বিডিআর সদস্যদের মৃত্যু-স্বাভাবিক বলে মেনে নেওয়া যাচ্ছে না
স্বাভাবিক আর অস্বাভাবিক—এ দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য বোঝার ক্ষমতা দেশবাসী ও গণমাধ্যমের রয়েছে; দেশের সচেতন নাগরিকদের রয়েছে তো বটেই। বিডিআর বিদ্রোহের পর গত সাত মাসে ৪৬ জন জওয়ানের মৃত্যু কারও কাছেই স্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে না। গত সোম ও মঙ্গলবারের পত্রিকায় পর পর ‘আরেকজন বিডিআর সদস্যের মৃত্যু’ ও ‘রাজশাহীতে আরও ১ বিডিআরের মৃত্যু’ শিরোনামে দুটি খবর ছাপা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে, সমাজ বা বর্তমান সময় কি বিষয়টি নিয়ে নীরব থাকবে? এ প্রশ্ন তোলার উদ্দেশ্য একটাই—মানবাধিকার, আইনের শাসন ও দায়িত্বশীলতার প্রতি সবার মনোযোগ আকর্ষণ করা।
দেশের সব মানুষই চায় বিডিআরের সদর দপ্তরে ঘটে যাওয়া বিদ্রোহ ও সে সময়ে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাসহ তাঁদের পরিবারের ওপর নির্যাতনের যে বর্বর ঘটনা ঘটেছে তার যথাসম্ভব দ্রুত বিচার। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের নৃশংস ঘটনা আর না ঘটে, সে জন্য দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের বিচার-প্রক্রিয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হওয়ার পর এখন দেশবাসী দ্রুত এই বিচারকাজ শেষ এবং দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির মুখোমুখি দেখতে চায়। এ অবস্থায় আটক ও নিরাপত্তা হেফাজতে থাকা বিডিআর সদস্যদের একের পর এক মৃত্যুর ঘটনাকে কোনোভাবেই স্বাভাবিক বলে মেনে
নেওয়া যাচ্ছে না।
বিডিআর কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, হূদরোগ, আত্মহত্যা ও নানা অসুস্থতায় এসব বিডিআর সদস্যের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু অভিযোগ আছে, বিদ্রোহের ঘটনার পর আটক সদস্যদের পিলখানার ভেতর জিজ্ঞাসাবাদের নামে নির্যাতন করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া বিডিআর সদস্যরা প্রকাশ্য আদালতে এসব অভিযোগ করেছেন। কেউ আটক থাকলে তাঁর দায়দায়িত্ব যারা বা যে কর্তৃপক্ষ তাদের আটকে রেখেছে তাদের নিতে হবে। কেউ যদি আত্মহত্যাও করে থাকেন, সেই দায়িত্ব এড়ানো সম্ভব নয়। তাই কর্তৃপক্ষের এ ধরনের ব্যাখ্যা মেনে নেওয়া কঠিন।
বিডিআর বিদ্রোহের পর এ পর্যন্ত যেসব বিডিআর সদস্য মারা গেছেন, তাঁদের মধ্যে দুজনের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে এ দুই মৃত্যুকে ‘হত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়, হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটার মতো পরিস্থিতির মধ্যে বিডিআর সদস্যরা আটক রয়েছেন। বিডিআর বিদ্রোহের সময় পিলখানায় ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো মানবতার বিরুদ্ধে এক বর্বর অপরাধ। কিন্তু এর প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা কিছু ঘটুক তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবার সতর্ক থাকা জরুরি ছিল। বিডিআর জওয়ানদের এ ধরনের মৃত্যু মানবাধিকারের দিক থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যা আইনের শাসন কার্যকর আছে এমন একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থানকে নড়বড়ে করে দিচ্ছে।
বিডিআর বিদ্রোহ ও সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হোক—দেশবাসী এটা যেমন চায়, তেমনি বিডিআর সদস্যদের এ ধরনের আর কোনো মৃত্যুর ঘটনাও দেখতে চায় না। একই সঙ্গে আমরা বিডিআর বিদ্রোহের পর মৃত্যুর সব কটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত জরুরি মনে করছি। কারণ, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মারা যাওয়া বিডিআর সদস্যদের পরিবারের পক্ষ থেকে নানা অভিযোগ তোলা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিললে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বিডিআর সদস্যদের এই মৃত্যুর ঘটনাগুলোর ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকার কোনো সুযোগ নেই। নিশ্চুপ থাকার অর্থ দাঁড়াবে মানবাধিকার ও আইনের শাসন উপেক্ষা করা।
দেশের সব মানুষই চায় বিডিআরের সদর দপ্তরে ঘটে যাওয়া বিদ্রোহ ও সে সময়ে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাসহ তাঁদের পরিবারের ওপর নির্যাতনের যে বর্বর ঘটনা ঘটেছে তার যথাসম্ভব দ্রুত বিচার। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের নৃশংস ঘটনা আর না ঘটে, সে জন্য দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। বিডিআর বিদ্রোহ ও হত্যাকাণ্ডের বিচার-প্রক্রিয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হওয়ার পর এখন দেশবাসী দ্রুত এই বিচারকাজ শেষ এবং দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির মুখোমুখি দেখতে চায়। এ অবস্থায় আটক ও নিরাপত্তা হেফাজতে থাকা বিডিআর সদস্যদের একের পর এক মৃত্যুর ঘটনাকে কোনোভাবেই স্বাভাবিক বলে মেনে
নেওয়া যাচ্ছে না।
বিডিআর কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, হূদরোগ, আত্মহত্যা ও নানা অসুস্থতায় এসব বিডিআর সদস্যের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু অভিযোগ আছে, বিদ্রোহের ঘটনার পর আটক সদস্যদের পিলখানার ভেতর জিজ্ঞাসাবাদের নামে নির্যাতন করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া বিডিআর সদস্যরা প্রকাশ্য আদালতে এসব অভিযোগ করেছেন। কেউ আটক থাকলে তাঁর দায়দায়িত্ব যারা বা যে কর্তৃপক্ষ তাদের আটকে রেখেছে তাদের নিতে হবে। কেউ যদি আত্মহত্যাও করে থাকেন, সেই দায়িত্ব এড়ানো সম্ভব নয়। তাই কর্তৃপক্ষের এ ধরনের ব্যাখ্যা মেনে নেওয়া কঠিন।
বিডিআর বিদ্রোহের পর এ পর্যন্ত যেসব বিডিআর সদস্য মারা গেছেন, তাঁদের মধ্যে দুজনের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে এ দুই মৃত্যুকে ‘হত্যা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয়, হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটার মতো পরিস্থিতির মধ্যে বিডিআর সদস্যরা আটক রয়েছেন। বিডিআর বিদ্রোহের সময় পিলখানায় ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো মানবতার বিরুদ্ধে এক বর্বর অপরাধ। কিন্তু এর প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা কিছু ঘটুক তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবার সতর্ক থাকা জরুরি ছিল। বিডিআর জওয়ানদের এ ধরনের মৃত্যু মানবাধিকারের দিক থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে, যা আইনের শাসন কার্যকর আছে এমন একটি দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থানকে নড়বড়ে করে দিচ্ছে।
বিডিআর বিদ্রোহ ও সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হোক—দেশবাসী এটা যেমন চায়, তেমনি বিডিআর সদস্যদের এ ধরনের আর কোনো মৃত্যুর ঘটনাও দেখতে চায় না। একই সঙ্গে আমরা বিডিআর বিদ্রোহের পর মৃত্যুর সব কটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত জরুরি মনে করছি। কারণ, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মারা যাওয়া বিডিআর সদস্যদের পরিবারের পক্ষ থেকে নানা অভিযোগ তোলা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিললে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। বিডিআর সদস্যদের এই মৃত্যুর ঘটনাগুলোর ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকার কোনো সুযোগ নেই। নিশ্চুপ থাকার অর্থ দাঁড়াবে মানবাধিকার ও আইনের শাসন উপেক্ষা করা।
No comments