নিস্তব্ধ গ্রাম, গ্রেপ্তার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন সবাই
সহিংসতায় নিহত ইসরাইল |
ভোটকেন্দ্রে
সহিংসতায় হতাহতের জেরে নীরব-নিস্তব্ধ এখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজঘর গ্রাম।
৩০শে ডিসেম্বর গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে হামলা
থামাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গুলি চালালে এক কিশোরের মৃত্যু হয়। আহত
হয় আরো ক’জন। এ ঘটনায় মামলা হলে গ্রেপ্তার আতঙ্কে পালিয়ে যান গ্রামের
পুরুষরা। গ্রামে বসানো হয়েছে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প।
রাজঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র হামলার সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এখন। বিদ্যালয়টি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে হামলায়। সদর আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী কেন্দ্রটি পরিদর্শন করতে এসে ওই হামলার মুখে পড়েন।
কেন্দ্রের এই গোলযোগ থামাতে পুলিশ গুলি চালালে নিহত হয় ইসরাইল নামের ওই নির্মাণ শ্রমিক। সে আওয়ামী লীগের একজন সমর্থক বলে জানান তার পরিবারের লোকজন। এছাড়াও সেদিন গ্রামের কিছু বাড়িঘরে হামলা হয়। ভোটে সহিংসতার জেরে হতাহতের ঘটনা এবং পরবর্তীতে মামলায় গ্রেপ্তার আতঙ্ক এখন রাজঘর গ্রামে। আয়েশা নামের এক গৃহবধূ জানান, পরিস্থিতি ভালো না। পুরুষ লোক বাড়িতে থাকতে পাওে না।
ঘটনার দিন ৩০শে ডিসেম্বর দিবাগত রাতেই ইসরাইল নিহত হওয়ার ঘটনায় তার বাবা সাঈদ মিয়া ওরফে সাওয়াল বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সদর উপজেলা বিএনপি নেতা জহির মেম্বারকে প্রধান আসামি করে ৩৫ জনের নামোল্লেখ করা হয়। এছাড়া আরো ৪-৫শ’ অজ্ঞাত লোককে আসামি করা হয়েছে। মামলায় গুলি করে ইসলাইলকে হত্যা, আওয়ামী লীগ প্রার্থী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে হত্যার চেষ্টা, তার গাড়ি ভাঙচুর, ভোট কেন্দ্র ভাঙচুর, বোমার বিস্ফোরণ ঘটানোসহ বেশ কয়েকজনকে আহত করার অভিযোগ আনা হয়। মামলার প্রধান সাক্ষী বিজয়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এখনো এ মামলার কোন আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। মামলার আসামিরা পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানার এসআই সুমন নাথ। তবে তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানোর কথা জানান তিনি। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এদিকে পুত্রকে হারিয়ে শোকে পাথর নিহত ইসরাইলের বাবা-মা। রাজঘর গ্রামের সওয়াল মিয়ার তিনি ছেলের মধ্যে ইসরাইল ছিলো মেঝ। সে পিতার সহযোগী হিসেবে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতো। ইসরাইল মিয়া বলেন, আমার ছেলে ভোটার না। সেজন্যে সে কেন্দ্রে যাবে এটা আমার ভাবনার মধ্যে ছিলো না। তবে এলাকার ছেলেপেলে সবাই সেখানে গিয়েছিলো। এমপি সাহেব আসার পর হঠাৎ সেখানে গণ্ডগোল সৃষ্টি হয়। এসময় আমার ছেলেও ছিলো সেখানে। হঠাৎ তার ওপর হামলা হয়। নিহত ইসরাইলের মা সমিরন বলেন, ১০ মিনিট আগে তারে আমি খাওয়াইয়া দিছি। আমিতো জানি কোন গ্যাঞ্জাম নাই। পরে শুনি লাইগ্গা গেছেগা। এরপর শুনি আমার ছেলের ওপর গুলি পড়ছে।
রাজঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র হামলার সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এখন। বিদ্যালয়টি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে হামলায়। সদর আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী কেন্দ্রটি পরিদর্শন করতে এসে ওই হামলার মুখে পড়েন।
কেন্দ্রের এই গোলযোগ থামাতে পুলিশ গুলি চালালে নিহত হয় ইসরাইল নামের ওই নির্মাণ শ্রমিক। সে আওয়ামী লীগের একজন সমর্থক বলে জানান তার পরিবারের লোকজন। এছাড়াও সেদিন গ্রামের কিছু বাড়িঘরে হামলা হয়। ভোটে সহিংসতার জেরে হতাহতের ঘটনা এবং পরবর্তীতে মামলায় গ্রেপ্তার আতঙ্ক এখন রাজঘর গ্রামে। আয়েশা নামের এক গৃহবধূ জানান, পরিস্থিতি ভালো না। পুরুষ লোক বাড়িতে থাকতে পাওে না।
ঘটনার দিন ৩০শে ডিসেম্বর দিবাগত রাতেই ইসরাইল নিহত হওয়ার ঘটনায় তার বাবা সাঈদ মিয়া ওরফে সাওয়াল বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সদর উপজেলা বিএনপি নেতা জহির মেম্বারকে প্রধান আসামি করে ৩৫ জনের নামোল্লেখ করা হয়। এছাড়া আরো ৪-৫শ’ অজ্ঞাত লোককে আসামি করা হয়েছে। মামলায় গুলি করে ইসলাইলকে হত্যা, আওয়ামী লীগ প্রার্থী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে হত্যার চেষ্টা, তার গাড়ি ভাঙচুর, ভোট কেন্দ্র ভাঙচুর, বোমার বিস্ফোরণ ঘটানোসহ বেশ কয়েকজনকে আহত করার অভিযোগ আনা হয়। মামলার প্রধান সাক্ষী বিজয়ী আওয়ামী লীগ প্রার্থী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এখনো এ মামলার কোন আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। মামলার আসামিরা পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানার এসআই সুমন নাথ। তবে তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানোর কথা জানান তিনি। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এদিকে পুত্রকে হারিয়ে শোকে পাথর নিহত ইসরাইলের বাবা-মা। রাজঘর গ্রামের সওয়াল মিয়ার তিনি ছেলের মধ্যে ইসরাইল ছিলো মেঝ। সে পিতার সহযোগী হিসেবে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতো। ইসরাইল মিয়া বলেন, আমার ছেলে ভোটার না। সেজন্যে সে কেন্দ্রে যাবে এটা আমার ভাবনার মধ্যে ছিলো না। তবে এলাকার ছেলেপেলে সবাই সেখানে গিয়েছিলো। এমপি সাহেব আসার পর হঠাৎ সেখানে গণ্ডগোল সৃষ্টি হয়। এসময় আমার ছেলেও ছিলো সেখানে। হঠাৎ তার ওপর হামলা হয়। নিহত ইসরাইলের মা সমিরন বলেন, ১০ মিনিট আগে তারে আমি খাওয়াইয়া দিছি। আমিতো জানি কোন গ্যাঞ্জাম নাই। পরে শুনি লাইগ্গা গেছেগা। এরপর শুনি আমার ছেলের ওপর গুলি পড়ছে।
No comments