ওরাম জানতেনই না
একজন বোলার হ্যাটট্রিক করেছেন, অথচ ধারাভাষ্যকারদের কণ্ঠে বাড়তি কোনো উচ্ছ্বাস নেই। থাকবে কীভাবে, তারা তো বুঝতেই পারেননি! তাঁদেরই বা কী দোষ, বুঝতে পারেননি বোলার জ্যাকব ওরাম নিজে এবং তাঁর সতীর্থরাও। একে তো টান টান উত্তেজনার ম্যাচ, তার ওপর আবার হ্যাটট্রিকটা হয়েছে দুই ওভার মিলিয়ে। এই দুই ওভারের মাঝে হয়ে গেছে আবার আরও দুই ওভার। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকটা তাই খেয়াল করেননি কেউই। হোটেলে ফিরে নিউজিল্যান্ড থেকে বাবার অভিনন্দন বার্তা পাওয়ার পরই ওরাম প্রথম জানলেন বোলারের জন্য বহু আরাধ্য ‘হ্যাটট্রিক’ তিনি করে ফেলেছেন!
১৭তম ওভারের (নিজের তৃতীয়) শেষ বলে আউট করেছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে। এর পর বল হাতে নিয়েছেন শেষ ওভারে, প্রথম দুই বলেই আউট করেছেন মালিঙ্গা বান্দারা ও নুয়ান কুলাসেকারাকে। তবে বুঝতে না পারলেও ওরামের হ্যাটট্রিক ও ভেট্টোরির অসাধারণ এক স্পেলে সফরে প্রথম জয়ের মুখ দেখেছে কিউইরা।
টেস্ট সিরিজে শ্বেত ধোলাইয়ের পর ড্যানিয়েল ভেট্টোরি বলেছিলেন, তাঁর তরুণ দল টেস্টে এখনো খাপ খাইয়ে নিতে পারেনি, কিন্তু ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে তারা পুরোপুরি অন্য রকম। অধিনায়ক যে ভুল বলেননি, প্রথম টি-টোয়েন্টিতেই তা প্রমাণ করল নিউজিল্যান্ড। ১৪২ রানের লক্ষ্যে ছুটে ৮ ওভারেই শ্রীলঙ্কার স্কোরবোর্ডে রান ছিল ৭৫। এই ম্যাচটিও ৩ রানে জিতে নিউজিল্যান্ড আরেকবার মনে করিয়ে দিয়েছে চিরপ্রতিষ্ঠিত সেই কথাটিই, শেষ বল হওয়ার আগে ক্রিকেটে শেষ বলে কোনো কথা নেই!
এমনিতেই লক্ষ্যটা খুব বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল না, এর পর আবার দিলশানের ২৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংস। এমন ম্যাচ জিতে উচ্ছ্বসিত ভেট্টোরি দলীয় সমঝোতাকেই দিলেন কৃতিত্ব, ‘দিলশান যখন এমন ফর্মে থাকে, তাকে আটকানোর পথই খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু সে আউট হওয়ার পর আমরা যেভাবে লড়াইয়ে ফিরেছি, এটা ছিল অসাধারণ। আমার মনে হয় সবাই যা দেখতে চাচ্ছিল আমরা তাই করে দেখিয়েছি। মাঠে সবাই ছিল দুর্দান্ত। রাইডার, ম্যাককালাম, টেলর সবাই মাঠে সর্বস্ব ঢেলে দিয়েছে। এর চেয়ে বেশি আমি আর চাইতে পারতাম না।’ বরাবরের মতোই অবশ্য ভেট্টোরি নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। ৬ ওভারে ৬৪ রান, এই অবস্থায় বোলিংয়ে এসে ৪ ওভারে ১১ রান দিয়ে নিয়েছেন কুমার সাঙ্গাকারা আর অভিষিক্ত জিহান রুপাসিংহের উইকেট। ম্যাচসেরাও তিনি। শুরুর ঝড়টা অধিনায়ক সামাল দেওয়ার পর নিজেদের খুঁজে পেয়েছেন বাকি বোলাররাও। অষ্টম ও দশম ওভারে দিলশান ও কাপুগেদারার গুরুত্বপূর্ণ উইকেট দুটি নিয়েছেন ইয়ান বাটলার। প্রথম ওভারে ১৬ রান দেওয়ার পর ফিরে আসা শেন বন্ড পরের তিন ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১১ রান। খুশি হওয়ার অনেক উপলক্ষই তাই খুঁজে পাচ্ছেন ভেট্টোরি।
অন্যদিকে কুমার সাঙ্গাকারা খুঁজছেন হারের কারণ। এমন শুরুর পরও কীভাবে হারলেন এখনো ভেবে পাচ্ছেন না শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক, ‘প্রতিপক্ষকে ১৪১ রানে বেঁধে ফেলা ও সম্ভব-সেরা একটা শুরুর পর জিততে না পারাটা খুবই চিন্তার বিষয়। সবাইকে নিজেদের দিকে তাকাতে হবে এবং দায়িত্ব নিতে হবে। এই ম্যাচ কীভাবে হারলাম এখনো বুঝতে পারছি না।’
উত্তর খোঁজার জন্য খুব বেশি সময়ও পাচ্ছেন না সাঙ্গাকারা। একই মাঠে দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি যে আজই!
১৭তম ওভারের (নিজের তৃতীয়) শেষ বলে আউট করেছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকে। এর পর বল হাতে নিয়েছেন শেষ ওভারে, প্রথম দুই বলেই আউট করেছেন মালিঙ্গা বান্দারা ও নুয়ান কুলাসেকারাকে। তবে বুঝতে না পারলেও ওরামের হ্যাটট্রিক ও ভেট্টোরির অসাধারণ এক স্পেলে সফরে প্রথম জয়ের মুখ দেখেছে কিউইরা।
টেস্ট সিরিজে শ্বেত ধোলাইয়ের পর ড্যানিয়েল ভেট্টোরি বলেছিলেন, তাঁর তরুণ দল টেস্টে এখনো খাপ খাইয়ে নিতে পারেনি, কিন্তু ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে তারা পুরোপুরি অন্য রকম। অধিনায়ক যে ভুল বলেননি, প্রথম টি-টোয়েন্টিতেই তা প্রমাণ করল নিউজিল্যান্ড। ১৪২ রানের লক্ষ্যে ছুটে ৮ ওভারেই শ্রীলঙ্কার স্কোরবোর্ডে রান ছিল ৭৫। এই ম্যাচটিও ৩ রানে জিতে নিউজিল্যান্ড আরেকবার মনে করিয়ে দিয়েছে চিরপ্রতিষ্ঠিত সেই কথাটিই, শেষ বল হওয়ার আগে ক্রিকেটে শেষ বলে কোনো কথা নেই!
এমনিতেই লক্ষ্যটা খুব বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল না, এর পর আবার দিলশানের ২৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংস। এমন ম্যাচ জিতে উচ্ছ্বসিত ভেট্টোরি দলীয় সমঝোতাকেই দিলেন কৃতিত্ব, ‘দিলশান যখন এমন ফর্মে থাকে, তাকে আটকানোর পথই খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু সে আউট হওয়ার পর আমরা যেভাবে লড়াইয়ে ফিরেছি, এটা ছিল অসাধারণ। আমার মনে হয় সবাই যা দেখতে চাচ্ছিল আমরা তাই করে দেখিয়েছি। মাঠে সবাই ছিল দুর্দান্ত। রাইডার, ম্যাককালাম, টেলর সবাই মাঠে সর্বস্ব ঢেলে দিয়েছে। এর চেয়ে বেশি আমি আর চাইতে পারতাম না।’ বরাবরের মতোই অবশ্য ভেট্টোরি নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। ৬ ওভারে ৬৪ রান, এই অবস্থায় বোলিংয়ে এসে ৪ ওভারে ১১ রান দিয়ে নিয়েছেন কুমার সাঙ্গাকারা আর অভিষিক্ত জিহান রুপাসিংহের উইকেট। ম্যাচসেরাও তিনি। শুরুর ঝড়টা অধিনায়ক সামাল দেওয়ার পর নিজেদের খুঁজে পেয়েছেন বাকি বোলাররাও। অষ্টম ও দশম ওভারে দিলশান ও কাপুগেদারার গুরুত্বপূর্ণ উইকেট দুটি নিয়েছেন ইয়ান বাটলার। প্রথম ওভারে ১৬ রান দেওয়ার পর ফিরে আসা শেন বন্ড পরের তিন ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১১ রান। খুশি হওয়ার অনেক উপলক্ষই তাই খুঁজে পাচ্ছেন ভেট্টোরি।
অন্যদিকে কুমার সাঙ্গাকারা খুঁজছেন হারের কারণ। এমন শুরুর পরও কীভাবে হারলেন এখনো ভেবে পাচ্ছেন না শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক, ‘প্রতিপক্ষকে ১৪১ রানে বেঁধে ফেলা ও সম্ভব-সেরা একটা শুরুর পর জিততে না পারাটা খুবই চিন্তার বিষয়। সবাইকে নিজেদের দিকে তাকাতে হবে এবং দায়িত্ব নিতে হবে। এই ম্যাচ কীভাবে হারলাম এখনো বুঝতে পারছি না।’
উত্তর খোঁজার জন্য খুব বেশি সময়ও পাচ্ছেন না সাঙ্গাকারা। একই মাঠে দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি যে আজই!
No comments