আসামের ‘বিদেশীদের’ তথ্য ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে
চলতি
মাসের শেষের দিকে আসামে যে চূড়ান্ত ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন্স
(এনআরসি) প্রকাশিত হবে, সেখানে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল (এফটি) যাদেরকে
বিদেশী ঘোষণা করেছে, তাদের তথ্যের একটা ডিজিটাল রেকর্ড তৈরি করবে ভারত
সরকার।
ই-ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে (ই-এফটি) এই সব ব্যক্তিদের আঙুলের ছাপ ও চোখের স্ক্যানসহ বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষিত থাকবে এবং এর ফলে দেশ থেকে কাউকে বের করে দেয়ার ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কোন পেপার ওয়ার্কের মধ্য দিয়ে যেতে হবে না।
১৯৮৫ সালের রেকর্ডও যুক্ত করা হবে
এক সিনিয়র সরকারী কর্মকর্তা বলেছেন, এই প্ল্যাটফর্মে শুধু নতুন তথ্যগুলোই যুক্ত করা হবে না, বরং ১৯৮৫ সালের পুরনো তথ্যও এতে যুক্ত করা হবে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, “এফটি প্রথম কাজ শুরু করে ১৯৮৫ সালে। এ যাবত যতজনকে বিদেশী ঘোষণা করা হয়েছে, তাদের সকলের তথ্যই ই-এফটিতে থাকবে। কোন বিদেশী অবৈধভাবে এখানে থাকলে তাকে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ই-এফটি সাহায্য করবে, এবং এ জন্য তাদেরকে কোন কাগজ পত্রের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে না”।
২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আসামে ৬৩,৯৫৯ জনকে বিদেশী ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আসামে স্থাপিত ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালগুলো এদের বিদেশী ঘোষণা দিয়েছে বলে মঙ্গলবার লোকসভাকে জানান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিশান রেড্ডি।
আসামের হোম কমিশনার ও সেক্রেটারি আশুতোষ অগ্নহোত্রি দ্য হিন্দুকে জানান, “কেন্দ্র ই-এফটি গঠনের বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে এবং এর কাজ চলছে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো, এফটি, এনআরসি ও সীমান্ত পুলিশ সকলের মিলিত সিস্টেমের মধ্যে সবাইকে নিয়ে আসা”।
বিচার বিভাগের সহায়তা করা
কর্মকর্তারা বলছেন, ই-এফটি থেকে যে সব সুবিধা পাওয়া যাবে, তার মধ্যে রয়েছে এটা বিচার বিভাগে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে সাহায্য করবে এবং আরও নির্ভুলভাবে ও দ্রুত কাউকে চিহ্নিত করা, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের ও আটক করার ক্ষেত্রে পুলিশও এখান থেকে সুবিধা পাবে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী গত বছরের ৩০ জুলাইন এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশ করে রেজিস্টার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (আরজিআই)। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর বাংলাদেশ থেকে যারা আসামে প্রবেশ করেছিল, তাদের থেকে ভারতীয় নাগরিকদের আলাদা করার জন্যই এই তালিকা তৈরি করা হয়। চূড়ান্ত খসড়া থেকে প্রায় ৪১ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়ে। এদের মধ্যে ৩৬ লাখ তাদের নাম বাদ পড়ার বিরুদ্ধে আপিল করেছেন।
এমনকি চূড়ান্ত এনআরসি প্রকাশের পরও বাদ পড়ারা প্রথমে এফটিতে এবং এমনকি হাই কোর্টেও পুনরায় আবেদন করতে পারবেন।
বিজায়তা সিং, রাহুল কর্মকার
ই-ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে (ই-এফটি) এই সব ব্যক্তিদের আঙুলের ছাপ ও চোখের স্ক্যানসহ বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষিত থাকবে এবং এর ফলে দেশ থেকে কাউকে বের করে দেয়ার ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কোন পেপার ওয়ার্কের মধ্য দিয়ে যেতে হবে না।
১৯৮৫ সালের রেকর্ডও যুক্ত করা হবে
এক সিনিয়র সরকারী কর্মকর্তা বলেছেন, এই প্ল্যাটফর্মে শুধু নতুন তথ্যগুলোই যুক্ত করা হবে না, বরং ১৯৮৫ সালের পুরনো তথ্যও এতে যুক্ত করা হবে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, “এফটি প্রথম কাজ শুরু করে ১৯৮৫ সালে। এ যাবত যতজনকে বিদেশী ঘোষণা করা হয়েছে, তাদের সকলের তথ্যই ই-এফটিতে থাকবে। কোন বিদেশী অবৈধভাবে এখানে থাকলে তাকে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ই-এফটি সাহায্য করবে, এবং এ জন্য তাদেরকে কোন কাগজ পত্রের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে না”।
২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আসামে ৬৩,৯৫৯ জনকে বিদেশী ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আসামে স্থাপিত ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালগুলো এদের বিদেশী ঘোষণা দিয়েছে বলে মঙ্গলবার লোকসভাকে জানান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিশান রেড্ডি।
আসামের হোম কমিশনার ও সেক্রেটারি আশুতোষ অগ্নহোত্রি দ্য হিন্দুকে জানান, “কেন্দ্র ই-এফটি গঠনের বিষয়টি অনুমোদন দিয়েছে এবং এর কাজ চলছে। এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো, এফটি, এনআরসি ও সীমান্ত পুলিশ সকলের মিলিত সিস্টেমের মধ্যে সবাইকে নিয়ে আসা”।
বিচার বিভাগের সহায়তা করা
কর্মকর্তারা বলছেন, ই-এফটি থেকে যে সব সুবিধা পাওয়া যাবে, তার মধ্যে রয়েছে এটা বিচার বিভাগে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে সাহায্য করবে এবং আরও নির্ভুলভাবে ও দ্রুত কাউকে চিহ্নিত করা, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের ও আটক করার ক্ষেত্রে পুলিশও এখান থেকে সুবিধা পাবে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী গত বছরের ৩০ জুলাইন এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশ করে রেজিস্টার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (আরজিআই)। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর বাংলাদেশ থেকে যারা আসামে প্রবেশ করেছিল, তাদের থেকে ভারতীয় নাগরিকদের আলাদা করার জন্যই এই তালিকা তৈরি করা হয়। চূড়ান্ত খসড়া থেকে প্রায় ৪১ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়ে। এদের মধ্যে ৩৬ লাখ তাদের নাম বাদ পড়ার বিরুদ্ধে আপিল করেছেন।
এমনকি চূড়ান্ত এনআরসি প্রকাশের পরও বাদ পড়ারা প্রথমে এফটিতে এবং এমনকি হাই কোর্টেও পুনরায় আবেদন করতে পারবেন।
বিজায়তা সিং, রাহুল কর্মকার
No comments