ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬
ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দ্বীপ জাভায় গত বুধবার শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে তিন শতাধিক মানুষ এবং নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ৪২ জন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ গতকাল বৃহস্পতিবার এসব কথা জানিয়েছে। সরকারের হিসাব অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পে অন্তত এক হাজার ৩০০ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে স্থানীয় গণমাধ্যম বলেছে, এ সংখ্যা তিন হাজার পাঁচ শরও বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭। ইন্দোনেশিয়ার ভূকম্পন পরিমাপক সংস্থা জাভার কাছে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করার কথা জানিয়েছে। ভূমিকম্পের পরপরই উপকূলীয় অঞ্চলে স্থানীয়ভাবে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। আধঘণ্টা পর তা প্রত্যাহার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ভূমিকম্পে জাভা প্রদেশের সিয়ানজুর এলাকার সিকাংগারেং গ্রামে পাহাড়ধসে অন্তত ২০টি বাড়ি মাটির ২০ মিটার নিচে চাপা পড়ে। চাপা পড়া লোকজনকে উদ্ধার করতে সেনা ও পুলিশ গতকাল তত্পরতা অব্যাহত রাখে। ওই এলাকায় অন্তত ৪২ জন চাপা পড়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উদ্ধারকারীদের আশঙ্কা, তাদের কেউ হয়তো আর বেঁচে নেই। ওই এলাকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। একমাত্র মোটরসাইকেলে কোনো রকমে দুর্গত এলাকায় যাওয়া যায়। পুলিশ আরও জানায়, বুধবারের ভূমিকম্পে পশ্চিম জাভা প্রদেশের সিয়ানজুর, গুরুত ও তাসিকমালয়া এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তাসিকমালয়ার একটি হাসপাতালের একজন কর্মী জানিয়েছেন, তাঁদের হাসপাতালে নারী, শিশুসহ অন্তত ৪৩ জনকে চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থার কর্মকর্তা প্রিয়াদি কারদোনো বলেন, উপকূলীয় এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ধারণা, ওই এলাকায় মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।’ দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পশ্চিম জাভায় ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল তাসিকমালয়ায় জরুরি চিকিত্সকদল পাঠানো হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭। ইন্দোনেশিয়ার ভূকম্পন পরিমাপক সংস্থা জাভার কাছে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প রেকর্ড করার কথা জানিয়েছে। ভূমিকম্পের পরপরই উপকূলীয় অঞ্চলে স্থানীয়ভাবে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। আধঘণ্টা পর তা প্রত্যাহার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ভূমিকম্পে জাভা প্রদেশের সিয়ানজুর এলাকার সিকাংগারেং গ্রামে পাহাড়ধসে অন্তত ২০টি বাড়ি মাটির ২০ মিটার নিচে চাপা পড়ে। চাপা পড়া লোকজনকে উদ্ধার করতে সেনা ও পুলিশ গতকাল তত্পরতা অব্যাহত রাখে। ওই এলাকায় অন্তত ৪২ জন চাপা পড়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উদ্ধারকারীদের আশঙ্কা, তাদের কেউ হয়তো আর বেঁচে নেই। ওই এলাকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। একমাত্র মোটরসাইকেলে কোনো রকমে দুর্গত এলাকায় যাওয়া যায়। পুলিশ আরও জানায়, বুধবারের ভূমিকম্পে পশ্চিম জাভা প্রদেশের সিয়ানজুর, গুরুত ও তাসিকমালয়া এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তাসিকমালয়ার একটি হাসপাতালের একজন কর্মী জানিয়েছেন, তাঁদের হাসপাতালে নারী, শিশুসহ অন্তত ৪৩ জনকে চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থার কর্মকর্তা প্রিয়াদি কারদোনো বলেন, উপকূলীয় এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ধারণা, ওই এলাকায় মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।’ দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পশ্চিম জাভায় ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল তাসিকমালয়ায় জরুরি চিকিত্সকদল পাঠানো হচ্ছে।
No comments