বাপ্পী থেকে মাসুম—র্যাবের হাতে কেউই নিরাপদ নয় -সাংবাদিক নির্যাতন
যে নিষ্ঠুরতার শেষ দেখা যাচ্ছে না, র্যাবের ‘অপরাধ দমন’ হয়ে উঠছে তারই শিরোনাম। যাদের দায়িত্ব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, তারাই জনমনে তৈরি করছে নিরাপত্তাহীনতার বোধ। ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এর সাংবাদিক এফ এম মাসুমকে আটক-নির্যাতন র্যাবের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের সাম্প্রতিক নজির।
এফ এম মাসুমকে যে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাঁর সাংবাদিকতার পরিচয় সম্পর্কে সজ্ঞান হয়েই তাঁকে নিপীড়ন করা হয়েছে, তা ভাবা অমূলক নয়। তাঁকে সবার সামনে প্রহার করে তাঁর ঘরে মাদকদ্রব্য রেখে তা ভিডিওতে ধারণ করা এবং মাদকব্যবসায়ী হিসেবে অভিযুক্ত করার মতো কাজ যে কোনো আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা করতে পারে, এটা অভাবনীয়। কিন্তু এই অভাবনীয় অমানবিক কাজই করা হয়েছে।
অপরাধী ও আইনের রক্ষকদের আচরণের মধ্যে পার্থক্য লোপ পেলে কেবল আইনের শাসনই হুমকিগ্রস্ত হয় না, সমাজের মানবিকতার ভরসাটাই ভেঙে পড়ে। আইনের নামে এ রকম ক্ষমতার অপব্যবহার ঘটলে, রক্ষক এভাবে ভক্ষকে পরিণত হলে নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা বলে কিছু আর থাকে না। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন তখন মিথ্যা হয়ে যায়। কিছুদিন আগে র্যাবের ‘ক্রসফায়ারে’ নিরপরাধ যুবক বাপ্পী নিহত হওয়ার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সাংবাদিক নির্যাতনের এই ঘটনা সেই কঠিন সত্যই প্রকাশ করে গেল।
আরেক দিক থেকে এ ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়। সব সরকারের আমলেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সাংবাদিক ও সংবাদ-প্রতিষ্ঠানগুলো আক্রান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে অপরাধী গোষ্ঠী আর সরকারি সংস্থার আচরণ অনেক সময়ই একাকার হয়ে যায়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন এ ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে, অন্যায় ঘটে থাকলে তার জবাবদিহির আশ্বাস দিয়েছেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এর আগে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকে পুলিশ আহত করলে তিনি একইভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন। উপর্যুপরি এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে দুঃখ প্রকাশ করা কৌশল হিসেবে ভালো হতে পারে, কিন্তু এটা নৈতিকতা ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় বহন করে না। দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এ ধরনের দুঃখ প্রকাশ অর্থহীন হয়ে দাঁড়ায়। আমরা দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নিশ্চয়তা ও তার বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
এফ এম মাসুমকে যে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাঁর সাংবাদিকতার পরিচয় সম্পর্কে সজ্ঞান হয়েই তাঁকে নিপীড়ন করা হয়েছে, তা ভাবা অমূলক নয়। তাঁকে সবার সামনে প্রহার করে তাঁর ঘরে মাদকদ্রব্য রেখে তা ভিডিওতে ধারণ করা এবং মাদকব্যবসায়ী হিসেবে অভিযুক্ত করার মতো কাজ যে কোনো আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা করতে পারে, এটা অভাবনীয়। কিন্তু এই অভাবনীয় অমানবিক কাজই করা হয়েছে।
অপরাধী ও আইনের রক্ষকদের আচরণের মধ্যে পার্থক্য লোপ পেলে কেবল আইনের শাসনই হুমকিগ্রস্ত হয় না, সমাজের মানবিকতার ভরসাটাই ভেঙে পড়ে। আইনের নামে এ রকম ক্ষমতার অপব্যবহার ঘটলে, রক্ষক এভাবে ভক্ষকে পরিণত হলে নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা বলে কিছু আর থাকে না। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন তখন মিথ্যা হয়ে যায়। কিছুদিন আগে র্যাবের ‘ক্রসফায়ারে’ নিরপরাধ যুবক বাপ্পী নিহত হওয়ার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই সাংবাদিক নির্যাতনের এই ঘটনা সেই কঠিন সত্যই প্রকাশ করে গেল।
আরেক দিক থেকে এ ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়। সব সরকারের আমলেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে সাংবাদিক ও সংবাদ-প্রতিষ্ঠানগুলো আক্রান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে অপরাধী গোষ্ঠী আর সরকারি সংস্থার আচরণ অনেক সময়ই একাকার হয়ে যায়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন এ ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে, অন্যায় ঘটে থাকলে তার জবাবদিহির আশ্বাস দিয়েছেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এর আগে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকে পুলিশ আহত করলে তিনি একইভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন। উপর্যুপরি এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে দুঃখ প্রকাশ করা কৌশল হিসেবে ভালো হতে পারে, কিন্তু এটা নৈতিকতা ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় বহন করে না। দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এ ধরনের দুঃখ প্রকাশ অর্থহীন হয়ে দাঁড়ায়। আমরা দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নিশ্চয়তা ও তার বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
No comments