চীনা ও পাকিস্তানী দূতের সাথে নেপালের রাষ্ট্রদূতের বৈঠকে ভারতের অসন্তোষ by অনিল গিরি
এক
মাসের বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করেও ভারতের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস
জয়শঙ্করের সাথে দেখা করতে পারেননি ভারতে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত
নিলাম্বর আচার্য।
এই ব্যর্থতার পেছনে অবশ্য আচার্যের চেষ্টার কোন ঘাটতি ছিল না।
গত ৩০ মে ভারতের নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেয়ার পরপরই, নয়াদিল্লীর নেপালি দূতাবাস থেকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয় যে, রাষ্ট্রদূত জয়শঙ্করের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করতে চান। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দূতাবাস ধৈর্যের সাথে অপেক্ষা করছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কিন্তু সবশেষ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মন্ত্রণালয় থেকে কোন ফোন কল আসেনি।
নয়াদিল্লীর নেপালী দূতাবাসের কর্মকর্তারা দ্য পোস্টকে বলেছেন যে, অন্যান্য মন্ত্রীদের সাথে সাক্ষাতের জন্যও আলাদাভাবে বেশ কিছু অনুরোধপত্র পাঠিয়েছেন তারা, কিন্তু এখন পর্যন্ত কারো সাথে সাক্ষাতের অনুমতি পাননি আচার্য।
নেপালী দূতাবাসের মুখপাত্র হারি ওদারি পোস্টকে বলেন, “স্বরাষ্ট্র, জ্বালানি, বাণিজ্য, অবকাঠামো ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য আমরা অনুরোধ জানিয়েছি, যেগুলো সবই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ”।
তবে জয়শঙ্করের সাথে আচার্যের সাক্ষাত করাটা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ যাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নেয়া যায়। কারণ আগামী মাসগুলোতে নেপাল ও ভারতের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদিপ গিয়াওয়ালি নেপাল-ইন্ডিয়া জয়েন্ট কমিশনের পঞ্চম বৈঠকের জন্য জয়শঙ্করের সাথে তিনবার কথা বলেছেন। এই বৈঠকে অংশ নিতে জয়শঙ্করকে কাঠমাণ্ডু যেতে হবে। এ বছরেই ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোভিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও নেপাল সফরের কথা রয়েছে। পররাষ্ট্র নীতির বিশ্লেষকরা বলছেন, এ কারণে জয়শঙ্করের সাথে আচার্যের সাক্ষাত করাটা গুরুত্বপূর্ণ যাতে উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকগুলো কোন বাধা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হতে পারে।
সাবেক কূটনীতিকরা বলেছে, এটাই সম্ভবত প্রথম ঘটনা যেখানে নেপালের কোন রাষ্ট্রদূতকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের জন্য এতটা সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
যদিও জয়শঙ্করের সাথে আচার্যের আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়নি, তবে আচার্য পোস্টকে বলেন যে, দিল্লীতে অনানুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে জয়শঙ্করের সাথে তার দেখা হচ্ছে।
আচার্য বলেন, “অন্য কিছু ভাবার সুযোগ নেই, কারণ তার সাথে অনানুষ্ঠানিকভাবে বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে। যেহেতু সরকার মাত্রই গঠিত হযেছে এবং ভারতের পার্লামেন্টের অধিবেশন চলছে, সে কারণে নিশ্চয়ই তিনি ব্যস্ত আছেন”।
তবে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নয়াদিল্লীস্থ মিশনের সিনিয়র কর্মকর্তারা পোস্টকে বলেছেন যে, বিশেষ করে চীন ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতদের সাথে আচার্যের বৈঠকের কারণে হয়তো ভারতীয় নীতি নির্ধারকরা অখুশি হয়েছেন। যদিও ১৪ এপ্রিল বিদায়ী চীনা রাষ্ট্রদূত লু ঝাং হুইয়ের সাথে আচার্য দেখা করেছেন, তবে নয়াদিল্লীর পাকিস্তানী রাষ্ট্রদূতের সাথে তার সাক্ষাতের বিষয়টির সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
নয়াদিল্লীর নেপালী দূতাবাসের ডেপুটি ডিফ অব মিশন ভারত কুমার রেগমি বলেন, “ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গোচরেই এই সব সাক্ষাত হয়েছে। সার্ক অঞ্চলের অন্যান্য দেশের দূত এবং ইউএন সিকিউরিটি কাউন্সিলের পাঁচ দূতের সাথে বৈঠকের বিষয়টি একটা নিয়মিত চর্চার অংশ”।
কাঠমাণ্ডুর ভারতীয় দূতাবাসের এক কর্মকর্তা পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন যে, জয়শঙ্কর এখন জি২০তে ভারতের অন্তর্ভুক্তি এবং অন্যান্য বহুপাক্ষিক ফোরামের বিষয়গুলো নিয়ে ব্যস্ত।
তবে কিছু বিশ্লেষকের মতে, আচার্যের সাম্প্রতিক কিছু প্রকাশ্য উক্তি, বিশেষ করে সার্ক এবং নেপাল বিষয়ে এমিনেন্ট পার্সন্স গ্রুপের রিপোর্টের ব্যাপারে তার উক্তি ভারতকে অখুশি করে থাকতে পারে।
এই ব্যর্থতার পেছনে অবশ্য আচার্যের চেষ্টার কোন ঘাটতি ছিল না।
গত ৩০ মে ভারতের নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেয়ার পরপরই, নয়াদিল্লীর নেপালি দূতাবাস থেকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয় যে, রাষ্ট্রদূত জয়শঙ্করের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করতে চান। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দূতাবাস ধৈর্যের সাথে অপেক্ষা করছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কিন্তু সবশেষ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মন্ত্রণালয় থেকে কোন ফোন কল আসেনি।
নয়াদিল্লীর নেপালী দূতাবাসের কর্মকর্তারা দ্য পোস্টকে বলেছেন যে, অন্যান্য মন্ত্রীদের সাথে সাক্ষাতের জন্যও আলাদাভাবে বেশ কিছু অনুরোধপত্র পাঠিয়েছেন তারা, কিন্তু এখন পর্যন্ত কারো সাথে সাক্ষাতের অনুমতি পাননি আচার্য।
নেপালী দূতাবাসের মুখপাত্র হারি ওদারি পোস্টকে বলেন, “স্বরাষ্ট্র, জ্বালানি, বাণিজ্য, অবকাঠামো ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের জন্য আমরা অনুরোধ জানিয়েছি, যেগুলো সবই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ”।
তবে জয়শঙ্করের সাথে আচার্যের সাক্ষাত করাটা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ যাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নেয়া যায়। কারণ আগামী মাসগুলোতে নেপাল ও ভারতের মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদিপ গিয়াওয়ালি নেপাল-ইন্ডিয়া জয়েন্ট কমিশনের পঞ্চম বৈঠকের জন্য জয়শঙ্করের সাথে তিনবার কথা বলেছেন। এই বৈঠকে অংশ নিতে জয়শঙ্করকে কাঠমাণ্ডু যেতে হবে। এ বছরেই ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোভিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও নেপাল সফরের কথা রয়েছে। পররাষ্ট্র নীতির বিশ্লেষকরা বলছেন, এ কারণে জয়শঙ্করের সাথে আচার্যের সাক্ষাত করাটা গুরুত্বপূর্ণ যাতে উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকগুলো কোন বাধা ছাড়াই অনুষ্ঠিত হতে পারে।
সাবেক কূটনীতিকরা বলেছে, এটাই সম্ভবত প্রথম ঘটনা যেখানে নেপালের কোন রাষ্ট্রদূতকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের জন্য এতটা সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
যদিও জয়শঙ্করের সাথে আচার্যের আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়নি, তবে আচার্য পোস্টকে বলেন যে, দিল্লীতে অনানুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে জয়শঙ্করের সাথে তার দেখা হচ্ছে।
আচার্য বলেন, “অন্য কিছু ভাবার সুযোগ নেই, কারণ তার সাথে অনানুষ্ঠানিকভাবে বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে। যেহেতু সরকার মাত্রই গঠিত হযেছে এবং ভারতের পার্লামেন্টের অধিবেশন চলছে, সে কারণে নিশ্চয়ই তিনি ব্যস্ত আছেন”।
তবে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নয়াদিল্লীস্থ মিশনের সিনিয়র কর্মকর্তারা পোস্টকে বলেছেন যে, বিশেষ করে চীন ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতদের সাথে আচার্যের বৈঠকের কারণে হয়তো ভারতীয় নীতি নির্ধারকরা অখুশি হয়েছেন। যদিও ১৪ এপ্রিল বিদায়ী চীনা রাষ্ট্রদূত লু ঝাং হুইয়ের সাথে আচার্য দেখা করেছেন, তবে নয়াদিল্লীর পাকিস্তানী রাষ্ট্রদূতের সাথে তার সাক্ষাতের বিষয়টির সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
নয়াদিল্লীর নেপালী দূতাবাসের ডেপুটি ডিফ অব মিশন ভারত কুমার রেগমি বলেন, “ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গোচরেই এই সব সাক্ষাত হয়েছে। সার্ক অঞ্চলের অন্যান্য দেশের দূত এবং ইউএন সিকিউরিটি কাউন্সিলের পাঁচ দূতের সাথে বৈঠকের বিষয়টি একটা নিয়মিত চর্চার অংশ”।
কাঠমাণ্ডুর ভারতীয় দূতাবাসের এক কর্মকর্তা পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন যে, জয়শঙ্কর এখন জি২০তে ভারতের অন্তর্ভুক্তি এবং অন্যান্য বহুপাক্ষিক ফোরামের বিষয়গুলো নিয়ে ব্যস্ত।
তবে কিছু বিশ্লেষকের মতে, আচার্যের সাম্প্রতিক কিছু প্রকাশ্য উক্তি, বিশেষ করে সার্ক এবং নেপাল বিষয়ে এমিনেন্ট পার্সন্স গ্রুপের রিপোর্টের ব্যাপারে তার উক্তি ভারতকে অখুশি করে থাকতে পারে।
ভারতে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত নিলাম্বর আচার্য ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর |
No comments