বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৯১৪ কোটি ডলার, সর্বকালের সর্বোচ্চ মাসিক হিসাবে আগস্টে এসেছে সর্বাধিক পরিমাণ প্রবাসী-আয়
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
একই সঙ্গে চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে দেশে মোট ৯৩ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী-আয় এসেছে। এটিও দেশে কোনো এক মাসে সর্বোচ্চ পরিমাণে প্রবাসী-আয়ের রেকর্ড। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রবাসী-আয়ের উচ্চ প্রবাহ ও আমদানি ব্যয় হ্রাস পাওয়ায় রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুদ বেড়ে ৯১৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর আগে গত ৮ আগস্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৮০০ কোটি ডলার অতিক্রম করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, ২০০৮-০৯ অর্থবছরের শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৭৪১ কোটি ৯১ লাখ ডলার। এর আগের ২০০৭-০৮ অর্থবছর শেষে এই পরিমাণ ছিল ৬১৪ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। বিশ্বমন্দার এই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি অর্থনীতিকে নিরাপদ রাখতে সহায়তা করছে বলে মনে করা হয়। বর্তমান ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) দেশে মোট ১৮২ কোটি ৩২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স বা প্রবাসী-আয় এসেছে। এর মধ্যে অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বিদেশে কর্মরত অনবাসী বাংলাদেশি নাগরিকেরা পাঠিয়েছিলেন ৮৮ কোটি ৫৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
প্রবাসী-আয়ের উচ্চ প্রবাহ লেনদেনের ভারসাম্য অনুকূল অবস্থায় রাখতে সাহায্য করেছে। পাশাপাশি চলতি হিসাবের ভারসাম্যেও বড় ধরনের উদ্বৃত্তাবস্থা বজায় রেখেছে।
২০০৮-০৯ অর্থবছরে দেশে প্রবাসী-আয়ের পরিমাণ ছিল ৯৬৮ কোটি ১৭ লাখ ডলার, যা আগের ২০০৭-০৮ অর্থবছরের চেয়ে সাড়ে ২২ শতাংশ বেশি ছিল। ওই অর্থবছরে প্রবাসীরা দেশে ৭৯১ কোটি ডলারের কিছু বেশি অর্থ পাঠিয়েছিলেন।
আবার চার বছর আগে ২০০৫-০৬ অর্থবছরে বাংলাদেশে মোট ৪৮০ কোটি ২৪ লাখ ডলারের প্রবাসী-আয় এসেছিল। অর্থাত্ তিন বছরের মধ্যে দেশে প্রবাসী-আয়প্রবাহ দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, ২০০৮-০৯ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে দেশে ৯১ কোটি ডলারের বেশি অর্থ পাঠান প্রবাসীরা। তখন পর্যন্ত সেটিই ছিল মাসওয়ারি হিসাবে প্রবাসী-আয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগের মে মাসে প্রায় ৮৯ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাঠান প্রবাসীরা।
প্রবাসী-আয়ের বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, বৈশ্বিক অর্থনীতির চলমান মন্দা বাংলাদেশের প্রবাসী-আয়ের ওপর সেভাবে আঘাত হানেনি। তবে বিশ্বব্যাংক বলেছে, মন্দার মতো অনিশ্চয়তার সময়ই প্রবাসী-আয় বাড়ে বলে সব সময়ই দেখা গেছে।
আবার সাম্প্রতিককালে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ও মানিগ্রামের মতো নামকরা অর্থ স্থানান্তরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম জোরদার করার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে দেশে প্রবাসী-আয়ের প্রবাহ না কমে বরং বাড়ার ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, প্রবাসী-আয় বাড়ার চলমান প্রবণতায় বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সেবার মান বাড়ানো এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে (এনজিও) সম্পৃক্তকরণে উত্সাহিত করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ এখন প্রবাসী-আয়প্রাপ্তিতে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের তালিকায় রয়েছে। পৃথিবীর বড় বড় অর্থ স্থানান্তরকারী প্রতিষ্ঠানও মনে করছে যে বিশ্বমন্দা বাংলাদেশে প্রবাসী-আয়প্রবাহে তেমন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।
একই সঙ্গে চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে দেশে মোট ৯৩ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী-আয় এসেছে। এটিও দেশে কোনো এক মাসে সর্বোচ্চ পরিমাণে প্রবাসী-আয়ের রেকর্ড। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। প্রবাসী-আয়ের উচ্চ প্রবাহ ও আমদানি ব্যয় হ্রাস পাওয়ায় রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুদ বেড়ে ৯১৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর আগে গত ৮ আগস্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৮০০ কোটি ডলার অতিক্রম করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, ২০০৮-০৯ অর্থবছরের শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৭৪১ কোটি ৯১ লাখ ডলার। এর আগের ২০০৭-০৮ অর্থবছর শেষে এই পরিমাণ ছিল ৬১৪ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। বিশ্বমন্দার এই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি অর্থনীতিকে নিরাপদ রাখতে সহায়তা করছে বলে মনে করা হয়। বর্তমান ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) দেশে মোট ১৮২ কোটি ৩২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স বা প্রবাসী-আয় এসেছে। এর মধ্যে অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বিদেশে কর্মরত অনবাসী বাংলাদেশি নাগরিকেরা পাঠিয়েছিলেন ৮৮ কোটি ৫৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
প্রবাসী-আয়ের উচ্চ প্রবাহ লেনদেনের ভারসাম্য অনুকূল অবস্থায় রাখতে সাহায্য করেছে। পাশাপাশি চলতি হিসাবের ভারসাম্যেও বড় ধরনের উদ্বৃত্তাবস্থা বজায় রেখেছে।
২০০৮-০৯ অর্থবছরে দেশে প্রবাসী-আয়ের পরিমাণ ছিল ৯৬৮ কোটি ১৭ লাখ ডলার, যা আগের ২০০৭-০৮ অর্থবছরের চেয়ে সাড়ে ২২ শতাংশ বেশি ছিল। ওই অর্থবছরে প্রবাসীরা দেশে ৭৯১ কোটি ডলারের কিছু বেশি অর্থ পাঠিয়েছিলেন।
আবার চার বছর আগে ২০০৫-০৬ অর্থবছরে বাংলাদেশে মোট ৪৮০ কোটি ২৪ লাখ ডলারের প্রবাসী-আয় এসেছিল। অর্থাত্ তিন বছরের মধ্যে দেশে প্রবাসী-আয়প্রবাহ দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, ২০০৮-০৯ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে দেশে ৯১ কোটি ডলারের বেশি অর্থ পাঠান প্রবাসীরা। তখন পর্যন্ত সেটিই ছিল মাসওয়ারি হিসাবে প্রবাসী-আয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগের মে মাসে প্রায় ৮৯ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাঠান প্রবাসীরা।
প্রবাসী-আয়ের বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁদের মতে, বৈশ্বিক অর্থনীতির চলমান মন্দা বাংলাদেশের প্রবাসী-আয়ের ওপর সেভাবে আঘাত হানেনি। তবে বিশ্বব্যাংক বলেছে, মন্দার মতো অনিশ্চয়তার সময়ই প্রবাসী-আয় বাড়ে বলে সব সময়ই দেখা গেছে।
আবার সাম্প্রতিককালে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন ও মানিগ্রামের মতো নামকরা অর্থ স্থানান্তরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম জোরদার করার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে দেশে প্রবাসী-আয়ের প্রবাহ না কমে বরং বাড়ার ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা গেছে, প্রবাসী-আয় বাড়ার চলমান প্রবণতায় বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সেবার মান বাড়ানো এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে (এনজিও) সম্পৃক্তকরণে উত্সাহিত করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ এখন প্রবাসী-আয়প্রাপ্তিতে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের তালিকায় রয়েছে। পৃথিবীর বড় বড় অর্থ স্থানান্তরকারী প্রতিষ্ঠানও মনে করছে যে বিশ্বমন্দা বাংলাদেশে প্রবাসী-আয়প্রবাহে তেমন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।
No comments