শৌচাগারে বসবাস!
দ্রুত বিকশিত হচ্ছে চীনের অর্থনীতি। সেই সঙ্গে দেশবাসীর জীবনধারাও দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। তবে সেখানেও আছে হতদরিদ্রের দল, যাঁদের কেউ কেউ মাথা গোঁজার জন্য বেছে নিচ্ছেন শৌচাগার। হ্যাংঝাউ শহরে এমন অন্তত ১০ জন মানুষের খোঁজ পাওয়া গেছে, যাঁরা শৌচাগারে বসবাস করেন। তাও এক-দুই দিন কিংবা সপ্তাহ ধরে নয়, মাসের পর মাস। স্থানীয় গণমাধ্যম এ তথ্য দিয়েছে।
তাঁরা ভাসমান শ্রমিক। কাজের খুঁজে শহরে এসে অনেক শ্রমিক এরই মধ্যে শৌচাগারেই শয্যা পেতেছেন। সেখানেই রাখা হয়েছে স্টোভ, হাড়িপাতিল ও থালাবাসন। কেউ আবার অবসর বিনোদনের জন্য শৌচাগারেই টেলিভিশন দেখার ব্যবস্থা করেছেন।
শৌচাগারে বসবাস করেন এমন এক নারীশ্রমিক বলেন, ‘ব্যাপার আর কিছুই নয়। আর দশটা সাধারণ মানুষের মতো বাড়িভাড়া নিয়ে থাকার সাধ আমারও আছে। কিন্তু সাধ্য নেই। তাই বাধ্য হয়ে এই শৌচাগার-যাপন।’ তিনি আরও বলেন, তাঁর এক বান্ধবী তো রীতিমতো তাঁকে ঈর্ষা করেন এই বলে যে, শৌচাগারে থাকা যায় বিনা ভাড়ায়।
কাজের সন্ধানে চীনের নানা প্রত্যন্ত এলাকা থেকে দলে দলে ছুটে আসেন দেশটির বড় বড় শহরে। সরকারি হিসাব মতে, এমন শ্রমিকের সংখ্যা এরই মধ্যে দুই কোটি ছাড়িয়ে গেছে। সম্প্রতি স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে তাঁদেরই নিম্নমানের জীবনযাপনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
আই নামের এক নারীশ্রমিক ঝেজিয়াং মর্নিং এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন তাঁর শৌচাগারে থাকার গল্প। তিনি বলেন, ‘প্রস্রাবের কটূ গন্ধে মাঝেমধ্যে দম বের হওয়ার জোগাড় হয়। ইঁদুর খুব জ্বালাতন করে। মানুষও কম যায় না। সুযোগ পেলেই বাসনকোসন নিয়ে চম্পট দেয়। আমার সাবান থেকে শুরু করে স্টোভ কি না চুরি করেছে তারা!’ আইয়ের এক ছেলেবন্ধু থাকেন পুরুষদের শৌচাগারে।
তাঁরা ভাসমান শ্রমিক। কাজের খুঁজে শহরে এসে অনেক শ্রমিক এরই মধ্যে শৌচাগারেই শয্যা পেতেছেন। সেখানেই রাখা হয়েছে স্টোভ, হাড়িপাতিল ও থালাবাসন। কেউ আবার অবসর বিনোদনের জন্য শৌচাগারেই টেলিভিশন দেখার ব্যবস্থা করেছেন।
শৌচাগারে বসবাস করেন এমন এক নারীশ্রমিক বলেন, ‘ব্যাপার আর কিছুই নয়। আর দশটা সাধারণ মানুষের মতো বাড়িভাড়া নিয়ে থাকার সাধ আমারও আছে। কিন্তু সাধ্য নেই। তাই বাধ্য হয়ে এই শৌচাগার-যাপন।’ তিনি আরও বলেন, তাঁর এক বান্ধবী তো রীতিমতো তাঁকে ঈর্ষা করেন এই বলে যে, শৌচাগারে থাকা যায় বিনা ভাড়ায়।
কাজের সন্ধানে চীনের নানা প্রত্যন্ত এলাকা থেকে দলে দলে ছুটে আসেন দেশটির বড় বড় শহরে। সরকারি হিসাব মতে, এমন শ্রমিকের সংখ্যা এরই মধ্যে দুই কোটি ছাড়িয়ে গেছে। সম্প্রতি স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে তাঁদেরই নিম্নমানের জীবনযাপনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
আই নামের এক নারীশ্রমিক ঝেজিয়াং মর্নিং এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন তাঁর শৌচাগারে থাকার গল্প। তিনি বলেন, ‘প্রস্রাবের কটূ গন্ধে মাঝেমধ্যে দম বের হওয়ার জোগাড় হয়। ইঁদুর খুব জ্বালাতন করে। মানুষও কম যায় না। সুযোগ পেলেই বাসনকোসন নিয়ে চম্পট দেয়। আমার সাবান থেকে শুরু করে স্টোভ কি না চুরি করেছে তারা!’ আইয়ের এক ছেলেবন্ধু থাকেন পুরুষদের শৌচাগারে।
হ্যাংঝাউ শহরের স্থানীয় বাসিন্দারা এসব শ্রমিকের প্রতি এক ধরনের দরদ অনুভব করে। শৌচাগারে বসবাসকে কেউ কেউ আবার বিস্ময়ের সঙ্গেও দেখে। স্থানীয় কাউন্সিলের এক মুখপাত্র হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, কোনো অজুহাতেই শৌচাগারে বসবাস করাকে মেনে নেওয়া যায় না। শৌচাগারে এ ধরনের অবস্থান আইনত দণ্ডনীয়। শৌচাগার প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য, শয্যা পাতার জন্য নয়।
No comments