পৃথিবী এগিয়ে চলেছে -গদ্যকার্টুন by আনিসুল হক
১৩ অক্টোবর প্রথম আলোয় ‘বাংলাদেশের সামুদ্রিক অঞ্চল: সহজ পাঠ’ শীর্ষক একটি লেখায় বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে কীভাবে নির্ধারিত হতে পারে, তা নিয়ে বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী আমার মতামত হিসেবে বলেছেন, ‘সমদূরত্ব নীতি-পদ্ধতি অনুযায়ী এ তিনটি দেশের জলসীমা নির্ধারণ করা সঠিক হবে।’ তিনি আমার মত কিছুটা ভুলভাবে উদ্ধৃত করেছেন। আমার এ বিষয়ে প্রকৃত মত হলো, সমদূরত্ব নীতি-পদ্ধতি অনুযায়ী এ তিনটি দেশের সার্বভৌম সমুদ্রের জলসীমা নির্ধারণ করা সঠিক হবে। প্রকৃতপক্ষে এই নীতিতেই এই তিনটি দেশের তটরেখার সন্নিহিত সীমানা নির্ধারণ করা আছে, যার বিস্তার তটরেখা থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল এবং সন্নিহিত এলাকা ধরে মোট ২৪ নটিক্যাল মাইলের বেশি হবে না। এভাবে পেট্রোবাংলার সমুদ্র তটবর্তী গ্যাস ব্লকের মানচিত্রও তৈরি করা আছে। তবে বিষয়টি একেবারে সহজ পাঠ নয়।
সার্বভৌম সমুদ্র ও একচ্ছত্র অর্থনৈতিক এলাকা: UNCLOS III-এর ৩ ও ১৫ ধারায় প্রতিটি দেশের সমুদ্র তটরেখা (ভাটার রেখা) থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল (১ নটিক্যাল মাইল=১.৮৫২ কিলোমিটার) ওই দেশের সার্বভৌম সমুদ্র বলা হয়েছে, যা দুই দেশের স্থলসীমা থেকে টানা সমদূরত্ব রেখার মাধ্যমে নির্ণীত হবে। এই অংশের নিরাপত্তা নিজ নিজ দেশের দায়িত্বে হবে, তবে বিদেশি কোনো জাহাজের নিরপরাধ অতিক্রমণের সুযোগ থাকবে। ধারা ৩৩ মোতাবেক আরও ১২ নটিক্যাল মাইল সন্নিহিত এলাকা হবে, যেখানে একই প্রকার অধিকার ও দায়িত্ব বর্তাবে। UNCLOS III-এর ৫৫, ৫৬, ৫৭ ধারা অনুযায়ী প্রতিটি দেশের সমুদ্র তটরেখা (ভাটার রেখা) থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল ওই দেশের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক এলাকা হবে। এই অংশের সব সম্পদের মালিকানা, ব্যবহার ও উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট দেশের এখতিয়ারভুক্ত হবে।
মহীসোপান: UNCLOS III-এর ৭৬ ধারা অনুযায়ী একচ্ছত্র অর্থনৈতিক এলাকা বলতে তটরেখা থেকে সার্বভৌম সমুদ্র এবং সন্নিহিত এলাকা নিয়ে মহীসোপানের ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত সমুদ্র এলাকা বোঝাবে, যখন প্রাকৃতিকভাবে প্রসারমাণ সমুদ্রতল ওই পর্যন্ত না পৌঁছায়। প্রাকৃতিকভাবে প্রসারমাণ সমুদ্রতল এই দূরত্ব ছাড়িয়ে গেলে মহীসোপানের সীমা এই ধারার ৪ ও ৬ উপধারা অনুযায়ী হবে। উপধারা ৪ এর এ(১) অনুযায়ী মহীসোপানের সীমা ওই দূরত্ব পর্যন্ত হবে, যে দূরত্বে ওই দূরত্বের ১% গভীর পলি জমা পাওয়া যাবে। তবে ৪ এর এ(২) অনুযায়ী এই সীমা মহীসোপানের ঢাল থেকে অনূর্ধ্ব ৬০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে হবে, যা নির্ণয়যোগ্য নির্দিষ্ট রেখা দ্বারা চিহ্নিত করতে হবে। ৫ উপধারা অনুযায়ী মহীসোপানের সীমা ২৫০০ মিটার গভীরতা থেকে ১০০ নটিক্যাল মাইলের বেশি হতে পারবে না। ৬ উপধারা অনুযায়ী মহীসোপানের সীমা তটরেখা থেকে ৩৫০ নটিক্যাল মাইলের বেশি হতে পারবে না, তবে এই ধারা খাড়ির বেলায় প্রযোজ্য হবে না। ৭ উপধারা অনুযায়ী একটি দেশ তার সমুদ্রসীমা অনূর্ধ্ব ৬০ নটিক্যাল মাইলের রেখাসমূহের দ্বারা চিহ্নিত করবে।
বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা: বাংলাদেশের সার্বভৌম সমুদ্রসীমা UNCLOS III-এর ৩, ১৫ ধারা অনুযায়ী পশ্চিমে হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মধ্যস্রোত ধরে ভারত ও বাংলাদেশের তটরেখা থেকে সমদূরত্বে হবে। এই রেখা ৩৩ ধারা অনুযায়ী সন্নিহিত অঞ্চলসহ ২৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত দীর্ঘ হবে, তবে তা Swatch of No Ground বা অতল সমুদ্রের খাড়ি পার হয়ে যাবে না। এরপর এই রেখা ৭৬.৩, ৭৬.৪ (এ১, এ২ এবং বি) ও ৭৬.৫ অনুযায়ী দুই দেশের নদীগুলোর বাহিত পলির বিভাজন রেখা Swatch of No Ground বা অতল সমুদ্রের খাড়ি ধরে গভীর সমুদ্রের দিকে যাবে।
বাংলাদেশের সার্বভৌম সমুদ্রসীমা UNCLOS III-এর ৩, ১৫ ধারা অনুযায়ী পূর্বে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ছেড়া দ্বীপ ও ওয়েস্টার দ্বীপের মাঝামাঝি তটরেখা ধরে সমদূরত্বে হবে। এই রেখা ৩৩ ধারা অনুযায়ী সন্নিহিত অঞ্চলসহ ২৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত দীর্ঘ হবে, তবে নিকটবর্তী দক্ষিণমুখী খাড়ি পার হয়ে যাবে না। এরপর এই রেখা ৭৬.৩, ৭৬.৪ (এ১, এ২ এবং বি) ও ৭৬.৫ অনুযায়ী দুই দেশের নদীগুলোর বাহিত পলির বিভাজন রেখা বা ৯২ ডিগ্রি ১৫ মিনিট দ্রাঘিমা বরাবর বঙ্গোপসাগরে দক্ষিণমুখী যে খাড়ি আছে, সেই খাড়ি ধরে গভীর সমুদ্রের দিকে যাবে।
বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা পশ্চিম ও পূর্ব দিকে ওপরে বর্ণিত দুই রেখা বরাবর অগ্রসর হয়ে কুয়াকাটা অথবা কক্সবাজার তটরেখা থেকে সরাসরি ৩৫০ নটিক্যাল মাইল দূরত্ব পর্যন্ত হবে, অথবা দূরসমুদ্রে ২৫০০ মিটার গভীরতা থেকে বাইরের দিকে ১০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত হবে। তবে এই রেখা কখনোই পার্শ্ববর্তী দেশের নদীগুলোর পলির দ্বারা গঠিত প্রাকৃতিকভাবে প্রসারমাণ সমুদ্রতলকে অন্তর্ভুক্ত করবে না বা বিভাজন রেখা অতিক্রম করবে না।
ভারতের দাবি: জানামতে, ভারত চলতি ২০০৯ সালের ১১ মে জাতিসংঘের কাছে UNCLOS III-এর ধারা ৭৬-এর ৮ উপধারা অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে তার মহীসোপানের দাবি দাখিল করেছে। এই দাবিতে ভারত UNCLOS III-এর ধারা ৭৬.৩, ৭৬.৪ (এ১, এ২ এবং বি), ৭৬.৫ ও ৭৬.৬ লঙ্ঘন করে Swatch of No Ground বা অতল সমুদ্রের পূর্ব দিকে বাংলাদেশের পলি দ্বারা গঠিত মহীসোপানের ওপর দাবি জানিয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়।
মিয়ানমারের দাবি: জানামতে, মিয়ানমার ২০০৮ সালের ৫ ডিসেম্বর জাতিসংঘের কাছে UNCLOS III-এর ধারা ৭৬-এর ৮ উপধারা অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে তার মহীসোপানের দাবি দাখিল করেছে। এই দাবিতে মিয়ানমার UNCLOS III-এর ধারা ৭৬.৩, ৭৬.৪ (এ১, এ২ এবং বি), ৭৬.৫ ও ৭৬.৬ লঙ্ঘন করে ৯২ ডিগ্রি ১৫ মিনিট দ্রাঘিমা বরাবর বঙ্গোপসাগরে দক্ষিণমুখী খাড়ির পশ্চিমে বাংলাদেশের নদীর পলি দ্বারা গঠিত মহীসোপানের ওপর দাবি জানিয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়।
দক্ষিণ তালপট্টি: দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপটি ভাটায় জাগে, জোয়ারে ডুবে যায়। এই দ্বীপটি হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মধ্যস্রোতের পূর্বে অবস্থিত বিধায় বাংলাদেশের অংশ। প্রয়োজনে দুই দেশের যৌথ জরিপের মাধ্যমে সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে।
ম. ইনামুল হক: প্রকৌশলী; সাবেক মহাপরিচালক, পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা।
minamul@gmail.com
সার্বভৌম সমুদ্র ও একচ্ছত্র অর্থনৈতিক এলাকা: UNCLOS III-এর ৩ ও ১৫ ধারায় প্রতিটি দেশের সমুদ্র তটরেখা (ভাটার রেখা) থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল (১ নটিক্যাল মাইল=১.৮৫২ কিলোমিটার) ওই দেশের সার্বভৌম সমুদ্র বলা হয়েছে, যা দুই দেশের স্থলসীমা থেকে টানা সমদূরত্ব রেখার মাধ্যমে নির্ণীত হবে। এই অংশের নিরাপত্তা নিজ নিজ দেশের দায়িত্বে হবে, তবে বিদেশি কোনো জাহাজের নিরপরাধ অতিক্রমণের সুযোগ থাকবে। ধারা ৩৩ মোতাবেক আরও ১২ নটিক্যাল মাইল সন্নিহিত এলাকা হবে, যেখানে একই প্রকার অধিকার ও দায়িত্ব বর্তাবে। UNCLOS III-এর ৫৫, ৫৬, ৫৭ ধারা অনুযায়ী প্রতিটি দেশের সমুদ্র তটরেখা (ভাটার রেখা) থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল ওই দেশের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক এলাকা হবে। এই অংশের সব সম্পদের মালিকানা, ব্যবহার ও উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট দেশের এখতিয়ারভুক্ত হবে।
মহীসোপান: UNCLOS III-এর ৭৬ ধারা অনুযায়ী একচ্ছত্র অর্থনৈতিক এলাকা বলতে তটরেখা থেকে সার্বভৌম সমুদ্র এবং সন্নিহিত এলাকা নিয়ে মহীসোপানের ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত সমুদ্র এলাকা বোঝাবে, যখন প্রাকৃতিকভাবে প্রসারমাণ সমুদ্রতল ওই পর্যন্ত না পৌঁছায়। প্রাকৃতিকভাবে প্রসারমাণ সমুদ্রতল এই দূরত্ব ছাড়িয়ে গেলে মহীসোপানের সীমা এই ধারার ৪ ও ৬ উপধারা অনুযায়ী হবে। উপধারা ৪ এর এ(১) অনুযায়ী মহীসোপানের সীমা ওই দূরত্ব পর্যন্ত হবে, যে দূরত্বে ওই দূরত্বের ১% গভীর পলি জমা পাওয়া যাবে। তবে ৪ এর এ(২) অনুযায়ী এই সীমা মহীসোপানের ঢাল থেকে অনূর্ধ্ব ৬০ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে হবে, যা নির্ণয়যোগ্য নির্দিষ্ট রেখা দ্বারা চিহ্নিত করতে হবে। ৫ উপধারা অনুযায়ী মহীসোপানের সীমা ২৫০০ মিটার গভীরতা থেকে ১০০ নটিক্যাল মাইলের বেশি হতে পারবে না। ৬ উপধারা অনুযায়ী মহীসোপানের সীমা তটরেখা থেকে ৩৫০ নটিক্যাল মাইলের বেশি হতে পারবে না, তবে এই ধারা খাড়ির বেলায় প্রযোজ্য হবে না। ৭ উপধারা অনুযায়ী একটি দেশ তার সমুদ্রসীমা অনূর্ধ্ব ৬০ নটিক্যাল মাইলের রেখাসমূহের দ্বারা চিহ্নিত করবে।
বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা: বাংলাদেশের সার্বভৌম সমুদ্রসীমা UNCLOS III-এর ৩, ১৫ ধারা অনুযায়ী পশ্চিমে হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মধ্যস্রোত ধরে ভারত ও বাংলাদেশের তটরেখা থেকে সমদূরত্বে হবে। এই রেখা ৩৩ ধারা অনুযায়ী সন্নিহিত অঞ্চলসহ ২৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত দীর্ঘ হবে, তবে তা Swatch of No Ground বা অতল সমুদ্রের খাড়ি পার হয়ে যাবে না। এরপর এই রেখা ৭৬.৩, ৭৬.৪ (এ১, এ২ এবং বি) ও ৭৬.৫ অনুযায়ী দুই দেশের নদীগুলোর বাহিত পলির বিভাজন রেখা Swatch of No Ground বা অতল সমুদ্রের খাড়ি ধরে গভীর সমুদ্রের দিকে যাবে।
বাংলাদেশের সার্বভৌম সমুদ্রসীমা UNCLOS III-এর ৩, ১৫ ধারা অনুযায়ী পূর্বে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ছেড়া দ্বীপ ও ওয়েস্টার দ্বীপের মাঝামাঝি তটরেখা ধরে সমদূরত্বে হবে। এই রেখা ৩৩ ধারা অনুযায়ী সন্নিহিত অঞ্চলসহ ২৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত দীর্ঘ হবে, তবে নিকটবর্তী দক্ষিণমুখী খাড়ি পার হয়ে যাবে না। এরপর এই রেখা ৭৬.৩, ৭৬.৪ (এ১, এ২ এবং বি) ও ৭৬.৫ অনুযায়ী দুই দেশের নদীগুলোর বাহিত পলির বিভাজন রেখা বা ৯২ ডিগ্রি ১৫ মিনিট দ্রাঘিমা বরাবর বঙ্গোপসাগরে দক্ষিণমুখী যে খাড়ি আছে, সেই খাড়ি ধরে গভীর সমুদ্রের দিকে যাবে।
বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা পশ্চিম ও পূর্ব দিকে ওপরে বর্ণিত দুই রেখা বরাবর অগ্রসর হয়ে কুয়াকাটা অথবা কক্সবাজার তটরেখা থেকে সরাসরি ৩৫০ নটিক্যাল মাইল দূরত্ব পর্যন্ত হবে, অথবা দূরসমুদ্রে ২৫০০ মিটার গভীরতা থেকে বাইরের দিকে ১০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত হবে। তবে এই রেখা কখনোই পার্শ্ববর্তী দেশের নদীগুলোর পলির দ্বারা গঠিত প্রাকৃতিকভাবে প্রসারমাণ সমুদ্রতলকে অন্তর্ভুক্ত করবে না বা বিভাজন রেখা অতিক্রম করবে না।
ভারতের দাবি: জানামতে, ভারত চলতি ২০০৯ সালের ১১ মে জাতিসংঘের কাছে UNCLOS III-এর ধারা ৭৬-এর ৮ উপধারা অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে তার মহীসোপানের দাবি দাখিল করেছে। এই দাবিতে ভারত UNCLOS III-এর ধারা ৭৬.৩, ৭৬.৪ (এ১, এ২ এবং বি), ৭৬.৫ ও ৭৬.৬ লঙ্ঘন করে Swatch of No Ground বা অতল সমুদ্রের পূর্ব দিকে বাংলাদেশের পলি দ্বারা গঠিত মহীসোপানের ওপর দাবি জানিয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়।
মিয়ানমারের দাবি: জানামতে, মিয়ানমার ২০০৮ সালের ৫ ডিসেম্বর জাতিসংঘের কাছে UNCLOS III-এর ধারা ৭৬-এর ৮ উপধারা অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে তার মহীসোপানের দাবি দাখিল করেছে। এই দাবিতে মিয়ানমার UNCLOS III-এর ধারা ৭৬.৩, ৭৬.৪ (এ১, এ২ এবং বি), ৭৬.৫ ও ৭৬.৬ লঙ্ঘন করে ৯২ ডিগ্রি ১৫ মিনিট দ্রাঘিমা বরাবর বঙ্গোপসাগরে দক্ষিণমুখী খাড়ির পশ্চিমে বাংলাদেশের নদীর পলি দ্বারা গঠিত মহীসোপানের ওপর দাবি জানিয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়।
দক্ষিণ তালপট্টি: দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপটি ভাটায় জাগে, জোয়ারে ডুবে যায়। এই দ্বীপটি হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মধ্যস্রোতের পূর্বে অবস্থিত বিধায় বাংলাদেশের অংশ। প্রয়োজনে দুই দেশের যৌথ জরিপের মাধ্যমে সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে।
ম. ইনামুল হক: প্রকৌশলী; সাবেক মহাপরিচালক, পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা।
minamul@gmail.com
No comments