গৃহায়ণ পুনঃ অর্থায়ন তহবিলে আরও ২০০ কোটি টাকা দেওয়া হতে পারে
গৃহায়ণ পুনঃ অর্থায়ন স্কিমের আওতায় আরও ২০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ইতিমধ্যে ৫০০ কোটি টাকার তহবিল প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। ব্যাপক চাহিদার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক নতুনভাবে অর্থ দিয়ে এই স্কিমটি সচল রাখার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি পরিবেশিত খবরে বলা হয়েছে, এটির ফলে সীমিত আয়ের মানুষের নিজের একটি বাসস্থান পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান ইউএনবিকে বলেছেন, ‘এটি একটি ভালো প্রকল্প। আমরা এটি অব্যাহত রাখব। এ জন্য ২০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ৩০০ কোটি টাকা নিয়ে এই পুনঃ অর্থায়ন তহবিল গঠন করে। সে সময় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এই তহবিলের বিপরীতে ১০ শতাংশ হারে গৃহঋণ প্রদান করত। পরবর্তী সময়ে এই তহবিলে বরাদ্দ বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা করার পাশাপাশি সুদের হার কমিয়ে নয় শতাংশ ধার্য করা হয়।
বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ শতাংশ সুদে এই তহবিল থেকে অর্থ নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে গৃহায়ণ ঋণ প্রদান করেছে। এসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের মাত্র নয় শতাংশ হার সুদে সর্বোচ্চ ২০ বছরের জন্য ২০ লাখ টাকা করে গৃহঋণ হিসেবে প্রদান করছে।
এমনিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব তহবিল থেকে গৃহায়ণ খাতে যে ঋণ প্রদান করে থাকে, তাতে গড়ে ঋণের সুদের হার ১৩ থেকে ১৬ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করে। এত চড়া সুদের কারণে অনেকেই ঋণ নিতে পারেন না। আবার যাঁরা ঋণ নিয়ে থাকেন, তাঁদের অনেকেই প্রয়োজনের চেয়ে কম ঋণ পান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবশ্য সম্প্রতি এক নির্দেশনায় গৃহায়ণ সুদের সর্বোচ্চ হার ১৩ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পুনঃ অর্থায়ন স্কিমের আওতায় গৃহঋণ পেতে অবশ্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। গ্রাহক ঢাকা শহরে সর্বোচ্চ এক হাজার ২৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য এই ঋণ পাওয়ার যোগ্য। তাঁর মাসিক আয় সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকার বেশি হতে পারবে না।
এ ছাড়া গ্রাহকের নিজের নামে বা তাঁর স্বামী/স্ত্রী বা সন্তানদের নামে ঢাকাসহ ছয় সিটি করপোরেশন এলাকায় বা নারায়ণগঞ্জ, টঙ্গী বা গাজীপুরে কোনো বাড়ি থাকতে পারবে না।
তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এসব নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগও পাওয়া গেছে। ফ্ল্যাট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজশ করে ১২৫০ বর্গফুটের বেশি আয়তনের ফ্ল্যাটের জন্য কেউ কেউ এই স্বল্পসুদে ঋণ নিয়েছেন।
জানা গেছে, কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান ফ্ল্যাটের মোট আয়তনকে কমিয়ে এই সীমার মধ্যে দেখিয়ে গ্রাহককে এ ঋণ পেতে সুযোগ করে দিয়েছে। এ রকম অনিয়মের ফলে প্রকৃত অনেক গ্রাহকই বঞ্চিত হয়েছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চাহিদা বাড়ায় গত কয়েক মাসে গড়ে ব্যাংকগুলো ৪০-৫০ কোটি টাকা এই তহবিল থেকে সংগ্রহ করছে। এর ফলে তহবিল প্রায় নিঃশেষ হয়ে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে আরও জানা গেছে, এই তহবিলের আওতায় সবচেয়ে বেশি ঋণ প্রদান করেছে ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং লিমিটেড। এরপর রয়েছে আইডিএলসি ও ন্যাশনাল হাউজিং।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, ২০০৭-০৮ অর্থবছর শেষে দেশে গৃহায়ণ ঋণের মোট স্থিতি দাঁড়িয়েছিল ১৪ হাজার ২৫০ কোটি টাকা।
বার্তা সংস্থা ইউএনবি পরিবেশিত খবরে বলা হয়েছে, এটির ফলে সীমিত আয়ের মানুষের নিজের একটি বাসস্থান পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান ইউএনবিকে বলেছেন, ‘এটি একটি ভালো প্রকল্প। আমরা এটি অব্যাহত রাখব। এ জন্য ২০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ৩০০ কোটি টাকা নিয়ে এই পুনঃ অর্থায়ন তহবিল গঠন করে। সে সময় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এই তহবিলের বিপরীতে ১০ শতাংশ হারে গৃহঋণ প্রদান করত। পরবর্তী সময়ে এই তহবিলে বরাদ্দ বাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা করার পাশাপাশি সুদের হার কমিয়ে নয় শতাংশ ধার্য করা হয়।
বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ শতাংশ সুদে এই তহবিল থেকে অর্থ নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে গৃহায়ণ ঋণ প্রদান করেছে। এসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের মাত্র নয় শতাংশ হার সুদে সর্বোচ্চ ২০ বছরের জন্য ২০ লাখ টাকা করে গৃহঋণ হিসেবে প্রদান করছে।
এমনিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব তহবিল থেকে গৃহায়ণ খাতে যে ঋণ প্রদান করে থাকে, তাতে গড়ে ঋণের সুদের হার ১৩ থেকে ১৬ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করে। এত চড়া সুদের কারণে অনেকেই ঋণ নিতে পারেন না। আবার যাঁরা ঋণ নিয়ে থাকেন, তাঁদের অনেকেই প্রয়োজনের চেয়ে কম ঋণ পান।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবশ্য সম্প্রতি এক নির্দেশনায় গৃহায়ণ সুদের সর্বোচ্চ হার ১৩ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পুনঃ অর্থায়ন স্কিমের আওতায় গৃহঋণ পেতে অবশ্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। গ্রাহক ঢাকা শহরে সর্বোচ্চ এক হাজার ২৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য এই ঋণ পাওয়ার যোগ্য। তাঁর মাসিক আয় সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকার বেশি হতে পারবে না।
এ ছাড়া গ্রাহকের নিজের নামে বা তাঁর স্বামী/স্ত্রী বা সন্তানদের নামে ঢাকাসহ ছয় সিটি করপোরেশন এলাকায় বা নারায়ণগঞ্জ, টঙ্গী বা গাজীপুরে কোনো বাড়ি থাকতে পারবে না।
তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে এসব নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগও পাওয়া গেছে। ফ্ল্যাট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজশ করে ১২৫০ বর্গফুটের বেশি আয়তনের ফ্ল্যাটের জন্য কেউ কেউ এই স্বল্পসুদে ঋণ নিয়েছেন।
জানা গেছে, কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান ফ্ল্যাটের মোট আয়তনকে কমিয়ে এই সীমার মধ্যে দেখিয়ে গ্রাহককে এ ঋণ পেতে সুযোগ করে দিয়েছে। এ রকম অনিয়মের ফলে প্রকৃত অনেক গ্রাহকই বঞ্চিত হয়েছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চাহিদা বাড়ায় গত কয়েক মাসে গড়ে ব্যাংকগুলো ৪০-৫০ কোটি টাকা এই তহবিল থেকে সংগ্রহ করছে। এর ফলে তহবিল প্রায় নিঃশেষ হয়ে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে আরও জানা গেছে, এই তহবিলের আওতায় সবচেয়ে বেশি ঋণ প্রদান করেছে ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং লিমিটেড। এরপর রয়েছে আইডিএলসি ও ন্যাশনাল হাউজিং।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, ২০০৭-০৮ অর্থবছর শেষে দেশে গৃহায়ণ ঋণের মোট স্থিতি দাঁড়িয়েছিল ১৪ হাজার ২৫০ কোটি টাকা।
No comments