দক্ষিণ কোরিয়ায় অর্থ আত্মসাতের মামলায় এক বিজ্ঞানী দোষী সাব্যস্ত
গবেষণার অর্থ আত্মসাত্ করার মামলায় হোয়াং উ-সুক (৫৬) নামের একজন বিজ্ঞানীকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত। গতকাল সোমবার এই অপরাধের জন্য ওই বিজ্ঞানীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে তা তিন বছরের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে। আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়, হোয়াং জানতেন তাঁর গবেষণা দলের সংগৃহীত তথ্য-উপাত্তগুলো যথাযথ ছিল না। তবে এক ব্যক্তির দাখিল করা আরেকটি প্রতারণার অভিযোগ থেকে হোয়াংকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। হোয়াংয়ের গবেষণায় ওই ব্যক্তিও অর্থ বিনিয়োগ করেছিলেন।
তিন বছর বিচার চলার পর আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। ২০০৬ সালের জুনে হোয়াংয়ের বিরুদ্ধে এই মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০৪ সালে মার্কিন বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী সায়েন্স-এ প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে হোয়াং দাবি করেন, ক্লোন করা একটি মানব ভ্রূণ থেকে বিশ্বের প্রথম ‘স্টেম সেল লাইন’ (একই গোত্রের এক গুচ্ছ স্টেম সেল) সৃষ্টি করেছেন তিনি। পরের বছরই একই সাময়িকীতে তিনি জানান, তাঁর দল নতুন স্টেম সেল লাইনস সৃষ্টি করেছে। তাঁদের এই দাবি থেকে বিজ্ঞানীরা আশান্বিত হয়েছিলেন, এই উদ্ভাবনের মাধ্যমে ক্যানসার, বহুমূত্র ও পারকিনসনসের মতো রোগের চিকিত্সা পদ্ধতি আবিষ্কার করা সম্ভব। এ জন্য হোয়াংকে পুরস্কৃতও করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় তাঁকে ‘সুপ্রিম সায়েন্টিস্ট’ উপাধি দেওয়া হয়।
তবে ২০০৫ সালের নভেম্বরে অভিযোগ ওঠে, হোয়াং ও তাঁর গবেষণা দল কোনো ধরনের স্টেম সেল আবিষ্কার করেনি। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর হোয়াং ক্ষমা চান। কিন্তু পরে দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল নেটওয়ার্ক এমবিসি সংবাদ প্রকাশ করে, হোয়াংয়ের পুরো গবেষণাটিই ছিল এক ধরনের জালিয়াতি। এ ঘটনায় ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে সাউথ কোরিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এসএনইউ) এক তদন্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়, হোয়াংয়ের গবেষণা দলের প্রাপ্ত ফলাফল পুরোপুরি ভ্রান্ত ও প্রতারণামূলক। তাঁরা কোনো স্টেম সেল তৈরি করেননি।
তিন বছর বিচার চলার পর আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। ২০০৬ সালের জুনে হোয়াংয়ের বিরুদ্ধে এই মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০৪ সালে মার্কিন বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী সায়েন্স-এ প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে হোয়াং দাবি করেন, ক্লোন করা একটি মানব ভ্রূণ থেকে বিশ্বের প্রথম ‘স্টেম সেল লাইন’ (একই গোত্রের এক গুচ্ছ স্টেম সেল) সৃষ্টি করেছেন তিনি। পরের বছরই একই সাময়িকীতে তিনি জানান, তাঁর দল নতুন স্টেম সেল লাইনস সৃষ্টি করেছে। তাঁদের এই দাবি থেকে বিজ্ঞানীরা আশান্বিত হয়েছিলেন, এই উদ্ভাবনের মাধ্যমে ক্যানসার, বহুমূত্র ও পারকিনসনসের মতো রোগের চিকিত্সা পদ্ধতি আবিষ্কার করা সম্ভব। এ জন্য হোয়াংকে পুরস্কৃতও করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় তাঁকে ‘সুপ্রিম সায়েন্টিস্ট’ উপাধি দেওয়া হয়।
তবে ২০০৫ সালের নভেম্বরে অভিযোগ ওঠে, হোয়াং ও তাঁর গবেষণা দল কোনো ধরনের স্টেম সেল আবিষ্কার করেনি। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর হোয়াং ক্ষমা চান। কিন্তু পরে দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল নেটওয়ার্ক এমবিসি সংবাদ প্রকাশ করে, হোয়াংয়ের পুরো গবেষণাটিই ছিল এক ধরনের জালিয়াতি। এ ঘটনায় ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে সাউথ কোরিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এসএনইউ) এক তদন্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়, হোয়াংয়ের গবেষণা দলের প্রাপ্ত ফলাফল পুরোপুরি ভ্রান্ত ও প্রতারণামূলক। তাঁরা কোনো স্টেম সেল তৈরি করেননি।
No comments