টাউট উচ্ছেদ কমিটি by মোহাম্মদ ওমর ফারুক
দেখলে
বোঝার কোনো উপায় নেই তারা কারা। তবে তাদের দেখে বিভ্রান্ত হন আদালতে বিচার
চাইতে আসা সাধারণ বিচারপ্রার্থীরা। জানা যায়, এসব টাউট বা ভুয়া আইনজীবী
ঢাকার প্রতিটি থানার সামনে ভিড় জমায়। তারা সাধারণ বিচারপ্রার্থীদের টার্গেট
করে মামলার কাগজপত্র নিয়ে তাদের সঙ্গে করে প্রতারণা। আদালত চত্বরগুলোতেও
এদের ভিড় লেগেই থাকে। এ প্রতারকদের ধরতেই আইনজীবী সমিতিগুলো তাদের
গঠনতন্ত্রে রেখেছে টাউট উচ্ছেদ কমিটি। যাদের কাজ এসব ভুয়া আইনজীবী শনাক্ত
করে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়া। আইনজীবী সমিতিগুলোতে এমন গঠনতন্ত্র থাকলেও
কোনোটারই এমন কার্যক্রম চোখে পড়ে না।
তবে ঢাকা আইনজীবী সমিতির টাউট উচ্ছেদ কমিটির কার্যক্রম চলছে বেশ জোরালো ভাবে।
সমিতি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই কমিটি করার কথা থাকলেও তা পুরোপুরি বাস্তবে রূপ পেয়েছে ৯৫-৯৬ সালের আবু সাঈদ সাগর এবং মকবুল হোসেন ফকিরের কমিটি থেকে। এরপর থেকে ঢাকা আইনজীবী সমিতির প্রতিটি কমিটিই দিয়েছে টাউট উচ্ছেদ কমিটি। গত ২৪ বছর ধরে চলছে টাউট উচ্ছেদ কমিটির কার্যক্রম। এই পর্যন্ত উচ্ছেদও হয়েছে অসংখ্য ভুয়া বা টাউট আইনজীবী। এই কমিটির পক্ষ থেকে শনাক্ত হওয়া ভুয়া আইনজীবীদের পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার পর তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী মামলায় লড়ার নিয়ম নেই। তবে সমিতির ছাড়পত্র নিয়ে তাদের পক্ষে মামলা লড়তে পারবেন আইনজীবীরা।
সুপ্রিম কোর্টেও রয়েছে টাউট উচ্ছেদ কমিটির আদলে ‘আদালত ব্যবস্থাপনা’ নামে একটি কমিটি। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার নাজমুল হাসান রাকিব বলেন, এখানে আনুপাতিক হারে ভুয়া আইনজীবীর সংখ্যা অনেক কম। তবে এমনও রয়েছে পনেরো বিশ বছর প্র্যাকটিস করার পরও ভুয়া আইনজীবী হিসেবে ধরা খেয়েছেন, শাস্তিও পেয়েছেন।’
তবে আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন, এসব ভুয়া আইনজীবীর পক্ষে প্রায় সময় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সুপারিশ আসে তাদের ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য, তাদের পক্ষে আইনজীবীদের ছাড়পত্র দেয়ার জন্য। শুধু তাই নয়, ভুয়া আইনজীবীরা ছাড় পাওয়ার পর আবারো একই কাজ করেন। ফলে পুরোপুরি তাদের উচ্ছেদ করা সম্ভব হচ্ছে না।
প্রতি মাসে এমন নানান ঘটনার সাক্ষী হন উচ্ছেদ কমিটির সদস্যরা। কমিটির সদস্যরা উচ্ছেদের অংশ হিসেবে প্রতি মাসে নানান সময় বিভিন্ন থানার সামনে অভিযান চালায় তারা। এতে বেশ ফলও মিলেছে তাদের । বলছিলেন এই কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম খলিল। তিনি নিজেই গত এক বছরে প্রায় ৭২ জন ভুয়া আইনজীবী শনাক্ত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা অনেক সময় গ্রুপ করে বিভিন্ন থানার সামনে অভিযান চালিয়ে থাকি।
গত ১৭-১৮ বছরের টাউট উচ্ছেদ কমিটি প্রায় দেড়শ’ জন ভুয়া আইনজীবীকে শনাক্ত করেছে তারা। ভুয়া আইনজীবীদের পুলিশে দেয়ার পাশাপাশি আইনজীবীরা তাদের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে সবাইকে সতর্কও করে দেন।
বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক ঢাকা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান দিপু বলেন, আমরা নানান সোর্সের মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা করি। তাদের ধরে পুলিশের কাছে তুলে দেই। কিন্তু তারা ছাড়া পেয়ে আবার একই কাজ করে। আমরা সব সময়ই কঠোর অবস্থানে থাকি।
আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সমিতির একজন সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদককে আহ্বায়ক করে ১৫ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়। আবার প্রয়োজনে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুমতিক্রমে এই কমিটির সদস্যসংখ্যা কমবেশিও হতে পারে।
তবে ঢাকা আইনজীবী সমিতির টাউট উচ্ছেদ কমিটির কার্যক্রম চলছে বেশ জোরালো ভাবে।
সমিতি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই কমিটি করার কথা থাকলেও তা পুরোপুরি বাস্তবে রূপ পেয়েছে ৯৫-৯৬ সালের আবু সাঈদ সাগর এবং মকবুল হোসেন ফকিরের কমিটি থেকে। এরপর থেকে ঢাকা আইনজীবী সমিতির প্রতিটি কমিটিই দিয়েছে টাউট উচ্ছেদ কমিটি। গত ২৪ বছর ধরে চলছে টাউট উচ্ছেদ কমিটির কার্যক্রম। এই পর্যন্ত উচ্ছেদও হয়েছে অসংখ্য ভুয়া বা টাউট আইনজীবী। এই কমিটির পক্ষ থেকে শনাক্ত হওয়া ভুয়া আইনজীবীদের পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার পর তাদের পক্ষে কোনো আইনজীবী মামলায় লড়ার নিয়ম নেই। তবে সমিতির ছাড়পত্র নিয়ে তাদের পক্ষে মামলা লড়তে পারবেন আইনজীবীরা।
সুপ্রিম কোর্টেও রয়েছে টাউট উচ্ছেদ কমিটির আদলে ‘আদালত ব্যবস্থাপনা’ নামে একটি কমিটি। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার নাজমুল হাসান রাকিব বলেন, এখানে আনুপাতিক হারে ভুয়া আইনজীবীর সংখ্যা অনেক কম। তবে এমনও রয়েছে পনেরো বিশ বছর প্র্যাকটিস করার পরও ভুয়া আইনজীবী হিসেবে ধরা খেয়েছেন, শাস্তিও পেয়েছেন।’
তবে আইনজীবীরা অভিযোগ করেছেন, এসব ভুয়া আইনজীবীর পক্ষে প্রায় সময় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সুপারিশ আসে তাদের ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য, তাদের পক্ষে আইনজীবীদের ছাড়পত্র দেয়ার জন্য। শুধু তাই নয়, ভুয়া আইনজীবীরা ছাড় পাওয়ার পর আবারো একই কাজ করেন। ফলে পুরোপুরি তাদের উচ্ছেদ করা সম্ভব হচ্ছে না।
প্রতি মাসে এমন নানান ঘটনার সাক্ষী হন উচ্ছেদ কমিটির সদস্যরা। কমিটির সদস্যরা উচ্ছেদের অংশ হিসেবে প্রতি মাসে নানান সময় বিভিন্ন থানার সামনে অভিযান চালায় তারা। এতে বেশ ফলও মিলেছে তাদের । বলছিলেন এই কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম খলিল। তিনি নিজেই গত এক বছরে প্রায় ৭২ জন ভুয়া আইনজীবী শনাক্ত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা অনেক সময় গ্রুপ করে বিভিন্ন থানার সামনে অভিযান চালিয়ে থাকি।
গত ১৭-১৮ বছরের টাউট উচ্ছেদ কমিটি প্রায় দেড়শ’ জন ভুয়া আইনজীবীকে শনাক্ত করেছে তারা। ভুয়া আইনজীবীদের পুলিশে দেয়ার পাশাপাশি আইনজীবীরা তাদের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে সবাইকে সতর্কও করে দেন।
বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক ঢাকা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান দিপু বলেন, আমরা নানান সোর্সের মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা করি। তাদের ধরে পুলিশের কাছে তুলে দেই। কিন্তু তারা ছাড়া পেয়ে আবার একই কাজ করে। আমরা সব সময়ই কঠোর অবস্থানে থাকি।
আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সমিতির একজন সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদককে আহ্বায়ক করে ১৫ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়। আবার প্রয়োজনে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুমতিক্রমে এই কমিটির সদস্যসংখ্যা কমবেশিও হতে পারে।
No comments