সিআইএ বন্দী নির্যাতন নিয়ে আর প্রতিবেদন প্রকাশ করবে না
মার্কিন গোপন কারাগারে বন্দী নির্যাতন নিয়ে আর কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ)। সংস্থাটির সন্ত্রাসী পাকড়াও, বন্দীদের আটকাবস্থা ও জিজ্ঞাসাবাদের কৌশল বিস্তারিত প্রকাশ পেলে তা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তায় আঘাত হানতে পারে বলে সিআইএ জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও সিআইএর বিতর্কিত জিজ্ঞাসাবাদের কৌশল প্রকাশ না করার নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে এ সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ)। তারা এ প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানিয়ে আদালতে দুটি আবেদন করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত বন্দী নির্যাতনের বিস্তারিত প্রতিবেদন কেন প্রকাশ করা হবে না তা জানতে চেয়ে সিআইএকে নোটিশ দিয়েছিলেন। নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য গত সোমবার পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার সিআইএ এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ মার্কিন গোপন কারাগারে বন্দী নির্যাতন নিয়ে সিআইএর ইন্সপেক্টর জেনারেলের করা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে কারাগারে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের ওপর সিআইএ কর্মকর্তাদের বর্বরোচিত নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরা হয়। এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর ওয়াশিংটনে সমালোচনার ঝড় ওঠে। মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডার জিজ্ঞাসাবাদের নামে সিআইএর বন্দী নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে একজন বিশেষ কৌঁসূলি নিয়োগ করেন।
সিআইএ বলেছে, বন্দী নির্যাতন নিয়ে তৈরি বিস্তারিত প্রতিবেদন এতটাই সংবেদনশীল যে তা প্রকাশ করা ঠিক হবে না। কারণ এ প্রতিবেদনে বিদেশে সিআইএর কর্মকাণ্ডের অবস্থান, গোয়েন্দা তত্পরতার পদ্ধতি, সূত্র এবং এ ব্যাপারে কিছু বিদেশি সরকারের সহায়তার কথা বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়া এই প্রতিবেদনে সিআইএর জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য, তাদের ই-মেইল ও লিখিত প্রমাণাদি রয়েছে।
সংস্থাটির আইনজীবী ওয়েন্ডি হিলটন বলেছেন, ‘এ প্রতিবেদন প্রকাশ পেলে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা চরম ঝুঁকির মুখে পড়বে।’
এসিএলইউর জাতীয় নিরাপত্তা প্রকল্পের পরিচালক জামিল জাফর বলেছেন, ‘সিআইএর এ সিদ্ধান্ত ওবামা প্রশাসনের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ নয়। কেননা, বারাক ওবামা ক্ষমতা গ্রহণের পর সিআইএর বন্দী নির্যাতন বন্ধ এবং এ ব্যাপারে মার্কিন সরকারের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের অঙ্গীকার করেছিলেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত বন্দী নির্যাতনের বিস্তারিত প্রতিবেদন কেন প্রকাশ করা হবে না তা জানতে চেয়ে সিআইএকে নোটিশ দিয়েছিলেন। নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য গত সোমবার পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার সিআইএ এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ মার্কিন গোপন কারাগারে বন্দী নির্যাতন নিয়ে সিআইএর ইন্সপেক্টর জেনারেলের করা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে কারাগারে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের ওপর সিআইএ কর্মকর্তাদের বর্বরোচিত নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরা হয়। এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর ওয়াশিংটনে সমালোচনার ঝড় ওঠে। মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডার জিজ্ঞাসাবাদের নামে সিআইএর বন্দী নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে একজন বিশেষ কৌঁসূলি নিয়োগ করেন।
সিআইএ বলেছে, বন্দী নির্যাতন নিয়ে তৈরি বিস্তারিত প্রতিবেদন এতটাই সংবেদনশীল যে তা প্রকাশ করা ঠিক হবে না। কারণ এ প্রতিবেদনে বিদেশে সিআইএর কর্মকাণ্ডের অবস্থান, গোয়েন্দা তত্পরতার পদ্ধতি, সূত্র এবং এ ব্যাপারে কিছু বিদেশি সরকারের সহায়তার কথা বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়া এই প্রতিবেদনে সিআইএর জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য, তাদের ই-মেইল ও লিখিত প্রমাণাদি রয়েছে।
সংস্থাটির আইনজীবী ওয়েন্ডি হিলটন বলেছেন, ‘এ প্রতিবেদন প্রকাশ পেলে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা চরম ঝুঁকির মুখে পড়বে।’
এসিএলইউর জাতীয় নিরাপত্তা প্রকল্পের পরিচালক জামিল জাফর বলেছেন, ‘সিআইএর এ সিদ্ধান্ত ওবামা প্রশাসনের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ নয়। কেননা, বারাক ওবামা ক্ষমতা গ্রহণের পর সিআইএর বন্দী নির্যাতন বন্ধ এবং এ ব্যাপারে মার্কিন সরকারের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণের অঙ্গীকার করেছিলেন।’
No comments