পুলিশের আচরণ অগ্রহণযোগ্য ও অভাবনীয় -ওই বুট, ওই লাথি, ওই আহত অধ্যাপক!
ছবিটি অনেক কথা বলছে। একজন শ্রদ্ধাভাজন অধ্যাপক রাজধানীর রাজপথে পড়ে আছেন। একদঙ্গল পুলিশ তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তাদের হাতে বাঁশ, রাইফেল, লাঠি। তারা অস্ত্রসজ্জিত এবং বর্ম ও হেলমেটে সুরক্ষিত। তারা সেখানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি এবং নাগরিক আন্দোলনের সংগঠক ও লেখক-অধ্যাপক আনু মুহাম্মদকে মাটিতে ফেলে পেটাচ্ছে, বুটের তলায় দলিত-মথিত করছে, তাঁর পায়ের হাড়গোড় ভেঙে দিচ্ছে!
সালটি ২০০৯। দিনবদলের স্লোগানে অভূতপূর্ব সমর্থন নিয়ে নতুন সরকার সুপ্রতিষ্ঠিত। সময়টি ব্রিটিশ বা পাকিস্তান আমল কিংবা সামরিক শাসন থেকে অনেক দূরে হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আচরণে মনে হয়, বাংলাদেশ আজও এক পুলিশি রাষ্ট্র। আমরা কি এগোচ্ছি, না পেছাচ্ছি? নাগরিক হিসেবে, গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে এবং সর্বোপরি মানুষ হিসেবে এমন ঘটনা সহ্য করা যায় না।
গভীর সমুদ্রের গ্যাসক্ষেত্র বিদেশি কোম্পানির কাছে বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সমাবেশ ও মিছিল করছিল একটি নাগরিক সংগঠন। তাদের দাবি সঠিক কি বেঠিক, সেটি বড় কথা নয়; বড় কথা হলো, নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদে এভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার কী কারণ সৃষ্টি হয়েছিল? সেখানে সাবেক বিচারপতি থেকে শুরু করে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক ও রাজনীতিবিদদের কেউ কেউ ছিলেন। তাঁরা দেশের সম্মানিত প্রবীণ নাগরিক। তাঁদের উপস্থিতিতে এমন বর্বরতার কী ব্যাখ্যা দেবে পুলিশ কর্তৃপক্ষ? বয়সের বিবেচনায় এমন আঘাত ও উত্তেজনার ফল আরও মারাত্মক হতে পারত। গতকাল বৃহস্পতিবারের প্রথম আলোর ছবিটি তার সাক্ষ্য দিচ্ছে। কেবল আনু মুহাম্মদই নন, পুলিশের এই হামলায় প্রায় সত্তরজন আহত হয়েছেন। অনেকেরই অবস্থা রক্তাক্ত ও গুরুতর।
এই দৃশ্য আমরা অতীতেও দেখেছি। কখনো তা করেছে ইউনিফর্ম পরা পুলিশ কিংবা রাজনৈতিক দলের মদদপুষ্ট ইউনিফর্মহীন মাস্তান বাহিনী। এই ঘটনা বলছে, পোশাক পরা পুলিশ ও মাস্তানের মধ্যে অনেক সময়ই আচরণের কোনো প্রভেদ থাকে না। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার দায় অবশ্যই পুলিশপ্রধান ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিতে হবে। আন্দোলনের নামে হরতাল-ভাঙচুর যেমন সমর্থনীয় নয়, তেমনি আইনি ও গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ দমন করাও অন্যায়। গণতন্ত্রের শর্ত হলো ভিন্নমত প্রকাশ এবং প্রতিবাদের সুযোগ অবারিত রাখা। পুলিশি জুলুম সভ্য সমাজ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে চলতে পারে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে দোষী পুলিশ সদস্যের শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রতিশ্রুতি পালিত হোক এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চিরতরে বন্ধ হোক।
সালটি ২০০৯। দিনবদলের স্লোগানে অভূতপূর্ব সমর্থন নিয়ে নতুন সরকার সুপ্রতিষ্ঠিত। সময়টি ব্রিটিশ বা পাকিস্তান আমল কিংবা সামরিক শাসন থেকে অনেক দূরে হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আচরণে মনে হয়, বাংলাদেশ আজও এক পুলিশি রাষ্ট্র। আমরা কি এগোচ্ছি, না পেছাচ্ছি? নাগরিক হিসেবে, গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে এবং সর্বোপরি মানুষ হিসেবে এমন ঘটনা সহ্য করা যায় না।
গভীর সমুদ্রের গ্যাসক্ষেত্র বিদেশি কোম্পানির কাছে বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সমাবেশ ও মিছিল করছিল একটি নাগরিক সংগঠন। তাদের দাবি সঠিক কি বেঠিক, সেটি বড় কথা নয়; বড় কথা হলো, নিয়মতান্ত্রিক প্রতিবাদে এভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার কী কারণ সৃষ্টি হয়েছিল? সেখানে সাবেক বিচারপতি থেকে শুরু করে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক ও রাজনীতিবিদদের কেউ কেউ ছিলেন। তাঁরা দেশের সম্মানিত প্রবীণ নাগরিক। তাঁদের উপস্থিতিতে এমন বর্বরতার কী ব্যাখ্যা দেবে পুলিশ কর্তৃপক্ষ? বয়সের বিবেচনায় এমন আঘাত ও উত্তেজনার ফল আরও মারাত্মক হতে পারত। গতকাল বৃহস্পতিবারের প্রথম আলোর ছবিটি তার সাক্ষ্য দিচ্ছে। কেবল আনু মুহাম্মদই নন, পুলিশের এই হামলায় প্রায় সত্তরজন আহত হয়েছেন। অনেকেরই অবস্থা রক্তাক্ত ও গুরুতর।
এই দৃশ্য আমরা অতীতেও দেখেছি। কখনো তা করেছে ইউনিফর্ম পরা পুলিশ কিংবা রাজনৈতিক দলের মদদপুষ্ট ইউনিফর্মহীন মাস্তান বাহিনী। এই ঘটনা বলছে, পোশাক পরা পুলিশ ও মাস্তানের মধ্যে অনেক সময়ই আচরণের কোনো প্রভেদ থাকে না। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার দায় অবশ্যই পুলিশপ্রধান ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিতে হবে। আন্দোলনের নামে হরতাল-ভাঙচুর যেমন সমর্থনীয় নয়, তেমনি আইনি ও গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ দমন করাও অন্যায়। গণতন্ত্রের শর্ত হলো ভিন্নমত প্রকাশ এবং প্রতিবাদের সুযোগ অবারিত রাখা। পুলিশি জুলুম সভ্য সমাজ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে চলতে পারে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে দোষী পুলিশ সদস্যের শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রতিশ্রুতি পালিত হোক এবং এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চিরতরে বন্ধ হোক।
No comments