মামলার কারণে মিয়ানমার সরকারের শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে পারছেন না আরাকান আর্মির নেতারা by মো মিয়ন্ত
আরাকান
আর্মির (এএ) মুখপাত্র উ খাইন থুখা বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের
সামরিক বাহিনী এএ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে যে মামলা চালাচ্ছে, সেগুলোর কারণে
সরকারের পিস কমিশনের সাথে শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে পারছেন না তারা।
মামলার বিষয়টি মাত্র গত জুলাই ৫ বৃহস্পতিবার জানা গেছে। আরাকানের বিশিষ্ট নারী রাজনীতিবিদ দাউ আয়ে নু সিন – যিনি আরাকান নেশান পার্টির (এএনপি) বর্তমান ভাইস চেয়ার এবং পেশায় একজন আইনজীবী, তিনি একটি মামলার শুনানির সময় জানতে পারেন যে, ওই মামলায় আরাকান আর্মির নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। সিত্তুই জেলা আদালতে ওই মামলার শুনানি হয়।
দাউ আয়ে নু সিন বলেন, “রেকর্ডে আরাকান আর্মির নেতাদের পদবি ব্যবহার করা হয়নি। তাই নাম দেখে প্রথমে আমি বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিলাম”।
মে মাসে তাতমাদাও ট্রু নিউজ ইনফরমেশান টিমের (সামরিক বাহিনীর গণসংযোগ বিভাগ) মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাউ মিন তুন আরাকান আর্মির নেতাদের জন্য সেনা নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন, তারা যদি অন্যান্য জাতিগত গ্রুপগুলোর সাথে নেপিদোতে সরকারের পিস কমিশনের সাথে অস্ত্রবিরতি চুক্তির আলোচনায় অংশ নেয়, তাহলে তাদেরকে নিরাপত্তা দেয়া হবে। আলোচনায় অংশগ্রহণকারী অন্য গ্রুপগুলো হলো কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি (কেআইএ), তাং ন্যাশনাল লিবারেশান আর্মি (টিএনএলএ), এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ)।
উ খাইন থুখা বলেন, সরকারের পিস কমিশন পরে এপ্রিলে এএ এবং তাদের মিত্রদেরকে বেশ কয়েকবার নেপিদোতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, কিন্তু আরাকান আর্মি মনে করে যে এই আমন্ত্রণ একটা ফাঁদ এবং সে কারণে তারা আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে, যদি তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সামরিক প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।
সামরিক ঘোষণার উপর ভিত্তি করে প্রেসিডেন্টের অফিসের মুখপাত্র উ জাউ তে মে মাসে দ্য ইরাবতী বার্মিজকে বলেছিলেন যে, “তাদের একটা চুলেরও কেউ ক্ষতি করবে না”।
আরাকান আর্মির কর্মকর্তারা অবশ্য বলেছেন যে, তাদের পাঁচ শীর্ষ পর্যায়ের সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি তারা আগেই জানতেন। তবে বিষয়টি তারা প্রকাশ্যে ঘোষণা দেননি বা গণমাধ্যমকে জানাননি।
উ খাইন থুখা মঙ্গলবার ইরাবতীকে বলেন, “এপ্রিল থেকেই আমরা জানি যে, আমাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী মামলা করেছে। সে কারণেই আমরা নেপিদোতে সরকারের পিস কমিশনের সাথে বসতে রাজি হইনি”।
এএ প্রধান মেজর জেনারেল তুন মিয়াত নাইং, ডেপুটি প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিও তুন অং, কর্নেল কিয়াউ হান, এএ মুখপাত্র উ খাই থুখা এবং উ সান শোয়ে মাউং – এই সবার বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে ২০১৪ সালের কাউন্টার-টেররিজম ল’য়ের ৩(বি) ধারা অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে। এই ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি হলো যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
এএ নেতারা প্রস্তাব দিয়েছেন যাতে সরকারের নেতা দাউ অং সান সু কির নেতৃত্বাধীন শান্তি আলোচনা তৃতীয় কোন পক্ষের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়। যেমন এটা চীনের কুমিংয়ে, বা ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মির নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় হতে পারে। কিন্তু এ সপ্তাহ নাগাদ আলোচনা মূলত থেমে আছে।
এএ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার আগ পর্যন্ত সামরিক বাহিনীও এ বিষয়ে কোন কথা বলেনি আগে।
মামলার বিষয়টি মাত্র গত জুলাই ৫ বৃহস্পতিবার জানা গেছে। আরাকানের বিশিষ্ট নারী রাজনীতিবিদ দাউ আয়ে নু সিন – যিনি আরাকান নেশান পার্টির (এএনপি) বর্তমান ভাইস চেয়ার এবং পেশায় একজন আইনজীবী, তিনি একটি মামলার শুনানির সময় জানতে পারেন যে, ওই মামলায় আরাকান আর্মির নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। সিত্তুই জেলা আদালতে ওই মামলার শুনানি হয়।
দাউ আয়ে নু সিন বলেন, “রেকর্ডে আরাকান আর্মির নেতাদের পদবি ব্যবহার করা হয়নি। তাই নাম দেখে প্রথমে আমি বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিলাম”।
মে মাসে তাতমাদাও ট্রু নিউজ ইনফরমেশান টিমের (সামরিক বাহিনীর গণসংযোগ বিভাগ) মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাউ মিন তুন আরাকান আর্মির নেতাদের জন্য সেনা নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন, তারা যদি অন্যান্য জাতিগত গ্রুপগুলোর সাথে নেপিদোতে সরকারের পিস কমিশনের সাথে অস্ত্রবিরতি চুক্তির আলোচনায় অংশ নেয়, তাহলে তাদেরকে নিরাপত্তা দেয়া হবে। আলোচনায় অংশগ্রহণকারী অন্য গ্রুপগুলো হলো কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি (কেআইএ), তাং ন্যাশনাল লিবারেশান আর্মি (টিএনএলএ), এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ)।
উ খাইন থুখা বলেন, সরকারের পিস কমিশন পরে এপ্রিলে এএ এবং তাদের মিত্রদেরকে বেশ কয়েকবার নেপিদোতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, কিন্তু আরাকান আর্মি মনে করে যে এই আমন্ত্রণ একটা ফাঁদ এবং সে কারণে তারা আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে, যদি তাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সামরিক প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।
সামরিক ঘোষণার উপর ভিত্তি করে প্রেসিডেন্টের অফিসের মুখপাত্র উ জাউ তে মে মাসে দ্য ইরাবতী বার্মিজকে বলেছিলেন যে, “তাদের একটা চুলেরও কেউ ক্ষতি করবে না”।
আরাকান আর্মির কর্মকর্তারা অবশ্য বলেছেন যে, তাদের পাঁচ শীর্ষ পর্যায়ের সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি তারা আগেই জানতেন। তবে বিষয়টি তারা প্রকাশ্যে ঘোষণা দেননি বা গণমাধ্যমকে জানাননি।
উ খাইন থুখা মঙ্গলবার ইরাবতীকে বলেন, “এপ্রিল থেকেই আমরা জানি যে, আমাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী মামলা করেছে। সে কারণেই আমরা নেপিদোতে সরকারের পিস কমিশনের সাথে বসতে রাজি হইনি”।
এএ প্রধান মেজর জেনারেল তুন মিয়াত নাইং, ডেপুটি প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিও তুন অং, কর্নেল কিয়াউ হান, এএ মুখপাত্র উ খাই থুখা এবং উ সান শোয়ে মাউং – এই সবার বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে ২০১৪ সালের কাউন্টার-টেররিজম ল’য়ের ৩(বি) ধারা অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে। এই ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি হলো যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
এএ নেতারা প্রস্তাব দিয়েছেন যাতে সরকারের নেতা দাউ অং সান সু কির নেতৃত্বাধীন শান্তি আলোচনা তৃতীয় কোন পক্ষের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অনুষ্ঠিত হয়। যেমন এটা চীনের কুমিংয়ে, বা ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মির নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় হতে পারে। কিন্তু এ সপ্তাহ নাগাদ আলোচনা মূলত থেমে আছে।
এএ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার আগ পর্যন্ত সামরিক বাহিনীও এ বিষয়ে কোন কথা বলেনি আগে।
No comments