ঋণ কমিয়ে বাজারের লাগাম টানা যাবে না: বিএমবিএ
বেশ কিছুদিন ধরে বাজারে যেসব শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে, সেগুলোর বড় অংশই ঋণসুবিধার বাইরে রয়েছে। অপরদিকে অপেক্ষাকৃত ভালো মৌলভিত্তির অনেক কোম্পানির শেয়ারের দাম ঋণসুবিধা পাওয়ার পরও কমছে। এতে বোঝা যায়, শেয়ার অতিমূল্যায়িত হওয়ার পেছনে ঋণের ভূমিকা খুবই সামান্য।
তারপরও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ঋণ কমিয়ে তারল্যপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে জটিল কোনো প্রক্রিয়ায় না গিয়ে সরাসরি ঋণসীমা কমিয়ে তা করতে পারে। তাহলে তার পরিপালনও ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অনেক সহজ হবে।
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) বৈঠক শেষে এক সংবাদ বিফ্রিংয়ে সংগঠনটির নেতারা গতকাল সোমবার এসব কথা বলেন। তাঁরা বলেন, ঋণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তারল্যপ্রবাহ কমিয়ে বাজারের লাগাম টানার চেষ্টা খুব একটা সফল হবে বলে মনে হয় না। যুক্তি হিসেবে তাঁরা জানান, বর্তমানে তালিকাভুক্ত আড়াই শতাধিক কোম্পানির মধ্যে সর্বোচ্চ ৮০টি ঋণের আওতায় রয়েছে। তা ছাড়া গত এক বছরে বিভিন্ন সময় ঋণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বাজার স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা তেমনভাবে সফল হয়নি। এর বড় কারণ বাজারে নগদ টাকার প্রবাহ রয়েছে। তাই ঋণ নিয়ন্ত্রণ নয়, বাজারের স্থিতিশীলতার জন্য এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নতুন নতুন শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানো।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএমবিএর সভাপতি ও আইডিএলসি ফাইন্যান্সের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ খান, সংগঠনের সহসভাপতি আখতার হোসেন সান্নামাতসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ঋণ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) কঠোর অবস্থান প্রসঙ্গে মার্চেন্ট ব্যাংকের নেতারা বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঋণ বিতরণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য এসইসির বেঁধে দেওয়া বিধান মানতে গেলে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কারণ এ বিধান মেনে ঋণ সমন্বয় করতে গেলে অনেক গ্রাহকের শেয়ার জোর করে বিক্রি করে দিতে হবে। এতে তাঁদের বড় অংশই বাধ্যতামূলক লোকসানের শিকার হবেন। আর এটি হবে এসব বিনিয়োগকারীর প্রতি এক ধরনের অবিচার। কারণ তাঁরা যখন ঋণ নিয়েছিলেন তখন ঋণ সমন্বয়ে এসইসির কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। তাই ইতিপূর্বে যাঁরা ঋণ নিয়েছেন, তাঁদের জন্য এ বিধান প্রযোজ্য হওয়া উচিত নয়।
এক প্রশ্নের জবাবে আরিফ খান বলেন, এসইসির ঋণ বিতরণ ও ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত নিয়ম মানার মতো প্রস্তুতি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর নেই। তাই ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ নিয়ম পরিপালন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এ বিধান যথাযথভাবে পরিপালন করার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট সময় দরকার।
বিএনবিএর নেতারা মনে করেন, শেয়ারের বাজারমূল্য ও প্রকৃত সম্পদমূল্যের (এনএভি) ভিত্তিতে ঋণ বিতরণ ও ব্যবস্থাপনার নিয়মটি তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানির মধ্যে সম্পদ পুনর্মূল্যায়নের প্রবণতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলো তাদের এনএভির পরিমাণ বাড়িয়ে বাজার থেকে এক ধরনের ফায়দা লোটার চেষ্টা করবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বিএমবিএর নেতারা বলেন, এখনই বিনিয়োগকারীদের বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। আগামী রোববার বিষয়টি নিয়ে আবার এসইসির সঙ্গে বৈঠক হবে। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে ঋণ নিয়ে অবশ্যই একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান বের হয়ে আসবে বলে তাঁরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তারপরও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ঋণ কমিয়ে তারল্যপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে জটিল কোনো প্রক্রিয়ায় না গিয়ে সরাসরি ঋণসীমা কমিয়ে তা করতে পারে। তাহলে তার পরিপালনও ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অনেক সহজ হবে।
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) বৈঠক শেষে এক সংবাদ বিফ্রিংয়ে সংগঠনটির নেতারা গতকাল সোমবার এসব কথা বলেন। তাঁরা বলেন, ঋণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তারল্যপ্রবাহ কমিয়ে বাজারের লাগাম টানার চেষ্টা খুব একটা সফল হবে বলে মনে হয় না। যুক্তি হিসেবে তাঁরা জানান, বর্তমানে তালিকাভুক্ত আড়াই শতাধিক কোম্পানির মধ্যে সর্বোচ্চ ৮০টি ঋণের আওতায় রয়েছে। তা ছাড়া গত এক বছরে বিভিন্ন সময় ঋণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বাজার স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা তেমনভাবে সফল হয়নি। এর বড় কারণ বাজারে নগদ টাকার প্রবাহ রয়েছে। তাই ঋণ নিয়ন্ত্রণ নয়, বাজারের স্থিতিশীলতার জন্য এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নতুন নতুন শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানো।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএমবিএর সভাপতি ও আইডিএলসি ফাইন্যান্সের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ খান, সংগঠনের সহসভাপতি আখতার হোসেন সান্নামাতসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ঋণ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) কঠোর অবস্থান প্রসঙ্গে মার্চেন্ট ব্যাংকের নেতারা বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঋণ বিতরণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য এসইসির বেঁধে দেওয়া বিধান মানতে গেলে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কারণ এ বিধান মেনে ঋণ সমন্বয় করতে গেলে অনেক গ্রাহকের শেয়ার জোর করে বিক্রি করে দিতে হবে। এতে তাঁদের বড় অংশই বাধ্যতামূলক লোকসানের শিকার হবেন। আর এটি হবে এসব বিনিয়োগকারীর প্রতি এক ধরনের অবিচার। কারণ তাঁরা যখন ঋণ নিয়েছিলেন তখন ঋণ সমন্বয়ে এসইসির কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। তাই ইতিপূর্বে যাঁরা ঋণ নিয়েছেন, তাঁদের জন্য এ বিধান প্রযোজ্য হওয়া উচিত নয়।
এক প্রশ্নের জবাবে আরিফ খান বলেন, এসইসির ঋণ বিতরণ ও ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত নিয়ম মানার মতো প্রস্তুতি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর নেই। তাই ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ নিয়ম পরিপালন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এ বিধান যথাযথভাবে পরিপালন করার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট সময় দরকার।
বিএনবিএর নেতারা মনে করেন, শেয়ারের বাজারমূল্য ও প্রকৃত সম্পদমূল্যের (এনএভি) ভিত্তিতে ঋণ বিতরণ ও ব্যবস্থাপনার নিয়মটি তালিকাভুক্ত অনেক কোম্পানির মধ্যে সম্পদ পুনর্মূল্যায়নের প্রবণতা বাড়িয়ে দিতে পারে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলো তাদের এনএভির পরিমাণ বাড়িয়ে বাজার থেকে এক ধরনের ফায়দা লোটার চেষ্টা করবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বিএমবিএর নেতারা বলেন, এখনই বিনিয়োগকারীদের বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। আগামী রোববার বিষয়টি নিয়ে আবার এসইসির সঙ্গে বৈঠক হবে। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে ঋণ নিয়ে অবশ্যই একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান বের হয়ে আসবে বলে তাঁরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
No comments