এসিড-সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য কঠোরভাবে দমন করতে হবে-তাদের আবার কারাগারে নিন
নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের একটি পরিবার এসিড-সন্ত্রাসের শিকার হয়ে প্রতিকারের আশায় মামলা করেছিল। কিন্তু বিচার পাওয়া দূরের কথা, এখন তাদের ভিটেমাটি থেকেই উচ্ছেদ হওয়ার দশা। কী করে এমন হলো, এর বিবরণ রয়েছে প্রথম আলোয় বুধবার প্রকাশিত ‘মামলা না তুললে আজই গ্রামছাড়া’ শিরোনামের সচিত্র প্রতিবেদনে।
শরীফপুর গ্রামের আলীম উদ্দিনের স্ত্রী সালেহা বেগম ও দুই ছেলেমেয়ে এসিড নিক্ষেপের শিকার হয়েছিলেন ২০০৭ সালের ২১ অক্টোবর। চিকিত্সার পরও তাঁরা আর সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাননি। তাঁরা মামলা করেন; আসামিরা তাঁদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয়। চার আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এসিড-সন্ত্রাসের শিকার পরিবারটি কিছুদিন পর পুলিশ ও প্রতিবেশীদের সহায়তায় গ্রামে ফিরে আসে। ২০০৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করা হয়। কিন্তু মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আটক চার আসামি জামিনে বেরিয়ে এসে সন্ত্রাসের শিকার পরিবারটির ওপর আবার নির্যাতন ও হুমকি-ধমকি শুরু করে। পরিবারটি এ নিয়ে থানায় তিনটি সাধারণ ডায়েরি করে। তারপর আসামিরা বিষয়টি ‘সামাজিকভাবে নিষ্পত্তি’ করার জন্য পরিবারটির ওপর চাপ সৃষ্টি করে। এই ‘সামাজিক উদ্যোগে’ আসামিদের সঙ্গে আছেন এলাকার কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তি। এমনকি স্থানীয় থানা-পুলিশের পক্ষ থেকেও এমন চাপ আসে বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এভাবে নিষ্পত্তিতে পরিবারটি রাজি হয়নি। তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে যে বুধবারের মধ্যে সম্মতি না জানালে গ্রাম ছাড়া করা হবে।
স্বস্তির কথা, প্রতিবেদনটি প্রথম আলোয় প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের টনক নড়েছে। তারা পরিবারটিকে নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয়, এসিড নিক্ষেপের অভিযোগে দায়ের করা মামলাটির আসামিদের মধ্যে লেবুতলা ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকও আছেন। আক্রান্ত পরিবারটির ওপর নির্যাতন ও হুমকি-ধমকির জোরটা এসেছে এখান থেকেই, যদিও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, তাঁরা মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেননি, জমিসংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করেছেন।
আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার: এসিড-সন্ত্রাস একটি গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ, যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এমন অপরাধের অভিযোগ সালিসের মাধ্যমে নিষ্পত্তির কোনো সুযোগ নেই; সন্ত্রাসের শিকার পরিবারটি তা চায়ও না। আসামিরা জামিনে মুক্ত হয়ে সন্ত্রাসের শিকার পরিবারটির ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে, হুমকি-ধমকি দিচ্ছে—তারা অবশ্যই জামিনে মুক্ত থাকার অধিকার হারিয়েছে; অবিলম্বে তাদের সবাইকে আবার গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হোক।
শরীফপুর গ্রামের আলীম উদ্দিনের স্ত্রী সালেহা বেগম ও দুই ছেলেমেয়ে এসিড নিক্ষেপের শিকার হয়েছিলেন ২০০৭ সালের ২১ অক্টোবর। চিকিত্সার পরও তাঁরা আর সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাননি। তাঁরা মামলা করেন; আসামিরা তাঁদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দেয়। চার আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এসিড-সন্ত্রাসের শিকার পরিবারটি কিছুদিন পর পুলিশ ও প্রতিবেশীদের সহায়তায় গ্রামে ফিরে আসে। ২০০৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করা হয়। কিন্তু মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আটক চার আসামি জামিনে বেরিয়ে এসে সন্ত্রাসের শিকার পরিবারটির ওপর আবার নির্যাতন ও হুমকি-ধমকি শুরু করে। পরিবারটি এ নিয়ে থানায় তিনটি সাধারণ ডায়েরি করে। তারপর আসামিরা বিষয়টি ‘সামাজিকভাবে নিষ্পত্তি’ করার জন্য পরিবারটির ওপর চাপ সৃষ্টি করে। এই ‘সামাজিক উদ্যোগে’ আসামিদের সঙ্গে আছেন এলাকার কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তি। এমনকি স্থানীয় থানা-পুলিশের পক্ষ থেকেও এমন চাপ আসে বলে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এভাবে নিষ্পত্তিতে পরিবারটি রাজি হয়নি। তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে যে বুধবারের মধ্যে সম্মতি না জানালে গ্রাম ছাড়া করা হবে।
স্বস্তির কথা, প্রতিবেদনটি প্রথম আলোয় প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের টনক নড়েছে। তারা পরিবারটিকে নিরাপত্তা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করতে হয়, এসিড নিক্ষেপের অভিযোগে দায়ের করা মামলাটির আসামিদের মধ্যে লেবুতলা ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকও আছেন। আক্রান্ত পরিবারটির ওপর নির্যাতন ও হুমকি-ধমকির জোরটা এসেছে এখান থেকেই, যদিও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, তাঁরা মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেননি, জমিসংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করেছেন।
আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার: এসিড-সন্ত্রাস একটি গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ, যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এমন অপরাধের অভিযোগ সালিসের মাধ্যমে নিষ্পত্তির কোনো সুযোগ নেই; সন্ত্রাসের শিকার পরিবারটি তা চায়ও না। আসামিরা জামিনে মুক্ত হয়ে সন্ত্রাসের শিকার পরিবারটির ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে, হুমকি-ধমকি দিচ্ছে—তারা অবশ্যই জামিনে মুক্ত থাকার অধিকার হারিয়েছে; অবিলম্বে তাদের সবাইকে আবার গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হোক।
No comments