সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম বিদেশে পাঠাতে প্রস্তুত তেহরান
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেছেন, তেহরান তার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম আরও সমৃদ্ধ করার জন্য বিদেশে পাঠাতে প্রস্তুত। গত মঙ্গলবার সরকারি টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি এ কথা বলেন। তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ নিরসনের চেষ্টায় একটি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম বিদেশে পাঠাবে ইরান।
আহমাদিনেজাদ বলেন, জ্বালানি রড হিসেবে ফেরত দেওয়ার আগে যদি ইরানের অধিকাংশ মজুদ কয়েক মাসের জন্য আটকে রাখা হয়, তাতেও তাদের কোনো সমস্যা নেই।
সংবাদদাতারা এ ধরনের সিদ্ধান্তকে তেহরানের অবস্থানের বড় ধরনের পরিবর্তন হিসেবে মনে করছেন। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, যদি এটা নতুন কোনো প্রস্তাব হয়, তাহলে ওয়াশিংটন সেটা শোনার জন্য প্রস্তুত।
গত মাসে কূটনীতিকেরা বলেছিলেন, ইরান আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থাকে (আইএইএ) অবহিত করেছে, তারা চুক্তির শর্ত গ্রহণ করবে না। তার পরিবর্তে একই সময় নিজেদের ভূখণ্ডে জ্বালানি বিনিময়ের দাবি জানিয়েছে তেহরান।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগীদের আশঙ্কা, তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। যদিও ইরান বরাবরই বলে আসছে, তাদের পরমাণু কমসূচি পুরোপুরি বেসামরিক ও শান্তিপূর্ণ।
গত অক্টোবরে ইরান আইএইএ ও ছয়টি দেশের সঙ্গে একটি চুক্তির ব্যাপারে সম্মত হয়। ছয়টি দেশ হচ্ছে—যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি। ওই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী তেহরান স্বল্প সমৃদ্ধ প্রায় ৭০ শতাংশ ইউরেনিয়াম রাশিয়া ও ফ্রান্সে পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করতে সম্মত হয়। ফ্রান্স ও রাশিয়ায় পাঠানোর পর ওই ইউরেনিয়ামকে পারমাণবিক গবেষণা চুল্লিতে ব্যবহারের জন্য জ্বালানিতে পরিণত করা হবে।
কিন্তু ইরানি কর্মকর্তারা পরে জনসম্মুখে ওই চুক্তির শর্তের সমালোচনা করেন। তাঁরা বলেন, একই সময়ে জ্বালানি দেওয়া না হলে তারা ইউরেনিয়াম রপ্তানি করবে না। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব ওই প্রস্তাব গ্রহণ করতে সম্মত হয়নি।
পশ্চিমা বিশ্ব ইউরেনিয়াম ফেরত দেবে না—নিজের সহকর্মীদের এই উদ্বেগ নাকচ করে দিয়ে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেন, যদি তা হয়, তাহলে আরও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে ইরান তার জবাব দেবে। তিনি বলেন, ‘সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম বিদেশে পাঠাতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’
ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা বলছি, আমরা আপনাদের ৩ দশমিক ৫ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম দেব এবং জ্বালানি পাব। জ্বালানি পেতে চার থেকে পাঁচ মাস সময় লেগে যেতে পারে।’ মাহমুদ আহমাদিনেজাদ আরও বলেন, ‘যদি আমরা সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম বিদেশে পাঠাই এবং এরপর যদি তারা আমাদের পারমাণবিক চুল্লির জন্য ২০ শতাংশ সমৃদ্ধ জ্বালানি না দেয়, তাহলে আমরা সেটা উত্পাদন করতে সক্ষম।’
মাহমুদ আহমাদিনেজাদের মন্তব্যের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র পি জে ক্রাউলি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি পরিবর্তন করার জন্য প্রস্তুত নয়। এটা নিয়ে দরকষাকষি করতেও আমরা আগ্রহী নই।’
হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, আহমাদিনেজাদের ওই মন্তব্য যদি ইরানের বর্তমান অবস্থানের প্রতিফলন হয়, তাহলে ইরান সেটা আইএইএকে অবহিত করবে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ইরানের যদি নতুন কিছু বলার থাকে, তাহলে আমরা সেটা শোনার জন্য প্রস্তুত।’
আহমাদিনেজাদ বলেন, জ্বালানি রড হিসেবে ফেরত দেওয়ার আগে যদি ইরানের অধিকাংশ মজুদ কয়েক মাসের জন্য আটকে রাখা হয়, তাতেও তাদের কোনো সমস্যা নেই।
সংবাদদাতারা এ ধরনের সিদ্ধান্তকে তেহরানের অবস্থানের বড় ধরনের পরিবর্তন হিসেবে মনে করছেন। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, যদি এটা নতুন কোনো প্রস্তাব হয়, তাহলে ওয়াশিংটন সেটা শোনার জন্য প্রস্তুত।
গত মাসে কূটনীতিকেরা বলেছিলেন, ইরান আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থাকে (আইএইএ) অবহিত করেছে, তারা চুক্তির শর্ত গ্রহণ করবে না। তার পরিবর্তে একই সময় নিজেদের ভূখণ্ডে জ্বালানি বিনিময়ের দাবি জানিয়েছে তেহরান।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগীদের আশঙ্কা, তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। যদিও ইরান বরাবরই বলে আসছে, তাদের পরমাণু কমসূচি পুরোপুরি বেসামরিক ও শান্তিপূর্ণ।
গত অক্টোবরে ইরান আইএইএ ও ছয়টি দেশের সঙ্গে একটি চুক্তির ব্যাপারে সম্মত হয়। ছয়টি দেশ হচ্ছে—যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি। ওই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী তেহরান স্বল্প সমৃদ্ধ প্রায় ৭০ শতাংশ ইউরেনিয়াম রাশিয়া ও ফ্রান্সে পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করতে সম্মত হয়। ফ্রান্স ও রাশিয়ায় পাঠানোর পর ওই ইউরেনিয়ামকে পারমাণবিক গবেষণা চুল্লিতে ব্যবহারের জন্য জ্বালানিতে পরিণত করা হবে।
কিন্তু ইরানি কর্মকর্তারা পরে জনসম্মুখে ওই চুক্তির শর্তের সমালোচনা করেন। তাঁরা বলেন, একই সময়ে জ্বালানি দেওয়া না হলে তারা ইউরেনিয়াম রপ্তানি করবে না। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব ওই প্রস্তাব গ্রহণ করতে সম্মত হয়নি।
পশ্চিমা বিশ্ব ইউরেনিয়াম ফেরত দেবে না—নিজের সহকর্মীদের এই উদ্বেগ নাকচ করে দিয়ে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেন, যদি তা হয়, তাহলে আরও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে ইরান তার জবাব দেবে। তিনি বলেন, ‘সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম বিদেশে পাঠাতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।’
ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা বলছি, আমরা আপনাদের ৩ দশমিক ৫ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম দেব এবং জ্বালানি পাব। জ্বালানি পেতে চার থেকে পাঁচ মাস সময় লেগে যেতে পারে।’ মাহমুদ আহমাদিনেজাদ আরও বলেন, ‘যদি আমরা সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম বিদেশে পাঠাই এবং এরপর যদি তারা আমাদের পারমাণবিক চুল্লির জন্য ২০ শতাংশ সমৃদ্ধ জ্বালানি না দেয়, তাহলে আমরা সেটা উত্পাদন করতে সক্ষম।’
মাহমুদ আহমাদিনেজাদের মন্তব্যের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র পি জে ক্রাউলি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি পরিবর্তন করার জন্য প্রস্তুত নয়। এটা নিয়ে দরকষাকষি করতেও আমরা আগ্রহী নই।’
হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, আহমাদিনেজাদের ওই মন্তব্য যদি ইরানের বর্তমান অবস্থানের প্রতিফলন হয়, তাহলে ইরান সেটা আইএইএকে অবহিত করবে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ইরানের যদি নতুন কিছু বলার থাকে, তাহলে আমরা সেটা শোনার জন্য প্রস্তুত।’
No comments