাঁদের বিপক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই ব্যবস্থা নিতে গিয়ে লর্ডস টেস্টটাই বাতিল হয়ে যাবে না তো! সেই নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ডই আশঙ্কা করেছে, এমনও হতে পারে। তাহলে মুছে যাবে স্টুয়ার্ট ব্রডের অসামান্য ব্যাটিং-কীর্তিও।
পাপ নাকি এভাবে নিষ্পাপকেও সঙ্গে নিয়ে যায়!
এই লজ্জায় আরও একবার পুরো জাতির মাথা অবনত হয়ে গেছে বলে এক বিবৃতিতে বললেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি, ‘সাম্প্রতিক এই গড়াপেটার কেলেঙ্কারিতে লজ্জায় আমাদের মাথা নিচু হয়ে গিয়েছে। এই অভিযোগের পরিষ্কার তদন্ত করে যারা দোষী প্রমাণিত হবে তাদের বিপক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি নির্দেশ দিয়েছি।’
কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটা পরের কথা। তবে আপাতত জামিনে মুক্তি পেয়ে গেছেন এবারের ‘স্পট ফিক্সিং’ কেলেঙ্কারির কেন্দ্রীয় চরিত্র মাজহার মাজিদ। ইংলিশ ট্যাবলয়েড নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড-এর দাবি, এশীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক মাজিদ পাকিস্তানের কয়েকজন খেলোয়াড়কে টাকা দিয়ে ম্যাচের অংশবিশেষ গড়াপেটা করেছেন।
পত্রিকাটির প্রতিবেদন দেখে মাজিদকে গ্রেপ্তার করেছিল লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ বা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। গতকাল তাঁকে জামিনে মুক্তিও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁকে তদন্তের স্বার্থে আবার হাজির হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদে মাজিদ কী বলেছেন, তা জানায়নি স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা জিজ্ঞাসাবাদে কী বলেছেন, তাও জানায়নি সংস্থাটি। তবে এটুকু জানা গেছে, পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটার আমির, আসিফ ও বাটের মোবাইল ফোন জব্দ করেছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড।
আগেই খেলোয়াড়দের হোটেল রুম থেকে তদন্তকারী সংস্থাটি উদ্ধার করেছে বিপুল পরিমাণ পাউন্ড। আর এই পাউন্ডের নোটগুলো ধরেই তদন্ত এগোচ্ছে বলে অনুমান সংবাদমাধ্যমের। খেলোয়াড়দের ঘর থেকে পাওয়া নোটের সঙ্গে মাজিদকে নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড প্রতিবেদকের দেওয়া নোটের নম্বর মিলে গেলেই তদন্তকাজ একরকম সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাবে।
অপরাধ প্রমাণিত হবে কি হবে না, সেটা পরের বিষয়। তবে আপাতত স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের এই তদন্তে যুক্ত হতে চাইছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি)। পিসিবির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পিসিবি এবং ইংল্যান্ডে পাকিস্তান হাইকমিশনকে তদন্তে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য ইংল্যান্ডের বিদেশি দপ্তরকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পাকিস্তান সরকার নিজস্ব তদন্তও শুরু করেছে। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক জানিয়েছেন, পাকিস্তানের তদন্তকারী সংস্থা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) তিন সদস্য লন্ডনে যাচ্ছেন পুরো বিষয়টি তদন্ত করতে।
তদন্ত নিয়ে যখন এত কিছু চলছে, তখন একটু একটু করে থলেতে লুকানো আরও অনেক বিড়ালের মাথা বেরিয়ে আসছে। এখন জানা যাচ্ছে, পাকিস্তানের বেশ কিছু ক্রিকেটার এবং মাজহার মজিদ কিছুদিন ধরেই আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ও নিরাপত্তাবিষয়ক দলের (এসিএসইউ) নজরে ছিলেন। ক্রিকইনফোর দাবি, এই খেলোয়াড়দের মধ্যে সালমান বাট ও কামরান আকমল আছেন।
এই নজরদারিটা মূলত গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তানের বিতর্কিত সিডনি টেস্ট পরাজয়ের পর থেকে শুরু হয়েছে। আগের দিনই নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ডকে মাজিদ বলেছিলেন, ওই টেস্টটি পাতানো ছিল। এখন শোনা যাচ্ছে, চলতি সফরেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের প্রথম টেস্টটিও পাতানো ছিল! এ ব্যাপারে নাকি স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের এক কর্মকর্তা নাকি মাসখানেক আগে সতর্ক করে দিয়েছিলেন।
সব মিলে তদন্ত শেষে থলে থেকে কত বিড়াল কী চেহারায় বেরিয়ে আসবে, তা সময় বলে দেবে। আপাতত এই তদন্তের দিকেই শুধু চেয়ে আছে আইসিসি। আইসিসি সভাপতি শারদ পাওয়ার বলছেন, তাঁরা বিষয়টি আলোচনা করেছেন এবং পুলিশের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পাওয়ারের বক্তব্য, পুলিশি তদন্তে যাঁরা দোষী প্রমাণিত হবেন, তাঁদের বিপক্ষে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই ব্যবস্থা নিতে গিয়ে লর্ডস টেস্টটাই বাতিল হয়ে যাবে না তো! সেই নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ডই আশঙ্কা করেছে, এমনও হতে পারে। তাহলে মুছে যাবে স্টুয়ার্ট ব্রডের অসামান্য ব্যাটিং-কীর্তিও।
পাপ নাকি এভাবে নিষ্পাপকেও সঙ্গে নিয়ে যায়!
No comments