পশ্চিমবঙ্গের শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সিঙ্গুরের জমি ফেরত দিতে সম্মতি দিলেন রতন টাটা
সিঙ্গুরের যে জমি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে তোলপাড় হয়, রাজ্যের ক্ষমতাসীন বামফ্রন্ট সরকার লোকসভা নির্বাচনে পরাজয় বরণ করে, অবশেষে তা ফেরত দিতে রাজি হয়েছেন টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার রতন টাটা।
তবে রতন টাটা শর্ত জুড়ে দিয়েছেন একটি। শর্তটি হলো, তাঁরা যে পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছেন, তা ক্ষতিপূরণসহ ফেরত দিলেই কেবল টাটা গোষ্ঠী ওই জমি ফেরত দিতে রাজি। কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গের শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেনের সঙ্গে গত মঙ্গলবার বিকেলে সিঙ্গুরের জমি নিয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান রতন টাটা।
রতন টাটা বলেন, পশ্চিমবঙ্গের শিল্পায়ন প্রক্রিয়ায় টাটা গোষ্ঠী বাধা হতে চায় না। বরং পশ্চিমবঙ্গে নতুন নতুন শিল্প হলে সেখানে তাঁরা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। এমনকি রতন টাটা আরও জানান, তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে শিল্পায়ন থেকে হাত গুটিয়ে নিচ্ছেন না বরং এখানকার শিল্পে আরও বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রতন টাটা বলেন, আগামী বছরই কলকাতার উপকণ্ঠে রাজারহাটে তাঁদের নতুন ক্যান্সার হাসপাতালের উদ্বোধন হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে টাটার একলাখি ন্যানো গাড়ির কারখানা নির্মাণের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার টাটাকে আগামী ২০১০ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৯৯৭ একর জমি লিজ দেয়। এতে অবশ্য ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর নবায়নের শর্ত রাখা হয়। এরপরই টাটা গোষ্ঠীর অঙ্গসংগঠন টাটা মোটরস সেখানে ন্যানো গাড়ির কারখানা গড়ে তোলে। এই জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পশ্চিমবঙ্গজুড়ে ছড়িয়ে দেন এই আন্দোলন। একপর্যায়ে প্রবল আন্দোলনের মুখে টাটা মোটরস তাদের ন্যানো গাড়ির কারখানা গুজরাটের সানন্দে নিয়ে যায়। এর পরও মমতা টাটার জন্য লিজ দেওয়া ৯৯৭ একর জমির মধ্যে যে ৪০০ একর জমি দিতে কৃষকেরা অনিচ্ছুক ছিলেন, তা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন।
রতন টাটা আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুরের ঘটনায় তাঁদের তিক্ত অভিজ্ঞতা হলেও তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের শিল্পখাতে বিনিয়োগ থেকে সরে যাবেন না। রাজ্য সরকার চাইলে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে আরও শিল্পায়নের জন্য অর্থ বিনিয়োগ করতে সম্মত আছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তবে রতন টাটা শর্ত জুড়ে দিয়েছেন একটি। শর্তটি হলো, তাঁরা যে পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছেন, তা ক্ষতিপূরণসহ ফেরত দিলেই কেবল টাটা গোষ্ঠী ওই জমি ফেরত দিতে রাজি। কলকাতায় পশ্চিমবঙ্গের শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেনের সঙ্গে গত মঙ্গলবার বিকেলে সিঙ্গুরের জমি নিয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান রতন টাটা।
রতন টাটা বলেন, পশ্চিমবঙ্গের শিল্পায়ন প্রক্রিয়ায় টাটা গোষ্ঠী বাধা হতে চায় না। বরং পশ্চিমবঙ্গে নতুন নতুন শিল্প হলে সেখানে তাঁরা বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। এমনকি রতন টাটা আরও জানান, তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে শিল্পায়ন থেকে হাত গুটিয়ে নিচ্ছেন না বরং এখানকার শিল্পে আরও বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রতন টাটা বলেন, আগামী বছরই কলকাতার উপকণ্ঠে রাজারহাটে তাঁদের নতুন ক্যান্সার হাসপাতালের উদ্বোধন হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে টাটার একলাখি ন্যানো গাড়ির কারখানা নির্মাণের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার টাটাকে আগামী ২০১০ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৯৯৭ একর জমি লিজ দেয়। এতে অবশ্য ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর নবায়নের শর্ত রাখা হয়। এরপরই টাটা গোষ্ঠীর অঙ্গসংগঠন টাটা মোটরস সেখানে ন্যানো গাড়ির কারখানা গড়ে তোলে। এই জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি পশ্চিমবঙ্গজুড়ে ছড়িয়ে দেন এই আন্দোলন। একপর্যায়ে প্রবল আন্দোলনের মুখে টাটা মোটরস তাদের ন্যানো গাড়ির কারখানা গুজরাটের সানন্দে নিয়ে যায়। এর পরও মমতা টাটার জন্য লিজ দেওয়া ৯৯৭ একর জমির মধ্যে যে ৪০০ একর জমি দিতে কৃষকেরা অনিচ্ছুক ছিলেন, তা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন।
রতন টাটা আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুরের ঘটনায় তাঁদের তিক্ত অভিজ্ঞতা হলেও তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের শিল্পখাতে বিনিয়োগ থেকে সরে যাবেন না। রাজ্য সরকার চাইলে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে আরও শিল্পায়নের জন্য অর্থ বিনিয়োগ করতে সম্মত আছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
No comments