দুধে ক্ষতিকর উপাদানের দায় কোম্পানিগুলোকেই নিতে হবে: সিসিএস
দেশের
বাজারে প্রচলিত পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে ক্ষতিকর উপাদান পাওয়ার বিষয়ে
উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি’
(সিসিএস)। তারা বলছে, দুধে ডিটারজেন্ট, সীসা, এন্টিবায়োটিক বা ফরমালিনের
মতো উপাদান জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ও হুমকির বিষয়। দুধে
ক্ষতিকর উপাদানের কারণে স্বাস্থ্যখাতে সরকারের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত হওয়া,
জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়া, দুগ্ধশিল্পে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি ও এসডিজি
বাস্তবায়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে। আজ
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে
এসব কথা বলা হয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই)পাস্তুরিত দুধে কোনো ক্ষতিকর উপাদান পায়নি। কিন্তু বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএসএফএ)পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধের ৯৬টি নমুনার মধ্যে ৯৩টিতে ক্ষতির উপাদান পেয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এমন বিষয়ে সরকারের দুই সংস্থার বিপরীতমুখী বক্তব্যে ভোক্তা সাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি ও সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পণ্যের মান নির্ধারণী প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই শুধুমাত্র স্ট্যান্ডার্ড প্যারামিটার পরীক্ষা করে। বিএসটিআইয়ের দুধের স্ট্যান্ডার্ড (বিডিএস) প্যারামিটার প্রায় ১৭ বছর আগের এবং তা আর হালনাগাদ করা হয়নি।
এমতাবস্থায় প্রতিষ্ঠানটি তাদের নির্ধারিত ৯টি প্যারামিটার পরীক্ষা করে এবং ওই প্যারামিটারে এন্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্ট অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এমনকি এন্টিবায়োটিক পরীক্ষার প্রয়োজনীয় যন্ত্র সামগ্রীও বিএসটিআইয়ের নেই। ফলে দুধে ক্ষতিকর কোনো উপাদান পাওয়া যায়নি বলে বিএসটিআই যে রিপোর্ট দিয়েছে তা ভোক্তা সাধারণের কাছে কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করে সিসিএস। এ অবস্থায় বিএসটিআইকে তাদের প্যারামিটার হালনাগান করা এবং নিজস্ব ল্যাবরেটরিতে আন্তর্জাতিক মানের প্রয়োজনীয় যন্ত্র সামগ্রী সংযোজন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, বিএসএফএ মূলত সেফটি প্যারামিটার পরীক্ষা করে থাকে। তাদের ফেসটি প্যারামিটার পরীক্ষায় ক্ষতিকর এসব উপাদান পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়েছে। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্স সেন্টার দু’দফায় প্রকাশিত রিপোর্টেও দুধে ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছে। এ অবস্থায় বিএসএফএ ও বায়োমেডিক্যাল রিসার্স সেন্টার কর্তৃক প্রকাশিত রিপোর্ট উচ্চতর কোনো গবেষণা বা পরীক্ষায় ভুল প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত ভোক্তা সাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য বলেই বিবেচিত হয়।
সিসিএস মনে করে দুধ উৎপাদন, সরবরাহ, প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বহীনতা, দুর্বলতা, উদাসীনতা ও জবাবদিহিতার অভাবে এ ধরণের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দুগ্ধদানকারী পশু লালন-পালন, তাদের খাদ্য ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত উপাদান, দুগ্ধ গ্রহণ, প্রক্রিয়াকরণ, সরবরাহ ও বাজারজাত করণের প্রতিটি ধাপে যথাযথভাবে নিয়মনীতি অনুসরণ এবং খামারিদের মাঝে যথেষ্ট সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। ভোক্তার জন্য নিরাপদ পণ্য নিশ্চিত করা উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানেরই দায়িত্ব। এজন্য দুধে ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া এবং জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির সকল দায়ভার কোম্পানিগুলোকেই নিতে হবে।
দুধ নিয়ে গবেষণাকারী ব্যক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষক এবং বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক ও ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির (এনএফএসএল) প্রধান প্রফেসর ড. শাহনীলা ফেরদৌসির বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো বা বিদ্বেষ সৃষ্টি বন্ধ করা এবং কোনো ধরণের হয়রানি না করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সিসিএস।
সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই)পাস্তুরিত দুধে কোনো ক্ষতিকর উপাদান পায়নি। কিন্তু বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএসএফএ)পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধের ৯৬টি নমুনার মধ্যে ৯৩টিতে ক্ষতির উপাদান পেয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এমন বিষয়ে সরকারের দুই সংস্থার বিপরীতমুখী বক্তব্যে ভোক্তা সাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি ও সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পণ্যের মান নির্ধারণী প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই শুধুমাত্র স্ট্যান্ডার্ড প্যারামিটার পরীক্ষা করে। বিএসটিআইয়ের দুধের স্ট্যান্ডার্ড (বিডিএস) প্যারামিটার প্রায় ১৭ বছর আগের এবং তা আর হালনাগাদ করা হয়নি।
এমতাবস্থায় প্রতিষ্ঠানটি তাদের নির্ধারিত ৯টি প্যারামিটার পরীক্ষা করে এবং ওই প্যারামিটারে এন্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্ট অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এমনকি এন্টিবায়োটিক পরীক্ষার প্রয়োজনীয় যন্ত্র সামগ্রীও বিএসটিআইয়ের নেই। ফলে দুধে ক্ষতিকর কোনো উপাদান পাওয়া যায়নি বলে বিএসটিআই যে রিপোর্ট দিয়েছে তা ভোক্তা সাধারণের কাছে কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করে সিসিএস। এ অবস্থায় বিএসটিআইকে তাদের প্যারামিটার হালনাগান করা এবং নিজস্ব ল্যাবরেটরিতে আন্তর্জাতিক মানের প্রয়োজনীয় যন্ত্র সামগ্রী সংযোজন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, বিএসএফএ মূলত সেফটি প্যারামিটার পরীক্ষা করে থাকে। তাদের ফেসটি প্যারামিটার পরীক্ষায় ক্ষতিকর এসব উপাদান পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়েছে। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্স সেন্টার দু’দফায় প্রকাশিত রিপোর্টেও দুধে ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছে। এ অবস্থায় বিএসএফএ ও বায়োমেডিক্যাল রিসার্স সেন্টার কর্তৃক প্রকাশিত রিপোর্ট উচ্চতর কোনো গবেষণা বা পরীক্ষায় ভুল প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত ভোক্তা সাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য বলেই বিবেচিত হয়।
সিসিএস মনে করে দুধ উৎপাদন, সরবরাহ, প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বহীনতা, দুর্বলতা, উদাসীনতা ও জবাবদিহিতার অভাবে এ ধরণের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। দুগ্ধদানকারী পশু লালন-পালন, তাদের খাদ্য ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত উপাদান, দুগ্ধ গ্রহণ, প্রক্রিয়াকরণ, সরবরাহ ও বাজারজাত করণের প্রতিটি ধাপে যথাযথভাবে নিয়মনীতি অনুসরণ এবং খামারিদের মাঝে যথেষ্ট সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। ভোক্তার জন্য নিরাপদ পণ্য নিশ্চিত করা উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানেরই দায়িত্ব। এজন্য দুধে ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া এবং জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির সকল দায়ভার কোম্পানিগুলোকেই নিতে হবে।
দুধ নিয়ে গবেষণাকারী ব্যক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষক এবং বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক ও ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির (এনএফএসএল) প্রধান প্রফেসর ড. শাহনীলা ফেরদৌসির বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো বা বিদ্বেষ সৃষ্টি বন্ধ করা এবং কোনো ধরণের হয়রানি না করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সিসিএস।
No comments