ইন্দো-বাংলাদেশ বাংলা গেমসের দ্বিতীয় দিনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে দুই বাংলার অ্যাথলেটদের। কাল ১১টি করে সোনা জিতেছে বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলা। কালও অবশ্য সাঁতার ও শ্যুটিংয়েই ছিল বাংলাদেশের আধিপত্য। সাঁতারের ৭টি ইভেন্টের ৫টিতে সোনা জিতেছেন বাংলাদেশের সাঁতারুরা। শ্যুটিং ও অ্যাথলেটিকস থেকে এসেছে ৩টি করে সোনা।
দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সোনা ২৬টি, পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে ৪টি বেশি। আজ তৃতীয় ও শেষ দিনেই আসলে বাংলাদেশকে প্রমাণ করতে হবে, ‘সব ভালো তার, শেষ ভালো যার।’
দক্ষিণ এশীয় গেমসে আট দেশের প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে একটিও সোনা জিততে না পারা সাঁতারুদের জন্য নিজেদের প্রমাণের একটা উপলক্ষও ছিল এই গেমস। যদিও এসএ গেমসের সঙ্গে এই গেমসের তুলনা চলে না। তার পরও মোট ১৪টি ইভেন্টের মধ্যে দুই দিন মিলিয়ে মোট ১০টি সোনা জিতলেন সাঁতারুরা। কলকাতার বেলেঘাটা সাঁতারপুলে ছেলেদের ১০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে সোনা জিতেছেন কামাল হোসেন (১:০৭.১০ সেকেন্ড)। মেয়েদের ৫০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে সোনা জিতেছেন ডলি আক্তার (৩৫.৩২ সেকেন্ড)। ১০০ মিটার ফ্রি-স্টাইলে জুয়েল আহমেদ (৫৬.০২), ৫০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে সোনিয়া আক্তার (৩২ সেকেন্ড) এবং ৪–১০০ মিটার ছেলেদের ফ্রি-স্টাইলে সোনা জিতেছেন বাংলাদেশের কামাল হোসেন, নজরুল ইসলাম, জুয়েল আহমেদ ও রফিকুল ইসলাম।
শ্যুটিংয়ে কালও ছিল সোনায় মোড়ানো দিন। ছেলেদের ৫০ মিটার থ্রি পজিশনে রাইফেলে সোনা জিতেছেন বাংলাদেশের তৌফিক শাহরিয়ার (১১৪৭ পয়েন্ট), এই ইভেন্টে মেয়েদের সোনা সাবরিনা সুলতানার (৫৭৩) এবং ২৫ মিটার পিস্তলে মোকসেদুর রহমান (৫২৫) জিতেছেন সোনা।
অ্যাথলেটিকসে ছেলেদের ৪০০ মিটার হার্ডলসে আফজাল হোসেন, হাইজাম্পে সজীব হোসেন ও ৪–১০০ মিটারে মেয়েদের রিলেতে সোনা জিতেছেন নাজমুন নাহার (বিউটি), শামসুন নাহার (চুমকি), ইশরাত জাহান (ইভা) ও সুমিতা রানীর বাংলাদেশ।
মেয়েদের ফুটবলে কালও গোলশূন্য ড্র করেছে বাংলাদেশ পশ্চিম বাংলার মেয়েদের সঙ্গে। জুডোতে ৭৩ কেজি ওজন শ্রেণীর রুপা জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বাংলাদেশের হাবিবুর রহমানকে। জিমন্যাস্টিকসে মেয়েদের ফ্লোর এক্সারসাইজে ব্রোঞ্জ জিতেছেন বাংলাদেশের সাথী আক্তার এবং ছেলেদের প্যারালাল বারেও ব্রোঞ্জ এসেছে বাংলাদেশে। জিতেছেন তানভীর আহমেদ।
No comments