কথা নয়, জনগণ কাজ দেখতে চায় -চাঁদাবাজি: পুলিশের স্বীকারোক্তি
খাদ্যমন্ত্রীর পর পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) স্বীকার করলেন, দেশের পথেঘাটে চাঁদাবাজি চলছে। গত সোমবার অপরাধ পর্যালোচনা বিষয়ে পুলিশের মাসিক পর্যালোচনা সভা শেষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘দেশে চাঁদাবাজি হচ্ছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।’ এ রকম স্বীকারোক্তির কোনো ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যায় কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
সোমবারের ওই পর্যালোচনা সভায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, দেশের সব মহাসড়কে চাঁদাবাজি হচ্ছে। চাঁদাবাজির কারণে বেড়ে যাচ্ছে পণ্যের দাম। সন্ত্রাসী ও পরিবহন শ্রমিক-কর্মচারীদের পাশাপাশি পুলিশও চাঁদাবাজি করছে। এর আগে খাদ্যপণ্যের ঊর্ধ্বমূল্য প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বন্দর থেকে বাজার পর্যন্ত পণ্য পরিবহনের পথে চাঁদাবাজির কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে। সরকারের মন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ পদাধিকারীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যখন কোনো বাস্তব সমস্যা অকপটে স্বীকার করেন, তখন তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে হয়। কারণ, এ দেশে সরকার সাধারণত এ ধরনের সমস্যা স্বীকার করতে চায় না। কিন্তু স্বীকার করার মধ্য দিয়ে কী ঘটে, সেটা ভেবে দেখা যায়।
প্রথমেই কিছু প্রশ্ন জাগে। এক. চাঁদাবাজি হচ্ছে, এই কথা স্বীকার করে পুলিশ বিভাগ জনগণকে কী বোঝাতে চায়? চাঁদাবাজদের সঙ্গে তারা পেরে উঠছে না? তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না? চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য দমন করার সাধ্য পুলিশের নেই, তাই কি এমন নিরুপায় স্বীকারোক্তি? দুই. চাঁদাবাজদের এ ধরনের দৌরাত্ম্যের কারণ কী? ‘দেশের সব মহাসড়কে’ যারা চাঁদাবাজি করছে, তাদের শক্তির উত্স কোথায়? পরিবহন খাতের শ্রমিক-কর্মচারীদের কথা উল্লেখ করেছেন পুলিশের কর্মকর্তারা। তো, তাঁরা কি আইনের ঊর্ধ্বে? তাঁদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করা কি সম্ভব হচ্ছে না? তা না হলে কেন হচ্ছে না? কত দিন ধরেই তো সরকারের পক্ষ থেকে চাঁদাবাজির কথা স্বীকার করা হচ্ছে, কিন্তু চাঁদাবাজদের পাকড়াও করার খবর তো পাওয়া যাচ্ছে না। কেন? তিন. পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই স্বীকার করছেন, পরিবহন শ্রমিক-কর্মচারীদের পাশাপাশি পুলিশের সদস্যরাও চাঁদাবাজি করছেন। এটা বড় ভয়ঙ্কর কথা, যদিও জনগণ বেশ জানে, রাস্তাঘাটে পুলিশের এক শ্রেণীর সদস্য এসব করেন। কিন্তু সেটা যখন পুলিশ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও জানেন এবং জনগণকে জানান, তখন পরিস্থিতি হতাশাব্যঞ্জক পর্যায়ে চলে যায়। এ যেন এমন এক পরিস্থিতি, যখন দেশের আইনকানুন অকার্যকর হয়ে পড়ে, দেশ যাঁরা চালান তাঁদের কর্তব্যপালনে ব্যর্থতার দায়বোধ ভোঁতা হয়ে যায়।
পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেছেন, তাঁরা চাঁদাবাজি বন্ধ করার চেষ্টা করছেন। এখন থেকে কোনো অবস্থায়ই যাতে সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি না হয়, সে ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের নির্দেশ খোদ প্রধানমন্ত্রীর মুখেও একাধিকবার শোনা গেছে। কিন্তু তার সুফল তো দেখা যাচ্ছে না। দেশজুড়ে চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজিসহ নানা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত প্রধানত সরকারি দল ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মী-সমর্থকসহ ক্ষমতাবলয়ের কাছের লোকজন। রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়াই যদি এসব অপরাধীর দৌরাত্ম্যের প্রধান কারণ হয়ে থাকে, তাহলে পুলিশের মহাপরিদর্শকের নির্দেশেই চাঁদাবাজি বন্ধ হবে, এ রকম আশা করা যায় না। মুখের কথায় নয়, সরকারকে বাস্তব ক্ষেত্রেই প্রমাণ দেখাতে হবে, নিজের দলের লোকজন বলে কেউ চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি ও অন্যান্য অপরাধ করে পার পাচ্ছে না। জনগণ দেখতে চায়, চাঁদাবাজ-টেন্ডারবাজদের দলে দলে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তা না হলে ঈদের আগে পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কাই বেশি।
সোমবারের ওই পর্যালোচনা সভায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেন, দেশের সব মহাসড়কে চাঁদাবাজি হচ্ছে। চাঁদাবাজির কারণে বেড়ে যাচ্ছে পণ্যের দাম। সন্ত্রাসী ও পরিবহন শ্রমিক-কর্মচারীদের পাশাপাশি পুলিশও চাঁদাবাজি করছে। এর আগে খাদ্যপণ্যের ঊর্ধ্বমূল্য প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বন্দর থেকে বাজার পর্যন্ত পণ্য পরিবহনের পথে চাঁদাবাজির কারণে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে। সরকারের মন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ পদাধিকারীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যখন কোনো বাস্তব সমস্যা অকপটে স্বীকার করেন, তখন তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে হয়। কারণ, এ দেশে সরকার সাধারণত এ ধরনের সমস্যা স্বীকার করতে চায় না। কিন্তু স্বীকার করার মধ্য দিয়ে কী ঘটে, সেটা ভেবে দেখা যায়।
প্রথমেই কিছু প্রশ্ন জাগে। এক. চাঁদাবাজি হচ্ছে, এই কথা স্বীকার করে পুলিশ বিভাগ জনগণকে কী বোঝাতে চায়? চাঁদাবাজদের সঙ্গে তারা পেরে উঠছে না? তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না? চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য দমন করার সাধ্য পুলিশের নেই, তাই কি এমন নিরুপায় স্বীকারোক্তি? দুই. চাঁদাবাজদের এ ধরনের দৌরাত্ম্যের কারণ কী? ‘দেশের সব মহাসড়কে’ যারা চাঁদাবাজি করছে, তাদের শক্তির উত্স কোথায়? পরিবহন খাতের শ্রমিক-কর্মচারীদের কথা উল্লেখ করেছেন পুলিশের কর্মকর্তারা। তো, তাঁরা কি আইনের ঊর্ধ্বে? তাঁদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করা কি সম্ভব হচ্ছে না? তা না হলে কেন হচ্ছে না? কত দিন ধরেই তো সরকারের পক্ষ থেকে চাঁদাবাজির কথা স্বীকার করা হচ্ছে, কিন্তু চাঁদাবাজদের পাকড়াও করার খবর তো পাওয়া যাচ্ছে না। কেন? তিন. পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই স্বীকার করছেন, পরিবহন শ্রমিক-কর্মচারীদের পাশাপাশি পুলিশের সদস্যরাও চাঁদাবাজি করছেন। এটা বড় ভয়ঙ্কর কথা, যদিও জনগণ বেশ জানে, রাস্তাঘাটে পুলিশের এক শ্রেণীর সদস্য এসব করেন। কিন্তু সেটা যখন পুলিশ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও জানেন এবং জনগণকে জানান, তখন পরিস্থিতি হতাশাব্যঞ্জক পর্যায়ে চলে যায়। এ যেন এমন এক পরিস্থিতি, যখন দেশের আইনকানুন অকার্যকর হয়ে পড়ে, দেশ যাঁরা চালান তাঁদের কর্তব্যপালনে ব্যর্থতার দায়বোধ ভোঁতা হয়ে যায়।
পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেছেন, তাঁরা চাঁদাবাজি বন্ধ করার চেষ্টা করছেন। এখন থেকে কোনো অবস্থায়ই যাতে সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি না হয়, সে ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের নির্দেশ খোদ প্রধানমন্ত্রীর মুখেও একাধিকবার শোনা গেছে। কিন্তু তার সুফল তো দেখা যাচ্ছে না। দেশজুড়ে চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজিসহ নানা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত প্রধানত সরকারি দল ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতা-কর্মী-সমর্থকসহ ক্ষমতাবলয়ের কাছের লোকজন। রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়াই যদি এসব অপরাধীর দৌরাত্ম্যের প্রধান কারণ হয়ে থাকে, তাহলে পুলিশের মহাপরিদর্শকের নির্দেশেই চাঁদাবাজি বন্ধ হবে, এ রকম আশা করা যায় না। মুখের কথায় নয়, সরকারকে বাস্তব ক্ষেত্রেই প্রমাণ দেখাতে হবে, নিজের দলের লোকজন বলে কেউ চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি ও অন্যান্য অপরাধ করে পার পাচ্ছে না। জনগণ দেখতে চায়, চাঁদাবাজ-টেন্ডারবাজদের দলে দলে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তা না হলে ঈদের আগে পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কাই বেশি।
No comments