ইরাকে ঝুলন্ত উদ্যানের ব্যাপক ক্ষতি করেছে মার্কিন বাহিনী
প্রাচীন সভ্যতার অন্যতম দর্শনীয় স্থান ইরাকের ব্যাবিলন শহরের বড় ধরনের ক্ষতি করেছে মার্কিন সেনারা। ওই শহরেই প্রাচীন যুগে বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম ঝুলন্ত উদ্যানটির অবস্থান। জাতিসংঘের নতুন একটি প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে। ইরাক আগ্রাসনের পর ওই ঝুলন্ত উদ্যানে ঘাঁটি স্থাপন করেছিল মার্কিন সেনারা।
২০০৩ সালে মার্কিন বাহিনীর ইরাক অভিযানের কিছুদিন পরই ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যানকে ঘাঁটিতে পরিণত করে মার্কিন বাহিনী। নাম দেওয়া হয় ‘ক্যাম্প আলফা’।
জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেসকোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সামরিক চাহিদা মেটাতে উদ্যানটি পুনর্গঠনের কাজ করা হয়। পুনর্গঠনের কাজ করতে গিয়ে সেখানে ব্যাপক খোঁড়াখুঁড়ি, কাটাকাটি ও জায়গা সমান করে মার্কিন সেনা ও ঠিকাদারেরা। এতে বড় ধরনের ক্ষতি হয় ঐতিহ্যবাহী উদ্যানটির।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ইশতার গেট নামের উদ্যানটির মূল ফটক। এ ছাড়া উদ্যানের মূল অবকাঠামোগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইশতার ফটক প্রাচীন এই শহরের উত্তরাংশের প্রবেশপথ। নানা ধরনের প্রাণীর ভাস্কর্য দিয়ে ফটকটি সজ্জিত ছিল।
ইউনেসকোর প্রতিবেদনে বলা হয়, ফটকের শোভাবৃদ্ধির জন্য ফটকে স্থাপিত নয়টি প্রাণীর ভাস্কর্যের ইট গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে স্থাপন করা ঘাঁটিতে পরিখা খনন করে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করা হয়েছে। এতে উদ্যানের সমূহ ক্ষতি হয়েছে। কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করতে গিয়ে দেয়ালও ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শুধু মার্কিন সেনারাই নয়, চার হাজার বছরের পুরোনো ওই শহরটির ক্ষতি করেছে স্থানীয় অধিবাসীরাও। ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঝুলন্ত উদ্যানটি দখল করে ছিল ক্যাম্প আলফা। এখন উদ্যানটির পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্র আট লাখ ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন একজন ইরাকি কর্মকর্তা।
সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেন, তিনি জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি দেখেননি। নিরাপত্তার জন্যই উদ্যানের ভেতরে ঘাঁটি স্থাপন করা হয়েছিল বলে তিনি জানান।
তলব করা হতে পারে ব্লেয়ারকে
ইরাক যুদ্ধে ব্রিটেনের ভূমিকা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান বলেছেন, তদন্তের স্বার্থে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
তদন্ত কমিটির প্রধান সাবেক আমলা স্যার জন চিলকট বলেন, তদন্তের কাজে তিনি ইরাক যাবেন। ইরাকি কর্মকর্তা এবং জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি আলোচনা করবেন। ইরাক সংঘাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলবেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ তদন্তটি কোনো আইনি আদালতের নয়। এখানে কারও বিচারও করা হচ্ছে না। তবে আমি কিছু জিনিস পুরোপুরি পরিষ্কার করতে চাই।’
তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হতে কেউ বাধ্য নন। তবে চিলকট বলেন, তিনি আশা করছেন কেউ আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করবে না। ইতিমধ্যে তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন টনি ব্লেয়ার।
২০০৩ সালে মার্কিন বাহিনীর ইরাক অভিযানের কিছুদিন পরই ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যানকে ঘাঁটিতে পরিণত করে মার্কিন বাহিনী। নাম দেওয়া হয় ‘ক্যাম্প আলফা’।
জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেসকোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সামরিক চাহিদা মেটাতে উদ্যানটি পুনর্গঠনের কাজ করা হয়। পুনর্গঠনের কাজ করতে গিয়ে সেখানে ব্যাপক খোঁড়াখুঁড়ি, কাটাকাটি ও জায়গা সমান করে মার্কিন সেনা ও ঠিকাদারেরা। এতে বড় ধরনের ক্ষতি হয় ঐতিহ্যবাহী উদ্যানটির।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ইশতার গেট নামের উদ্যানটির মূল ফটক। এ ছাড়া উদ্যানের মূল অবকাঠামোগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইশতার ফটক প্রাচীন এই শহরের উত্তরাংশের প্রবেশপথ। নানা ধরনের প্রাণীর ভাস্কর্য দিয়ে ফটকটি সজ্জিত ছিল।
ইউনেসকোর প্রতিবেদনে বলা হয়, ফটকের শোভাবৃদ্ধির জন্য ফটকে স্থাপিত নয়টি প্রাণীর ভাস্কর্যের ইট গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে স্থাপন করা ঘাঁটিতে পরিখা খনন করে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করা হয়েছে। এতে উদ্যানের সমূহ ক্ষতি হয়েছে। কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করতে গিয়ে দেয়ালও ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শুধু মার্কিন সেনারাই নয়, চার হাজার বছরের পুরোনো ওই শহরটির ক্ষতি করেছে স্থানীয় অধিবাসীরাও। ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঝুলন্ত উদ্যানটি দখল করে ছিল ক্যাম্প আলফা। এখন উদ্যানটির পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্র আট লাখ ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন একজন ইরাকি কর্মকর্তা।
সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেন, তিনি জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি দেখেননি। নিরাপত্তার জন্যই উদ্যানের ভেতরে ঘাঁটি স্থাপন করা হয়েছিল বলে তিনি জানান।
তলব করা হতে পারে ব্লেয়ারকে
ইরাক যুদ্ধে ব্রিটেনের ভূমিকা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান বলেছেন, তদন্তের স্বার্থে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
তদন্ত কমিটির প্রধান সাবেক আমলা স্যার জন চিলকট বলেন, তদন্তের কাজে তিনি ইরাক যাবেন। ইরাকি কর্মকর্তা এবং জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি আলোচনা করবেন। ইরাক সংঘাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলবেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ তদন্তটি কোনো আইনি আদালতের নয়। এখানে কারও বিচারও করা হচ্ছে না। তবে আমি কিছু জিনিস পুরোপুরি পরিষ্কার করতে চাই।’
তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হতে কেউ বাধ্য নন। তবে চিলকট বলেন, তিনি আশা করছেন কেউ আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করবে না। ইতিমধ্যে তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন টনি ব্লেয়ার।
No comments