ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রথম অংশের খসড়া তৈরি
মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) হার বৃদ্ধি, দারিদ্র্যের হার কমানো, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতসহ আটটি লক্ষ্য সামনে রেখে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রথম অংশের খসড়া সম্পন্ন করা হয়েছে। খাতভিত্তিক পরিকল্পনার দলিল অর্থাৎ দ্বিতীয় অংশের খসড়া চূড়ান্ত করা হবে আরও কিছুদিন পর।
সরকারের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্থাৎ নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন এবং ‘রূপকল্প ২০২১’-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাজানো হয়েছে এই পরিকল্পনা। ১৮ আগস্ট অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকারের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠেয় আরেক বৈঠকে দ্বিতীয় অংশের খসড়া উপস্থাপন করা হবে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
এরপর মন্ত্রিসভায় পুরো দলিলের খসড়া উপস্থাপন করা হবে। মন্ত্রিসভায় পর্যালোচনার পর অনুমোদন পেলে চূড়ান্ত খসড়াটি অনুমোদনের জন্য জাতীয় সংসদে তোলা হবে।
বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদকে প্রধান করে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা দলিল প্রণয়নের ব্যাপারে সার্বিক পর্যবেক্ষণের জন্য অর্থনীতিবিদদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করা হয়।
জানা গেছে, গত সপ্তাহে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের এক বৈঠকে পরিকল্পনার সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিবিষয়ক অধ্যায়টি আটটি বিষয় নিয়ে সাজানোর জন্য একমত পোষণ করেছেন সদস্যরা।
প্যানেল-প্রধান ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের কয়েকজন সদস্য এবং পরিকল্পনা কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
যে আটটি বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে: আগের অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি পর্যালোচনা করা; প্রবৃদ্ধির কৌশল ও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ; সামষ্টিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও আয়বৈষম্য কমিয়ে আনার কৌশল গ্রহণ; প্রতিবছর সামষ্টিক অর্থনীতির পরিকল্পনা গ্রহণ; সামাজিক সম্পদ ও কৌশল গ্রহণ; দারিদ্র্য দূরীকরণ ও সামাজিক নিরাপত্তা জোরদারকরণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
অর্থনীতিবিদদের মতে, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর প্রধান হাতিয়ার হবে শিল্পায়ন। পাশাপাশি থাকতে হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) উন্নয়ন। এতে আয়বৈষম্য দূর হবে, সমতাভিত্তিক অর্থনীতির বাস্তবায়ন হবে এবং সুসম উন্নয়নও সম্ভব হবে।
তাই বেকার যুবকদের জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে বলেও বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন। তাঁরা প্রয়োজনে সরকার-ঘোষিত সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং এই খাতের প্রয়োজনে শিক্ষাকেও অন্তর্ভুক্ত করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এ জন্য বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের জন্য বিদ্যমান আড়াই শতাংশ বরাদ্দের পরিবর্তে সাড়ে তিন শতাংশ বরাদ্দ প্রদানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে সবার জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য গ্রামভিত্তিক নাকি নগরভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলা হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তবে বৈঠকে মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ প্রদানের সুপারিশ করেছেন অর্থনীতিবিদেরা।
সূত্র আরও জানায়, বৈঠকে অর্থনীতিবিদেরা দেশের মুদ্রা বিনিময় হারের বিষয়ে একটি কৌশল গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তাঁদের মতে, এই বিনিময় হারের ওপর দেশের প্রবাসীসহ ব্যাপক মানুষ লাভ-লোকসানের সঙ্গে জড়িত থাকে। তাই যেনতেনভাবে বিনিময় হার আরোপ ঠিক নয় বলে মনে করেন তাঁরা।
অর্থনীতিবিদদের মতে, দেশে মূলত টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার মাধ্যমেই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিতে হবে। তাই জলবায়ু পরিবর্তন রোধসহ প্রয়োজনীয় সব বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিয়ে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য শামসুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, দারিদ্র্য নিরসন, সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধি অর্জনসহ জাতিসংঘ ঘোষিত এমডিজি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। স্বাভাবিক কারণেই এতে সরকারের রাজনৈতিক দর্শনেরও প্রতিফলন থাকবে।
তবে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রথম অংশের খসড়া নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করার কোনো কারণ নেই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মইনুল ইসলাম।
মইনুল ইসলাম বলেন, ‘পরিকল্পনার খসড়ায় প্রবৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ সেটাই চায়। ‘প্রবৃদ্ধি বাড়াও’ হলো তাদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই নীতি-দর্শনে যে কারও কোনো লাভ হয় না, সেটা তো ইতিমধ্যেই প্রমাণিত।’
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের ভাবাদর্শের অনুসারী প্রতিষ্ঠান। তাই এই প্রতিষ্ঠানের কোনো নীতি ও পরামর্শ গ্রহণ অন্তত আওয়ামী লীগের মতো সরকারের কাছ থেকে তিনি আশা করেন না বলে জানান।
মইনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘দেশে অর্থনৈতিক বৈষম্য অনেক বেড়ে গেছে। পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আয় ও সম্পদের বৈষম্য হ্রাসের বিষয়ে অগ্রাধিকার থাকা উচিত।’ আগামী বৈঠকে এ বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপনের আশা পোষণ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, পিআরআই পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার খসড়া প্রণয়নের কাজ করছে। তবে এ প্রসঙ্গে শামসুল আলম বলেন, পিআরআই গোটা দলিলের কিছু অংশের খসড়া প্রণয়নের কাজ করছে। বেশির ভাগ কাজই করছে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)।
সরকারের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্থাৎ নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন এবং ‘রূপকল্প ২০২১’-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাজানো হয়েছে এই পরিকল্পনা। ১৮ আগস্ট অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকারের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠেয় আরেক বৈঠকে দ্বিতীয় অংশের খসড়া উপস্থাপন করা হবে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
এরপর মন্ত্রিসভায় পুরো দলিলের খসড়া উপস্থাপন করা হবে। মন্ত্রিসভায় পর্যালোচনার পর অনুমোদন পেলে চূড়ান্ত খসড়াটি অনুমোদনের জন্য জাতীয় সংসদে তোলা হবে।
বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদকে প্রধান করে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা দলিল প্রণয়নের ব্যাপারে সার্বিক পর্যবেক্ষণের জন্য অর্থনীতিবিদদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করা হয়।
জানা গেছে, গত সপ্তাহে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের এক বৈঠকে পরিকল্পনার সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতিবিষয়ক অধ্যায়টি আটটি বিষয় নিয়ে সাজানোর জন্য একমত পোষণ করেছেন সদস্যরা।
প্যানেল-প্রধান ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিশেষজ্ঞ প্যানেলের কয়েকজন সদস্য এবং পরিকল্পনা কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
যে আটটি বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে: আগের অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি পর্যালোচনা করা; প্রবৃদ্ধির কৌশল ও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ; সামষ্টিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও আয়বৈষম্য কমিয়ে আনার কৌশল গ্রহণ; প্রতিবছর সামষ্টিক অর্থনীতির পরিকল্পনা গ্রহণ; সামাজিক সম্পদ ও কৌশল গ্রহণ; দারিদ্র্য দূরীকরণ ও সামাজিক নিরাপত্তা জোরদারকরণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
অর্থনীতিবিদদের মতে, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর প্রধান হাতিয়ার হবে শিল্পায়ন। পাশাপাশি থাকতে হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) উন্নয়ন। এতে আয়বৈষম্য দূর হবে, সমতাভিত্তিক অর্থনীতির বাস্তবায়ন হবে এবং সুসম উন্নয়নও সম্ভব হবে।
তাই বেকার যুবকদের জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে বলেও বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন। তাঁরা প্রয়োজনে সরকার-ঘোষিত সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং এই খাতের প্রয়োজনে শিক্ষাকেও অন্তর্ভুক্ত করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এ জন্য বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের জন্য বিদ্যমান আড়াই শতাংশ বরাদ্দের পরিবর্তে সাড়ে তিন শতাংশ বরাদ্দ প্রদানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে সবার জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য গ্রামভিত্তিক নাকি নগরভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলা হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তবে বৈঠকে মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ প্রদানের সুপারিশ করেছেন অর্থনীতিবিদেরা।
সূত্র আরও জানায়, বৈঠকে অর্থনীতিবিদেরা দেশের মুদ্রা বিনিময় হারের বিষয়ে একটি কৌশল গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তাঁদের মতে, এই বিনিময় হারের ওপর দেশের প্রবাসীসহ ব্যাপক মানুষ লাভ-লোকসানের সঙ্গে জড়িত থাকে। তাই যেনতেনভাবে বিনিময় হার আরোপ ঠিক নয় বলে মনে করেন তাঁরা।
অর্থনীতিবিদদের মতে, দেশে মূলত টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার মাধ্যমেই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিতে হবে। তাই জলবায়ু পরিবর্তন রোধসহ প্রয়োজনীয় সব বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিয়ে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য শামসুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, দারিদ্র্য নিরসন, সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধি অর্জনসহ জাতিসংঘ ঘোষিত এমডিজি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। স্বাভাবিক কারণেই এতে সরকারের রাজনৈতিক দর্শনেরও প্রতিফলন থাকবে।
তবে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার প্রথম অংশের খসড়া নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করার কোনো কারণ নেই বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মইনুল ইসলাম।
মইনুল ইসলাম বলেন, ‘পরিকল্পনার খসড়ায় প্রবৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ সেটাই চায়। ‘প্রবৃদ্ধি বাড়াও’ হলো তাদের দৃষ্টিভঙ্গি। এই নীতি-দর্শনে যে কারও কোনো লাভ হয় না, সেটা তো ইতিমধ্যেই প্রমাণিত।’
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের ভাবাদর্শের অনুসারী প্রতিষ্ঠান। তাই এই প্রতিষ্ঠানের কোনো নীতি ও পরামর্শ গ্রহণ অন্তত আওয়ামী লীগের মতো সরকারের কাছ থেকে তিনি আশা করেন না বলে জানান।
মইনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘দেশে অর্থনৈতিক বৈষম্য অনেক বেড়ে গেছে। পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আয় ও সম্পদের বৈষম্য হ্রাসের বিষয়ে অগ্রাধিকার থাকা উচিত।’ আগামী বৈঠকে এ বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপনের আশা পোষণ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, পিআরআই পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার খসড়া প্রণয়নের কাজ করছে। তবে এ প্রসঙ্গে শামসুল আলম বলেন, পিআরআই গোটা দলিলের কিছু অংশের খসড়া প্রণয়নের কাজ করছে। বেশির ভাগ কাজই করছে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)।
No comments