প্রথমার্ধে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন
চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এ সময়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতায় মোট আদায় হয়েছে ২৬ হাজার ৪৩৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩২৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা বেশি। এ ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ১০১ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি।
গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ওই বছর প্রথম ছয় মাসে মোট রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২২ হাজার ৪১৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল বুধবার এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়।
এতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এনবিআরের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘কর প্রদানে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে নেওয়া এনবিআরের বিভিন্ন কর্মসূচির পাশাপাশি তদারকি-ব্যবস্থা জোরদার করার কারণেই রাজস্ব আদায় বাড়ছে। কীভাবে এটাকে আরও বাড়িয়ে নেওয়া যায়, সে ব্যাপারে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
অর্থবছরের রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি সম্পর্কে দেশবাসীকে অবগত করতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এনবিআর। সংস্থাটির সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য ফরিদ উদ্দিন, আমিনুল ইসলাম, আবদুল মান্নান পাটোয়ারী ও জাহানারা সিদ্দিকী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি বছরের আমদানি পর্যায়ে মোট লক্ষ্যমাত্রা ২৩ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা হলেও প্রথম ছয় মাসে আমদানি পর্যায়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা।
কিন্তু ছয় মাসে আদায় হয়েছে ১০ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ১০০ শতাংশের বেশি। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
স্থানীয় পর্যায়ের মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আদায় হয়েছে নয় হাজার ৭০১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার ৯৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত না হলেও প্রবৃদ্ধির দিক থেকে অন্য সব খাতকে ছাড়িয়ে গেছে।
গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ দশমিক ৩১ শতাংশ। গত বছরই একই সময়ে মোট মূসক আদায় হয়েছিল সাত হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।
আয়কর খাতে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের লক্ষ্যমাত্রা ছিল পাঁচ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ছয় হাজার ৪০ কোটি টাকার বেশি। এ ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ছিল ১০৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।
গত বছরের একই সময়ে আয়কর খাতে আদায় হয়েছিল চার হাজার ৯২৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। চলতি বছর এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২২ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
সব খাতে প্রবৃদ্ধি হলেও অন্যান্য কর, বিশেষত ভ্রমণ কর আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়নি। এ খাতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আদায় হয়েছে ২০১ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার ৮৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত বছর একই সময়ে ভ্রমণ কর আদায়ের পরিমাণ ছিল ২১৯ কোটি টাকা। সেই হিসাবে চলতি বছর এ খাতে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
এ সম্পর্কে এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, মৌসুমি কারণসহ বিভিন্ন কারণেই ভ্রমণ কর আদায়ের পরিমাণ কমতে পারে। এর সঙ্গে এনবিআরের ব্যর্থতা ও সীমাবদ্ধতাও একটি কারণ বলে তিনি মনে করেন।
চলতি অর্থবছরের মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬১ হাজার কোটি টাকা। সেই হিসাবে আদায় হয়েছে ৪৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। বাকি ছয় মাসে অবশিষ্ট ৫৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ আদায় করতে হবে।
মাত্র ছয় মাসে এ বিপুল রাজস্ব আদায় সম্ভব কি না—এ প্রশ্নের জবাবে ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও সামষ্টিক অর্থনীতির যে গতি-প্রকৃতি, তাতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণত অর্থবছরের শেষভাগে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার বেশি থাকে এবং এটা হলে রাজস্ব আদায় আরও বাড়বে।’
অন্য আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজস্ব আদায়ের বর্তমান ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে চলতি বছরের লক্ষ্যমাত্রায় কোনো সংশোধন আনতে হবে না।’
উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে মোট রাজস্ব আদায়ের চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৪ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বছরের শেষে তা সংশোধন করে ৫৩ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। শেষ পর্যন্ত সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রাও আদায় সম্ভব হয়নি।
গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ওই বছর প্রথম ছয় মাসে মোট রাজস্ব আদায় হয়েছিল ২২ হাজার ৪১৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল বুধবার এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়।
এতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এনবিআরের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘কর প্রদানে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে নেওয়া এনবিআরের বিভিন্ন কর্মসূচির পাশাপাশি তদারকি-ব্যবস্থা জোরদার করার কারণেই রাজস্ব আদায় বাড়ছে। কীভাবে এটাকে আরও বাড়িয়ে নেওয়া যায়, সে ব্যাপারে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
অর্থবছরের রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি সম্পর্কে দেশবাসীকে অবগত করতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এনবিআর। সংস্থাটির সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য ফরিদ উদ্দিন, আমিনুল ইসলাম, আবদুল মান্নান পাটোয়ারী ও জাহানারা সিদ্দিকী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি বছরের আমদানি পর্যায়ে মোট লক্ষ্যমাত্রা ২৩ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা হলেও প্রথম ছয় মাসে আমদানি পর্যায়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা।
কিন্তু ছয় মাসে আদায় হয়েছে ১০ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ১০০ শতাংশের বেশি। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
স্থানীয় পর্যায়ের মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আদায় হয়েছে নয় হাজার ৭০১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার ৯৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত না হলেও প্রবৃদ্ধির দিক থেকে অন্য সব খাতকে ছাড়িয়ে গেছে।
গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ দশমিক ৩১ শতাংশ। গত বছরই একই সময়ে মোট মূসক আদায় হয়েছিল সাত হাজার ৬৮১ কোটি টাকা।
আয়কর খাতে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের লক্ষ্যমাত্রা ছিল পাঁচ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ছয় হাজার ৪০ কোটি টাকার বেশি। এ ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ছিল ১০৬ দশমিক ২৫ শতাংশ।
গত বছরের একই সময়ে আয়কর খাতে আদায় হয়েছিল চার হাজার ৯২৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। চলতি বছর এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২২ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
সব খাতে প্রবৃদ্ধি হলেও অন্যান্য কর, বিশেষত ভ্রমণ কর আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়নি। এ খাতে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আদায় হয়েছে ২০১ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার ৮৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গত বছর একই সময়ে ভ্রমণ কর আদায়ের পরিমাণ ছিল ২১৯ কোটি টাকা। সেই হিসাবে চলতি বছর এ খাতে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
এ সম্পর্কে এনবিআরের চেয়ারম্যান বলেন, মৌসুমি কারণসহ বিভিন্ন কারণেই ভ্রমণ কর আদায়ের পরিমাণ কমতে পারে। এর সঙ্গে এনবিআরের ব্যর্থতা ও সীমাবদ্ধতাও একটি কারণ বলে তিনি মনে করেন।
চলতি অর্থবছরের মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬১ হাজার কোটি টাকা। সেই হিসাবে আদায় হয়েছে ৪৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ। বাকি ছয় মাসে অবশিষ্ট ৫৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ আদায় করতে হবে।
মাত্র ছয় মাসে এ বিপুল রাজস্ব আদায় সম্ভব কি না—এ প্রশ্নের জবাবে ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও সামষ্টিক অর্থনীতির যে গতি-প্রকৃতি, তাতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণত অর্থবছরের শেষভাগে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের হার বেশি থাকে এবং এটা হলে রাজস্ব আদায় আরও বাড়বে।’
অন্য আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজস্ব আদায়ের বর্তমান ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে চলতি বছরের লক্ষ্যমাত্রায় কোনো সংশোধন আনতে হবে না।’
উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে মোট রাজস্ব আদায়ের চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৪ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু বছরের শেষে তা সংশোধন করে ৫৩ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। শেষ পর্যন্ত সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রাও আদায় সম্ভব হয়নি।
No comments