রাখাইনে বৌদ্ধ বিদ্রোহীদের হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ৭ সদস্য নিহত
মিয়ানমারের
রাখাইন প্রদেশে কট্টরপন্থি বৌদ্ধদের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির হামলায়
নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ৭ সদস্য নিহত হয়েছে। গতকাল দেশটির স্বাধীনতা দিবস
উদযাপনের মধ্যেই রাখাইনের ৪টি পুলিশ চেকপোস্টে হামলা চালায় আরাকান আর্মির
সদস্যরা। এতে অর্ধডজনেরও বেশি পুলিশ সদস্য নিহত হন। বার্তা সংস্থা
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় এই প্রদেশটিতে
দীর্ঘদিন ধরেই সহিংসতা চলছে। গত মাসেও সেখানে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
তখন নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় আরাকান আর্মির যোদ্ধারা। দীর্ঘদিন ধরেই তারা রাখাইনের সংখ্যালঘু বৌদ্ধ জাতিগোষ্ঠীর আরো স্বায়ত্তশাসনের দাবি জানিয়ে আসছে। এই রাখাইনেরই আরেক অংশে ২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর ক্লিয়ারেন্স অপারেশন চালানো হয়।
যার ফলে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আরাকান আর্মি ও সরকারি বাহিনীর মধ্যকার সাম্প্রতিক সংঘর্ষে আড়াই হাজারের মতো বেসামরিক নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আরাকান আর্মির মুখপাত্র খিনে থু বলেন, তারা চারটি পুলিশ পোস্টে হামলা চালিয়েছে। পরে সেখান থেকে সাত ‘শত্রুর’ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া তারা নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ সদস্যকে আটক করেছে।
খিন থু বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আমরা তাদের ক্ষতি করবো না।’ তিনি জানান, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের পাল্টা জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জ মিন তুন বলেন, ৭১তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পতাকা উত্তোলনের কয়েক মিনিট পরই হামলা শুরু হয়। তবে আরাকান আর্মির দাবি, তাদের এই হামলা স্বাধীনতা দিবসকে লক্ষ্য করে না। মুখপাত্র খিন তু বলেন, আমরা এখনো স্বাধীন না। আজ আমাদের স্বাধীনতা দিবস না।’ তার দাবি, রাখাইনের বৌদ্ধরা বিভিন্ন বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
এদিকে, সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বুথিডং ও মংডুতে শুক্রবারের হামলার পাল্টা ব্যবস্থা নিচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। মুখপাত্র জ মিন তুন বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে সেনাবাহিনী ওই অঞ্চলে তাদের অভিযান অব্যাহত রাখবে। তবে শুক্রবারের হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ঠিক কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিশ্চিত করেননি। তিনি বলেন, হামলার শিকার পুলিশ পোস্টগুলো বিভিন্ন জাতি ও বর্ণের লোকদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য। তাই এগুলোতে হামলা করা উচিত না। রাখাইনের এই অঞ্চলের বেশিরভাগ অধিবাসী বৌদ্ধ নৃতাত্তিক জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। এরা মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃত। রাখাইনের এসব অধিবাসীকে নাগরিকের স্বীকৃতি দেয়া হলেও রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করা হয় না। মিয়ানমারের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এর আগেও আরাকান আর্মির যোদ্ধারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে। তখন এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন।
প্রসঙ্গত, গত মাসে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী শান্তি আলোচনা শুরু করার জন্য দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে জাতিগত স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে যুদ্ধরত বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপগুলোর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। তবে রাখাইনকে ওই ঘোষণার বাইরে রাখা হয়।
তখন নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় আরাকান আর্মির যোদ্ধারা। দীর্ঘদিন ধরেই তারা রাখাইনের সংখ্যালঘু বৌদ্ধ জাতিগোষ্ঠীর আরো স্বায়ত্তশাসনের দাবি জানিয়ে আসছে। এই রাখাইনেরই আরেক অংশে ২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর ক্লিয়ারেন্স অপারেশন চালানো হয়।
যার ফলে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, আরাকান আর্মি ও সরকারি বাহিনীর মধ্যকার সাম্প্রতিক সংঘর্ষে আড়াই হাজারের মতো বেসামরিক নাগরিক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আরাকান আর্মির মুখপাত্র খিনে থু বলেন, তারা চারটি পুলিশ পোস্টে হামলা চালিয়েছে। পরে সেখান থেকে সাত ‘শত্রুর’ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া তারা নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ সদস্যকে আটক করেছে।
খিন থু বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আমরা তাদের ক্ষতি করবো না।’ তিনি জানান, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানের পাল্টা জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জ মিন তুন বলেন, ৭১তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পতাকা উত্তোলনের কয়েক মিনিট পরই হামলা শুরু হয়। তবে আরাকান আর্মির দাবি, তাদের এই হামলা স্বাধীনতা দিবসকে লক্ষ্য করে না। মুখপাত্র খিন তু বলেন, আমরা এখনো স্বাধীন না। আজ আমাদের স্বাধীনতা দিবস না।’ তার দাবি, রাখাইনের বৌদ্ধরা বিভিন্ন বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
এদিকে, সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বুথিডং ও মংডুতে শুক্রবারের হামলার পাল্টা ব্যবস্থা নিচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। মুখপাত্র জ মিন তুন বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে সেনাবাহিনী ওই অঞ্চলে তাদের অভিযান অব্যাহত রাখবে। তবে শুক্রবারের হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ঠিক কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিশ্চিত করেননি। তিনি বলেন, হামলার শিকার পুলিশ পোস্টগুলো বিভিন্ন জাতি ও বর্ণের লোকদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য। তাই এগুলোতে হামলা করা উচিত না। রাখাইনের এই অঞ্চলের বেশিরভাগ অধিবাসী বৌদ্ধ নৃতাত্তিক জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। এরা মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃত। রাখাইনের এসব অধিবাসীকে নাগরিকের স্বীকৃতি দেয়া হলেও রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করা হয় না। মিয়ানমারের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এর আগেও আরাকান আর্মির যোদ্ধারা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে। তখন এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন।
প্রসঙ্গত, গত মাসে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী শান্তি আলোচনা শুরু করার জন্য দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে জাতিগত স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে যুদ্ধরত বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপগুলোর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। তবে রাখাইনকে ওই ঘোষণার বাইরে রাখা হয়।
No comments