তাঁরা ডাক্তার হয়ে কী করবেন -রোগী বাঁচাবেন, না মারবেন
শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রনেতা নামধারী ব্যক্তিরা যখন হল দখল, টেন্ডারবাজিসহ নানা অন্যায় কাজে লিপ্ত হন, তখন উদ্বিগ্ন না হয়ে পারা যায় না। কিন্তু আরও বেশি উদ্বিগ্ন হতে হয়, যখন দেখি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা এসব অসত্ উদ্দেশ্যে নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছেন। শনিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। নবীন শিক্ষার্থীদের নিজ দলে টানার প্রতিযোগিতা শেষ পর্যন্ত সহিংসতায় রূপ নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে কর্তৃপক্ষ দুপুরেই অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু সংঘর্ষের জের চলতে থাকে রাত পর্যন্ত। ছাত্রাবাসের কয়েকটি কক্ষে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। কয়েকজন শিক্ষার্থীও আহত হন।
শুধু চট্টগ্রামে নয়, একই দিন ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজেও প্রথম বর্ষে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানানোকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে মৃদু হাতাহাতি ও পরে রাতে ছাত্রাবাসে সংঘর্ষ হয়। এখানেও বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। গতকাল দুপুরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করেন। তাঁরা অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে অবস্থান নেন। ছাত্রাবাসে হামলা ও ভাঙচুরের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কলেজের ডিন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন অধ্যক্ষ।
এ ধরনের ঘটনা নতুনও নয় শেষও নয়; বিচ্ছিন্ন তো নয়ই। দল বা ব্যক্তির প্রভাববিস্তারকে কেন্দ্র করে এসব সংঘর্ষ বাধে। কারণ প্রভাব বজায় রাখতে পারলে চাঁদাবাজি-দখলবাজির সুবিধা। অথচ দেশের সেরা শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তির সুযোগ পান। তাঁরাই যদি এ রকম অপরাধমূলক কাজে যুক্ত হয়ে পড়েন, তাহলে তাঁদের কাছে আমরা কী আশা করতে পারি? পাঁচ বছর পর তাঁরা ডাক্তার হয়ে যে চিকিত্সাসেবায় নিয়োজিত হবেন, সেখানে তাঁদের মনোভাবে ‘সেবা’ বলতে কিছু অবশিষ্ট থাকবে কি? তাঁরা মানুষ বাঁচানোর আদর্শ বহন করতে পারবেন কি? রোগী বাঁচাবেন, না মারবেন?
সবাই মারামারি করেন না, সবাই অন্যায় কাজে যুক্ত হন না, এটা সত্য, কিন্তু তাতে নিরুদ্বিগ্ন থাকার উপায় নেই, এটাও সত্য। কারণ গুটিকয় উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থীর সহিংসতার কাছে সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কর্তৃপক্ষ পর্যন্ত জিম্মি। ইচ্ছা থাকলেও তাঁরা কিছু করতে পারেন না। ক্ষমতাসীন মহল অনেক সময় কিছু শিক্ষার্থীর এসব অসত্ কাজে উত্সাহ দেয়। দলের লোক—এই যুক্তিতে বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়।
এর পরিণাম হয় ভয়াবহ। আজ শিক্ষার্থী হিসেবে মারামারি করেন, কাল ডাক্তার হয়ে হাসপাতালে ওই একই উদ্দেশ্যে মারামারিতে জড়িত হন। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ রকম ঘটনা কয়েক বছর ধরে চলছে। এর গোড়াপত্তন হয়েছে ছাত্রাবস্থায়, মেডিকেল কলেজগুলোতে।
শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতা নিন্দনীয়, তবে বিশেষভাবে নিন্দনীয় মেডিকেল কলেজগুলোতে হানাহানি। মানুষ বাঁচানোই যাঁদের মূলমন্ত্র হওয়া উচিত, তাঁরা কেন পরস্পরের বুকে গুলি চালাবেন বা লাঠালাঠিতে মাতবেন? যাঁরা হানাহানি করতে চান, তাঁদের অন্য কোথাও যেতে হবে, মেডিকেল কলেজ তাঁদের জন্য নয়।
শুধু চট্টগ্রামে নয়, একই দিন ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজেও প্রথম বর্ষে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানানোকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে মৃদু হাতাহাতি ও পরে রাতে ছাত্রাবাসে সংঘর্ষ হয়। এখানেও বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। গতকাল দুপুরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করেন। তাঁরা অধ্যক্ষের কক্ষের সামনে অবস্থান নেন। ছাত্রাবাসে হামলা ও ভাঙচুরের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কলেজের ডিন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন অধ্যক্ষ।
এ ধরনের ঘটনা নতুনও নয় শেষও নয়; বিচ্ছিন্ন তো নয়ই। দল বা ব্যক্তির প্রভাববিস্তারকে কেন্দ্র করে এসব সংঘর্ষ বাধে। কারণ প্রভাব বজায় রাখতে পারলে চাঁদাবাজি-দখলবাজির সুবিধা। অথচ দেশের সেরা শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তির সুযোগ পান। তাঁরাই যদি এ রকম অপরাধমূলক কাজে যুক্ত হয়ে পড়েন, তাহলে তাঁদের কাছে আমরা কী আশা করতে পারি? পাঁচ বছর পর তাঁরা ডাক্তার হয়ে যে চিকিত্সাসেবায় নিয়োজিত হবেন, সেখানে তাঁদের মনোভাবে ‘সেবা’ বলতে কিছু অবশিষ্ট থাকবে কি? তাঁরা মানুষ বাঁচানোর আদর্শ বহন করতে পারবেন কি? রোগী বাঁচাবেন, না মারবেন?
সবাই মারামারি করেন না, সবাই অন্যায় কাজে যুক্ত হন না, এটা সত্য, কিন্তু তাতে নিরুদ্বিগ্ন থাকার উপায় নেই, এটাও সত্য। কারণ গুটিকয় উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থীর সহিংসতার কাছে সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কর্তৃপক্ষ পর্যন্ত জিম্মি। ইচ্ছা থাকলেও তাঁরা কিছু করতে পারেন না। ক্ষমতাসীন মহল অনেক সময় কিছু শিক্ষার্থীর এসব অসত্ কাজে উত্সাহ দেয়। দলের লোক—এই যুক্তিতে বিশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়।
এর পরিণাম হয় ভয়াবহ। আজ শিক্ষার্থী হিসেবে মারামারি করেন, কাল ডাক্তার হয়ে হাসপাতালে ওই একই উদ্দেশ্যে মারামারিতে জড়িত হন। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ রকম ঘটনা কয়েক বছর ধরে চলছে। এর গোড়াপত্তন হয়েছে ছাত্রাবস্থায়, মেডিকেল কলেজগুলোতে।
শিক্ষাঙ্গনে সহিংসতা নিন্দনীয়, তবে বিশেষভাবে নিন্দনীয় মেডিকেল কলেজগুলোতে হানাহানি। মানুষ বাঁচানোই যাঁদের মূলমন্ত্র হওয়া উচিত, তাঁরা কেন পরস্পরের বুকে গুলি চালাবেন বা লাঠালাঠিতে মাতবেন? যাঁরা হানাহানি করতে চান, তাঁদের অন্য কোথাও যেতে হবে, মেডিকেল কলেজ তাঁদের জন্য নয়।
No comments