অবিলম্বে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করা উচিত -টেন্ডারবাজদের দৌরাত্ম্য
গত রোববার যোগাযোগ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের বিভিন্ন কাজে দেশজুড়ে টেন্ডারবাজদের ব্যাপক দৌরাত্ম্য নিয়ে আলোচনার পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এখনই এসব বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে; তা না হলে সরকারের বদনাম হবে।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে সতর্ক করে কী সুফল ফলবে, বলা মুশকিল; কারণ সমস্যাটা যতটা না দরপত্র ব্যবস্থাপনার, তার চেয়ে বেশি আইনশৃঙ্খলার। ওই সভায়ই স্থায়ী কমিটির কোনো কোনো সদস্য বলেছেন, সরকারি দলের এক শ্রেণীর লোক ছাড়া কেউ দরপত্র জমা দেওয়া দূরে থাক, কিনতেও পারছে না। অনেক জায়গায় ঠিকাদারদের মারধর করে দরপত্র কেড়ে নেওয়ার খবর সংবাদপত্রে এসেছে।
স্থায়ী কমিটির সভার খবর যেদিন প্রথম আলোয় ছাপা হয়, সেদিনই প্রকাশিত আরেকটি খবর ছিল: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনের কাছ থেকে দরপত্র ছিনিয়ে নিয়েছে ছাত্রলীগ নামধারী একদল সন্ত্রাসী। তারা এটা করেছে পুলিশের সামনেই।
এ রকম ঘটনা সারা দেশেই ঘটছে। পুলিশের ভূমিকা নীরব দর্শকের, বা খুব জোর মধ্যস্থতাকারীর। বিভিন্ন স্থানে সওজের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা টেন্ডারবাজদের দৌরাত্ম্যের কাছে নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন। এ অবস্থায় যোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে সতর্ক করলেই মন্ত্রণালয় সব টেন্ডারবাজি বন্ধ করে দিতে পারবে, তা আশা করা যায় না।
আওয়ামী লীগ, বিশেষ করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নামে দেশজুড়ে যারা টেন্ডারবাজি চালাচ্ছে, তাদের দমন করা খুব কঠিন কোনো কাজ নয়, যদি সরকার আন্তরিকভাবে তা করতে চায়। পুলিশ কেন টেন্ডারবাজদের সন্ত্রাস নীরব দর্শকের মতো চেয়ে চেয়ে দেখে, সেটা উদ্ঘাটন করা দরকার। টেন্ডারবাজ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সরকারি দলের কোনো সম্পর্ক না থাকলে কি পুলিশ এমন নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করত?
শুধু টেন্ডারবাজি নয়, সরকারি দলের নামে এক শ্রেণীর লোক চাঁদাবাজিসহ আরও যেসব অন্যায়-অপরাধে লিপ্ত, তা বন্ধ করতে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করা উচিত। পুলিশকে দেওয়া নির্দেশ ঠিকমতো পালিত না হলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আলাপ-আলোচনা করে, বদনামের আশঙ্কা করে কিংবা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সতর্ক করে লাভ নেই। সন্ত্রাসী, টেন্ডারবাজসহ অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগের সক্রিয় উদ্যোগই প্রধান করণীয়।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে সতর্ক করে কী সুফল ফলবে, বলা মুশকিল; কারণ সমস্যাটা যতটা না দরপত্র ব্যবস্থাপনার, তার চেয়ে বেশি আইনশৃঙ্খলার। ওই সভায়ই স্থায়ী কমিটির কোনো কোনো সদস্য বলেছেন, সরকারি দলের এক শ্রেণীর লোক ছাড়া কেউ দরপত্র জমা দেওয়া দূরে থাক, কিনতেও পারছে না। অনেক জায়গায় ঠিকাদারদের মারধর করে দরপত্র কেড়ে নেওয়ার খবর সংবাদপত্রে এসেছে।
স্থায়ী কমিটির সভার খবর যেদিন প্রথম আলোয় ছাপা হয়, সেদিনই প্রকাশিত আরেকটি খবর ছিল: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনের কাছ থেকে দরপত্র ছিনিয়ে নিয়েছে ছাত্রলীগ নামধারী একদল সন্ত্রাসী। তারা এটা করেছে পুলিশের সামনেই।
এ রকম ঘটনা সারা দেশেই ঘটছে। পুলিশের ভূমিকা নীরব দর্শকের, বা খুব জোর মধ্যস্থতাকারীর। বিভিন্ন স্থানে সওজের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা টেন্ডারবাজদের দৌরাত্ম্যের কাছে নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন। এ অবস্থায় যোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে সতর্ক করলেই মন্ত্রণালয় সব টেন্ডারবাজি বন্ধ করে দিতে পারবে, তা আশা করা যায় না।
আওয়ামী লীগ, বিশেষ করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নামে দেশজুড়ে যারা টেন্ডারবাজি চালাচ্ছে, তাদের দমন করা খুব কঠিন কোনো কাজ নয়, যদি সরকার আন্তরিকভাবে তা করতে চায়। পুলিশ কেন টেন্ডারবাজদের সন্ত্রাস নীরব দর্শকের মতো চেয়ে চেয়ে দেখে, সেটা উদ্ঘাটন করা দরকার। টেন্ডারবাজ সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সরকারি দলের কোনো সম্পর্ক না থাকলে কি পুলিশ এমন নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করত?
শুধু টেন্ডারবাজি নয়, সরকারি দলের নামে এক শ্রেণীর লোক চাঁদাবাজিসহ আরও যেসব অন্যায়-অপরাধে লিপ্ত, তা বন্ধ করতে গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করা উচিত। পুলিশকে দেওয়া নির্দেশ ঠিকমতো পালিত না হলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। আলাপ-আলোচনা করে, বদনামের আশঙ্কা করে কিংবা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সতর্ক করে লাভ নেই। সন্ত্রাসী, টেন্ডারবাজসহ অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগের সক্রিয় উদ্যোগই প্রধান করণীয়।
No comments