প্রধান মুদ্রাগুলোর বিপরীতে মার্কিন ডলার শক্তিশালী
আমদানিজনিত চাহিদায় গত সপ্তাহে স্থানীয় আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দর কিঞ্চিৎ বেড়েছে। সপ্তাহের শুরুতে প্রতি ডলার ৬৯ টাকা ৪৪ পয়সায় কেনাবেচা হয়, যা সপ্তাহের মাঝামাঝি সময় ৬৯ টাকা ৪৫ পয়সায় ওঠে যায় এবং সপ্তাহ শেষেও প্রায় একই হার বজায় থাকে।
বিশ্বের প্রধান অর্থনীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলার গত দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভালো সময় কাটিয়েছে গত সপ্তাহে (৭ থেকে ১৩ আগস্ট)। জাপানি মুদ্রা ইয়েনের বিপরীতে মার্কিন ডলার টানা ঊর্ধ্বগতির মধ্য দিয়ে এই সপ্তাহ পার করে।
শুক্রবার ইতালির ঋণকোষ বিক্রি ও যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা তথ্যের দুর্বলতার কারণে বাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক ঝুঁকিবিমুখতা দেখা দেয়। এর ফলে মার্কিন অন্যান্য প্রধান মুদ্রার বিপরীতে ডলার ব্যাপক শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
এর আগে অবশ্য জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের মুদ্রা ইয়েনের দর নিয়ন্ত্রণে কোনো রকম হস্তক্ষেপ করবে না—এমন খবরে মুদ্রাটির বিনিময় হার মার্কিন ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এর বদৌলতে মঙ্গলবার ও বুধবার পরপর দুই দিন জাপানি ইয়েনের বিপরীতে মার্কিন ডলারের দর কমে গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। এর মধ্যে গত বুধবার প্রতি ডলার ৮৫ দশমিক ৭২ ইয়েনে লেনদেন হয়।
গত সপ্তাহে একপর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অর্থনীতির দুর্বলতার তথ্যে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদে বিনিয়োগ ছেড়ে দিতে থাকে। যে কারণে বেশি সুদের মুদ্রা ও শেয়ারবাজারগুলোতে নিম্নমুখিতা দেখা দেয়। যা হোক, সপ্তাহ শেষে প্রতি ইউরো ১ দশমিক ২৭৬৩ ডলার, প্রতি পাউন্ড স্টার্লিং ১ দশমিক ৫৬১১ ডলার এবং প্রতি ডলার ৮৬ দশমিক ৩০ ইয়েনে লেনদেন হয়েছে।
মার্কিন ডলারের দুর্বলতা ও ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কায় সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৮২ দশমিক ৯৭ ডলারে উন্নীত হয়। তবে চীনের আমদানি কমে যাওয়ার খবরে মঙ্গলবার প্রতি ব্যারেলের দর ৮১ ডলারে নেমে আসে। চীন গত জুলাই মাসে প্রতিদিন ৪৪ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল করে মোট এক কোটি ৯০ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে। এর আগের মাসে অবশ্য চীন প্রতিদিন ৫৪ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছিল চীন। এই দরপতন আরও ত্বরান্বিত হয় ওই দিনের শেষে।
ইউরোর বিপরীতে ডলারের দর মঙ্গলবার নাটকীয়ভাবে বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নাইমেক্স সূচকে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দর শূন্য দশমিক ২ ডলার পড়ে যায়। এরপর গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে তেলের চাহিদা কমে যাওয়ার আশঙ্কায় অপরিশোধিত তেলের নাইমেক্স সূচক আরও কমে। সপ্তাহ শেষে অপরিশোধিত তেলের নাইমেক্স সূচক ব্যারেলপ্রতি ৭৫ দশমিক ৫৭ ডলারে নেমে আসে।
বিশ্ববাজারে গত সপ্তাহে স্বর্ণ ও রৌপ্য আউন্সপ্রতি যথাক্রমে এক হাজার ২১৪ দশমিক ৪০ ডলার এবং ১৮ দশমিক ১০ ডলারে কেনাবেচা হয়।
এদিকে বাংলাদেশের আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে গত সপ্তাহের শুরুতে কলমানি মার্কেটের লেনদেনে কিছুটা চাহিদা দেখা গেলেও বেশির ভাগ লেনদেনই হয় পাঁচ শতাংশ সুদে। তবে সপ্তাহের শেষভাগে আন্তব্যাংক কলমানির বাজারে অস্থিরতা দেখা যায়, যে কারণে কলমানির সুদের হার বেড়ে আট শতাংশে ওঠে যায়।
আলোচ্য সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকে ১৫ বছর মেয়াদি সরকারি বন্ডের নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ১৪১ কোটি ৫০ লাখ টাকার দরপত্রের বিপরীতে ১৪০ কোটি টাকার দরপত্র গৃহীত হয়। এই বন্ডের নিলামে অন্তর্নিহিত সুদের হার ০১ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে ০৮ দশমিক ৮৬ শতাংশে নির্ধারিত হয়। সূত্র: সিটিব্যাংক এনএ বাংলাদেশ।
বিশ্বের প্রধান অর্থনীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলার গত দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভালো সময় কাটিয়েছে গত সপ্তাহে (৭ থেকে ১৩ আগস্ট)। জাপানি মুদ্রা ইয়েনের বিপরীতে মার্কিন ডলার টানা ঊর্ধ্বগতির মধ্য দিয়ে এই সপ্তাহ পার করে।
শুক্রবার ইতালির ঋণকোষ বিক্রি ও যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা তথ্যের দুর্বলতার কারণে বাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক ঝুঁকিবিমুখতা দেখা দেয়। এর ফলে মার্কিন অন্যান্য প্রধান মুদ্রার বিপরীতে ডলার ব্যাপক শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
এর আগে অবশ্য জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের মুদ্রা ইয়েনের দর নিয়ন্ত্রণে কোনো রকম হস্তক্ষেপ করবে না—এমন খবরে মুদ্রাটির বিনিময় হার মার্কিন ডলারের বিপরীতে শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এর বদৌলতে মঙ্গলবার ও বুধবার পরপর দুই দিন জাপানি ইয়েনের বিপরীতে মার্কিন ডলারের দর কমে গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। এর মধ্যে গত বুধবার প্রতি ডলার ৮৫ দশমিক ৭২ ইয়েনে লেনদেন হয়।
গত সপ্তাহে একপর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অর্থনীতির দুর্বলতার তথ্যে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদে বিনিয়োগ ছেড়ে দিতে থাকে। যে কারণে বেশি সুদের মুদ্রা ও শেয়ারবাজারগুলোতে নিম্নমুখিতা দেখা দেয়। যা হোক, সপ্তাহ শেষে প্রতি ইউরো ১ দশমিক ২৭৬৩ ডলার, প্রতি পাউন্ড স্টার্লিং ১ দশমিক ৫৬১১ ডলার এবং প্রতি ডলার ৮৬ দশমিক ৩০ ইয়েনে লেনদেন হয়েছে।
মার্কিন ডলারের দুর্বলতা ও ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কায় সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৮২ দশমিক ৯৭ ডলারে উন্নীত হয়। তবে চীনের আমদানি কমে যাওয়ার খবরে মঙ্গলবার প্রতি ব্যারেলের দর ৮১ ডলারে নেমে আসে। চীন গত জুলাই মাসে প্রতিদিন ৪৪ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল করে মোট এক কোটি ৯০ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে। এর আগের মাসে অবশ্য চীন প্রতিদিন ৫৪ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছিল চীন। এই দরপতন আরও ত্বরান্বিত হয় ওই দিনের শেষে।
ইউরোর বিপরীতে ডলারের দর মঙ্গলবার নাটকীয়ভাবে বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নাইমেক্স সূচকে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের দর শূন্য দশমিক ২ ডলার পড়ে যায়। এরপর গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে তেলের চাহিদা কমে যাওয়ার আশঙ্কায় অপরিশোধিত তেলের নাইমেক্স সূচক আরও কমে। সপ্তাহ শেষে অপরিশোধিত তেলের নাইমেক্স সূচক ব্যারেলপ্রতি ৭৫ দশমিক ৫৭ ডলারে নেমে আসে।
বিশ্ববাজারে গত সপ্তাহে স্বর্ণ ও রৌপ্য আউন্সপ্রতি যথাক্রমে এক হাজার ২১৪ দশমিক ৪০ ডলার এবং ১৮ দশমিক ১০ ডলারে কেনাবেচা হয়।
এদিকে বাংলাদেশের আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে গত সপ্তাহের শুরুতে কলমানি মার্কেটের লেনদেনে কিছুটা চাহিদা দেখা গেলেও বেশির ভাগ লেনদেনই হয় পাঁচ শতাংশ সুদে। তবে সপ্তাহের শেষভাগে আন্তব্যাংক কলমানির বাজারে অস্থিরতা দেখা যায়, যে কারণে কলমানির সুদের হার বেড়ে আট শতাংশে ওঠে যায়।
আলোচ্য সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকে ১৫ বছর মেয়াদি সরকারি বন্ডের নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ১৪১ কোটি ৫০ লাখ টাকার দরপত্রের বিপরীতে ১৪০ কোটি টাকার দরপত্র গৃহীত হয়। এই বন্ডের নিলামে অন্তর্নিহিত সুদের হার ০১ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে ০৮ দশমিক ৮৬ শতাংশে নির্ধারিত হয়। সূত্র: সিটিব্যাংক এনএ বাংলাদেশ।
No comments