৬ মাসে রপ্তানিতে আয় ২ হাজার কোটি ডলার
টানা
চার মাস রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে
বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ২ হাজার ৫০ কোটি (২০.৫০ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে
বাংলাদেশ। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯.১৩ শতাংশ বেশি। আর গত বছরের একই সময়ের
চেয়ে ১৪.৪২ শতাংশ বেশি আয় এসেছে। এদিকে গত ডিসেম্বর মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে
আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ২.১৮ শতাংশ বেশি অর্থ দেশে এসেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, রপ্তানি আয়ে সুখবর নিয়েই শুরু হয়েছিল নতুন অর্থবছর। ইতিবাচক সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া তৈরি পোশাক খাতের আয় ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। যার কারণে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বিদ্যমান।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি থেকে ২ হাজার ৪৯ কোটি ৯৭ লাখ (১৭.০৭ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪.৪২ শতাংশ বেশি। আর এই ছয় মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে ৯.১৩ শতাংশ। তথ্য মতে, জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮৭৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার। গত বছরের এই ছয় মাসে আয় হয়েছিল ১ হাজার ৭৯১ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ডিসেম্বরে ৩৪২ কোটি ৬১ লাখ ডলার রপ্তানি আয় দেশে এসেছে। এই মাসে লক্ষ্য ধরা ছিল ৩৫৫ কোটি ডলার। গত বছরের ডিসেম্বরে আয় হয়েছিল ৩৩৫ কোটি ৩১ লাখ ডলার। এ হিসাবে ডিসেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কমেছে ৩.৪৯ শতাংশ। ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে মোট রপ্তানি আয়ের ৮৩.৩৪ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫.৬৫ শতাংশ। অর্থাৎ ২০.৫০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ১৭.০৮ বিলিয়ন ডলারই এসেছে এ খাত থেকে। এর মধ্যে নিট পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৮৬৫ কোটি ২৬ লাখ ডলার; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ শতাংশ। ওভেন পোশাক রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৮৪৩ কোটি ২৩ লাখ ডলার; প্রবৃদ্ধি ১৭.৪৮ শতাংশ। নিটে লক্ষ্যের চেয়ে আয় বেড়ে গেছে ১১.২৩ শতাংশ। আর ওভেনে প্রায় ৬ শতাংশ।
অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২০ শতাংশের মতো। কিন্তু দ্বিতীয় মাস আগস্টেই তা হোঁচট খায়। ওই মাসে গত বছরের আগস্টের চেয়ে আয় কমে ১২ শতাংশ। এর পরের মাস থেকে তৈরি পোশাকসহ সামগ্রিক রপ্তানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। নভেম্বরে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১২ শতাংশের মতো। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ওপর বরাবরই তৈরি পোশাক পণ্যের বড় ধরনের প্রভাব থাকে। বাংলাদেশের পোশাক শিল্প মালিকরা গত কয়েক বছরে তাদের কারখানার
উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নেয়ায় ক্রেতাদের আস্থা বৃদ্ধি রপ্তানি আয় বাড়াতে অবদান রেখেছে বলে মনে করে পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। বিজিএমইএ সহ-সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, কারখানাগুলোর উন্নয়নে পোশাক শিল্প মালিকরা গত কয়েক বছরে অনেক টাকা বিনিয়োগ করেছেন। ৮০ শতাংশের বেশি কারখানা উন্নত কর্মপরিবেশের (কমপ্লায়েন্স) আওতায় চলে এসেছে। এতে বায়াররাও খুশি। এ কারণেই বিদেশি ক্রেতাদের আস্থার সঙ্গে ক্রয়াদেশও বেড়েছে বলে মনে করেন তিনি। ফারুক হাসান বলেন, আমাদের পোশাকের প্রতি ক্রেতাদের আস্থা বেড়েছে। আমরা এখন বেশি দামের পোশাকও রপ্তানি করছি। নতুন নতুন বাজারে প্রবেশ করছি আমরা। সার্বিকভাবে সব কিছুই আমাদের অনুকূলে। সে কারণেই বাড়ছে রপ্তানি আয়। অর্থবছরের বাকি মাসগুলোতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করেন তিনি।
অন্যান্য পণ্যের মধ্যে জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে কৃষিপণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৫১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৬.৮০ শতাংশ বেশি। তবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতে রপ্তানি আয় ১৪.১৮ শতাংশ কমেছে। এ খাতে আয় দাঁড়িয়েছে ৫৩ কোটি ২৩ লাখ ডলার। একইভাবে পাট ও পাটপণ্য রপ্তানি আয়ও কমেছে। এ খাতে আয় হয়েছে ৪২ কোটি ১০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭ শতাংশ কম। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ তিন হাজার ৬৬৬ কোটি ৮২ লাখ (৩৬.৬৬ বিলিয়ন) ডলার আয় করে। এরমধ্যে ৩০.৬১ বিলিয়ন ডলারই এসেছিল তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। অর্থাৎ মোট রপ্তানির ৮৩ দশমিক ৫ শতাংশই এসেছিল এই খাত থেকেই। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের সার্বিক রপ্তানি ৫.৮১ শতাংশ বাড়লেও তা ছিল লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২.২২ শতাংশ কম। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি করে ৩৯ বিলিয়ন (তিন হাজার ৯০০ কোটি) ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার, যা গত অর্থবছরের চেয়ে ৪ শতাংশ বেশি। এবার দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক খাত থেকে ৩২.৬৯ বিলিয়ন ডলার আসবে বলে ধরা হয়েছে, যা মোট রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার ৮৩.৮২ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, রপ্তানি আয়ে সুখবর নিয়েই শুরু হয়েছিল নতুন অর্থবছর। ইতিবাচক সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া তৈরি পোশাক খাতের আয় ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। যার কারণে রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বিদ্যমান।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি থেকে ২ হাজার ৪৯ কোটি ৯৭ লাখ (১৭.০৭ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪.৪২ শতাংশ বেশি। আর এই ছয় মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে ৯.১৩ শতাংশ। তথ্য মতে, জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮৭৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার। গত বছরের এই ছয় মাসে আয় হয়েছিল ১ হাজার ৭৯১ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ডিসেম্বরে ৩৪২ কোটি ৬১ লাখ ডলার রপ্তানি আয় দেশে এসেছে। এই মাসে লক্ষ্য ধরা ছিল ৩৫৫ কোটি ডলার। গত বছরের ডিসেম্বরে আয় হয়েছিল ৩৩৫ কোটি ৩১ লাখ ডলার। এ হিসাবে ডিসেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কমেছে ৩.৪৯ শতাংশ। ইপিবির তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে মোট রপ্তানি আয়ের ৮৩.৩৪ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫.৬৫ শতাংশ। অর্থাৎ ২০.৫০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ১৭.০৮ বিলিয়ন ডলারই এসেছে এ খাত থেকে। এর মধ্যে নিট পোশাক রপ্তানি থেকে এসেছে ৮৬৫ কোটি ২৬ লাখ ডলার; প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ শতাংশ। ওভেন পোশাক রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৮৪৩ কোটি ২৩ লাখ ডলার; প্রবৃদ্ধি ১৭.৪৮ শতাংশ। নিটে লক্ষ্যের চেয়ে আয় বেড়ে গেছে ১১.২৩ শতাংশ। আর ওভেনে প্রায় ৬ শতাংশ।
অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২০ শতাংশের মতো। কিন্তু দ্বিতীয় মাস আগস্টেই তা হোঁচট খায়। ওই মাসে গত বছরের আগস্টের চেয়ে আয় কমে ১২ শতাংশ। এর পরের মাস থেকে তৈরি পোশাকসহ সামগ্রিক রপ্তানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। নভেম্বরে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১২ শতাংশের মতো। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ওপর বরাবরই তৈরি পোশাক পণ্যের বড় ধরনের প্রভাব থাকে। বাংলাদেশের পোশাক শিল্প মালিকরা গত কয়েক বছরে তাদের কারখানার
উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নেয়ায় ক্রেতাদের আস্থা বৃদ্ধি রপ্তানি আয় বাড়াতে অবদান রেখেছে বলে মনে করে পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। বিজিএমইএ সহ-সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, কারখানাগুলোর উন্নয়নে পোশাক শিল্প মালিকরা গত কয়েক বছরে অনেক টাকা বিনিয়োগ করেছেন। ৮০ শতাংশের বেশি কারখানা উন্নত কর্মপরিবেশের (কমপ্লায়েন্স) আওতায় চলে এসেছে। এতে বায়াররাও খুশি। এ কারণেই বিদেশি ক্রেতাদের আস্থার সঙ্গে ক্রয়াদেশও বেড়েছে বলে মনে করেন তিনি। ফারুক হাসান বলেন, আমাদের পোশাকের প্রতি ক্রেতাদের আস্থা বেড়েছে। আমরা এখন বেশি দামের পোশাকও রপ্তানি করছি। নতুন নতুন বাজারে প্রবেশ করছি আমরা। সার্বিকভাবে সব কিছুই আমাদের অনুকূলে। সে কারণেই বাড়ছে রপ্তানি আয়। অর্থবছরের বাকি মাসগুলোতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করেন তিনি।
অন্যান্য পণ্যের মধ্যে জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে কৃষিপণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৫১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৬.৮০ শতাংশ বেশি। তবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য খাতে রপ্তানি আয় ১৪.১৮ শতাংশ কমেছে। এ খাতে আয় দাঁড়িয়েছে ৫৩ কোটি ২৩ লাখ ডলার। একইভাবে পাট ও পাটপণ্য রপ্তানি আয়ও কমেছে। এ খাতে আয় হয়েছে ৪২ কোটি ১০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭ শতাংশ কম। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ তিন হাজার ৬৬৬ কোটি ৮২ লাখ (৩৬.৬৬ বিলিয়ন) ডলার আয় করে। এরমধ্যে ৩০.৬১ বিলিয়ন ডলারই এসেছিল তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে। অর্থাৎ মোট রপ্তানির ৮৩ দশমিক ৫ শতাংশই এসেছিল এই খাত থেকেই। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের সার্বিক রপ্তানি ৫.৮১ শতাংশ বাড়লেও তা ছিল লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২.২২ শতাংশ কম। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি করে ৩৯ বিলিয়ন (তিন হাজার ৯০০ কোটি) ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার, যা গত অর্থবছরের চেয়ে ৪ শতাংশ বেশি। এবার দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক খাত থেকে ৩২.৬৯ বিলিয়ন ডলার আসবে বলে ধরা হয়েছে, যা মোট রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার ৮৩.৮২ শতাংশ।
No comments