হাজার শিকার হচ্ছে না মুরালির
সেই ভয়াল চাহনি; বর্শার মতো ছুড়ে দেওয়া একেকটি বল, ব্যাটসম্যানদের কাছে যা দুর্বোধ্য ব্যাকরণ; একেকটি উইকেটের জন্য কী সর্বগ্রাসী ক্ষুধা; প্রতিটি উইকেটপ্রাপ্তিই এখনো যার কাছে অভিষেক উইকেটপ্রাপ্তির আনন্দমাখা উদ্যাপন... ক্রিকেটের আরেক মহা তারকার টেস্ট অধ্যায় সমাপ্ত হতে চলেছে। আগামী বছর নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই অবসর নেবেন সর্বকালের সফল বোলারটি। পরশু অনানুষ্ঠানিকভাবেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের কথা জানিয়ে দিয়েছেন মুত্তিয়া মুরালিধরন।
বয়স হয়ে গেছে ৩৭ বছর। ১৭ বছর ধরে প্রায় বিরামহীন খেলে চলেছেন। শরীর আর ধকল নিতে পারছে না আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচির। ইদানীং হাঁটুর চোটটা খুব ভোগাচ্ছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজে খেলা হয়নি। ওয়ানডেতে ফিরেছেন। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ক্যারিয়ারটা দীর্ঘায়িত করতেই টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর এই সিদ্ধান্ত, ‘আর বেশিদিন ক্রিকেটেই থাকছি না। আগামী বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই খেলব ক্যারিয়ারের শেষ দুটি টেস্ট। এটাই সঠিক সময়। ৩৮ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। ২০১১ বিশ্বকাপ আমার মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি আরও কয়েক বছর আমি টি-টোয়েন্টিতে খেলে যেতে চাই।’
কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটের ধকল আর নিতে পারছেন না বলেও জানিয়ে দিলেন, ‘ক্রিকেটের সবচেয়ে কঠিন খেলা হলো টেস্ট। এতে উইকেট নিতে ব্যাটসম্যানদের আউট করতে খুবই পরিশ্রম করতে হয়। কখনো কখনো তো টানা দু দিন ফিল্ডিংও করতে হয়। প্রতিটি ম্যাচের জন্য নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত রাখতে হয়। আর টি-টোয়েন্টিতে আপনার মূল কাজটাই হলো ব্যাটসম্যানকে বেঁধে রাখা, যাতে সে রান তোলার চেষ্টা করতে গিয়েই আউট হয়ে যায়। ৫০ ওভারের ক্রিকেটও একই রকম। কিন্তু টেস্টে আপনাকে ব্যাটসম্যানকে ভালোভাবে পড়তে হবে। সেভাবে ফিল্ডিং সাজাতে হবে। তবেই উইকেট পাবেন।’
চোট পুরোপুরি সারাতে অস্ত্রোপচার করাতে হবে। আর সেটা করতে হলে সাত-আট মাস এমনিতেই মাঠের বাইরে থাকতে হতো। সে ক্ষেত্রে সেটাই এক রকম অবসরের সমান হয়ে যেত। বিকল্প হিসেবে চোটটা নিয়েই খেলছেন। খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না বলেই জানালেন। কিন্তু এর মাশুল তাঁকে দিতে হতে পারে খেলা ছাড়ার পর।
টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ১৯৯২ সালে কলম্বোতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ওই টেস্টে ৫১ ওভার বল করে ১৪১ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছিলেন। বোঝাই যাচ্ছে, উদিত সূর্যটা দিনের পূর্বাভাস ঠিকমতো দিতে পারেননি। ক্রেইগ ম্যাকডারমটকে আউট করে যে শিকার শুরু হয়েছিল, গত ফেব্রুয়ারিতে করাচি টেস্টে সালমান বাটকে আউট করার মাধম্যে সেটার সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৭০টি। শেন ওয়ার্নের ৭০৮ টেস্ট উইকেটের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছেন সেই ২০০৭ সালেই। মুরালির প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কেবল মুরালিই।
নিজে একসময় বলেছিলেন, ১০০০ টেস্ট উইকেট পেলেই তবে অবসর নেবেন। সেটা খুবই সম্ভব ছিল তাঁর জন্য। কিন্তু সহস্র উইকেট তো হচ্ছে না, মুরালি ৮০০ উইকেটও পূর্ণ করতে পারবেন কি না সন্দেহ। কারণ আগামী বছর মে পর্যন্ত মাত্র দুটি টেস্ট খেলবে শ্রীলঙ্কা। এরপর নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও মাত্র দুটো টেস্ট।
‘১০০০ উইকেট পেতে হলে আমাকে নিয়মিত টেস্ট খেলতে হবে। কিন্তু এখন তো আমরা টেস্ট ম্যাচই খেলছি অনেক কম। আগামী বছরও খুব বেশি ম্যাচ নেই আমাদের’—বাস্তবতাটাই মেনে নিচ্ছেন মুরালি।
কিন্তু যেখানেই গিয়ে থামুন, মুত্তিয়া মুরালিধরনের কীর্তিকে আর কেউ ছাপিয়ে যেতে পারবে কি?
বয়স হয়ে গেছে ৩৭ বছর। ১৭ বছর ধরে প্রায় বিরামহীন খেলে চলেছেন। শরীর আর ধকল নিতে পারছে না আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচির। ইদানীং হাঁটুর চোটটা খুব ভোগাচ্ছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজে খেলা হয়নি। ওয়ানডেতে ফিরেছেন। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ক্যারিয়ারটা দীর্ঘায়িত করতেই টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর এই সিদ্ধান্ত, ‘আর বেশিদিন ক্রিকেটেই থাকছি না। আগামী বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই খেলব ক্যারিয়ারের শেষ দুটি টেস্ট। এটাই সঠিক সময়। ৩৮ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। ২০১১ বিশ্বকাপ আমার মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি আরও কয়েক বছর আমি টি-টোয়েন্টিতে খেলে যেতে চাই।’
কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটের ধকল আর নিতে পারছেন না বলেও জানিয়ে দিলেন, ‘ক্রিকেটের সবচেয়ে কঠিন খেলা হলো টেস্ট। এতে উইকেট নিতে ব্যাটসম্যানদের আউট করতে খুবই পরিশ্রম করতে হয়। কখনো কখনো তো টানা দু দিন ফিল্ডিংও করতে হয়। প্রতিটি ম্যাচের জন্য নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত রাখতে হয়। আর টি-টোয়েন্টিতে আপনার মূল কাজটাই হলো ব্যাটসম্যানকে বেঁধে রাখা, যাতে সে রান তোলার চেষ্টা করতে গিয়েই আউট হয়ে যায়। ৫০ ওভারের ক্রিকেটও একই রকম। কিন্তু টেস্টে আপনাকে ব্যাটসম্যানকে ভালোভাবে পড়তে হবে। সেভাবে ফিল্ডিং সাজাতে হবে। তবেই উইকেট পাবেন।’
চোট পুরোপুরি সারাতে অস্ত্রোপচার করাতে হবে। আর সেটা করতে হলে সাত-আট মাস এমনিতেই মাঠের বাইরে থাকতে হতো। সে ক্ষেত্রে সেটাই এক রকম অবসরের সমান হয়ে যেত। বিকল্প হিসেবে চোটটা নিয়েই খেলছেন। খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না বলেই জানালেন। কিন্তু এর মাশুল তাঁকে দিতে হতে পারে খেলা ছাড়ার পর।
টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ১৯৯২ সালে কলম্বোতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ওই টেস্টে ৫১ ওভার বল করে ১৪১ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছিলেন। বোঝাই যাচ্ছে, উদিত সূর্যটা দিনের পূর্বাভাস ঠিকমতো দিতে পারেননি। ক্রেইগ ম্যাকডারমটকে আউট করে যে শিকার শুরু হয়েছিল, গত ফেব্রুয়ারিতে করাচি টেস্টে সালমান বাটকে আউট করার মাধম্যে সেটার সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৭০টি। শেন ওয়ার্নের ৭০৮ টেস্ট উইকেটের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছেন সেই ২০০৭ সালেই। মুরালির প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কেবল মুরালিই।
নিজে একসময় বলেছিলেন, ১০০০ টেস্ট উইকেট পেলেই তবে অবসর নেবেন। সেটা খুবই সম্ভব ছিল তাঁর জন্য। কিন্তু সহস্র উইকেট তো হচ্ছে না, মুরালি ৮০০ উইকেটও পূর্ণ করতে পারবেন কি না সন্দেহ। কারণ আগামী বছর মে পর্যন্ত মাত্র দুটি টেস্ট খেলবে শ্রীলঙ্কা। এরপর নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও মাত্র দুটো টেস্ট।
‘১০০০ উইকেট পেতে হলে আমাকে নিয়মিত টেস্ট খেলতে হবে। কিন্তু এখন তো আমরা টেস্ট ম্যাচই খেলছি অনেক কম। আগামী বছরও খুব বেশি ম্যাচ নেই আমাদের’—বাস্তবতাটাই মেনে নিচ্ছেন মুরালি।
কিন্তু যেখানেই গিয়ে থামুন, মুত্তিয়া মুরালিধরনের কীর্তিকে আর কেউ ছাপিয়ে যেতে পারবে কি?
No comments