ব্যয় কমানো ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করায় মাইলফলক পদক্ষেপ- পার্বত্য অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার
পার্বত্য চট্টগ্রামে অশান্তি ছিল এবং এ কারণে সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। ১৯৯৭ সালে সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর বিবাদ-বিসংবাদের কার্যকারণ অনেকটা লোপ পায়। সরকার প্রতিশ্রুতি দেয়, ধীরে ধীরে সেনা প্রত্যাহার করা হবে এবং পাহাড়িদের ভূমি সমস্যারও সুষ্ঠু সমাধান আসবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করায় এসবই ছিল শান্তিচুক্তির শর্ত। এরই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে এক ব্রিগেড সেনা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সিদ্ধান্তটি ইতিবাচক। এর মাধ্যমে পাহাড়ি জনজীবন সমতলের জনজীবনের সঙ্গে এক তালে ও এক ছন্দে প্রবাহিত হবে বলে আশা করা যায়।
শান্তির পথে পার্বত্য শান্তিচুক্তি যেমন বিরাট মাইলফলক, শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে বাড়তি সেনা প্রত্যাহার তেমনই এক মাইলফলক। চুক্তির পর পাহাড়ি রাজনীতির মূলধারা বিদ্রোহীপ্রবণতা থেকে সরে আসে। শান্তিবাহিনী অস্ত্র সমর্পণ করে এবং একসময়কার সশস্ত্র আন্দোলনকারী দল জনসংহতি সমিতি সাংবিধানিক রাজনীতিতে ফিরে আসে। সশস্ত্র হুমকি কার্যত লোপ পায়। শান্তিবাহিনী যেখানে নেই, সেখানে শান্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে অজস্র সেনাক্যাম্পেরও প্রয়োজন থাকার কথা নয়। সে অনুযায়ী ১৯৯৭ সালের পর সেখান থেকে ২০০টি সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়। সাম্প্রতিক এক ব্রিগেড সেনা প্রত্যাহার এরই ধারাবাহিকতা মাত্র। বিভিন্ন প্রয়োজনে অতিরিক্ত সেনাক্যাম্প কিংবা সেনা উপস্থিতির ব্যয়ের দিকটিও উপেক্ষা করা যায় না। বিনা প্রয়োজনে এত বিপুল ব্যয় সুবিবেচনার পরিচায়ক নয়। বাড়তি সেনার উপস্থিতি সেখানকার সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনেও বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে।
পার্বত্য অঞ্চলে এখন অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সক্রিয় রয়েছে। অর্থনৈতিক কারবার আগের চেয়ে গতিশীল। বিনিয়োগও আশাপ্রদ। এসব পরিবর্তন পরিস্থিতির স্বাভাবিকতারই লক্ষণ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও যেহেতু সমতলের পরিস্থিতির থেকে মৌলিকভাবে আলাদা নয়, সেহেতু ব্রিগেডের সংখ্যা কমানো যুক্তিসংগত। আইনশৃঙ্খলা প্রশ্নে পুলিশসহ সংস্লিষ্ট সংস্থাসমূহের তদারকি বাড়ালে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী তাদের নাগরিক অধিকার ভোগ করতে পারবে। জোরদার হবে রাষ্ট্রের প্রতি আস্থার বোধ; পাশাপাশি সেখানে বসতি স্থাপনকারী সাধারণ মানুষের দেখভালের দায়িত্বও আঞ্চলিক প্রশাসন ও বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর অভিভাবকদের নিতে হবে। তাদের অধিকার রক্ষায় পার্বত্য শান্তিচুক্তির সংশ্লিষ্ট ধারার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নও জরুরি। পাহাড়ি-বাঙালি ভূমি সমস্যার সমাধানে ভূমি কমিশন গঠন করার কাজও বাকি রয়েছে; পাশাপাশি সুশাসনের স্বার্থে পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদসহ অন্য আঞ্চলিক সংস্থাগুলোও শক্তিশালী করা দরকার।
শান্তিচুক্তি করা হয়েছিল রাষ্ট্রীয় প র্যায়ে। গত এক যুগের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করেছে, চুক্তির আগের চেয়ে পরের পরিস্থিতি অনেক শান্তিপূর্ণ। এর সুফল পাচ্ছে গোটা দেশ। আংশিক সেনা প্রত্যাহারকে তাই সংকীর্ণ দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ নেই। পার্বত্য অঞ্চলের স্বাভাবিকীকরণ অভ্যন্তরীণ দিক থেকে যেমন স্থিতিশীলতা আনবে, তেমনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তা সংঘাত নিরসনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।
শান্তির পথে পার্বত্য শান্তিচুক্তি যেমন বিরাট মাইলফলক, শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে বাড়তি সেনা প্রত্যাহার তেমনই এক মাইলফলক। চুক্তির পর পাহাড়ি রাজনীতির মূলধারা বিদ্রোহীপ্রবণতা থেকে সরে আসে। শান্তিবাহিনী অস্ত্র সমর্পণ করে এবং একসময়কার সশস্ত্র আন্দোলনকারী দল জনসংহতি সমিতি সাংবিধানিক রাজনীতিতে ফিরে আসে। সশস্ত্র হুমকি কার্যত লোপ পায়। শান্তিবাহিনী যেখানে নেই, সেখানে শান্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে অজস্র সেনাক্যাম্পেরও প্রয়োজন থাকার কথা নয়। সে অনুযায়ী ১৯৯৭ সালের পর সেখান থেকে ২০০টি সেনাক্যাম্প প্রত্যাহার করা হয়। সাম্প্রতিক এক ব্রিগেড সেনা প্রত্যাহার এরই ধারাবাহিকতা মাত্র। বিভিন্ন প্রয়োজনে অতিরিক্ত সেনাক্যাম্প কিংবা সেনা উপস্থিতির ব্যয়ের দিকটিও উপেক্ষা করা যায় না। বিনা প্রয়োজনে এত বিপুল ব্যয় সুবিবেচনার পরিচায়ক নয়। বাড়তি সেনার উপস্থিতি সেখানকার সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনেও বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে।
পার্বত্য অঞ্চলে এখন অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সক্রিয় রয়েছে। অর্থনৈতিক কারবার আগের চেয়ে গতিশীল। বিনিয়োগও আশাপ্রদ। এসব পরিবর্তন পরিস্থিতির স্বাভাবিকতারই লক্ষণ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও যেহেতু সমতলের পরিস্থিতির থেকে মৌলিকভাবে আলাদা নয়, সেহেতু ব্রিগেডের সংখ্যা কমানো যুক্তিসংগত। আইনশৃঙ্খলা প্রশ্নে পুলিশসহ সংস্লিষ্ট সংস্থাসমূহের তদারকি বাড়ালে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী তাদের নাগরিক অধিকার ভোগ করতে পারবে। জোরদার হবে রাষ্ট্রের প্রতি আস্থার বোধ; পাশাপাশি সেখানে বসতি স্থাপনকারী সাধারণ মানুষের দেখভালের দায়িত্বও আঞ্চলিক প্রশাসন ও বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর অভিভাবকদের নিতে হবে। তাদের অধিকার রক্ষায় পার্বত্য শান্তিচুক্তির সংশ্লিষ্ট ধারার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নও জরুরি। পাহাড়ি-বাঙালি ভূমি সমস্যার সমাধানে ভূমি কমিশন গঠন করার কাজও বাকি রয়েছে; পাশাপাশি সুশাসনের স্বার্থে পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদসহ অন্য আঞ্চলিক সংস্থাগুলোও শক্তিশালী করা দরকার।
শান্তিচুক্তি করা হয়েছিল রাষ্ট্রীয় প র্যায়ে। গত এক যুগের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করেছে, চুক্তির আগের চেয়ে পরের পরিস্থিতি অনেক শান্তিপূর্ণ। এর সুফল পাচ্ছে গোটা দেশ। আংশিক সেনা প্রত্যাহারকে তাই সংকীর্ণ দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ নেই। পার্বত্য অঞ্চলের স্বাভাবিকীকরণ অভ্যন্তরীণ দিক থেকে যেমন স্থিতিশীলতা আনবে, তেমনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তা সংঘাত নিরসনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।
No comments